নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভিক্ষাবৃত্তি ও বাড়িওয়ালা

০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:২৯

আমাদের দেশের ভিক্ষুকের সাথে, আমাদের দেশেরই বাড়িওয়ালা সম্প্রদায়ের অনেক মিল আছে।

বিশ্বে অনেক দেশে মার্চ থেকে শুরু করে, বিভিন্ন মেয়াদে, বিক্ষিপ্তভাবে, বাড়ি ভাড়া মওকুফ বা কমানোর মত ঘটনা ঘটেছে; সুদবিহীন লোনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে ভাড়াটিয়াদের জন্য কিছু জায়গায়।
বাংলাদেশে এসব খাটবে না। বাংলাদেশের সবচেয়ে নিকৃষ্ট কিছু পেশা/জীবিকার একটি হল "বাড়ি বানিয়ে ভাড়া দিয়ে চৌদ্দগুষ্টিসহ বসে খাওয়া"। এমনকি বিদেশেও দেখেছি, বাংলাদেশীরা এখানে এসে, কয়েক বছর কোনরকমে খাটনি করে, একটি অতিরিক্ত ফ্ল্যাট কিনে, সেটা অতিরিক্ত ভাড়ায় ভাড়া দিয়ে, বাকি জীবন শুয়ে বসে খেয়েছে, গতরে শক্তি থাকার পরেও।

ভাড়াটিয়াদের কষ্ট ও দুর্ভোগ বাড়িওয়ালারা কখনোই বুঝবে না।

একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের উদাহরণ দিচ্ছি। বাবা একজন আইনজীবি, মা একজন শিক্ষিকা, দুই কন্যাসন্তান। কোর্ট বন্ধ, মামলা বন্ধ, মানুষের সাথে দেখা-সাক্ষাত বন্ধ। অতঃপর প্রায় দেড় মাস ধরে ভদ্রলোকের সব আয়রোজগার বন্ধ। শিক্ষিকার আয় মাসে ৫ হাজার টাকারও কম, অথচ পরিশ্রম ৫০ হাজার টাকার মানের। মেয়ে দুইটা ভার্সিটি লেভেলে পড়ালেখা করছে। তারা ছোটখাট টিউশনি করে হাতখরচ আয় করে।

খেয়েপরে কোন রকমে চলে নিতে পারে এরকম মধ্যবিত্ত পরিবার। কিন্তু, বিশাল একটা বোঝা হয়ে দাঁড়ায় মাসিক ঘর ভাড়া; যেটা কিনা মাসিক খাবার খরচের প্রায় ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি।

আমি যখন গত দুই মাস ধরে বাংলাদেশের মানুষের খাবারের ত্রাণের ফটোসেশনের বাহার দেখে হাসছি, ঠিক তখনই লক্ষ লক্ষ মধ্যবিত্ত পরিবার কিন্তু বিনা আয়ে প্রতি মাসে এতগুলা টাকা নিজেদের আজীবনের সঞ্চয় থেকে খরচ করে ফেলার পরে ঠিকই কাঁদছে।

অথচ, একটা বাড়ি বানিয়ে, এতগুলা বছর, এতগুলো মানুষের, প্রতিমাসের ভাড়া নেওয়ার পরেও, করোনা চলে যাওয়ার পরেও আজীবন ভাড়া পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকা সত্ত্বেও, "বাড়িওয়ালা" নামের নিকৃষ্ট জীবগুলি যখন ভিক্ষুকের মত ছোটলোকগিরি করে, তখন তাদের বিন্দুমাত্র লজ্জা করে না??

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪২

রাজীব নুর বলেছেন: ভাই একটা বাড়ি করতে প্রায় একটা জীবন লাগে। জীবনটাকে তেজপাতা করতে হয়।

০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৪৮

আবীর চৌধুরী বলেছেন: এই তো কাঁচা কথা বলে ফেললেন। এজন্য আপনাকে আমার একদম পছন্দ না।

এই একটা জীবন লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য যথেষ্ট না, একটা সামান্য বাড়ি বানানোর জন্য!!

