নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভনিতা নয় আমি উচিত কথা বলি

ভাঙ্গতে পারবে না আমি ভঙ্গুর নই। ছুঁতে পারবে না কভু যদি ক্ষিপ্র হই।

আবিরে রাঙ্গানো

আমেরিকায় তোমার সন্তান স্বর্ণ চামচ মুখে, মরুর বুকের পিপাসার্ত শিশুর বিঁধছে টোটা বুকে। শখঃ আডডাবাজী করা, গান শোনা, মহাবিশ্ব সম্পর্কে জানা, ঘুরতে যাওয়া, একটু আঁধটু লেখা....

আবিরে রাঙ্গানো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দৃষ্টিতে এবার বিশ্বকাপ জিততে পারে এমন দলের মাঝে জার্মানীর সম্ভাবনা দ্বিতীয়।

১০ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৪:০৯

আগের পোস্টে যদিও বলেছিলাম ব্রাজিলের সম্ভবনা সবচেয়ে বেশি Click This Link । তারপরেও এবার বিশ্বকাপে প্রথম কয়েকটি দলের মাঝে পার্থক্য একেবারে শুন্যের কোটায়। ব্রাজিলের চেয়ে দল হিসেবে জার্মানি বেটার, কিন্তু সাগতিক হিসেবে ব্রাজিলকে একটু এগিয়ে রেখেছি। আমার মতে জার্মানির ফুটবল পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে ফাস্ট. দল হিসেবে আর্জেন্টিনা জার্মানির চেয়ে অনেক পিছিয়ে, তারপরেও খেলা দক্ষিন আমেরিকায় হচ্ছে বলে আর্জেন্টিনারও সম্ভবনা অনেক। এভাবে কে চ্যাম্পিয়ন হবে আগেভাগে বলে দেয়া সত্যিই কঠিন। এই পর্বে দেখা যাক জার্মানি কেন ফেবারিটের তালিকায় ২য়।



মে মাস ২০১৪ এর ফিফা ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং:

১। স্পেন

২। জার্মানী

৩। পর্তুগাল

৪। ব্রাজিল

৫। কলম্বিয়া

৬। উরুগুয়ে

৭। আর্জেন্টিনা

৮। সুইজারল্যান্ড

৯। ইটালি

১০ গ্রিস



বর্তমান ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং দেখলে মনে হতে পারে স্পেন সবচেয়ে ফেবারিট। কিন্তু আমার দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ জিততে হলে আরো কিছু জিনিষ কনসিডার করা জরুরী বলে মনে হয়। কয়েকটি ধারাবাহিক পর্ব লেখার ইচ্ছা আছে আমার বিশ্বকাপ নিয়ে। যার প্রথম কয়েকটি পর্ব লিখব সম্ভাব্য সবচেয়ে ফেবারিট দলগুলি নিয়ে। কারা বেশি ফেবারিট সেটি আলোচনার আগে অলটাইম ফেবারিট টিমের র‌্যাংকিং দেখাটাও জরুরি।



আল টাইম ফিফা ওয়ার্ল্ড র‌্যাংকিং:

১। ব্রাজিল

২। জার্মানী

৩। ইটালি

৪। আর্জেন্টিনা

৫। ইংল্যান্ড

৬। স্পেন

৭। ফ্রান্স

৮।হল্যান্ড

৯। উরুগুয়ে

১০। সুইডেন



উপরের ২ ক্যটেগরিতে যে কয়টি দেশের নাম উল্লেখ করেছি বিশ্বকাপ এদের মাঝেই থাকবে বলে মনে করি। তবে এই দলগুলোর বাইরের ২/১ টি দল সেমিফাইনালে খেললে তাতে অবাক হওয়ার কিছুই নেই।



