নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাধার জন্য মূলা, বাঙ্গালের জন্য সরকারি চাকরি

২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৪

কয়দিন আগে বাধ্য হয়ে সামু ব্লগে আমার একটা ব্লগ ডিলিট করে দিলাম। প্রায় ১৫টার মত কমেন্ট পড়েছিল এক ঘন্টার মধ্যে। সব অশ্রাব্য কমেন্ট।

কারণ, আমি আত্মহত্যা ও ডিপ্রেশন/ফ্রাস্টেশন ঠেকানোর কিছু পথ বাতলে দিয়েছিলাম। ঢাবির ঐ ছাত্রের আত্মহত্যার পরে; যার আত্মহননের কারণ ছিল প্রেমঘটিত। আমি স্পেসিফিক ঐ ঘটনার আলোকে না বলে, সার্বিকভাবে কেন যুবসমাজ পথভ্রস্ট ও আশাহত হয়ে পড়ছে, সে ব্যাপারে লিখেছিলাম।

আর, লেখার মূল গুরুত্বারোপ ছিল- সরকারি চাকরির সুযোগসুবিধা কমানো, সরকারিকরণের আওতা কমানো, বেসরকারি চাকরিকে সরকারি বেতন ও সুবিধার সমপর্যায়ে নিয়ে আসা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য কমানো, সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে দক্ষতানির্ভর ও উৎপাদনমুখী করে তোলা, গণহারে গ্র্যাজুয়েট উৎপাদন বন্ধ করা, ইত্যাদি।

ফেসুবকে কমেন্ট থ্রেডে যেমন বাঙালেরা হামলে পরে, সামুব্লগেও ঐ ব্লগের নিচে একই কাহিনী হয়েছিল। সাকিব আল হাসানের শিশুকন্যাই শুধু না, হাজার হাজার মানুষ এইসব অমানুষদের অসদাচরণের শিকার। এদের এরকম হামলে পড়ার যৌক্তিক কারণ ছিল। এই যেমন, বিটিসিএল তার কর্মীদের মধ্যে করোনায় মৃতদের ২৫ লাখ ও জীবিতদের ৫ লাখ টাকা অনুদান দিবে শুনে, কর্মীদের মধ্যে "ফেইক করোনা" সনদ বানানোর হিড়িক পরে গিয়েছিল। আজ ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রতিবেদনে দেখলাম, সরকারি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী থাকেন ডুপ্লেক্স বাড়িতে, চড়েন প্রিমিও গাড়িতে। এরকম খবর পড়তে পড়তে বাঙ্গালরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।

তাদের মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়েছে, সরকারি চাকরিই জান্নাত। সরকারের তাঁবেদার হয়ে থাকাটাই নিশ্চিন্ত জীবন। সরকারি তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীর ডুপ্লেক্স বাড়ি থাকা বা প্রিমিও গাড়িতে চড়া উন্নত অনেক দেশের বিবেচনায় খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। কিন্তু উন্নত দেশে ঐ একই সময় ধরে চাকরিরত, অন্য বেসরকারি কোম্পানির কর্মচারীও একই রকমের জীবনযাপন উপভোগ করবেন। কারণ সেসব দেশে কোনরকম প্রাতিষ্ঠানিক ও সামাজিক বৈষম্য নেই। অথচ, বাংলাদেশে, এই তৃতীয় শ্রেণীর সরকারি কর্মচারী যে সময় ধরে চাকরি করেছে, সেই একই সময় ধরে চাকরি করা কোন বেসরকারি কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ারও একটা ফ্ল্যাট তো দূরের কথা, একটা ভালো ভাড়া-বাসাও এফোর্ড করতে পারবে না।

যতদিন এই জাতির মানুষগুলো নিজেদের দুশ্চরিত্র আর দৃষ্টিভঙ্গি না বদলাচ্ছে, আমাদের মত মানুষদের লিখে যাওয়াও শুধু "উলুবনে মুক্তো ছড়ানো"।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: পাল্টাবে না কেন- অবশ্যি পাল্টাবে

লিখে যান আপনি আপনার মত করে। কেউ না থাকলে একাই একার পথ চলেন

২| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


আপনার সেই লেখাটা আমি পড়েছিলাম, ভালো উদ্দেশ্য অদক্ষ লেখা ছিলো; আজকের লেখাটাও তেমন ভালো হয়নি; এসব ব্যাপারে যখন লিখবেন, ব্লগারদের আশানুযায়ী না'হলে, কমেন্টে আপনি তা টের পাবেন।

