নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।।এস যুক্তির আঘাতে মুক্ত করি চেতনার জট।।

ক্ষুদ্র পরিসরের এই জীবনটাকে আমি ইচ্ছেমত উপভোগ করব। নিষিদ্ধ গলিতে প্রবেশ করে আমি শুদ্ধ হয়ে বের হব।।

বিকারগ্রস্থ আগন্তুক

আমি স্বপ্নের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে রাজী নই, আমি জেগে থাকব স্বপ্নের সূর্যোদয় দেখার জন্য...........

বিকারগ্রস্থ আগন্তুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

অনুভুতির অনুগল্প এবং আক্ষেপের বিবর্তন

২০ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৪:৩৮

যেখান থেকে শুরু।।

যখন খুব ছোট ছিলাম, এই ক্লাস ওয়ান টুতে পড়ি আর কি, এরকম সময়ে বিকালে বাসার পাশের স্কুল মাঠের এক কোনায় ক্রিকেট খেলতাম। মাঠের কোনায় কারন সিনিওর ভাইয়ারা পুরো মাঠ দখলে নিয়ে বোমবাস্টিং, বাংলা লাথি, ফুটবল, ক্রিকেট এইসব খেলত। আমরা পিচ্চিরা কোনায় টেনিস বল পিটাইতাম। সন্ধ্যা হয়ে গেলে যখন মাগরিবের আজান দিত দেখা যেত এক টিমের এক ওভার বাকি, এই এক ওভার আর খেলা হত না। আজান দিয়ে দিছে, ঘরে ফিরতে হবে। কিযে রাগ হত? দেখতাম বড় ভাইয়ারা তখনো খেলে যাচ্ছে, না খেললেও মাঠের কোনায় বসে পাশের বাসায় ছাদে দাড়ানো আপুর খোলা চুল নিয়ে হাসি তামাশা করছে। একটু বেশি মানে এক ওভার খেলার মত সময় ছিল আমার চাওয়া।



আক্ষেপ যেখানে গভীরতা পেল।।

আরেকটু বড় হলাম। এই ক্লাস সিক্স সেভেনে পড়ি। বিকালটা খেলা করে মাগরিবের নামাজ পড়তে যেতাম মসজিদে। ফেরার সময় বাসার মোড়ে কিছুটা সময় দোস্তদের সাথে আড্ডা দিতাম। তখন মনে হত অনেক বড় হয়ে গেছি। তখন বর্ষাকালে ফুটবল খেলতাম, খেলা তো না, কাদা মাঠে আছাড় খাওয়া আর খাওয়ানোর প্রতিযোতিতা আর কি। বৃষ্টি হলে সবাই মাঠে যেত খেলতে। আমার ক্ষেত্রে বড়রা বড়ত্ব দেখাত, বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর হবে, ঠান্ডা লাগবে আরো কত কি? তখন মনে হত আরেকটু বড় হওয়া দরকার। যখন কেউ কিছু বলবে না। আক্ষেপের বৃত্তটা ক্রমেই তার ব্যসার্ধ বাড়িয়ে চলছিল। আর আমিও অবিভাবকের কাছ থেকে পাওয়া স্বাধীনতাটা উপভোগ করছিলাম।



আশার আলো।।

আমার বড় হওয়া থেমে থাকেনি। বড় হলাম। এসএসসি পরীক্ষ দিব। পরিধি বাড়ল। এখন কেউ বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলতে বারন করে না। তবে নিজের মত করে থাকতে গেলেই সমস্যা। রাত একটা বাজলেই সবার বকাঝকা, এত রাত জাগার কি দরকার? বুঝলাম স্বাধীনতার পরিধি বাড়ানো দরকার। এটাও বুঝলাম আমাকে এর জন্য কিছুই করতে হবে না, সময়ই তা নিজ দায়িত্বে করে দিবে। অপেক্ষার পালা শুরু হল।



বৃদ্ধি পর্যায়।।

এসএসসি দিয়ে কলেজে পড়ার সময় বাসার বাইরে চলে এলাম। মেস জীবনের শুরু। কেউ বলার নেই। সিগারেট মুখে উঠেছিল আগেই, নিয়মিত ছিলাম না, বাসায় থাকার কারনে। রাত জাগলে বার কেউ নেই। সব মিলিয়ে খারাপ ছিলাম না। তবে তখনো ভাল ছাত্র ছিলাম, তাই স্বাধীনতা তেমনভাবে উপভোগ করার চাইতে এইচএসসির জিপিএ ফাইভই ছিল কাম্য।



পূর্ণতা নাকি অপূর্ণতার সুচনা।।

অবশেষে ক্যম্পাস মানে ভার্সিটিতে ভর্তি হলাম। আমাকে কিছু বলার আর কেউ নাই। না সিগারেট লুকিয়ে খাইতে হয় না। সারারাত শহীদমিনারে কাটাইলেও কেউ কিছু বলে না। প্রথমে ভাল লাগল। বছর দুয়েক উপভোগও করলাম। তারপর আক্ষেপ হতে লাগল, কেউ আমাকে কিছু বলে না কেন? মনের কোথায় যেন একটু আক্ষেপ আমাকে কেউ বলে না কেন - সিগারেট খেও না, ওটা ভাল না, রাতে ঘোরাঘুরি কর কেন? মুখে খোচা খোচা দাড়ি নিয়ে ঘুরো কেন? হায়রে মানব মন!



সমাপ্তি টানার ব্যর্থ চেষ্টা।।

বিবর্তনের ধারায় মানুষের মস্তিষ্কে অনুভুতির মত এমন একটা বিষয় কেন থাকবে? লাইফটা কমপ্লিকেটেড করার জন্য এই অনুভুতিই যথেষ্ঠ। কারো সাথে কথা বলতে গেলে আপনাকে ভাবতে হয় এতে তার মনে কষ্ট হবে নাকি। আপনি চান কারো মনের কোনায় আপনার জন্য একটা জানালা খোলা থাকুক, যেখান দিয়ে আপনি ঝলমলে রোদ হয়ে ঢুকবেন, স্নিগ্ধ বাতাসের পরশ হয়ে তার এলোচুলে খেলা করবেন, দুরের কোন ফুলের গন্ধ নিয়ে আসবেন তাকে ছুয়ে দিতে। কিন্তু আপনার এই অনুভুতিই হয়ত তার অনুভুতিতে আঘাত করে বসেছে। তখন আপনার এই বস্তাপচা অনুভুতি নিয়ে রাতের নির্জন রাস্তা দিয়ে হাটা বা খোচা খোচা মুখভর্তি দাড়ী নিয়ে ঘোরা আর একেবারে শেষে জলন্ত সিগারেটটা এশট্রেতে রেখে আমার মত কিবোর্ডে হাত চালিয়ে অনুভুতি বিক্রি করে দায়মুক্ত হবার চেষ্টা ছাড়া আর কিইবা করতে পারেন আপনি?

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৩

সাইফুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন: ভাল লিখেছেন, তবে আক্ষেপের এত বিষয় থাকতে এটা নিয়ে এত আক্ষেপ কেন বুঝলাম না। B:-/

২| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৭

বিকারগ্রস্থ আগন্তুক বলেছেন: ঐযে বললাম না অনুভুতি, এই অনুভুতি যদি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে তো কি করতে পারি বলুন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.