নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনের ঘুড়ি

যায় উড়ে যায় অনেক দূর...............

মাশীদ

আমার সবকিছুই আবোল-তাবোল। কাজের থেকে অকাজের দিকেই বেশি ঝোঁক।

মাশীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অপু আর আমি - 7

১৯ শে অক্টোবর, ২০০৬ বিকাল ৫:০০

1998 টা খারাপ হতে হতেও কেমন যেন ভাল'র দিকে মোড় নিল। সেবার জন্মদিনেও খুব সুন্দর একটা কার্ড পেলাম অপুর থেকে। বন্ধুত্ব নিয়ে একটা গানের কিছু লাইন কাগজে ছোট ছোট করে প্রিন্ট করে কার্ডে সেঁটে দিয়েছিল। কথাগুলো এখন ঠিক মনে পড়ছে না - যদিও এককালে ওর প্রায় সব কার্ডের কথা মুখস্থ ছিল। কে বলেছে কার্ড হচ্ছে একটা waste of money? নানা মন খারাপের বা একা থাকার সময় এই কার্ডগুলো আমার মন ভাল করে দিয়েছে। কার্ডগুলো ছিল যেন মন খারাপ রোগের super fast action ওষুধ। আজকে হঠাৎ করেই সেই কার্ডগুলোকে খুব মিস করছি।



বুয়েটে যন্ত্রকৌশলে চানস পেলাম। কেমিক্যালে পড়ার ইচ্ছা থাকলেও মন বেশি খারাপ হল না আর। ক্লাস শুরু হবে সেই বছরের শেষ দিকে। হাতে বেশ লম্বা একটা ফ্রি সময় পেলাম। এসময়ে আমি পাড়ার তিনটা পিচ্চিকে পড়াতাম। ক্লাস থ্রি থেকে ফাইভ পর্যন্ত পড়ত। একেকটা একেক টাইপ। একটা খুব সিরিয়াস তো আরেকটা হাড়ে হাড়ে দুষ্টু। ওদের নিয়ে বেশ মজার সময় কাটে। গল্পের বইও চলছে দুর্দান্ত গতিতে। ছোটকাল থেকে বাসার বুক শেলফে দেখে আসা আম্মার অলটাইম ফেভারিট ইয়া মোটা Gone with the Wind বইটা একদিন সাহস করে পড়া শুরু করেই দিলাম। অসাধারণ একটা বই। এর মধ্যে ভাল গতিতে চলল আমার মেজ বোনের সাথে পাবলিক লাইব্রেরি আর ব্রিটিশ কাউনসিলে সিনেমা দেখার ধুম। মনে আছে, অসম্ভব ভাল লেগেছিল পাবলিক লাইব্রেরিতে The English Patient দেখে। প্রায় এক সপ্তাহ এরপরে ঘোরে ছিলাম। বুকার পাওয়া এই বইটাও আমার মত অতি স্লো রিডার ঐ ঘোরের মধ্যে পড়ে শেষ করে ফেলল। আহা! একটা বই আর তার সেইরকম একটা মুভি বটে।



সেসময় অপু বেশ ক্লাস শুরু করে দিয়েছে ওর ইউনিভার্সিটিতে। স্কুল-কলেজের এক সিলেবাস পেরিয়ে আমাদের দু'জনের হঠাৎ ভিন্ন হয়ে যাওয়া জীবনের গল্প দৈনন্দিন ফোনালাপে কেমন যেন একটা অন্যরকম কিছু এনে দিল। যেন হঠাৎ করে বড় হয়ে যাওয়া। The English Patient দেখে কেমন যেন একটা গভীর অনুভবের মধ্যে ছিলাম সেসময়। অপুকে হাইলি রেকমেন্ড করলাম এই মুভিটা। অপুও পট করে ওটার সিডি কিনে ফেলেছিল মনে আছে। নিজে দেখে আমাকে দিয়ে দিল। সেসময় মুভির সিডি আজকের মত সহজলভ্য ছিল না। সেই সিডি আমি কতবার দেখেছি কে জানে! এত সিনেমা দেখেছি এত সময়, কিন্তু কেন যেন এখনো বুকে নাড়া দিয়ে যাওয়া কোন সিনেমার কথা উঠলে এটার কথাই শুধু মনে হয়। হয়ত সময়ের একটা ব্যাপার আছে। একটা অস্থির সময়ে দেখা বলেই মনে গেঁথে গেছে।



এটা কি আরো পরের ঘটনা, নাকি ঐ সময়েরই? কি জানি। অপুর সাথে এত স্মৃতি যে মাঝে মাঝে স্থান-কাল গুলিয়ে ফেলি। খারাপ লাগে। আবার ভাবি, কি এসে যায়? কোন না কোন সময়, কোন না কোনখানে হয়েছিল তো!



যা হোক, এভাবেই দিন কাটতে লাগল।



সেসময় বাসায় একটা মজার ব্যাপার হল। আব্বা ঠিক করল কম্পিউটার কেনা হবে। আমার আর আমার বোনেদের খুশি দেখে কে! অপু বরাবরই কম্পিউটারে বিশেষ ভাল। ইন্টারনেট বহুদিন ধরে ব্যবহার করছে। ওকে দিয়ে এককালে আমার ছোটমামা আর মামাতো ভাইকে ই-মেইল পাঠাতাম আর ইচ্ছা করে ছোট ছোট চিঠি লিখতাম আর ভাবতাম, আহা! দু'টো লাইন বড় হলে নিশ্চয়ই বেশি পয়সা খরচ হবে! সেসব ভেবে আজকাল প্রায়ই হাসি পায়। তো সেসময় ওর থেকে কম্পিউটারের কনফিগারেশান জেনেছিলাম। কম্পিউটার বাসায় ডেলিভারির সময়ও এসেছিল। কম্পিউটার আর ইন্টারনেটে আমার (এবং আমার থেকে বাসার সবার) হাতেখড়ি হল ওর কাছেই। এরপর থেকে কম্পিউটার আর কম্পিউটারের নানা সমস্যা অপুকে আমার বাসায় নিয়ে এসেছে বহুবার।



