![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটা ছবি ভাইরাল হয়েছে। দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা আসার পরে হাজার হাজার মানুষ রেলস্টেশনে টিকেটের জন্য ভিড় করেছে। আর, সবাই মজা করে ফেসবুকে ছবিটা পোস্ট করছে। কারণ, এতে করোনার অন্যতম প্রতিকার হিসেবে পরিচিত "সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং থিওরি"-র লঙ্ঘন হচ্ছে।
অথচ, কেউ জিজ্ঞেস করছে না, "ডিজিটাল বাংলাদেশ" এখন কই গেল?
পড়াশোনা সবার শিকেয় উঠবে; পরীক্ষাগুলো বাতিল; ব্যাংক-সেবাখাতের অফিস "সীমিত" আকারে খোলা থাকবে; কেন, "ডিজিটাল বাংলাদেশ" কই এখন?? ১৫ বছরেও অনলাইনে এসব খাত নিয়ে আসা যায়নি। কিসের এত ফুটানি? পাবলিকও তো গাধার মত মূলার পিছনে দৌড়িয়েছে এতদিন!
e-banking, e-learning, e-governance, e-ticketing, এসব চালু করতে না পারলে ১৫ বছর ধরে কি গাধাদের মুলা দেখায়ে গিয়েছে তারা?
রেলস্টেশনে টিকেটের জন্য লাইন দেখে তো আমি পাবলিককে ব্লেইম করতে পারলাম না।
বিদেশে দুইবছরে একবার ব্যাংকে গিয়েছি; তাও না গেলেও হতো। সব কাজ ইন্টারনেটে, ফোনে, ইমেইলে, পোস্টাল অর্ডারের মাধ্যমে।
ট্রুডো আর হাসিনার তুলনা যেমন করা যাবে না, তেমনি উন্নত দেশের ব্যাংকের সাথেও কি বাঙ্গালদ্যাশের ব্যাংকিং সার্ভিসের তুলনা করা যাবে না?
এত এত ফান্ড এলোকেট করা হয়, এত জাকজমক করে অমুক ফেয়ার তমুক প্রোগ্রাম আয়োজন করা হয়, তাও আদালত, সচিবালয়ের কাজকর্ম অনলাইনে নেওয়া গেল না?
পিপিই পরিধান করে আমলাদের কাজ করার ছবি দেখে তো সার্কাসের জোকারও লজ্জা পেল।
ব্যাংকারদের এত সংগঠন থাকার পরেও, সাধারণ ব্যাংকারদের কোন দাবি দাওয়া কি ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট বা ব্যাংক মালিকেরা আমলে নেয়?
আমার নিজের অভিজ্ঞতা তো বলে- "নেয় না, নিবে না।"
তারপরেও পেটের দায়ে চাকরি তো করতে হয়।
যাদের সুযোগ আছে, তারা কেন এখনো দেশে আছে? কিংবা অন্য জীবিকার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও কেন ব্যাংকে চাকরি করছে?
উন্নত দেশে শুধুমাত্র অতি প্রয়োজনীয় (পাওয়ার প্লান্ট, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, ম্যান্যফ্যাকচারিং ইন্ডাস্ট্রি) কিছু জায়াগায় মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ ছাড়া, সবার কর্মক্ষেত্র ও পড়াশোনা অনলাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
যে দেশে পড়াশোনা-পরীক্ষা পুরোপুরি বন্ধ করে দিতে হয়, আমলাদের অফিসে বা ব্যাংকে ডাক্তারদের চেয়েও ভালোমানের পিপিই পরিধান করে অফিস করতে হয়, টিকেটের জন্য হাজার হাজার মানুষের ধাক্কাধাক্কি করে ভিড় করতে হয়, সেই দেশে কোন হারামজাদা যদি "ডিজিটাল বাংলাদেশ" শব্দদুটা উচ্চারণ করে, তাকে জায়গাতে গণধোলাই দিয়ে শেষ করে ফেলা উচিত।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন:
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:৩৩
শামছুল ইসলাম বলেছেন: যুক্তিপূর্ণ লেখা।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:০৪
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যুক্তিযুক্ত লেখা। এত ডিজিটাল ডিজিটাল বলে গলা ফাটালো। অথচ এখনো অন্য দেশগুলো থেকে কত পেছনে পড়ে আছে। এখনও কোন পরীক্ষার রেজাল্ট বের হলে সাইট ডাউন হয়ে যায়, টিকেট কাটতে গেলে সার্ভার হ্যাং করে, শেয়ার লেনদেনের জন্য(বেশীর ভাগ) ব্রোকারেজ হাউজের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকতে হয়...
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩০
মাহমুদুর রহমান বলেছেন: আসলে সিস্টেমটাতো আমাদেরই তৈরি ।কি আর করা বলুন
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫২
পদ্মপুকুর বলেছেন: গলাবাজীর জন্য বৈশ্বিক পুরস্কার থাকলে আমাদের সরকারগুলো নিশ্চিতভাবে ধারাবাহিক চ্যাম্পিয়ন হতো।
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৪
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আপনে তো দেখি নব্য রাজাকার!! এই যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ করেন, বিভিন্ন স্হাপনা উদ্বোধন করেন, এইটা কিসের কারনে? জ্বী মশাই, ডিজিটাল বাংলাদেশের কারনে। এজন্যে আপনার মাননীয় জয় এবং উনার আম্মাকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানানো উচিত এসব **ছাল লেখা বাদ দিয়ে!!
আপনি তো তবু দুই বছরে একবার গিয়েছেন, আমার তো মনেই পড়ে না, শেষ কবে ব্যাংকে গিয়েছি। প্রয়োজন পড়ে নাই। অদূঢ় ভবিষ্যতে পড়বে এমন সম্ভাবনাও দেখি না।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ২:৪২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর লেখা
৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ ভোর ৪:৫৫
সোহানী বলেছেন: জী ভাই, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলতে অফিসে স্কুলে কলেজে কম্পিউটার ডিসপ্লে কে বোঝাতে চেয়েছি.........। অনলাইনের মাধ্যমে কাজ নয় কিন্তু..............
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:২৫
রাজীব নুর বলেছেন:![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/rajib128/rajib128-1585020306-f5bbf68_xlarge.jpg)