![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সামাজিক সংগঠন
সমাজ উন্নয়ন ও সমাজ সংস্কারে যারা আত্মনিয়োগ করেছিলেন, করছেন এবং করবেন তাদের সমাজকর্মী বলা হয় আর সমাজকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় জনহিতকর কর্ম সম্পাদনের নিমিত্তে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক অ-লাভজনক হিসেবে গঠিত সংগঠনকে “সামাজিক সংগঠন” বলে।
সামাজিক সংগঠনের ব্যাখ্যাঃ
আমাদের বাংলাদেশের সামাজিক সংগঠনগুলো- এনজিও, সংস্থা, সংঘ, ক্লাব, সমিতি, ফাউন্ডেশন, প্রতিষ্ঠান ও এতিমখানা ইত্যাদি নামে পরিচিত। আর উল্লেখিত নামসমূহ বলতে ”স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাকে বুঝায়”।
“স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা” বলতে (০১) শিশু কল্যাণ, (০২) যুব কল্যাণ, (০৩) নারী কল্যাণ, (০৪) শারীরিক ও মানসিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, (০৫) পরিবার কল্যাণ, (০৬) সমাজ বিরোধী কার্যকলাপ হতে জনগনকে বিরত রাখবার উদ্দেশ্যে চিত্ত-বিনোদন কর্মসূচী, (০৭) নাগরিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করবার উদ্দেশ্যে সামাজিক শিক্ষা ও বয়স্কদের শিক্ষা ব্যবস্থা, (০৮) কারামুক্ত কয়েদীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, (০৯) কিশোর অপরাধীদের কল্যাণ, (১০) ভিক্ষুক ও দুঃস্থদের কল্যাণ, (১১) সামাজিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, (১২) রোগীদের কল্যাণ ও পুনর্বাসন, (১৩) বৃদ্ধ ও দৈহিক অসমর্থ ব্যক্তিদের কল্যাণ, (১৪) সমাজকল্যাণ কার্যে প্রশিক্ষণ ও (১৫) সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহের সমন্বয় সাধন- এর যে কোন এক বা একাধিক কল্যাণমূলক কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে জনগন কর্তৃক স্বেচ্ছায় প্রতিষ্ঠিত এবং জনসাধারণের চাঁদা, দান বা সরকারী সাহায্যে উপর নির্ভরশীল কোন প্রতিষ্ঠান, সমিতি বা অনুরূপ কোন প্রকল্পকে বুঝায়।
উপরোক্ত ০১ হতে ১৫ কল্যাণমূখী পয়েন্টসমূহকে সমাজকল্যাণ আইনের বিধান মতে “তফসিল” বলে।
উল্লেখিত তফসিল-এর ভিত্তিতে “স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ৪৬ নম্বরের বিধানসমূহ পরিপালনের মাধ্যমে নিবন্ধিত সংগঠনকে সামাজিক সংগঠন বলে। আর একটি নিবন্ধিত সংগঠনের যাবতীয় কার্যক্রম “স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) বিধি, ১৯৬২ মোতাবেক পরিচালিত হয়। বুঝাগেল, উল্লেখিত অধ্যাদেশের ভিত্তিতে নিবন্ধিত সংগঠনই আইনানুগ বৈধ সংগঠন। আর নিবন্ধন বিহীন যাবতীয় সংগঠনই আইনের দৃষ্টিতে অবৈধ ও বে-আইনি।
বিভিন্ন আইনের আওতায় বৈধ সামাজিক সংগঠনঃ
দি সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশ অ্যাক্ট, ১৮৬০; দি ভলানটারী সোস্যাল ওয়েলফেয়ার এজেন্সিস (রেজিষ্ট্রেশন এন্ড কন্ট্রোল) অর্ডিন্যাস, ১৯৬১; দি ফরেন ডোনেশন্স (ভলানটারী এ্যাক্টিভিটিজ) রেগওলেশন অর্ডিন্যাস, ১৯৭৮; দি ফরেন কন্ট্রিবিউশনস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ এর আওতায় নিবন্ধিত সংগঠনসমূহ আইনগতভাবে বৈধ।
এনজিও (NGO) বলতে কোন কোন সংগঠনকে বুঝায়ঃ
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২(দ) এবং সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ (২০১২ ও ২০১৩ সালের সংশোধনীসহ) এর ২(২৪) ধারার বিধান মোতাবেক বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ( Non Government Organization-NGO) বলতে যে সকল সংস্থা, দি সোসাইটিজ রেজিষ্ট্রেশ অ্যাক্ট, ১৮৬০; দি ভলানটারী সোস্যাল ওয়েলফেয়ার এজেন্সিস (রেজিষ্ট্রেশন এন্ড কন্ট্রোল) অর্ডিন্যাস, ১৯৬১; দি ফরেন ডোনেশন্স (ভলানটারী এ্যাক্টিভিটিজ) রেগওলেশন অর্ডিন্যাস, ১৯৭৮; দি ফরেন কন্ট্রিবিউশনস (রেগুলেশন) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২ ও মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অথরিটি আইন, ২০০৬ এর আওতায় অনুমোদিত বা নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, যারা –
(১) স্থানীয় উৎস হতে তহবিল (ঋণ, অনুদান, আমানত) গ্রহণ করে বা অন্যকে প্রদান করে; এবং/অথবা
(২) যে কোন ধরণের বৈদেশিক সাহায্য বা ঋণ বা অনুদান গ্রহণ করে; তাদেরকে বুঝায়।
সেবা মূলক সামাজিক সংগঠনের নীতিমালা কেমন হতে পারে?
নিমোক্ত নীতিমালা সমূহ হতে হবে। ১.সংগঠেন আবদ্ধ সকলকে অবশ্যই সংগঠনটির মূল লক্ষ্যে একটি নিয়মনীতি তৈরি করে নিতে হবে। আবার সকলের মনমানসিকতাকেও সঠিকভাবে তৈরি করে নিতে হবে। ২.যাদেরকে নিয়ে সংগঠন গড়া হয়ে থাকে, তাদের সকলের মধ্যে ঐক্যতা থাকতে হবে। ৩.সঠিক নেতৃত্বসহ সকলকে নেতার যথার্থ আনুগত্য করতে হবে। ৪. যেহেতু সামাজিক সেবামূলক সংগঠন; সুতরাং কখনো সমাজের বহির্ভূত কোনো পদক্ষেপ নেয়া থেক বিরত থাকতে হবে। সর্বোপরি, সবাইকে সঠিক অবস্হানে থেকে সমাজের কল্যাণজনক কাজ-কর্ম করতে হবে এবং সমাজের মধ্যে চরিত্রের মাধুর্যতার প্রভাব সৃষ্টি করতে হবে।
লেখক- এ বি এম তামিম
২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:২১
এ বি এম তামিম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, পোষ্টটি পড়ার জন্য। আমারো অনেক জানার আছে.।.।.।।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫০
রেদোয়ান আহমেদ উর্বি বলেছেন: ভাই আরো অনেক কিছু জানার দরকার ছিল.।.।.।.।.।.।.।.।.।
কিভাবে জানা যায়????