ঐ সময়টার কথা ভাবতে গিয়ে একটা ব্যাপার অনুভব করছি খুব। আমি খেয়াল করতাম, আমার যখন কোনকিছুর দরকার হত, এত বন্ধুকে বাদ দিয়ে কেন জানি অপুকেই বলতাম হেল্প করতে। আমি আগেও বলেছি আমার আরো অনেক বন্ধু ছিল, খুব কাছের অনেক বন্ধু। কিন্তু যে কোন দরকারে আমি অপুর কাছেই গেছি বারবার - সে মন খারাপের দিনে কোন সাপোর্টের জন্যই হোক বা আমার বোনের গায়ে হলুদের 25টা কার্ড এঁকে দেয়া জন্যই হোক বা এক্সফাইলসের কোন ছবি প্রিন্ট করে দেবার জন্যই হোক। কেন যেন সব সময়ই মনে হত এই ছেলেটার কাছে কিছু চাইবার আমার অধিকার আছে। এই ছেলেটা আমার।



যা হোক, ইন্টারনেট সেসময় একটা অদ্ভুত জগতে নিয়ে গেল। বন্ধু তানজিমার থেকে অনেক শুনেছি চ্যাটের কথা। অপুকে বললাম চ্যাট করতে চাই। সে আমাকে ইয়াহুতে চ্যাট করার পথ বলে দিল। আমি কিন্তু তানজিমার বদৌলতে আই আর সি'র খবর জানি ততদিনে। অপুকে সেটা দেবার জন্য খুব গুঁতালাম। ভীষণ অনিচ্ছার সাথে একদিন ইনস্টল করে দিয়ে গেল।



এভাবেই চলছিল। মাঝখানে স্কুলের অন্য বন্ধুগুলো জানি কি এক খেলা শুরু করে দিল। বেশ হঠাৎ করেই। অপুর সাথে ওদের সেসময় কেন যেন একটু যোগাযোগ কমে গিয়েছিল। আমার সাথেই বেশি ছিল। অন্য বন্ধুরা সেসময় একে-ওকে নিয়ে টিজ করা শুরু করল। আমার সাথে হয়ত অপু বা জাবের বা অন্য কাউকে নিয়ে ঠাট্টা। আমিও অপুকে আবার সেই কথা রিলে করি। সবসময়ই ঠাট্টার মধ্যেই থাকে। যেন নতুন কিছু না, স্কুলের কোন ঠাট্টারই কনটিনিউয়েশান।



কিন্তু 1998 এর অক্টোবরের 22 তারিখে কেন জানি আমাদের দৈনন্দিন ফোনালাপ এই পুরনো টিজিং এর বাঁক ধরেই বেশ সিরিয়াস হয়ে গেল। কি কি কথা হচ্ছিল পরে অনেকবার ভেবে দেখার চেষ্টা করেছি - কিন্তু আশ্চর্য! মনেই পড়ে না। আমার তখনো মনে অনেক দ্্বন্দ্ব ছিল আসলেই অপুর মনের ভাব কি সেটা নিয়ে। ভুল ভাবছি না তো - এরকম মনেই হত। তাই ঠাট্টাগুলোও ঠাট্টাই ছিল। কিন্তু সেদিন হঠাৎ করেই অপু কি জানি বলে ফেলল হুট করে। 'সবাই টিজ করছে অন্য ছেলেদের নিয়ে? behind my back? নাহ! এখন তো কিছু করতেই হয়!' আমি সেটাতেও হাসছি - 'হা হা ! করলেই তো পারো!'



কিন্তু তারপর, তারপর হঠাৎ করেই দু'জনেরই হাসি বন্ধ হয়ে গেল সেদিন। এখন ভাবতে অবাক লাগছে, এতদিনের এত ঘটনা, ঘটনার ভিতরে লুকিয়ে থাকা না থাকা কোন ঘটনা আর সেটা নিয়ে ভাবতে থাকা, এত ঝগড়া, এত গান - কি করে ঐদিনের ঐ মুহূর্তে এসে থেমে গেল! সত্যি বলছি, ব্যাপারটা ঐদিন আমরা কেউই এক্সপেক্ট করিনি একদম। এত বড় একটা ব্যাপার - কত মানুষ শুনেছি কত কিছু করে- চিঠি লেখে, বন্ধুকে পাঠায় মনের খবর জানাতে, ভালবাস কি বাস না - সেই আলটিমেট প্রশ্নের উত্তরের জন্য সারা বিশ্বে প্রতি মুহূর্তেই কারো না কারো কত প্রস্তুতি! আর আমরা? সেদিনের ঠাট্টার মাঝেই যেন একসাথে হঠাৎ উপলব্ধি। খুব অনানুষ্ঠানিকভাবে। খুব গভীর কোন ভালবাসার প্রতিশ্রুতিমাখা ডায়ালগ ছাড়া। এতদিন ধরে বিচ্ছিন্নভাবে ঘটে যাওয়া ছোট ছোট টুকরো ঘটনা আর অবসরে শোনা গানে হয়তো ছিল সেইসব প্রেমপত্র, সেইসব প্রতিশ্রুতি, সেইসব ভালবাসা। তাই হবে।



কিন্তু মেমরি এভাবে বিট্রে করছে কেন? কি কি কথা হয়েছিল আর? এত খুঁটিনাটি মনে আছে কিন্তু এরকম একটা জীবন বদলে দেয়া কথোপোকথন কেন মনে পড়ছে না? না কি ঘোরে ছিলাম সেসময়? হয়তো। যতদূর মনে পড়ে, নিস্তব্ধতা ছাপিয়ে অপু হঠাৎ প্রশ্ন করেছিল,'আমাদের সম্পর্ক কি আরো বেশিদূর যেতে পারে না?'



