নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি কে? আমি অনেক কিছু, বাকি টা আপনি যা বলবেন হয়তো তাই।

এ বি এম তামিম

শিখছি

এ বি এম তামিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বসন্ত ও মানুষ

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪২

বসন্ত ও মানুষ

বসন্ত বাংলা ও বাঙ্গালির জন্য এক আমেজ পূর্ণ ঋত। বসন্তই দিয়েছে এই দেশকে বৈচিত্র্য আর ভিন্নতা।

জরাজীর্ণ মানুষের মন হয়ে উঠে ফুলে ফুলে সুভাষিত। প্রকৃতির এমন রুপ মানুষের মনকে করে তুলে পবিত্র ও মুক্তি। বাংলাদেশ বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুর চক্রে বাঁধা। শীতের কুয়াশার জাল ছিন্ন করে নতুন পাতার শোভা আর নানান রঙবেরঙের ফুলের উপহার নিয়ে কোকিলের মধুর কণ্ঠের গানের তালে তালে এ দেশে বসন্তকাল আসে। ফুলে ফুলে মধু সংগ্রহ করতে গুণ-গুণ গান গেয়ে গাছের পাতার ফাঁকে উড়ে বেড়ায় মৌমাছি, ভ্রমর আর নানা বর্ণের পাখি। বঙ্গাব্দের বর্ষপঞ্জিকা অনুসারে ফাল্গুন-চৈত্র দুই মাস বসন্তকাল। বাংলা অভিধানে মধুমাস বলে যে সমাসবদ্ধ পদ বা শব্দটি আছে, তার অর্থ নিশ্চয় তোমাদের অজানা নয়? তারপরও বলছি বাংলা অভিধানে মধুমাস শব্দের অর্থ হলো, চৈত্রমাস। কারণ মধু থাকে ফুলে, ফলে নয়। আর বসন্তকালেরই একটি মাস চৈত্র মাস। এ সময় ফুলে ফুলে ছেয়ে যায় বাংলার প্রকৃতি। বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ গ্রীষ্মকাল। বসন্তের ফুল ফলে পরিণত হয় গ্রীষ্ম কালে। গ্রীষ্মের শেষ মাস জ্যৈষ্ঠ, এ মাসে ফল পেকে রসের ভারে টইটম্বুর হয়। কিন্তু দেশের পত্রপত্রিকায় জ্যৈষ্ঠ মাসকে লেখা হয় মিষ্টি ফলের রসে ভরা মধুমাস। আসলে মধুর ঋতু হলো বসন্ত। আর রসের ঋতু গ্রীষ্ম।
শীতের জরাজীর্ণ ত্বক যেমন বসন্তের বাতাসে নতুন লাবণ্য পায় তেমনি পায় মন। তাই কবিরা তাদের গানে, কবিতায় বসন্তের রূপকে বর্ণনা করেছেন ভিবিন্ন ভাবে।
কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ বলেছেন,
আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে
বসন্তের এই মাতাল সমীরণে।।
যাব না গো যাব না যে,
রইনু পড়ে ঘরের মাঝে
এই নিরালায় রব আপন কোণে।
যাব না এই মাতাল সমীরণে।।
লেখক- এ বি এম তামিম

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.