দুটি র‌্যাংকিং এর কম্বিনেশন করলে জার্মানী নিশ্চিতভাবে ১ নং দল। তাছাড়া এমনিতেও জার্মানি সব সময়ই একটি পরিপুর্ন টিম হয়ে বিশ্বকাপে আসে। এজন্য ব্রাজিলের সমান সংখ্যক, তথা সর্বোচ্চ ৭ বার ফাইনাল খেলা একমাত্র দল তারা। কিন্তু সেটি আসল কারণ নয়, বর্তমান টিমের খেলোয়াড়দের দিকে নজর দিয়ে, এখন পর্যন্ত আমার মনে হচ্ছে সবচেয়ে ফেবারিট দল জার্মানি। একটি দলের যা কিছু দরকার ওদের তার পুরোটাই আছে। সবচেয়ে বড় কথা, ওদের একটি পরিপুর্ণ টিম আছে। প্রথম দেখি খেলোয়ার আছে কারা। এবছর পুরুষদের ব্যালন ডিঅর শর্ট-লিস্টের ২০ জনের মাঝে পাঁচজনই ছিলো জার্মানির। ম্যানুয়েল নয়ার, টমাস মুলার, ফিলিপ লাম, বাস্টিয়ান সোয়েনস্টেইগার এবং মেসুল ওজিল। সেরা ক্লাবের সেরা খেলোয়াড়দের নিয়ে দারুন এক কম্বিনেশন। জার্মানীর কোচ বলেছিলেন, আমার দলের প্রথম একাদশ আর দ্বিতীয় একাদশের মাঝে কোন পার্থক্যই নেই। দলের খেলোয়াড়দের কোয়ালিটি কতটা সমমানের হলে একজন কোচ এমন গর্ব করে বলতে পারে। বেশিরভাগ প্লেয়ার বায়ার্ন মিউনিখে খেলে বলে ওদের মাঝে আন্ডারস্টান্ডিংটাও চমৎকার।



ওদের নেই একজন রোনালদো/মেসি /নেইমার/বেল টাইপের কোন স্ট্রাইকার, কিন্তু সবাই যদি ভাল খেলে যে কেউ গোল করে দিতে পারে। ভুলে গেলে চলবে না ওদের দলে আছে পোডলস্কি, সোয়েনস্টেইগার, মুলার, ওজিল এবং রিউসের মত তারকা মিডফিল্ডার। এরা সবাই পরিপুর্ন একেকজন খেলোয়াড়। সকলেই জানে নিজের কি দায়িত্ব। আপন আপন ক্লাবে এবং নিজের জায়গায় তারা সেরা। এরা যে কেউ যখন তখন যেকোন দলের জন্য বিপদের কারন হতে পারেন। ক্লোসাকে কখনো আমার এতোটা ভয়ানক স্ট্রাইকার মনে হয়নি। কিন্তু ওদের ফরওয়ার্ড - মিডফিল্ড এককথায় দুধর্ষ। আছে দেয়ালের মত ডিফেন্স আর গোলমুখে আছে ন্যয়ারের মত অতন্দ্র প্রহরি। সুতরাং প্রথম পরীক্ষা শক্তিশালী মিডফিল্ড পার হয়ে আসা, এবং দ্বিতীয় পরিক্ষা প্রতিপক্ষের মুহুমুহু আক্রমন সামাল দেয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন ডিফেন্সে - এই দুটিকে অভারকাম করেই তাদের বিরুদ্ধে জিততে হবে যে কোন দলকে।



আমি কয়েকটি জিনিষ মাথায় রেখে একটি অভারঅল মার্কিং করছি:



টিম:

১। গোলকিপার ------------১০ ---> ১১

২। ডিফেন্স ----------------১০

৩। মিডফিল্ড --------------১০

৪। স্ট্রাইকিং ---------------০৮

________________________

মোট ৪০ এর মাঝে ৩৮। (---> ১১ এর অর্থ ১০ এর মাঝে ১১ পাওয়ার যোগ্য)



খেলা:

১। স্পিড ------------------১০ ---> ১১

২। পাসিং ------------------১০

৩। আন্ডার্টান্ডিং -----------১০

৪। দক্ষতা -----------------০৯

৫। অভিজ্ঞতা --------------১০

৬। টিম কম্বিনেশন ---------১০

৭। একুরেসি ---------------০৯

৮। পাওয়ার---------------১০

৯। লড়াকু ----------------০৯

১০। স্কোরিং --------------০৯

________________________

মোট ১০০ এর মাঝে ৯৬। (---> ১১ এর অর্থ ১০ এর মাঝে ১১ পাওয়ার যোগ্য)