কয়েক বছরের দ্্বন্দ্ব যেন এক মুহূর্তে উড়ে গেল সেদিন। আমি তার উত্তরে কি বলেছিলাম মনে নেই। ফোন ছাড়ার আগে বলেছিলাম,'এবার বুঝতে পারো, অন্য কাউকে না নিয়ে কেন তোমাকে নিয়েই শুধু এত চিন্তা? কেন তোমার কিছু হলেই আমার এসে যায়?'



22 শে অক্টোবরেই একটা happy ending এর সূচনা হতে পারত। কিন্তু হল না। মাথাচাড়া দিয়ে উঠল বাস্তবতা।



এরপরের চারটা দিনের ঘটনা ভাবলেও ঠিকমত মনে পড়ে না। ভালবাসার বিহবলতা আর বাস্তবতার নিষ্ঠুরতায় ঘেরা অদ্ভুত এক ঘোরের ক'টা দিন।



সেসময়টুকুর কথা আরেকদিন।



মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৬ রাত ১১:১২

রাগ ইমন বলেছেন: উমমমম মাহ!!! দিয়েই দিলাম, যা বলে বলুক লোকে!!!!
অতি চমৎকার!!! বরাবরের মতই সাবলীল, সেহরীর খিদা মিটে গেলো, এতটাই স্বাদু!!!!
তোমার এইটা বই আকারে দরকার। বার বার পড়ার মত অসাধারন!!!

চলুক মাশীদ, আন্তরিক দাবী!!!

22শে অক্টোবর তো সামনে রে!!! চামে চুমে, মনে করায় দিলা!!! আচ্ছা, গিফট তো একটা দেওয়াই লাগে!!

লাগি রে, লাগি রে, লাগিরে, তুমসে মেরা লগন লাগি!!!

২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ রাত ১২:৪২

অতিথি বলেছেন: মাশীদ আপুর থেকে ঈদ এর বখশিস টা ভালই পেলাম........চলতে থাকুক অনুরোধ রইল.

৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ রাত ১:৩৬

অতিথি বলেছেন: তর আর সইছেনা। এখনও ক্লাইমেক্স?

৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ রাত ১:৪৭

আলী বলেছেন: এতো দেরী কেন? জরিমানা হবে

৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ ভোর ৪:৫৯

অতিথি বলেছেন: ...পরবতর্ী কিস্তি তাইলে 22 অক্টোবর

৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:০৫

মাশীদ বলেছেন: রাগ ইমনাপু, সাবি্বর, রেজওয়ান ভাই, আলী আর বদ্দাকে পোস্ট পড়া আর কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

বদ্দা, কি জানি 22 তারিখ পরবতর্ী কিস্তি দিতে পারি কিনা। কঠিন চাপে আছি। তার উপর কালকে আব্বা-আম্মা আসছে সিঙ্গাপুরে। সামনের সপ্তাহে কোন ফাঁক পাব বলে মনে হচ্ছে না।

৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:২৩

হাসান তারিক বলেছেন: চমৎকার লেখার হাত আপনার............আরও লেখা আশা করি

৮| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:২৬

অতিথি বলেছেন: আহা মোম গলা প্রেম!
অরূপ দেখলাম হিথরোতে আটকে আছে।

মন্তব্য করতে করতে কথাই হয়ে গেল অরূপের সাথে।

এবারের বিচ্ছেদ-পরবর্তী 22 তারিখ নিশ্চয়ই নতুন রকম অনুভূতি যোগ করবে।

৯| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:২৮

অরূপ বলেছেন: গল্পটাতো ভালোই! ইমদাদুল হক মিলনের কপালে দুঃখ আছে!

১০| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ দুপুর ১২:৩২

অতিথি বলেছেন: দু:খ খালি? আমিতো এহন ভাবতেছি মিলন সাহেব কেন মাথার চুল খুলিয়া মালা বানানোর পরিকল্পনা হাতে নিছে।

মাশীদ তারাতারি বৈবাহিক পর্বে আয়, তোরে মামী শাশুড়ি বানানোর একটা 'টাচ' দিছিলি না? ঐটাই সই...

১১| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ বিকাল ৪:৫৪

শাহানা বলেছেন: বেশ আরেক দিনই না হয় শোনা হবে...

১২| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ বিকাল ৫:২১

হাসান বলেছেন: হে টোনাটুনি দম্পতি! কেমন আছেন? টোনা কি আমারে না জানাইয়াই লন্ডনের আকাশের উপর দিয়া পার হইছে?

ভালা থাইকেন ... ঈদ মোবারক!!!

১৩| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:০২

অতিথি বলেছেন: প্রেম এভাইবেই হয়রে। সিনেমা নাটকের মতো আই লাভ ইউ বলে শুরু করাটা খ্যাত। তোর কাহিনী পড়তে পড়তে তো আমার টা লিখতে ইচ্ছে করছে...

১৪| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

লাল মিয়া বলেছেন: ল্যাখেন..

১৫| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৬ রাত ৮:১৩

অনিক বলেছেন: লেখা যদি আচার আর চাটনীর মতো সুস্বাদু হয় তবে এই সিরিয়াল লেখাটা বোয়ামে ভরে সারা বছর খেতে দোষ কী? শুধু মাঝে মাঝে একটু রোদে দেয়া দরকার যাতে ছত্রাক না জমে। জিভে কারো জল এসে থাকলে গিলবেন না প্লিজ। রোজার দিন।

১৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:০৩

অতিথি বলেছেন: আপনার মেমরি অনেক শার্প!
কমেন্ট না করলেও সিরিজটা নিয়মিত পড়ছি, কারণ - লেখনীটা অসাধারণ!

১৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:২৮

অতিথি বলেছেন: wow!!!

আপু আপনার তারিখ মনে থাকে কি করে?
আসলে কঠিন অবস্থা দেখি...

অনুরোধ থাকছে... লিখতে থাকেন...আমি পড়ছি কিন্তু ...

১৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:৩৯

অনিক বলেছেন: মেয়েদের দিন ক্ষণ তারিখ মনে রাখার একটা অস্বাভাবিক ক্ষমতা ঈশ্বর প্রদত্ত। তার কারণ কবে কখন কোন সময়ে বউকে দু'একটা কটু কথা বলেছি সেটা হুবহু বলে দিতে পারে। কার কবে জন্মদিন, মৃতু্যদিন সব। এমন কি ভ্রমণ বা দেখা সাক্ষাতের দিনগুলো পর্যন্ত। কিন্তু কবে কখন ভালকথা বলেছি বা কিছু দিয়েছি সেটা অটো ডিলিট করে দেয়। আসলে মেয়েদের মন স্পেশাল ছাকনি। ওদের মনের মতো কিছু না হলে তা ছাকনি গলে বেরিয়ে যায়, আটকে থাকে না। যা ইচ্ছে করে তাই অটকে থাকে।

১৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:৪৯

অতিথি বলেছেন: ভাবী মাইন্ড ব্লোইং..... মানে অসাধারণ প্লাস

আপনে কি খালাম্মা খালুরে নিয়া কে.এল আসতেছেন?

আনিক ঠিক বলছো, আমার বউ লাস্ট কবে, সিলিং ফ্যান পরিস্কার করছিল কইয়া দিতে পারে।

২০| ২২ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ৭:৫১

অতিথি বলেছেন: আইজকা আমার সেই বিভৎস দিন।

২১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০০৬ সকাল ১১:৫১

আজকাল বলেছেন: ঈদের শুভেচ্ছা!

২২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:১৩

কনফুসিয়াস বলেছেন: সেই আরেকদিন কবে আসবে?

২৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:৫৬

অতিথি বলেছেন: শুনতাছি। ভাল লাগতাছে।

২৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৭

অতিথি বলেছেন: 7ম গেলো। অষ্টমের অপেক্ষায়...

২৫| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:০৮

অতিথি বলেছেন: তুমি অনেকদিন লিখছো না, শাওনের ব্লগে কমেন্ট দেখে বুঝলাম তাও বেঁচে আছো ... তোমাকে মিস করছি ... অথবা তোমার লেখা অক্ষরগুলোকে মিস করছি! (একইকথা!)

২৬| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:১৪

অতিথি বলেছেন: জানো, আমি একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছি.. i am going to retake the test..

আমি ভালো আছি..
একেকটা দিন যায়, আর মনে হয় আমি আরেকটু বড় হয়ে গেলাম... যাহোক...

২৭| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১১:৫৩

মাশীদ বলেছেন: বেঁচে আছি তবে নানা ক্যাচালের মধ্যে। থিসিসের ডেডলাইন খুব কাছে, এদিকে কাজ প্রায় কিছুই হয়নি। ব্লগে মাঝেমাঝে উঁকি দেই, লেখার সময় পাইনা।

retake the test মানে? কোন test ? HSC? তোর কি মাথা খারাপ নাকি? I'm sure it's not worth it. সময় নষ্ট করিস না। এমনিতেই দেশে ইউনিভার্সিটিতে অনেক ফাউ সময় নষ্ট হয়। উলটাপালটা কিছু করিস না প্লিজ।

২৮| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:১৬

অতিথি বলেছেন: আমার মাথা খারাপ হয়নি, আমি পরিষ্কার জানি আমি কি করছি.. next year বুয়েটের প্রথম দশে আমার নামটা খুঁজে দেখো.. :)

২৯| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৩৯

মাশীদ বলেছেন: buet এর প্রথম দশ isn't worth it. বুয়েটে এমনিতেই অনেক সময় নষ্ট হয়। আমরা যেই বয়সে বুয়েট থেকে বের হয়ে মাস্টার্স করছি, সেই বয়সে অন্য দেশীদের কথা বাদ দেই, আমাদের পাশের ভারতীয়রাই কয়েক বছর চাকরি-বাকরি করে পিএইচডি করতে আসে।

বরং অন্যকিছু ভাব। অন্য কিছু পড়া বা অন্য কোন দেশে গিয়ে পড়া।

৩০| ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১২:৫৩

অতিথি বলেছেন: আমিও তাই কই

৩১| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১:২৩

অতিথি বলেছেন: বুয়েটে আমি কেন ঢুকতে চাই জানো ?
প্রোগ্রামিং কন্টেস্ট করার জন্য ... nothing else... লাগুক ছয় বছর!

৩২| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১:৫৭

অতিথি বলেছেন: বাদ দাও... আমার মাথায় CSE এর পোকা ঢুকে বসে আছে.. অন্য কিছু নিয়ে আমার আর পড়াশুনা করা হবে না..

৩৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:৩১

মাশীদ বলেছেন: CSE তো অনেকখানেই আছে। প্রোগ্রামিং কন্টেস্টেও অনেক ইউনিভার্সিটি থেকেই পার্টিসিপেট করা যায়। এটা কোন ভাল কারণ হল না।

৩৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:৩৭

অরূপ বলেছেন: আমি তো বিবিএ পড়েই কনটেস্ট করলাম!
এই ছেলে সিএস পাগল ক্যা?

৩৫| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:০৪

অতিথি বলেছেন: 1. আমি CSE পড়ব, কারণ পৃথিবীতে এই জিনিসটাই আমি সবচেয়ে ভালোবাসি...
2. বুয়েটে আমার সব বন্ধুরা..
3. সত্যি কথাটা হচ্ছে, আমি অন্য কোথাও ঢুকলে ভালো টিমমেট পাবো না
4. ধুরর.. আর কোন লজিক পাচ্ছি না!

