![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি স্বপ্নের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে রাজী নই, আমি জেগে থাকব স্বপ্নের সূর্যোদয় দেখার জন্য...........
টিউশানিটা শুরু করেছিলাম গত মাসের ২৮ তারিখ। সেদিন কিছুই পড়াইনি। জাস্ট দেখা করে টুকটাক উৎসাহ দিয়ে চলে এসেছিলাম। সেদিন আমার মুখে ছিল দীর্ঘ প্রায় দেড় মাসের না কামানো দাড়ী, মাথার অবস্থা আর বললাম না। পরে দুইদিন যাইতে পারিনি। মানে মোটামুটি বলা যায় এক তারিখ থেকে টিউশানির যাত্রা শুরু।
টিউশানি শুরু করার আগেরদিন নরসুন্দরের স্মরনাপন্ন হয়েছিলাম, না আমার স্টুডেন্ট(ছাত্র না) এর সামনে ফিটফাট হবার জন্য না, এমনিই। পড়ানো শুরু করলাম। কেমনে যেন একটা বিকালের চায়র খরচটা বাচিয়েই একটা মাস কেটে গেল। গত ২৫ তারিখ দেখি স্টুডেন্টের মা চা দিতে এসে পেমেন্টটা দিয়ে গেল। উল্লেখ্য টিউশানি শুরু করার পর আর নরসুন্দরের ধারে কাছেও ঘেসা হয়ে ওঠেনি। ফলাফল আগের মত, আমার ভাগ্নীর খুবই অপসন্দের লুকে তার মামা। এর আগের দিন স্টুডেন্টের মাতা চা দিতে এসে আমার দিকে এমনভাবে তাকিয়েছিলেন যেন ভুত দেখছেন। আজ পেমেন্টটা পেয়ে মনে হল তিনি মনে মনে আমার অর্থনৈতিক দীনতার কারনে আমি নাপিতামুখী হতে পারছিনা মনে করে মাস পুর্ন হবার আগেই আমাকে পেমেন্ট করে দিলেন।
না আমি এটি উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে করিনি। তবে যেসব ভাই টিউশানি করেন আর মাসের শেষে টিউশানিতে যাবার ভাড়ার জন্য বন্ধুর কাছে বেহায়ার মত হাত পাতেন তারা এই পদ্ধতি প্রয়োগ করে দেখতে পারেন। মানে মাসের শুরুতে নরসুন্দরের কাছ থেকে ঘুরে এসে আর সারাটি মাস ওমুখো হবেন না, বাসায় জিলেট জাতীয় শেভিং ফোম থাকলে সকালে তা পাউরুটির সাথে জেলি হিসেবে খেয়ে ফেলবেন যাতে বাসায় বা মেসে শেভ করতে না পারেন। তবে রেজারগুলো ফেলার দরকার নেই, ওগুলো অন্য কাজে লাগাতে পারেন।
বি:দ্র: এই পদ্ধতি প্রয়োগে কোনরকম আর্থিক, মানসিক, শারিরীক(যেমন দাড়ীতে উকুন হলে) বা যেকোন ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হলে লেখক এর কোন দায়ভার নিতে অসম্মতি প্রকাশ করছে। তখন তিনি কাল্পনিকতার আশ্রয় নিবেন, মানে বলবেন এতক্ষন যা পড়ছিলেন তার প্রতিটি বর্ন কাল্পনিক, এমনকি সামু'র (সামহোয়্যারইনব্লগ) এই নিকটি পর্য়ন্ত কাল্পনিক।
©somewhere in net ltd.
১|
০৮ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: