নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

।।এস যুক্তির আঘাতে মুক্ত করি চেতনার জট।।

ক্ষুদ্র পরিসরের এই জীবনটাকে আমি ইচ্ছেমত উপভোগ করব। নিষিদ্ধ গলিতে প্রবেশ করে আমি শুদ্ধ হয়ে বের হব।।

বিকারগ্রস্থ আগন্তুক

আমি স্বপ্নের জন্য ঘুমিয়ে পড়তে রাজী নই, আমি জেগে থাকব স্বপ্নের সূর্যোদয় দেখার জন্য...........

বিকারগ্রস্থ আগন্তুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রত্যাবর্তন

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:৫০

রাহুল - ওই হালা ডিম পাড়া মুরগীর মত ঝিমাছ ক্যন? ঝিমাবি তো মোরগের মত ঝিমা।

মিনহাজ - দোস্ত ছেলে মোরগ না মেয়ে মোরগ?

রাহুল - সব হালা পাউল, ওই হালা মাসুম সিগারেট আছেনি? দে তো একটা।

মাসুম - নারে দোস্ত, সিগারেট ছাইড়া দিছি।



মাসুমের এই উত্তর খুবই গতানুগতিক, তাই রাহুল মিনহাজ কাউকেই এটা বিচলিত করেনা। সে প্রতিবেলা খাবার পর সিগারেট মুখ থেকে নামিয়ে প্রতিজ্ঞা করে আর সিগারেট খাবে না, যদিও পকেটেই থাকে যত্নে রাখা ধুম্রশলাকা, অল্প সময়ের ব্যবধানে তার লালসা চরিতার্থ করার জন্য। তবে এখন যা বলেছে তা কিছুটা সত্য। গত দুইদিন সে সিগারেট মুখে নেয়নি। না মা-বাবা জানলে মনে কষ্ট পাবে এটা ভেবে না, কুটুমের জন্য। কুটুম এক ইয়ার জুনিওর অপরুপ সুন্দরী(মাসুমের ভাষায়) এক মেয়ে। সে বলেছে তাকে পেতে হলে সিগারেট ছাড়তে হবে। হয় কুটুম নহয় সিগারেট। এজন্য মাসুম গতকাল সকালের নাস্তা করার পর লাস্ট সিগারেটটা খায়। যদিও খাওয়ার পর তার খুব আফসোস হতে থাকে। শর্তটা কুটুম দেয় গত পরশু, বলে একদিন সিগারেট না খেয়ে তার সাথে দেখা করতে হবে। এরপর ওর সাথে দেখা হয়নি। মাসুম দুদিন আছে সিগারেট না খেয়ে।



সিদ্ধান্ত নেয় আজ কুটুমের সাথে দেখা করবে সে। এজন্যই সে বিকালে এসে এই টংয়ে বসে আছে। দুপুরে ওকে একটা এসএসএসও পঠিয়েছিল এই সময়ে এখানে আসার জন্য। বেশ কিছুক্ষন পর কুটুমকে দেখা গেল, ধীর পায়ে মাসুমের দিকে এগিয়ে আসতে। হার্টবিট বেড়ে গেল, না কুটুমের কথা বলছি না, মাসুমের। কুটুম এসে দাড়াল মাসুমের সামনে।



- তুমি আবার সিগারেট খেয়েছো? থাকো তুমি তোমার সিগরেট নিয়ে।



কথাটা বলেই কুটুম উল্টা ঘুরে হাটা শুরু করল। না মাসুমকে কিছুই বলতে দিল না। বোকার মত মাসুম কিছুক্ষন দাড়িয়ে থেকে শহীদ মিনারের ওদিকটায় ঘোরাঘুরি করে, সন্ধ্যায় ফিরে এল ঐ বন্ধুদের আড্ডায়। আধা জ্বলা সিগারেটটা ওর দিকে বাড়িয়ে ধরে রাহুল বলল-



- নে দোস্ত।



মাসুমের ধীর উত্তর - না দোস্ত, খামু না, ভাল লাগছে না।

- ধুর হালার হালা, এর লাইগ্যাই তো খাবি।



না মাসুম সন্ধ্য থেকে মধ্য রাত অবধি আড্ডায় আর সিগারেট ধরায়নি। কিন্তু কুটুমের এই আচরনও ও বুঝতে পারেনি। মনে মনে ভাবল, এমনিই রাগ দেখিয়েছে, কাল ক্যম্পাসে দেখা হলে ঠিক হয়ে যাবে। রাতে রুমে ফিরে কুটুমকে ফোন দিবে কিনা ভাবল। শেষ পর্যন্ত থাকতে না পেরে দিল ফোন। না ফোন বিজি। কিছুক্ষন পর আবার ফোন দিল, বিজি। আবার, আবার, আবার...... বিজি, বিজি, বিজি..... এত রাতে কুটুম কার সাথে কথা বলে?



কিছুক্ষন মাসুম ঝিম ধরে বসে থাকে ল্যপটপের সামনে, পাশেই পড়ে আছে ফোনটা। অল্প সময় পর ধীরে উঠে যায় পাশের মিনহাজের রুমে। খুব আস্তে বলে-

- দোস্ত একটা সিগারেট হবে?

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

জনৈক গণ্ডমূর্খ বলেছেন: চমত্‍কার লাগল। +++

এভাবেই অনেকে সিগারেট ছাড়ে আবার ধরে।
পরিশেষে, ভাই একটা সিগারেট হবে। ;)

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৯

বিকারগ্রস্থ আগন্তুক বলেছেন: এটাই জীবন, কি বলেন ভাই?

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

একটু স্বপ্ন বলেছেন:
নিকোটিন নির্ভর্শীলতা, বড়ই নিষ্ঠুর। প্রেয়সীর হাতছানিও তুচ্ছ এর কাছে.. :(

লেখার ঢংটি বেশ। শুভকামনা।

৩০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

বিকারগ্রস্থ আগন্তুক বলেছেন: ভাই আমার এক বন্ধুর ভাষ্য- "বাতাসের তুমি শুধুই নিলে কিছুই দিলে না, এই অভিযোগ কাধে নিয়ে মরার চাইতে ধোয়ার আশীর্বাদের মারা যাওয়া ভাল"। তাই এটাকে নিষ্ঠুরতা বলতে আমি নারাজ।

মন্তব্য ও উৎসাহ প্রদানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.