৩৬| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:১০

অতিথি বলেছেন: আর কোন লজিক লাগবে না, পড়ার জন্য এমন রিজন থাকলে, সেখানে ভর্তি হওয়াই উচিত।

৩৭| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৩৭

অতিথি বলেছেন: আরেকটা কারণ আছে.. সেটা বলব না ভেবেছিলাম... আমি এ বছর যদি ভার্সিটিতে ভর্তি না হই .. আমি IOI তে participate করতে পারব । IOI হচ্ছে International Olympiad on Informatics । সবাই যখন ম্যাথ অলিম্পিয়াড নিয়ে নাচানাচি করে, তখন বাংলাদেশে আরেকটা অলিম্পিয়াড হয় - প্রোগ্রামিং এর। গত বছরের National Olympiad in Informatics এ আমি দ্্বিতীয় হয়েছিলাম । এ বছর অগাস্টে আমরা মেক্সিকো তো IOI06 এ অংশ নেয়ার জন্য গিয়েছিলাম.. এবং আমি প্রথম দিন ভালো করার পরও দ্্বিতীয় দিনের প্রচন্ড কঠিন প্রবলেমে মাথা তাথা সব ঘুরে গেল, দ্্বিতীয় দিনে 3টা প্রবলেম ছিল , একটা মাত্র একজন সলভ করতে পেরেছিল, আরেকটা মাত্র 7 জন, অন্যটা 78 জন । আমি দ্্বিতীয়দিন খুব খারাপ করে একটুর জন্য bronze medal পাইনি... আমার প্রথম দিনের স্কোর ছিল 159, দ্্বিতীয় দিনের স্কোর ছিল30 মাত্র.. আমি প্রথম প্রবলেমটা নিয়ে আড়াই ঘন্টা কাটিয়ে দিয়েছিলাম...

জানো, দেশে ফিরে খুব খারাপ লাগল... কেউ একটু সিমপ্যাথি দেখালো না, প্লেন থেকে নেমে এয়ারপোর্টে বেরোলাম, ড. কায়কোবাদ হ্যান্ডশেক করে বলল, 'মোটামুটি ভালো, আরেকটু ভালো করলেই আমরা মেডাল পেতাম...' আমি চুপচাপ শুনলাম... তারপর একদিন কম্পিউটার জগৎ থেকে আমাদেরকে ডাকলো, ইন্টারভিউ নেবে.. সাব এডিটর কিছুক্ষণ পর পর জিজ্ঞেস করল 'তোমরা কি আসলেই গিয়েছিলে' - আমরা মিষ্টি করে হাসলাম, কি আর বলব ...

মজার ব্যাপার হল আমাদের যিনি কোচ ছিলেন, তার সাথে এসিএম ঢাকা রিজিওনালে যখন দেখা হল.. তখন বললাম আমি bitonic tour এর সলুশনটা বুঝিনি, তারপর বললাম, IOI day2 তে bitonic tour ধরণের একটা প্রবলেম ছিল... তিনি বললেন, তাই নাকি? আমি বুঝলাম , উনি প্রবলেমগুলোই পড়েননি, আমি বললাম 'হুুমম.. day2 অনেক টাফ ছিল, যারা মেডেল পেয়েছে ওই একটা প্রবলেম টাচ করেই পেয়েছে...'

অনেককিছু আমার মনে খুব দাগ কেটেছিল.. অনেককিছু... যেদিন আমাদের ফ্লাইট তার দুদিন আগে জাফর ইকবালের বাসায় breakfast এর দাওয়াত ছিল.. গেলাম.. কেমন দায়সারা গোছের একটা ব্যবহার পেলাম... কিছু ন্যাকা কথা শুনলাম 'তোমরা হচ্ছ বাংলাদেশের এম্বাসেডর, লজ্জা পেও না!' তারপর ... যাহোক নাই বা বলি আর ...

আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল মেক্সিকো থেকে ফেরার পর.. দ্্বিতীয় দিন মাত্র60 স্কোর করলেই আমি মেডেল পেতাম... হয়তো আমি আনর্্তজাতিক অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রথম মেডেল উইনার হতাম.. কিন্তু কিছুই হয়নি .. আমি সোজামাটা ভাষায় একটা failure হয়ে গেলাম..

তখন IMO দল ফিরে এসেছিল স্লোভেনিয়া থেকে ... খুব সহজ একটা প্রবলেম সলভ করার জন্য দুজন অনারেবল মেনশন পেয়েছিল.. কদিন পেপারে গাল ভরা রিপোর্ট পড়লাম সেগুলো নিয়ে... আমাদের খবর কোথাও ছিল না.. এবং আমাকে একটু সহানুভুতি কেউ দেয়নি.. উলটা ভ্রু কুচকে কেউ যখন জিজ্ঞেস করতো.. আমি ...

আমি একবছর ঘরে বসে থাকবো.. আমার বেশিরভাগ ক্লাসমেট আমার চেয়ে একবছরের বড়.. আমার একবছরটা নষ্ট হবে না আসলে... আমি অনেককিছু এখনো ভালো করে পড়িনি.. i need to learn those things, being honest to myself.. most of the ultra-good students that i know, were just furnished with some suggestions, and fat-head private tutors.. আমি ওদের মত হতে চাই না..

I choosed my way, may be i am a failure.. or may be i just am happy with what i really am, 'a failure'...

কিন্তু আমি সবকিছুর একটা শেষ দেখে ছাড়বো.. আমি যদি বেঁচে থাকি পৃথিবীতে .. একটা মরা মানুষের মত বাঁচবো না... আমি আমার মত করে বাঁচবো.. i will choose my life.. যে সব মাথামোটা গর্দভ আমার খাতার উপর কটা নাম্বার বসিয়ে দিয়ে আমার জীবণটা পালটে দিতে চায়...they will not choose which way "i" will go...

আমি খুব arrogant freak নই.. নিজের সম্বন্ধে আমার খুব উচু ধারণাও নেই.. আমি শুধু জানি.. আমি অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছি জীবণে.. যেগুলো রাস্তায় যেসব ছেলে বস্তা কাধে ঘুরে বেড়ায় তারা পায়নি, যেসব ছেলে সারাজীবণ পড়া মুখস্থ করে .. ওরাও পায়নি..

এবং আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে .... i am here for some reason..., খুব ঘাড়তেড়া বিশ্বাস হলেও .. আমি বিশ্বাস করতে চাই.. আমি একদিন ওই মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে পারব..

i just want to make my dreams true.. they wont make me famous, rich, influential.. but when i will die.. i dont want to whisper to my ear.. that i havent lived my own life..

