![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই আমি-\nপৃথিবীর কোনো এক প্রান্ত থেকে\nআমার মনের কথাগুলো চিৎকার\nকরে ছড়িয়ে দেই অসীম আকাশে!\nজানি না এই নিছক কিছু তরঙ্গ\nকতটা পথ পাড়িয়ে হারিয়ে যাবে!\nঅথবা কোনো এক ভিনগ্রহী\nঅবাক হয়ে শুনবে আমার কথামালা\nজানি না কি অনুভূতি হবে তার!\nহয়তো গাঢ় নীল অশ্রু গড়িয়ে পড়বে\nকরুণামাখা কন্ঠে বলবে আনমনে,\n\'বড় দুঃখী এক মর্ত্যবাসী!\'
স্টিভেন স্পিলবার্ক! চলচ্চিত্র জগতে এক জাদুকরী নাম। বিচিত্র সব চরিত্র আর কাহিনী নিয়ে তার কাজ! একদিকে যেমন বানিয়েছেন শিশুতোষ মুভি তেমনি ওয়ার ফিল্ম কিংবা সায়েন্স ফিকশন। এখন পর্যন্ত তার ডিরেকশন দেয়া মুভির সংখ্যা ৩৩! তার ভিতরে ওয়ার ফিল্ম ৪ টি। Schindler's List
তার একটি।
অসাধারণ এই মুভির প্লট গড়ে উঠেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এক সত্য ঘটনার প্রেক্ষাপটে। থমাস কেন্যালির উপন্যাস অবলম্বনে লেখা হয় চিত্রনাট্য। ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর। জার্মান বাহিনীর কাছে মাত্র দুই সপ্তাহের যুদ্ধে পোলিশ বাহিনী পরাজিত। জার্মান বাহিনীর দখলে চলে যায় পোল্যান্ড। জার্মান বাহিনীর চোখের বিষ ইহুদীদের জন্য অশনি সংকেত। নাৎসি বাহিনীর নির্দেশে সারা দেশ থেকে দলে দলে ইহুদিরা জড়ো হতে থাকে Krakow শরণার্থী শিবিরে। তাদের মনে ক্ষীণ আশা এখানে থাকলে এ যাত্রায় টিকে থাকা যেতে পারে। এর ই মাঝে আগমন ঘটে অস্কার শিন্ডলার্সের। সুদর্শন এই মানুষটি জাতে জার্মান ব্যবসায়ী, নাৎসি পার্টির সমর্থক। পোল্যান্ডে তার আগমন নিজের ভাগ্যের চাকা সচল করতে। গোপনে সে যোগাযোগ করতে থাকে ইহুদী ব্যাবসায়ীদের সাথে। মূল লক্ষ্য তাদের কাছে থেকে মূলধন সংগ্রহ করে ব্যবসার সূচনা। তাকে সাহায্য করার জন্য নিযুক্ত করেন ইহুদি ব্যাংকার ইটঝ্যাক স্টার্নের। শুরু হয় তাদের ব্যবসা। শিন্ডলার সেনাবাহিনীর জন্য কুকারিজ তৈরী করে। শ্রমিক হিসাবে যোগ দিতে থাকে শরনার্থীর বাসিন্দারা। স্টার্ন শরণার্থীদের মাঝে থেকে সংগ্রহ করতে থাকে। আবির্ভাব ঘটে নাৎসি বাহিনীর সেনা অফিসার অ্যামন গোথের। ইহুদিদের উপর অত্যাচারে সে কুখ্যাত। ইহুদি হত্যা করে সে এক ধরণের দানবীয় আনন্দ অনুভব করত। নির্বিচারে হত্যায় সে মেতে ওঠে। এদিকে শিন্ডলারের শ্রমিকদের অনেকেই মারা মরতে থাকে গোথের হাতে।
একজন জার্মান হয়েও এই হত্যাযজ্ঞ তার কাছে চরম অবিচার মনে হয়। সে গোথের সাথে বন্ধুত্বের শুরু করে তার শ্রমিকদের রক্ষা করতে। গোথ কিছু ঘুষের বিনিময়ে রাজি হয়ে যায়। কিছুদিন পর পর নাৎসি বাহিনীর ট্রেন আসে Krakow-তে। তারা নিয়ে যায় সুস্থ-স্বাভাবিক ইহুদিদের গোপন কোনো এক্সপেরিমেন্ট বা গ্যাস চেম্বারে হত্যা করার জন্য। হাজার হাজার মানুষ হত্যা করে পুড়িয়ে ফেলা হয়। শিন্ডলারের মনে গভীর ছাপ ফেলে যায় এইসব ঘটনায়। এই মানষগুলোকে রক্ষায় সে এক কৌশল বের করে। সে তার শ্রমিকদের নিয়ে নিজ শহরে চলে যেতে চায়। কিন্তু গোথ তাতে রাজি নয়। অবশেষে প্রচুর টাকার বিনিময়ে গোথ রাজি হয়। শুরু হয় শিন্ডলারের লিস্ট তৈরী। কয়েকশ মানুষকে নিয়ে দু’টি ট্রেনে সে রওনা হয়। কিন্তু একটি ট্রেন ভুলে চলে যায় Auschwitz Concentration Camp-এ, যেখানে গ্যাস চেম্বারে মানুষ হত্যা করা হত। শিন্ডালার ছুটে যায় সেখানে, অফিসারদের প্রচুর টাকার বিনিময়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসে তাদের। মানুষ বাঁচানোর অদ্ভুত এক নেশা তাকে পেয়ে বসে। নিজের প্রায় সব অর্থ শুধু সে মানুষকে রক্ষার জন্য খরচ করতে থাকে। এক সময় যুদ্ধ শেষ হয় কিন্তু তার উপলব্ধি হয় আরো অনেক মানুষকে হয়তো সে রক্ষা করতে পারতো। যেসব অর্থ সে অকারণে উড়িয়েছে সেগুলো হয়তে বাঁচাতে পারতো আরো কতগুলো প্রাণ!
