নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পৃথিবী আমার আবাস। মানুষ আমার পরিচয়।

আবীর চৌধুরী

ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার

আবীর চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

"উন্নয়ন"-টা আসলে কাদের...

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:২৬

শুধু ICT, Telecom, Biztech বা Fintech দিয়ে কোন দেশেরই পরিপূর্ণ উন্নয়ন হয় না।
Heavy Engineering and Manufacturing সেক্টর যে দেশের যত উন্নত, সে দেশ তত সামনের সারিতে আছে, থাকবে।
হেভি ইন্ডাস্ট্রির ক্ষেত্রে আমরা পুরোপুরিই পরনির্ভরশীল। সাবমেরিন, স্যাটেলাইট, টানেল, ব্রিজ, পাওয়ার প্ল্যান্ট, ইত্যাদিতে শুধু লোহা, সিমেন্ট, ইট আর বালি দিতে পেরেই আমরা তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি।
অথচ, বিদেশী প্রযুক্তি, বিদেশী মেশিন, বিদেশী কর্মী ছাড়া আমরা পুরোপুরিই অচল। চীন, জাপান, রাশিয়া আর ভারতের সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশের অস্তিত্বই কল্পনাতীত।

সারাবিশ্ব যখন বিদ্যুৎ উৎপাদন এর জন্য ধীরে ধীরে কয়লা তো দূরের কথা, পারমাণবিক শক্তির ব্যবহারও কমিয়ে আনছে, আমরা তখন নতুন গ্লাসে পুরানো মদ খাচ্ছি।
সারাবিশ্ব যেখানে ঘন্টায় ৫০০+ কিলোমিটার বেগে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে কিভাবে যাওয়া যায়, মেগাসিটিগুলোতে কমিউট কিভাবে দ্রুত, জনবান্ধব, পরিবেশবান্ধব ও কম ব্যয়বহুল করা যায় ভাবছে, আমরা তখনও পরিবহন খাতকে (সড়ক, রেল, নৌ, বিমান) আধুনিক ও দুর্নীতিমুক্ত করতে পারিনি। আমরা এখনও নিয়মিত রেল যাতায়াতে ২০০ কিমি/ঘন্টার মার্কও অতিক্রম করতে পারিনি।

এভাবে আর কত?

অথচ, সারাদেশে রাস্তা নির্মাণ, মেরামত আর ভাঙ্গাগড়ার মহোৎসব। রাজনৈতিক নেতাদের মদদে আর ছত্রছায়ায় গড়ে উঠা কন্সট্রাকশান কোম্পানিগুলা এমন খরচে দেশের রাস্তাঘাট ও সরকারী অবকাঠামোগুলো বানায়, যা বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ব্যয়বহুল। অথচ, খুব দ্রুতই সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়, পুনর্নির্মাণ বা রিপেয়ার করতে হয়।
ক্লাসের ফার্স্ট বয় আমলা হয়ে লুট করছে, ক্লাসের লাস্ট বয় পলিটিশিয়ান বা কন্ট্রাক্টর হয়ে লুট করছে।
সওজের ২২ হাজার কোটি টাকার কাজের ৫০% সাত ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে
-----------------------
সংযোজনীঃ

খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে, পৃথিবীকে বাঁচানোর জন্য মানুষকে নিজের চাহিদাকে লাগাম টেনে ধরতে হবে, ভোগ কমাতে হবে (উৎপাদনও), বিলাসিতা ও অপ্রয়োজনীয়তা পুরোপুরি বাদ দিতে হবে।

এই পুরো বাক্যটা নিয়ে দিনের পর দিন বিশ্লেষণমূলক, গবেষণালব্ধ এবং গুরুগম্ভীর আলোচনা করা যায়। কেউ করতে চাইলে, শুনতে চাইলে, জানতে চাইলে, সাথে থাকতে পারি।

তবে এতটুকুই বলবো, পোশাকখাতনির্ভর জাতি হিসেবে আমরা নিজেরা যদি sustainable living, sustainable production, sustainable consumption, এসব না বুঝে নিজেদের ওয়াড্রব অব্যবহৃত ও অপ্রয়োজনীয় পোশাকে ভর্তি করতে থাকি, কারণে-অকারণে নিজেদের ও অন্যের জন্য পরিধানের বস্তু কিনতে থাকি, তবে csr হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে sdg নিয়ে ভারী-ভারী কথা বলা বা রাষ্ট্রীয়ভাবে বিদেশ থেকে climate fund আনা, সবই ভণ্ডামি ছাড়া আর কিচ্ছু নাহ!