৩৮| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৪১

অতিথি বলেছেন: আরেকটা কারণ আছে.. সেটা বলব না ভেবেছিলাম... আমি এ বছর যদি ভার্সিটিতে ভর্তি না হই .. আমি IOI তে participate করতে পারব । IOI হচ্ছে International Olympiad on Informatics । সবাই যখন ম্যাথ অলিম্পিয়াড নিয়ে নাচানাচি করে, তখন বাংলাদেশে আরেকটা অলিম্পিয়াড হয় - প্রোগ্রামিং এর। গত বছরের National Olympiad in Informatics এ আমি দ্্বিতীয় হয়েছিলাম । এ বছর অগাস্টে আমরা মেঙ্েিকা তো IOI06 এ অংশ নেয়ার জন্য গিয়েছিলাম.. এবং আমি প্রথম দিন ভালো করার পরও দ্্বিতীয় দিনের প্রচন্ড কঠিন প্রবলেমে মাথা তাথা সব ঘুরে গেল, দ্্বিতীয় দিনে 3টা প্রবলেম ছিল , একটা মাত্র একজন সলভ করতে পেরেছিল, আরেকটা মাত্র 7 জন, অন্যটা 78 জন । আমি দ্্বিতীয়দিন খুব খারাপ করে একটুর জন্য bronze medal পাইনি... আমার প্রথম দিনের স্কোর ছিল 159, দ্্বিতীয় দিনের স্কোর ছিল30 মাত্র.. আমি প্রথম প্রবলেমটা নিয়ে আড়াই ঘন্টা কাটিয়ে দিয়েছিলাম...

জানো, দেশে ফিরে খুব খারাপ লাগল... কেউ একটু সিমপ্যাথি দেখালো না, প্লেন থেকে নেমে এয়ারপোর্টে বেরোলাম, ড. কায়কোবাদ হ্যান্ডশেক করে বলল, 'মোটামুটি ভালো, আরেকটু ভালো করলেই আমরা মেডাল পেতাম...' আমি চুপচাপ শুনলাম... তারপর একদিন কম্পিউটার জগৎ থেকে আমাদেরকে ডাকলো, ইন্টারভিউ নেবে.. সাব এডিটর কিছুক্ষণ পর পর জিজ্ঞেস করল 'তোমরা কি আসলেই গিয়েছিলে' - আমরা মিষ্টি করে হাসলাম, কি আর বলব ...

মজার ব্যাপার হল আমাদের যিনি কোচ ছিলেন, তার সাথে এসিএম ঢাকা রিজিওনালে যখন দেখা হল.. তখন বললাম আমি bitonic tour এর সলুশনটা বুঝিনি, তারপর বললাম, IOI day2 তে bitonic tour ধরণের একটা প্রবলেম ছিল... তিনি বললেন, তাই নাকি? আমি বুঝলাম , উনি প্রবলেমগুলোই পড়েননি, আমি বললাম 'হুুমম.. day2 অনেক টাফ ছিল, যারা মেডেল পেয়েছে ওই একটা প্রবলেম টাচ করেই পেয়েছে...'

অনেককিছু আমার মনে খুব দাগ কেটেছিল.. অনেককিছু... যেদিন আমাদের ফ্লাইট তার দুদিন আগে জাফর ইকবালের বাসায় breakfast এর দাওয়াত ছিল.. গেলাম.. কেমন দায়সারা গোছের একটা ব্যবহার পেলাম... কিছু ন্যাকা কথা শুনলাম 'তোমরা হচ্ছ বাংলাদেশের এম্বাসেডর, লজ্জা পেও না!' তারপর ... যাহোক নাই বা বলি আর ...

আমার খুব মন খারাপ হয়েছিল মেঙ্েিকা থেকে ফেরার পর.. দ্্বিতীয় দিন মাত্র60 স্কোর করলেই আমি মেডেল পেতাম... হয়তো আমি আনর্্তজাতিক অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রথম মেডেল উইনার হতাম.. কিন্তু কিছুই হয়নি .. আমি সোজামাটা ভাষায় একটা failure হয়ে গেলাম..

তখন IMO দল ফিরে এসেছিল স্লোভেনিয়া থেকে ... খুব সহজ একটা প্রবলেম সলভ করার জন্য দুজন অনারেবল মেনশন পেয়েছিল.. কদিন পেপারে গাল ভরা রিপোর্ট পড়লাম সেগুলো নিয়ে... আমাদের খবর কোথাও ছিল না.. এবং আমাকে একটু সহানুভুতি কেউ দেয়নি.. উলটা ভ্রু কুচকে কেউ যখন জিজ্ঞেস করতো.. আমি ...

আমি একবছর ঘরে বসে থাকবো.. আমার বেশিরভাগ ক্লাসমেট আমার চেয়ে একবছরের বড়.. আমার একবছরটা নষ্ট হবে না আসলে... আমি অনেককিছু এখনো ভালো করে পড়িনি.. i need to learn those things, being honest to myself.. most of the ultra-good students that i know, were just furnished with some suggestions, and fat-head private tutors.. আমি ওদের মত হতে চাই না..

I choosed my way, may be i am a failure.. or may be i just am happy with what i really am, 'a failure'...

কিন্তু আমি সবকিছুর একটা শেষ দেখে ছাড়বো.. আমি যদি বেঁচে থাকি পৃথিবীতে .. একটা মরা মানুষের মত বাঁচবো না... আমি আমার মত করে বাঁচবো.. i will choose my life.. যে সব মাথামোটা গর্দভ আমার খাতার উপর কটা নাম্বার বসিয়ে দিয়ে আমার জীবণটা পালটে দিতে চায়...they will not choose which way "i" will go...