অন্যান্য:

ইনজুরড রিপ্লেসমেন্ট -------০৯

আবহাওয়া----------------০৮

সাপোর্টার -----------------০৮

প্লেয়িং এ্যাজ এ টিম --------০৯

________________________

মোট ৪০ এর মাঝে ৩৪।



সর্বোমোট ১৮০ এর মাঝে ৩৮+৯৬+৩৫=১৬৮।



উপরের প্রথম দুটি ধরা হলে জার্মানী ১ নং টিম, কিন্তু ৩য় (অন্যান্য) ধরা হলে জার্মানীর অবস্থান দাড়ায় ব্রাজিলের পরে, ২ এ।



উপরের লেখাটি সম্পুর্ণ আমার নিজস্ব মতামত, আপনি আপনার মত মার্কিং করতে পারেন কমেন্টে। মিলিয়ে দেখব নিজের সাথে।





ছবি সংগৃহীত।



আগামী পর্বে থাকছে আমার দৃষ্টিতে এবার বিশ্বকাপ জিততে পারে এমন দলের মাঝে যাদের সম্ভবনা তৃতীয় তাদের নিয়ে।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৫৬

ড. জেকিল বলেছেন: জার্মানি তাদের ব্যালান্সড টিমের জন্য সব সময়ই ফেভারিট। আর একটি কারন হলো, এরা বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরতে কখনই ভূল করেনা।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১২

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো - এরা দ্রুত গতি সম্পন্ন। গত বিশ্বকাপে মনে আছে, ইংল্যান্ড আর আর্জেন্টিনাকে ফিরে আসার কোন সুযোগই দেয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানি যখন বল পেয়েছে তখন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা তাদের পিছেই উঠতে পারেনি। আর এবার সেই দলেরই অভিজ্ঞ ভার্সন। কতটা দুধর্য হবে সহজেই অনুমেয়। যদিও ব্রাজিলের ওয়েদার ওদের সমস্যা করতে পারে বেশ।

২| ১০ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

সুমন কর বলেছেন: এরা বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরতে কখনই ভূল করেনা।

সহমত।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩১

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: মেলে ধরার মত প্লেয়ার ওদের দলে সবসময় থাকে। ;)

৩| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৬

রক্তপলাশ বলেছেন: আমি জার্মানির সাপোর্টার বলেই বলছিনা ,বিশ্বকাপ জিততে চাওয়‍া অন্য কোন ফেবারিটই জার্মানির সামনে পড়তে চাইবে না।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৫

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: কথা সত্য, তবে জার্মানিকে যদি ব্রাজিলের ওয়েদার সমস্যা করতে না পারে, এবং ওরা যদি মানিয়ে নিতে পারে ওরা চ্যাম্পিয়ন হবে এটা বলে দেয়া যায়।

৪| ১০ ই জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৩

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: সুন্দর বিশ্লেষন।

জার্মানী সবসময়ই ফেবারিট। তবে এবার একটু আলাদা করে ভাবতে হবে তাদের নিয়ে। দারুণ কিছু খেলোয়াড় আছে জার্মানীর। তাদের রিজার্ভ দারুণ।


ধন্যবাদ সুন্দর লেখায়।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৬

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: একটি কথা যোগ করা দরকার: এবার বিশ্বকাপে ব্রাজিল যদি বাদ পড়ে তাহলে ওদের সাধারণ জনগনের হতাসার কোন শেষ থাকবে না। এমনিতেই তারা খেপে আছে। বিশ্বকাপ জিতলে তারাও হয়তো সকল ব্যাথা ভুলে যাবে। বিশ্বকাপ আমাদের জিততেই হবে - এই চাপ ব্রাজিল দলকে হারিয়ে দিতে পারে।

৫| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৮:৫৫

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণ ভালো হয়েছে।তবে আপনি খাতা কলমের হিসেবে শক্তিমত্তা বিশ্লেষণ করছেন। একটা ব্যাপার আপনি খেয়াল করেন নি। ব্রাজিলের ওয়েদার।এই সময় ব্রাজিলের তাপমাত্রা থাকবে ৩০ বা তার বেশি,আর হিউমিডিটি ৮০ বা তার বেশি। এটা্ জার্মানদের জন্য খুব কঠিন হবে। জোয়াখিম লোও অনেক বার এটা বলেছেন ও। ফুটবলে ওয়েদার ফ্যাক্টর খুব ইম্পর্টেনট। এই দিক থেকে ইটালি আর স্পেন কিছুটা এগিয়ে থাকবে।

মার্কো রইস( Marco Reus) কিন্তু ইনজুরিতে ওয়ার্ল্ড কাপ থেকে বাদ পরেছেন । এটা অনেক বড় লস্‌ জার্মানির জন্য,ও অসাধারণ একটা সিজন কাটিয়েছে এবছর।

ডিফেন্সে ১০ কিভাবে দিলেন বুঝলাম না, পার মার্তেসকার আর বোয়েটেং দুই জনই বেশ সেকি সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার।আমার মতে এটা এভারেজ ডিফেন্স। তবে মিডফিল্ড এখনও বেস্ট অব অল টিমস্‌।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:০৭

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: লেখক বলেছেন: মূল্যবান কমেন্ট।
আবহাওয়ায় আমি ১০ এর মাঝে ৮ দিয়েছি। আপনি ৬/৭ দিতে বললে আমি দ্বিমত করবো না। আমি কিন্তু আবহাওয়াতে ব্রাজিলকে ৯ দিয়েছি, কারণ ওদের দলের ১১ জনের ১০ জনই অনেকদিন যাবত ইউরোপে খেলে। এই একটা জিনিষে ব্রাজিল ১০ এ ১০ পাওয়া উচিত ছিলো।

হ্যা ওদের ডিফেন্সে ১০ দিলে ব্রাজিলের ডিফেন্সকে দিতে হয় ১১/১২ এটা জানি। কিন্তু গোলকিপার এবং মাঝমাঠ ভালো হলে ডিফেন্সে কিছুটা কম হাওয়া লাগে। ফিলিপ লামের কারণে ১০ দিয়েছিলাম। আপনার মত এতো গভীরভাবে চিন্তা করলে আগেই ৯ দিতাম।

রিউসকে বাদ দিলেও মাঝমাঠে আছে সোয়েনস্টেইগার, মুলার, ওজিল। আমার তো মনে হয় এই মানের একজন মিডফিল্ডারও ব্রাজিল দলে নেই, যদিও ব্রাজিলকে শিরোপা প্রত্যাশী ধরা হচ্ছে।

৬| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০১

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আমার রেটিং হলো;
১।আর্জেন্টিনা
২।স্পেন
৩।ব্রাজিল/জার্মনি
৪।উরূগুয়ে;যদি সুয়ারেজ ১০০%ফিট হয়ে খেলে পারে।

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩০

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: কিভাবে একটু ব্যাখ্যা করলে ভাল করে বুঝতাম। আপনি তো আমার নম্বরের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়েছিলেন, তাহলে আর্জেন্টিনাকে কিভাবে জার্মানির চেয়ে বেশি নম্বর দিলেন? ব্রাজিলের কথা বাদই দিলাম। আর্জেন্টিনার ডিফেন্স অনেক বেশি সেকি। মিডফিল্ডে ডি মারিয়া ছাড়া বলার মত কেউ নেই। এই একজন প্লেয়ার আছে মেসিকে বল যোগান দেয়ার মত। এই বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার স্টাইকিং বিশ্বসেরা এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু মেসিদের বল যোগান তো দিতে হবে। মেসি আর ম্যারাডোনার মাঝে পার্থক্য একটাই মেসি মাঝমাঠের ভাল সাহায্য ছাড়া সবসময় ভাল করতে পারেনা। বার্সেলোনার খেলাই তার প্রমান। ম্যারাডোনা একাই স্বনির্ভর ছিলো। দল হিসেবে নয় ওয়েদারের কারণে আর্জেন্টিনার সম্ভবনা অবশ্যই অনেক বেশি।