২২ শে আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৫:০৯

আবীর চৌধুরী বলেছেন: চাঁদ গাজীঃ আপনার মত কয়েকজন আছেন, যারা পিছুই ছাড়েন না।
আপনার মত মানুষদের উচিত ক্রিটিক বা সমালোচককে সিরিয়াস পেশা হিসেবে বিবেচনা করা। জীবনে শাইন করবেন।

আমি লেখক মানুষ না। লিখি শুধু নিজের মনের খায়েশ মেটাতে; রাগ-ক্ষোভ ঝাড়তে। আর সামুতে আমার ছাপানো বেশির ভাগ লেখাই (কবিতা/ছড়া ছাড়া) ফেসবুকের স্ট্যাটাস। ফেসবুকে কেউই "লেখক" হতে কিছু লিখে না। "হোয়াটস অন ইউর মাইন্ড"-এর জবাবেই সবাই নিজ নিজ টাইমলাইনে যার যা খুশি লিখে যায়। আর, ফেসবুকের বড় ও প্রায়োগিক স্ট্যাটাসগুলিকে ব্লগের নামে এখানে ছাপিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য হল- নিজের লেখার পৃথক একটা সংগ্রহশালা রাখা।

আমার একটা মৌলিক বৈশিষ্ট্য আছে- যেই জিনিসে কোন লাভ দেখি না, সেই জিনিস হয়তো একদমই করিনা; নতুবা তেমন একটা সময় ও শ্রম ব্যয় করি না।

ব্লগ লিখে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব হয়ে, দেশের বা জাতির বা দুনিয়ার একটা চুলও পরিবর্তন করার সামর্থ্য আমার নাই। নিজেরও কোন রকম আর্থিক, সামাজিক বা রাজনৈতিক উন্নতি হবে না। এমনকি সাহিত্যিক বা লেখক হয়েও বাংলাদেশে এখনকার সময়ে কোন ভবিষ্যত দেখি না। তাই কোনরকম প্রয়াস করি না।

সামু ব্লগ দেশে ও বিদেশে অনেক জায়গায় দেখা যায় না; পড়া যায় না। তারপরেও ছাপিয়ে যাই; শুধু নিজের কালেকশনের জন্য। অমানুষদের অযাচিত মন্তব্যের জন্য না। সামু ব্লগ কতৃপক্ষকে জানিয়েছিলাম- অন্য ব্লগার বা একাউন্টকে কিভাবে ব্লক বা ব্যান করা যায় নিজের একাউন্ট থেকে। কিন্তু অভিযোগ সাবমিট হয়নি। সামু এখন মোটেও ইউজার-ফ্রেন্ডলি, সেইফ ব্লগ প্ল্যাটফর্ম না। কিন্তু হুট করে, এত বছরের, এতগুলি লেখা, ট্রান্সফার করে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব না। তাই চালিয়েই যাচ্ছি।

৩| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের সরকার সরকারী চাকুরীজীবীদের পুরা দায়িত্ব নিয়েছে কিন্তু বাকি জনগণ বাঁচল কি মরলে এটা তাদের মাথা ব্যথা না মনে হচ্ছে। একটা সমাজে বৈষম্য এত প্রকট হওয়া ভালো লক্ষণ না।

৪| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:২২

ঘরহীন বলেছেন: সরকারি চাকরির বেতন যে স্তরে নেয়া হয়েছে, বেসরকারি কখনোই তার কাছে-ধারেও যেতে পারবে না।

৫| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:২২

কথক আরমান বলেছেন: বাঁচতে জরুরি সরকারি চাকুরী,যদি না পাই সরকারি চাকুরী এইদেশে থাকে না মান সম্মান, এই ভেবে দিন কাটায় অনেক বুকা*দা সন্তান।

৬| ২১ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:৫৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই মহামারীতে সরকারী চাকরীজীবিরা তাই আরামে আছে । অন্যরা সবকিছুতে হিমশিম খাচ্ছে

৭| ২২ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: গাধার জন্য মূলা, বাঙ্গালের জন্য সরকারি চাকরি শিরোনাম টা ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.