আমি খুব arrogant freak নই.. নিজের সম্বন্ধে আমার খুব উচু ধারণাও নেই.. আমি শুধু জানি.. আমি অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছি জীবণে.. যেগুলো রাস্তায় যেসব ছেলে বস্তা কাধে ঘুরে বেড়ায় তারা পায়নি, যেসব ছেলে সারাজীবণ পড়া মুখস্থ করে .. ওরাও পায়নি..

এবং আমার বিশ্বাস করতে ভালো লাগে .... i am here for some reason..., খুব ঘাড়তেড়া বিশ্বাস হলেও .. আমি বিশ্বাস করতে চাই.. আমি একদিন ওই মানুষগুলোর জন্য কিছু করতে পারব..

i just want to make my dreams true.. they wont make me famous, rich, influential.. but when i will die.. i dont want to whisper to my ear.. that i havent lived my own life..

৩৯| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ৯:৫২

অতিথি বলেছেন: দেখো.. আমার dreamটাই বলা হল না..

"আমি তাদের জন্য কিছু করতে চাই.. যাদের জন্য কেউ কিছু করতে চায় না..."

পৃথিবীতে শত শত কোটি মানুষ বেঁচে ছিল... তাদের মধ্যে শুুধু একটা মানুষ তার তুচ্ছ খেয়ালখুশিতে তার জীবণটা নষ্ট করলে পৃথিবীর কিছু অশুদ্ধ হবে না..

৪০| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:০৯

অতিথি বলেছেন: অনাহুত আগন্তুক - ইউ হ্যাভ ড্রিভেন মি ক্রেজী! গুড লাক বৎস। অন্তর দিয়ে আপনার জন্য মোহাম্মদ (সঃ) এর আল্লাহর কাছে প্রার্থণা করছি, টু মেইক ইউ দ্যাট সেভিয়র অফ দ্যা হিস্টরি। মাইন্ড ব্লোইং রাইটিং এবং চিন্তা! কিপ ইট আপ।

৪১| ২১ শে নভেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:১৯

অতিথি বলেছেন: অনাহূত আগন্তুক তুমি সফল হও। এইটাই আমার একমাত্র প্রার্থনা।

৪২| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:০০

মাশীদ বলেছেন: অনাহূত আগন্তুক,
কি বলব...খুব ভাল্লাগছে যে তোর একটা স্বপ্ন আছে। একটা ডেফিনিট গোল আছে। এটা ভাল। তবে এরপরেও আমি তোর একটা বছর নষ্ট করাটাকে সাপোর্ট করছি না।

বুয়েটে আমি পড়েছি। I had a wonderful time there. কিন্তু আমি মনে করি না যে সেটাই আলটিমেট। আবার IOI তে যাওয়ার ইচ্ছাটা অবশ্যই ভাল, কিন্তু is it worth it? এবার যাওয়াটা কেন শুধু failure হবে? শুধু প্রবলেম সলভ করা তো এসব ট্রিপের মূল উদ্দেশ্য নয়। u went to mexico, u represented ur country, u met many ppl i'm sure and many of them r ur friends now. so this was a chance of networking and u have friends all over now. এটার কি কোন মূল্য নেই?

তোর জানার ইচ্ছেটা খুব ভাল। আমি নিজেও শুধু পাঠ্য বই পড়ে পরীক্ষার হলে উগড়ে দেয়াদের দলের একজন ছিলাম বরাবর আর এজন্য পরে অনেক পস্তেছি। কিন্তু জানার জন্য তোর একটা বছর নষ্ট করার মানে দেখি না।

আগে হলে আমিও হয়ত তোকে সাপোর্ট করতাম। কিন্তু জীবন এত সিম্পল না। 6 বছর বুয়েটে ছিলাম যখন তখন বেশ ফুর্তি লাগত...বাস্তবতা টের পেতাম না। মাস্টার্স করতে বাইরে এসে যখন সার্টিফিকেট বয়স বলতেও লজ্জা লাগে কারণ আমি যেখানে এই বয়সে মাত্র পাস করে এসেছি সেখানে এই বয়সে অন্যরা বহুদিন চাকরি করে মাস্টার্স করে পিএইচডিতে এসেছে...তখন আফসোস হয়।

this is what might happen to u in a few years time. তখন আরেকটা IOI কে এত বড় নাও লাগতে পারে।

যাই হোক, it is your life. আমি শুধু বললাম আমার ভাবনা। যাই করিস, আমার শুভ কামনা থাকবে সবসময়।

৪৩| ২২ শে নভেম্বর, ২০০৬ সন্ধ্যা ৭:১০

অতিথি বলেছেন: অনাহুত আগন্তুক, দীর্ঘ মন্তব্যটা একটানে পড়লাম।
জীবনের সংজ্ঞা কেউ বলতে পারে না। জীবনের মানে কোন বিন্দু থেকে কোন বিন্দুতে যাওয়া তাও কেউ নির্দিষ্ট করে জানে না। যার যার জীবন সেই নির্মাণ করে। তাও কয়েক দশকের জন্য। মানুষের আয়ু খুব বেশি নয়। মানুষ খুব বেশি কিছু অর্জন করে ফেলতে পারে না। আবার সেসব অর্জন অর্থহীনও হয়ে যায় যখন সেসব অর্জন পরবর্তী সময়ের মানুষের জন্য কোনো অর্থ বহন করে না।
মাশীদের পরামর্শটা খুবই বাস্তব। জীবনঘেষা। আত্মকেন্দ্রিক মনে হলেও হিসাবী।
তবে এভাবে না দেখলেও চলে। নিজের কাছে যে অর্জনকে বড় মনে হয় তার পেছনে সময় দেয়া যায়, করা যায় অধ্যবসায়। পরিশ্রম নিশ্চয়ই চরিত্রে ও জীবনে যোগ করে ভিন্ন মাত্রা।
কিন্তু সবচে সাবধান হতে হবে অন্য বিষয়ে, যদি এই ত্যাগ ও পরিশ্রমের পরেও কাঙ্খিত সাফল্য না আসে... তখন নিজেকে যেন ব্যর্থ মনে না হয়।
মাশীদ যেকথা বলেছে, সাফল্য ও অর্জনের নানা মাত্রা আছে।

এসএসসি বা এইচএসসিতে বোর্ডে যে প্রথম হতে পারেনি তার জীবন ব্যর্থ হয়ে যায়নি।
বরং উলেটা করে বলতে পারি যারা প্রথম হয়েছে তাদের ক'জনের জীবন সেরকম সফল হয়েছে।

৪৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:২৬

অতিথি বলেছেন: আমরা দুজন সময়ের দুটো আলাদা বিন্দুতে আছি... দুজনের বীক্ষণ কোণ (angle of vision) আলাদা সে কারণে ...