৭| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১০

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
দারুন বিশ্লেষণ।


জার্মানী দ্বিতীয় আর ব্রাজিল প্রথম :P :P :P


স্কিপ করে মন্তব্যের উত্তর দিবেন না প্লিজ :)

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:১৮

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: হে হে, এই জিহ্বা দেখানো হাসিটা কি সহমতে হাসি? নাকি উপহাসের হাসি? আবারো স্কিপ করে দিয়ে ফেললাম­। :P

৮| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২২

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
সহমতের হাসি, আর জিহ্বা দেখানো হাসিটা আর্জেন্টিনার জন্য ;)

১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৩৫

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: ;) ;) ;) :!> :!> :!> B:-) B:-)
এবার বিশ্বকাপ হবে আর্জেন্টিনার স্ট্রাইকার বনাম ব্রাজিলের ডিেফন্স। মাঝখানে নেইমার বাড়তি। কে জিতবে বলা মুশকিল।

৯| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

টয়ম্যান বলেছেন: আর্জেন্টিনা B-)

১০| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: ব্রাজিলকে আমার মতে জোর করে ফেবারিট বানানো হচ্ছে,পালে হাওয়া জুগিয়েছে কনফেডারেশন কাপ জয়,স্পেন কে ৩-০ গোলে ডুবিয়ে।কিন্তু সবাই ভুলে যায় এটা ওয়ার্ল্ড কাপ,এখানে প্রেশার ১০০ গুন বেশি।নিজেদের মাঠে খেলা এটা যদি ফেবারিট হওয়ার যুক্তি হয় তাহলে বলবো মুদ্রার অপর পাশে আছে প্রত্যাশার পর্বতসম চাপ।এর সাথে যোগ হয়েছে আন্দোলন,বলা হচছে ওয়ার্ল্ড কাপ না জিততে পারলে,আন্দোলন জনরোষে পরিণত হবে।এই চাপ সামাল দিতে পারে একমাত্র অভিঞ্গতা,যেটা ব্রাজিলের এই টিমের একেবারেই নেই।

টিমের পজিশন ওয়াইজ বিশ্লেষণে গেলাম না,শুধু বলি, যদি একটা সট্রং টিম সামনে পড়ে আর শুরূতে ব্রাজিল যদি একটা গোল খেয়ে যায় তখন ব্যাক করার মতো কিছু নাই ব্রাজিলের। আপনি ব্রাজিলের ডিফেন্সের প্রশংসা করছেন!!! সার্বিয়ার সাথে ম্যাচটা দেখেছেন? ওদের একটা ভালো স্ট্রাইকার থাকলে ফার্সট হাফে ব্রাজিল ২-০ তে পিছিয়ে পড়ে।দুটো ভুলই করে থিয়াগো সিলভা আর ডেভিড লুইজ জুটি।লুইজ অফুল(ভয়ংকর খারাপ) একটা সিজন পার করলো, মরিনিও ওকে সেন্ট্রাল ব্যাক থেকে ডিফেন্সিফ মিডফিল্ডে নিয়ে আসার পর থেকেই ওর ফর্ম পড়তির দিকে।

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:০২

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: কমেন্টে প্লাস। বিশ্বকাপ আমাদের জিততেই হবে না জিতলে আন্দোলন জনরোষে পরিণত হবে - এই চাপ ব্রাজিল দলকে ডুবাতে পারে। ৪ নং কমেন্টের উত্তরে বলেছি।

বুঝলাম না ব্রাজিল টিম খেলার শুরুতে ১৫-২০ মিনিট এমন অগোছালো খেলে কেনো!! সার্বিয়ার সাথে ম্যাচের উদাহরণটা আমার মাথায় ছিলো, আমারো মনে হয়েছিলো, গোল খাওয়ার মত এটাক ছিলো - খারাপ বলেননি। তবে এটাও ভুলে গেলে চলবে না যে সিলভা-লুইজ জুটি একসাথে যে ১২ টি ম্যাচ খেলেছে, তার ১০ টি জিতেছে, ২ টি ড্র করেছে, কোন হার নেই। আরেকটি কথা ব্রাজিল টিম সময় যত গড়ায়, কিম্বা টুর্নামেন্টের যত বেশি ম্যাচ খেলতে থাকে তত বেশি ধারালো হয়- এটা খেয়াল করেছেন কিনা?