অস্কার শিন্ডলার ও তার লিস্ট
অসাধারণ এই মুভি মুক্তি পায় ১৯৯৩ সালে। সাদাকালো ফরমেটের এই মুভির ভিতরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কে তুলে ধরা হয়েছে নিখুঁত ভাবে। শিন্ডলার চরিত্রে অভিনয় করেন লিয়াম নেসন, স্টার্ন চরিত্রে বেন কিংস্লে এবং গোথ রুপে রাল্প ফিনস। অস্কারে ১২ টি বিভাগে মননোয়ন পাওয়া এই মুভি জিতে নেয় ৭ টি অস্কার যার মধ্যে সেরা ছবি ও সেরা চলচ্চিত্রকার হিসেবে স্পিলবার্গের একটি। ছবিটির আইএমডিবি রেটিং ৮.৯! ভালো লাগবেই এমন একটি মুভি।
ডাউনলোড লিংক
টরেন্টঃ Click This Link (৭২০পি)
Click This Link (১০৮০পি)
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২
অদিব বলেছেন: হা হা হা! ৩ ঘন্টার মুভি! সাহস করে দেখা শুরু করেন! শেষ না করে উঠতে পারবেন না!
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৭
সুমন কর বলেছেন: অনেক চমৎকার একটি মুভি।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩
অদিব বলেছেন: সহমত!
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: ৩ ঘন্টা ? আমি শুনেছি ৪ ঘন্টা।
৩ ঘন্টার মুভি হইলে ব্যাপার ছিল না
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৬
অদিব বলেছেন: ১৯৭ মিনিট!
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩
গেন্দু মিয়া বলেছেন: আমিও বহুদিন ধরে দেখবো ভাবছি।
সুন্দর রিভিউ করেছেন।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১২
অদিব বলেছেন: দেখে ফেলুন!
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৬
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার অবস্থাও অনেকটা মুভির রান টাইম দেইখা আর চালু করি নাই। যখন কইতাছেন, তাইলে দেখি দেইখা ফালামু নে!!!
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
অদিব বলেছেন: সাহস করে বসে পড়েন!
৬| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪০
জীবনানন্দদাশের ছায়া বলেছেন: আমার দেখা অন্যতম সেরা ম্যুভি শেষে এসে যে হাহাকার আর কান্না তা যেকোন দর্শকের চোখে পানি নিয়ে আসবে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০০
অদিব বলেছেন: আমিও আবেগে কাইন্দলাইসি!
৭| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৩৭
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: পোস্টের জন্যে ধন্যবাদ ।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০২
অদিব বলেছেন:
৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৫৭
নতুন বলেছেন: যারা ইংরেজী ছবি দেখতে পছন্দ করেন !!
আপনার কাছে এই ছবিটা আছে কিন্তু এখনো দেখেন নাই???
করছেন কি এখুনি শুরু করেন.... সেই রকমের একটা ছবি....
ছবি শেষে চোখে পানি আসবেই
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:০১
অদিব বলেছেন: কথা সত্য!
৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০১
শরৎ চৌধুরী বলেছেন: আমার ভীষণ প্রিয় এবং একই সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটা সিনেমা।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪১
অদিব বলেছেন: আমারও ভীষণ প্রিয় একটি মুভি!
১০| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪
শোয়াইব আহামাদ বলেছেন: প্রিয় একটি মুভি। আর স্টিভেন স্পিলবার্ক এর ৮ টি মুভি দেখেছি,সবগুলোই অসাধারন।
২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪২
অদিব বলেছেন: স্পিলবার্গের ৮ টি মুভি?
১১| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
কেএসরথি বলেছেন: সুন্দর ছবি।
লিয়াম নিসন এর বিশাল ভক্ত আমি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
তামিম ইবনে আমান বলেছেন: অনেক দিন পিসিতে পরে আছে। রানটাইম দেখে চালু করতে ভয় পাই