![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১) কাঁচাবাজার এমন একটা ব্যাগে নিবেন, যেটা থেকে শাকসবজির পানি বা মাছ-মাংসের রক্ত বাইরে আসবে না। এমন একটা ব্যাগ (Reusable Grocery Bag), যা বাজার করার পর ধুয়ে রেখে, পরে আবার ব্যবহার করা যায়। প্লাস্টিক ব্যাগ যে কেউ দিতে চাইলে, নিষেধ করবেন। নিতেও চাইবেন না, বিক্রেতাও ব্যবহার করতে মানা করবেন। আর, যে কাউকে প্লাস্টিকের যেকোন কিছু যেখানে সেখানে ফেলতে দেখলে নিঃসংকোচে কড়াভাবে নিষেধ করবেন।
২) টং-রেস্তোরা বা যেকোন ভ্রাম্যমাণ অবস্থায়, চা-কফি-পানি-জুস খাওয়ার জন্য ওয়ানটাইম যেকোন কাপ (প্লাস্টিক বা অন্য কিছু) ব্যবহার বন্ধ করুন। নিজের ব্যাগে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট পানির ফ্লাস্ক (যেমন Thermoflask)-এ তরল পানীয় খান। বাসা থেকে পানি বা চা না নিয়ে এলেও খালি ফ্লাস্ক নিয়ে আসুন। বাইরে লজ্জা না পেয়ে, নিজের ফ্লাস্ক বের করে, পানি বা চা নিন। বরং প্লাস্টিক পণ্যে পানীয় খেয়ে, সেটা পৃথিবীতে অনায়াসে ডাম্প করা হচ্ছে, সেটা ভেবেই লজ্জিত হোন। যদি ব্যাগ বা ফ্লাস্ক সাথে না নিয়ে আসেন, তবে বাইরে কাঁচের বা মেলামাইনের কাপ-পিরিচে- ধুয়ে খান/পান করুন। প্লাস্টিকের ওয়ানটাইম কাপের মতই ওয়ানটাইম প্লেট, চামচ, কাঁটাচামচ, স্ট্র, ইত্যাদি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৩) মিনারেল ওয়াটারের বোতল, সফট ড্রিংক্সের বোতল, চিপস-চানাচুর-বিস্কিটের প্লাস্টিকের প্যাকেট, ইত্যাদি সবকিছুর জন্য সাধারণ ভোক্তা হিসেবে যা করা যেতে পারেঃ সব প্লাস্টিক প্যাকেজিং কমপ্রেসড করে, ঘরের কোথাও সঞ্চয় করতে পারেন। পরিমাণে বেশি হয়ে গেলে, নির্দিষ্ট রিটেইলার, রিসাইক্লার, বা ভেন্ডরের কাছে দিয়ে দিতে পারেন; বা বিক্রি করতে পারেন। ঢাকাতে কিছু এনজিও প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিবর্তে গাছের চারা দিচ্ছে। ব্রাউজ করলেই খুঁজে পেয়ে যাবেন। এছাড়া অন্য সব অঞ্চলে কোন না কোন নির্দিষ্ট ব্যবসায়ী/উদ্যোক্তা প্লাস্টিক, মেটাল, কাগজ রিসাইক্লিং এর সাথে জড়িত; তাদেরকেই দিবেন। বাইরে যেখানেই যান না কেন, নিজের প্লাস্টিকের ফেলে দেওয়া প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল, নিজের সাথে করেই নিয়ে আসবেন। কারণ, র্যান্ডম বিজনেস ভেন্ডর বা মিউনিসিপ্যালিটির ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট খুবই খারাপ। আমাদের সবার ফেলে আসা সব বর্জ্য, বিক্ষিপ্ত ও মিশ্রিতভাবে ল্যান্ডফিলেই ফেলা হয়ে আসছে। কোন সেপারেশন নাই।
-----------------------------------
বাংলাদেশে প্লাস্টিকের ব্যবহার সম্পর্কে জানা ও উদ্যোগ নেওয়ার খাতিরে ছোট একটি সার্ভে পরিচালনা করছে তরুণ কিছু উদ্যোক্তা। এটি পূরণ করে আমরা ওদেরকে সাহায্য করতে পারি। লিংকঃ
Plastic Usage in Bangladesh
২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের কেউ সচেতন না। সরকার সচেতন হতে বাধ্যও করে না।
৩| ১৫ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩০
নিক হোসেন বলেছেন: ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল লাগলে আমাকে জানাবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৩৪
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: আপনার সচেতনতামুলোক পোস্ট সবাইকে (আমি সহ) সচেতন হতে সাহায্য করবে- এই আশা করি।