ডান্টেও কিন্তু বায়ার্নে ভাল সিজন পার করেছে, তারপরেও তাকে ছাপিয়ে লুইজকে নিয়েছে কোচ, নিশ্চয় অফুল(ভয়ংকর খারাপ) না সে। চিন্তা করে দেখবেন।

১১| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:২৪

পাজল্‌ড ডক বলেছেন: আর্জেন্টিনা কেন :
১।আপনি যে ডিফেন্স কে সেকি বলছেন সেই ডিফেন্স সামলাবে ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়ন (ইপিএল)ডেমিচিলিস ,পাবলো জাবালেতা। গ্যারে বেনফিকা(পর্তুগাল চ্যাম্পিয়ন২০১৪) তে অসাধারণ একটা সিজন কাটালো,ওর জন্য ম্যান ইউ গত সিজনে বিশাল বিড দিয়েও কিনতে পারে নাই।
২।মিডফিল্ডে আপনি বলছেন কেউ নাই!!মাশ্চারানো,গ্যাগো,ডি মারিয়া,ম্যাক্সি রদ্রিগেজ এরা নির্ভরযোগ্য শুধু নয় ম্যাচ উইনার প্লেয়ার।মেসি কিন্তু মিডফিল্ডেই খেলে,:Dস্ট্রাইকারের পেছনে ,ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার হিসেবে।

৩।আগুয়রো,লাভেজ্জি,হিগুয়েন ইউরোপের এই সিজনের সেরা ফর্ম প্লেয়ার।

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৫

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: এটাই তো প্রব্লেম। মেসি যে কই খেলে এটাই বুঝলাম না এতোদিনে। বার্সায়ও নাকি মিডফিল্ডে খেলে, কারণ মেইন স্ট্রাইকার সানচেজ। মিডফিল্ড কি এটাই শিখতে হবে আমার। যখন দল ঘোষণা হলো তখন তার নাম ফরওয়ার্ডে। আচ্চা জাভি, ইনিয়েস্তা কি বার্সার/স্পেনের ডিফেন্ডার নাকি মিডফিল্ডার? ডি মারিয়া, রুদ্রিগেজ কি তাহলে আর্জেন্টিনার ডিফেন্ডার? যেহেতু ফ্রেড মেইন স্ট্রাইকার সেহেতু নেইমার কি মিডফিল্ডের প্লেয়ার?

আগুয়রো, হিগুয়েন আর মেসির কারণেই স্ট্রাইকিংয়ে আর্জেন্টিনাকে ১০ এর মাঝে ১১ দিব। দেখি ওদের নম্বর কত দাড়ায় জার্মানি ব্রাজিলের উপরে তুলতে পারি কিনা।

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:৫৪

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: স্বপ্নের বিশ্বকাপ একাদশ: দেখেন এখানে ব্রাজিলের ডিফেন্সের সাথে আর্জেন্টিনার ডিফেন্স তুলনা করেন।
Click This Link
ঢাকা: বিশ্বকাপ জ্বরে পুড়ছে পুরো বিশ্ব। কোন দলের রক্ষণভাগ সেরা, কোন দলের মধ্যভাগ, আর কোন দলের আক্রমণভাগ সেরা এ হিসাব-নিকাশ কষে দেওয়া হচ্ছে বিশ্বকাপ কারা জিতবে সে ভবিষ্যদ্বাণী। তবে, বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষেই সত্যিকার অর্থে মূল্যায়ন করা যাবে কোন দলের কী ভাগ কেমন ছিল। তার আগে, ৩২টি দলের সেরা খেলোয়াড় বেছে নিয়ে ৪-৩-৩ ফরম্যাটে বিশ্বকাপের স্বপ্নের একাদশ সাজিয়েছেন ফুটবল বোদ্ধারা।