আমি একটা সময় গল্প শুনতাম, একটা ভাইয়া বুয়েট থেকে 4.00 নিয়ে একটা ভালো ভার্সিটিতে MS করতে গেছে.. তাকে তার প্রফেসর বলল...well, you have taken six years, so i think i better divide your GPA with 6, then multiply with 4..

আমি এই গল্পগুলো জানি ....

আমার বোধহয় দরজা জানালা বন্ধ করে চুপ করে ঘরের কোণায় গিয়ে আবার বসে থাকা উচিত.. তুমিও যদি আর সবার মত করে কথা বল.. আমার আর কি করার আছে? আমরা সময়ের দুটো আলাদা বিন্দুতে দুটো ভিন্ন ফোকাল লেন্থের চশমা পড়ে একই জিনিস দেখছি... its never possible to see the same thing...

ভালো থেকো.. আমি মনে হয় ব্লগানো ছেড়ে দেবো... ভাললাগছে না...

মাশীদ আপু... তুমি যদি কখনো হঠাৎ করে খুব unexpected একটা রেজালট পেতে.. আর যদি হঠাৎ করে তুমি যেসব দরজার দিকে তাকিয়ে আছো, সেসব সব বন্ধ হয়ে যেত.... তুমি হঠাৎ করে তোমার friend circle থেকে ছিটকে পড়তে আর হতাশায় নিজের cell number পালেট ফেলতে... হয়তো তুমি একটু হলেও আমার অবস্থা বুঝতে... আমি যে USA বা কানাডার কথা ভাবিনি তা নয়.. কিন্তু পড়ার খরচ কই পাবো ? তুমি হয়তো nanyang এ পড়ো.. আমার যদি bronzeটা থাকতো আমি সেখানে scholarshipএর জন্য আবেদন করতে পারতাম, ওরা medal winnerদের আলাদা কেয়ার করে.. কিন্তু সেটাও পসিবল না...

এসব কথা অর্থহীন.. আমার অন্য দেশের যে বন্ধুরা .. ওরা ... নাইবা বলি... Matt যাবে MIT or Stanford এ... হেশাম - ও ইরানে থাকবে.. ওর দেশে ওর মতো মানুষদের দরকার আছে... আতামাইরাত.. ও তুর্কিমিনিস্তান ছেড়ে সিঙ্গাপুর গেছে স্কলারশিপ নিয়ে..

আমাকে বলো.. এই তিনটার কোন অপশনটা আমি করতে পারি? আমি যে পৃথিবী থেকে পালাইনি ... বাদ দাও..এ কথাগুলোর কোন অর্থ নেই.. আমি খুব অর্থহীন একটা মানব.. বেঁচে আছি .. এই বেশী...

৪৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০০৬ রাত ১০:৩১

অতিথি বলেছেন: শোহেইল ভাইয়ার কথা দুদিক থেকেই দেখা যায়... যে যেভাবে অর্থ খুজে নেয় ..

বাদ দাও.. আমি সারারাত ঘুমাইনি.. এখন আর জীবণ নিয়ে ফিলোসফি ভাললাগছে না.. ভালো থেকে সবাই.. বাই বাই!

৪৬| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৪:৫৫

অতিথি বলেছেন: মাশীদ, আপনি রূপমের গানগুলি আপলোডের জন্য বলেছিলেন... ওর 4টি গান (আমার প্রিয়) পাবেন এই পোস্টে...Mvb Mvb

৪৭| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৪৮

অতিথি বলেছেন: বন্ধুত্বের খুব প্রিয় একটি গান পাবেন এই পোস্টে... [লিংক=যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/সৎববহসড়ুনষড়ম/ঢ়ড়ংঃ/24176]বন্ধুত্ব মানে[/লিংক]

এখন ভীষণ ব্যস্ত আছি.. কিছুদিন পর আরো গান আপলোড করবো।

৪৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৪৭

অতিথি বলেছেন: ওই 8ম পার্ট কই ?

৪৯| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৫:৫০

মাশীদ বলেছেন: মাথা একটু গরমের দিকে আছে, বদ্দা। এখন ভাবের লেখা বাইরাবে না। প্রেমের গল্প অন্যদিকে মোড় নিতে পারে (যেমন, আমি আজকাল যেকোন গান গাইলেই সেটা গণসঙ্গীত মনে হয়)।
দেখি কিছুদিন পরে।

৫০| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সকাল ৮:৫১

অতিথি বলেছেন: 8কই?

৫১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সকাল ৮:৫১

অরূপ বলেছেন: 8 নাই..

৫২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সকাল ৮:৫৬

অতিথি বলেছেন: আছে আছে। অপু নামক ভিলেনের কবল থেকে মুক্তির অপেক্ষায়।

৫৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সকাল ৮:৫৮

অতিথি বলেছেন: অবিলম্বে 8 চাই।
8 ছাড়া রক্ষা নাই।

৫৪| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ সকাল ৯:০৯

অরূপ বলেছেন: সংসারের সব গোপন কথা শুনতে হয় না

৫৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০০৭ রাত ১২:২৭

শুভ বলেছেন: মাশীদ,
হেষে কি হইল- শ্যাষ?

ইহার পর কি তাহারা সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিল!!

৫৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:১৫

কানা বাবা বলেছেন:
নটে গাছটি মুড়োলো...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.