বাড়ি বানানোর পরে, মরার আগ পর্যন্ত সেই বাড়ির ভাড়া আপনা-আপনি আসতে থাকবে। এমনকি মরার পরেও বংশধরেরা সেই টাকা খেতে থাকবে। অথচ, করোনা-সময়ে দুই মাসের ভাড়া কমানো বা মওকুফ করার কথা উঠলেই ফকিন্নিগুলার প্রসব বেদনা উঠে যায়?

২| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ঠিক মতো ট্যাক্স দেয় তো ? নাকি আবার ট্যাক্স ও ফাঁকি দেয়।

০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫৯

আবীর চৌধুরী বলেছেন: এরা কাজের বেলায় কাজী। কাজ ফুরালে পাজি।

ভাড়া ঠিকই নিবে ঠিকমতো। ভাড়া বাড়াবেও নিয়ম করে। কিন্তু, সেবা দিবে নিম্নমানের। আচরণ করবে প্রজার মত। এবং বিশেষ দুর্যোগে বিশেষ সুবিধাও দিবে না। ট্যাক্স তো দূরের কথা।

৩| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৪:৫০

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: প্রদীপের দৈত্য এসে কারও জন্য বাড়ি বানিয়ে দিয়ে যায়না। বাড়ির মালিকই জানে বাড়ি বানাতে কত কষ্ট। খোজ নিয়ে দেখেন একজন বাড়ির মালিকের ব্যাংকে দেনা কত।

ভাই, স্যাকরিফাইস কয়জন করে??? সবাই থাকে লাভের আশায়। বাড়িওয়ালারাও সেই শ্রেনীর।

০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৫:০১

আবীর চৌধুরী বলেছেন: হাসলাম অনেকক্ষণ।
এই প্রতিক্রিয়াই প্রাপ্য।
পরিসংখ্যান করলে দেখা যাবে, আমাদের অনেকেরই দেশের এখানে-ওখানে, কোথাও না কোথাও, এক চিলতে বাড়ি বা ঘর আছে, যা আমরা ভাড়া দিয়ে রেখেছি। সে কারণে অনেক ভাড়াটিয়ার মধ্যেও "বাড়িওয়ালা" প্রবৃত্তি কাজ করে।

প্রাকৃতিক ব্যাপারস্যাপার।

আপনার প্রশ্নের আরো স্পেসিফিক উত্তর উপরের আরেকটি কমেন্টের উত্তরে দিয়েছি।

৪| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

মীর আবুল আল হাসিব বলেছেন: পরিসংখ্যান করলে দেখা যাবে, আমাদের অনেকেরই দেশের এখানে-ওখানে, কোথাও না কোথাও, এক চিলতে বাড়ি বা ঘর আছে, যা আমরা ভাড়া দিয়ে রেখেছি।



আমি ঢাকা শহর এর কথা বলছি। ঢাকা শহর এ একটা বাড়ি বানাতে যা খরচ হয় দেশের এখানে-ওখানে, কোথাও না কোথাও, এক চিলতে বাড়ি বা ঘর বানাতে তার ৫০ ভাগের এক ভাগও খরচ হয়না।

জেলা শহরের বড়ি ভাড়া কমানো নিয়ে মনে হয়না মানুষের মাথা ব্যাথা আছে।


৫| ০৩ রা মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আপনি করোনার সময় " ভাড়া বাড়ীর" যেই সমস্যা দেখলেন, উহার সমাধান কিভাবে হওয়া উচিত?

৬| ০৩ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: এটা সামন্তবাদী শোষনেরই একটা অংশ।জমিদারী প্রথা উঠগেছে ঠিকই,কিন্ত এই প্রথাটা রয়ে গেছে।আরোএকটা ব্যাপার লখ্য করবেন,তারা কিন্ত গর্ভকরে বলে,আমরা জমিদার।কিন্ত জানে না এই জমিদারদের তাড়াতে এদেশের জনগন কত আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন এ,কে,ফজলুল হক ও তার কৃষক শ্রমিক প্রজাপার্টি।ভাড়াটিয়াদের প্রধান সমস্যা, তাদের কোন সংগঠন নাই।সঠিক নেতৃত্ব নাই।

৭| ০৩ রা মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

সাইন বোর্ড বলেছেন: বাড়িওয়ালা ভাড়ার ব্যপারে কোন ছাড় দেবে, এটা ভাবা ভুল, অন্তত আমাদের দেশে । তবে ব্যতিক্রম কিছু নিশ্চয় আছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.