নিজেদের সাবলম্বী করার জন্য অন্যান্য উৎপাদনমুখী খাতকে, পরিবেশবান্ধবভাবে বিবেচনা করতেই হবে। দর্জিগিরি করে আর কত?

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৩৯

এমেরিকা বলেছেন: আমাদের দেশে উন্নয়ন বলতে বোঝায় ইট পাথরের জঞ্জাল আর ফ্লাইওভার তৈরির মহোৎসব। এভাবে দেশের কন্সট্রাকশন কোম্পানি, কন্ট্রাক্টর আর স্থানীয় নেতা পাতি নেতাদের পকেটের উন্নয়ন হয়।

আর দেশের মানুষের ইনকাম বছরে ৩ লাখ টাকা (মাসে ২৫ হাজার) ছাড়িয়ে গেলেই মিনিমাম ৫ হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে হয়। প্রতি কেজি চিনিতে ২৩ টাকা আর তেলে ২৮ টাকা শুল্ক দিয়ে আমদানি করতে হয়। নতুন আইনে কোম্পানি লস করলেও টার্নওভার ট্যাক্স বাবদ ১০/১২ লাখ টাকা দিতে হয়। এই টাকাগুলা কারা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়?

২| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সহমত। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের দেশে উৎপাদন করতে হবে। শিল্প কারখানা ছাড়া জনবহুল এই দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে। আপাতত মাঝারি শিল্পের উদ্যোগ নিতে হবে এরপরে সামর্থ্য বাড়লে ভারী শিল্পে যেতে হবে। সেবা খাতে আমাদের দক্ষ জনশক্তির অনেক অভাব। তরুণদের মন মানসিকতা দৈন্যতা, নিম্নমানের ও অপরিকল্পিত শিক্ষার কারণে আমাদের তরুণদের সিংহভাগ বৈশ্বিক মানের কর্ম দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও আন্তর্জাতিক মানের তালিকায় অনেক পিছিয়ে। দেশে মৌলিক গবেষণার অনেক অভাব। মানুষের মন মানসিকতা ও রাষ্ট্রীয় নীতির পরিবর্তনের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে উত্তরন সম্ভব।

উন্নয়নের নামে জনগণের করের টাকা অসৎ লোকদের হাতে চলে যাচ্ছে। উন্নয়ন বলতে এখানে বুঝায় মূলত রাস্তা, ব্রিজ, সুরঙ্গ, মেট্রো রেল ইত্যাদি। কর্মসংস্থান করা যে অতি জরুরী এটা মনে হয় সরকার বোঝে না। বড় বড় প্রকল্পগুলির যে ব্যয় ধরা হয় তা অবিশ্বাস্য। প্রকল্প শুরুর পর এই ব্যয় বারবার বৃদ্ধি করা হয়। খুবই পরিকল্পিত ও আইনসিদ্ধ উপায়ে অসৎ লোকের হাতে জনগণের কষ্টার্জিত টাকা স্থানান্তরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই উন্নয়নের মধ্যে অনেক শুভঙ্করের ফাঁকি আছে। আর দুর্নীতির টাকার সিংহভাগ বাইরে চলে যায়। দেশের অর্থনীতিতে যদি এটা আবর্তিত হতো তাহলে অর্থনীতি লাভবান হতো।

৩| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪২

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: মাদ্রাসা আর মসজিদ বানানোতে আমরা পৃথীবির মধ্যে শ্রেষ্ঠ যেটা আসল কাজ।অন্যগুলো পরে দেখা যাবে।হাজার হাজার লোক এই শীতে রাস্তায় ঘুমায় আমরা লক্ষ লক্ষ মসজিদ লোকশূন্য তালাদিয়ে রাখি।মসজিদের বারান্দায় এদের যায়গা দেয়া যেত।যোহর নামাজের পর অনেক নামাজিকে মসজিদে ঘুমাতে দেখেছি।

৪| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: উন্নয়ন কার এটা নিয়ে অনেক কথা বলা যায় কিন্তু বিপদও হতে পারে তাই উন্নয়ন উন্নয়ন জিকির করি

৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের আজ এই পরিস্থির জন্য দায়ী অযোগ্য,অদক্ষ লোকগুলো। এদের সবার বিচার হওয়া উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.