সেই একাদশটিই পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে বাংলানিউজ

গোলকিপার

ইকার ক্যাসিয়াস (স্পেন)
ফুটবলের সর্বজনবিদিত নাম্বার ওয়ান গোলরক্ষক তিনি। ইকার ক্যাসিয়াস যখন দলের গোলরক্ষণে থাকেন তখন ডিফেন্ডাররা বেশ স্বস্তিতেই থাকতে পারেন। গত বিশ্বকাপ জেতা স্পেন অধিনায়ক এবারও দলকে নিয়ে উড়াল দিয়েছেন ব্রাজিল বিশ্বকাপ জয়ে। লা ডেসিমা জয়ের মাধ্যমে সফল মৌসুম শেষ করা রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক গোলকিপার হিসেবে সহজে জায়গা করে নিয়েছেন স্বপ্নের একাদশে।

ডিফেন্ডার্স

মার্সেলো (ব্রাজিল, লেফট ব্যাক)
স্বদেশে তারকা মিডফিল্ডার রবার্তো কার্লোসের মতে, ফুটবলের সবচেয়ে সেরা লেফট ব্যাক ডিফেন্ডার ব্রাজিলিয়ান মার্সেলো। অসাধারণ ডিফেন্স ও অ্যাটাকিং ড্রিবলিংয়ের জন্য তার ডিফেন্সে অনেকটাই ‘ডিফেন্ড’ করে দলের জয়।

থিয়াগো সিলভা (ব্রাজিল, সেন্টার ব্যাক)
ব্রাজিল দলের অধিনায়ক। পেছন থেকে দলকে এগিয়ে দেওয়ার কারিগর তিনি। নিজের পজিশন নিয়ে সচেতনতা ও অসাধারণ ট্যাকলিং স্কিলের জন্য ব্রাজিল একাদশের সম্পদ সিলভা।

সার্জিও রামোস (স্পেন, সেন্টার ব্যাক)
সম্পূর্ণ ভারসাম্যপূর্ণ দল স্পেনের সেন্টার ব্যাক ডিফেন্ডার রামোস। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রতিভাধর সেন্টার ব্যাক ডিফেন্ডার বলা হয়ে থাকে। খেলার মাঠে বিভিন্ন ধরনের পজিশনে খেলতে সক্ষম রামোস সেন্টার ব্যাকের মতোই সমান দক্ষ রাইট ব্যাকে।

দানি আলভেজ (ব্রাজিল, রাইট ব্যাক)
বিশ্বের অন্যতম সেরা রাইট ব্যাক ডিফেন্ডার বলা হয় ব্রাজিলিয়ান দানি আলভেজকে। আগ্রাসী ডিফেন্ডার হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। পায়ে থেকে পায়ে নিখুঁতভাবে বল দিতে সুখ্যাতি রয়েছে আলভেজের। অনেক দূর পর্যন্ত বল পায়ে দৌঁড়াতে সক্ষম আলভেজের ড্রিবলিংয়ে এবার চোখ থাকছে বিশ্ব ফুটবলপ্রেমীদের।

মিডফিল্ডার্স

আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (স্পেন)
তাকে বলা হয় স্প্যানিশ মিডফিল্ডের প্রাণভোমরা। নিখুঁত ড্রিবলার ইনিয়েস্তা বল পায়ে ভেঙে দিতে পারেন যে কোনো দলের কঠিন রক্ষণভাগ। ব্যালন ডি’অর’র রানার-আপ ইনিয়েস্তা মিডফিল্ড ছাড়াও সরাসরি আক্রমণভাগেও চলে আসতে পারেন দলের প্রয়োজনে।

