নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফুটোওয়ালা নৌকা

৩০ শে মে, ২০২০ রাত ২:৩৯

তথ্যের অবাধ বিচরণের যুগে মানুষ আজকাল এমন এমন সব অবধারিত বিষয় নিয়ে মাতামাতি করে, যা আদতে এড়িয়ে যাওয়ার মত বিষয়। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের প্রেক্ষাপটে, কোন বাংলাদেশী নাগরিকের যদি অপেক্ষাকৃত উন্নত যেকোন দেশে চলে যাওয়ার সামর্থ্য থাকে, তবে কেন সে যায়নি বা যাবে না, সেটাই বরং খতিয়ে দেখার বিষয়।
শিকদার ভাতৃদ্বয় না হয় অপরাধ করে পালিয়েছে, কিন্তু এখন বা পরবর্তীতে যারা যাবেন, কিংবা অনেক আগেই যারা চলে গিয়েছেন (নাম বললে চাকরি থাকবে না), তাদের কথাও কি এভাবে ক্রমান্বয়ে বলতে থাকবেন আপনারা সবাই? দেশটাকে যে বসবাসের যোগ্য করে তোলা যায়নি, এর দায় তো সেই পালিয়ে যাওয়া উচ্চবিত্ত বা তাদের দোসর দেশের হর্তাকর্তারা না। মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই।

যে যেভাবে পেরেছে, চলে যাওয়ার, ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ডিভি লটারি, পড়াশোনা, চাকরি, বিয়ে, আত্মীয়স্বজনের বদৌলতে, কামলা খাটতে, অবৈধ পথে, পালিয়ে গিয়ে কিংবা স্রেফ টাকার জোরে, বাংলাদেশের প্রতিটা ঘরে ঘরে, সেই স্বাধীনতার আগে থেকেই চেষ্টা করা হয়েছে, হচ্ছে, হবে। শুধুমাত্র সাদা চামড়ার আকর্ষণ না, উন্নত জীবনযাপন, মুদ্রার মান, জীবনের নিশ্চয়তা, আরো নানান কারণ বাধ্য করেছে, এই দেশের মানুষকে, এরকম ভাবতে।
যাদের চলে যাওয়া এখন ভাইরাল হচ্ছে, তারা কখনোই পরিপূর্ণভাবে এই দেশেই ছিলেন না। দেশে থেকেও তারা বিদেশী জীবনযাপন করতেন। কয়জন মানুষ ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহারের জন্য উড়োজাহাজ এফোর্ড করতে পারে বাংলাদেশে? তাদের সন্তান থেকে শুরু করে নাতিপুতি পর্যন্ত সবাই প্রবাসে থাকে; জন্ম থেকে কিংবা জন্ম ওখানেই। বাংলাদেশের এলিট শ্রেণীর বড় একটা অংশ নিজেদের সম্পূর্ণ পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশের সব সমীকরণের বাইরে। এটা অবশ্যই তাদের নিজেদের ভালোর জন্য। কিন্তু বাংলাদেশের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে সেটা বড় ক্ষতি করে গিয়েছে; অর্থনৈতিকভাবেও।

ব্যবসায়িক, পারিবারিক, স্বাস্থ্যগত বা অবকাশযাপনের জন্য যারা বছরের বড় একটা সময় দেশে বাইরে থাকেন, করোনা মহামারির সময়ে তাদের দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার খবর নিয়ে টানাহেচড়া করা হিপোক্রিসি এবং ঈর্ষা ছাড়া আর কিছুই না। ১৯৭২ এর কিসিঞ্জারের "তলাবিহীন ঝুড়ি" সাইজে বড়সড় হয়ে ২০২০-এ "ফুটোওয়ালা নৌকা" হয়েছে। এর বেশি কিছুই না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০২০ রাত ৩:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: আমি এমন টা ভাবছি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.