আন্দ্রি পিরলো (ইতালি)
ইতালির মিড ফিল্ডের ‘ম্যাজিশিয়ান’ খ্যাত পিরলো এবার নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের মাঠে নামছেন। এসি মিলান ও জুভেন্টাস ক্লাবের হয়ে খেলা এ খেলোয়াড়ের ‘ম্যাজিক’ দক্ষতা তাকে অনায়াসে ঢুকিয়ে দিয়েছে স্বপ্নের বিশ্বকাপ একাদশে।

আরিয়েন রোবেন (নেদারল্যান্ডস)
ডাচ উইঙ্গার আরিয়েন রোবেন বল পায়ে কেমন দুর্দান্ত সেটা ২০১০ বিশ্বকাপেই দেখিয়েছেন। মাস্টার ড্রিবলার রোবেন মাঠের পাশ দিয়ে বল কাটিয়ে এনে প্রতিপক্ষের জালে গড়াতে বেশ দক্ষতার পরিচয় দেখিয়ে চলেছেন। এবারও তার পায়ের জাদু দেখতে চাইবে ডাজ ফুটবলপ্রেমীরা।

ফরোয়ার্ড

নেইমার (ব্রাজিল)
ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের ভবিষ্যৎ বলা হয় তাকে। স্পেনকে উড়িয়ে দিয়ে গত বছরের কনফেডারেশন্স কাপ জয়ে তিনিই ব্রাজিলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পায়ের অসংখ্য ঘূর্ণি জাদুই তার ঘাড়ে ব্রাজিলের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে। নেইমারের কাঁধে ভর করেই ব্রাজিল এবারের বিশ্বকাপ জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে।

লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা)
কেউ তাকে বলে থাকেন ভিনগ্রহের ফুটবলার, আবার কেউ বলেন ফুটবল জাদুকর। সামান্যতম স্বীকৃতি হিসেবে তাকে চারটি ব্যালন ডি’অর-এ ভূষিত করেছে ফিফা। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার এবং গোলকিপাররাই বলে থাকেন নিখুঁত ড্রিবল‍ার মেসিকে বন্দুক ছাড়া থামানো কঠিন। গত বিশ্বকাপে না পারলেও কেবল মেসি আছেন বলেই এবারও বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে আর্জেন্টিনা।

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো (পর্তুগাল)
বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ফুটবলার বলা হয় তাকে। পর্তুগিজ ক্যাপ্টেনের পায়ের গতি এবং হেড যে কোনো রক্ষণভাগই গুড়িয়ে দিতে পারে মুহূর্তেই। ক্রিস্টিয়ানোকে ছাড়া ফুটবল বিশ্বকাপের স্বপ্নের একাদশের কথা ভাবতে যাওয়াও বোকামি।

কোচ

ভিনসেন্তে দেল বস্ক (স্পেন)
দেল বস্কের তত্ত্বাবধানেই গতবার শিরোপা ঘরে নিয়েছিলো স্প্যানিশরা। আবারও ইনিয়েস্তা-ভিয়াদের নিয়ে তিনি চাইছেন গতবারের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে। স্বপ্নের একাদশের কোচ হিসেবে দেল বস্কই পছন্দ ফুটবল বোদ্ধাদের।

১২| ১০ ই জুন, ২০১৪ রাত ১১:৫২

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:


জার্মানি এক নাম্বার B-)

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৭

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: জার্মানি ১ নম্বর একথা আগেই বলেছি, কিন্তু ব্রাজিলের ৩০ ডিগ্রিতে বিশ্বকাপ জিততে গেলে খবর আছে।

১৩| ১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:১৬

আছিফুর রহমান বলেছেন: ফুটবল ২২ জনের খেলা, যেখানে শেষ পর‍্যন্ত জার্মানি জয় লাভ করে

১১ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৪০

আবিরে রাঙ্গানো বলেছেন: B-) :D :) কথাটি বলেছিলেন গ্যারি লিনেকার। “Football is a simple game; 22 men chase a ball for 90 minutes and at the end, the Germans always win” :P :P

১৪| ১৫ ই জুন, ২০১৪ ভোর ৫:৪৩

কামরুল হুদা বলেছেন: গুড এনালাইসিস

১৫| ২১ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:১৩

ছোট্ট নদী বলেছেন:

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.