![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই গত কয় বছরে আমার মনে হয়না, ভালো মানুষ যতটা না মিডিয়াতে আসছে তার চেয়ে বহুগুন বেশী টিভি চ্যানেল এই দেশে চালু হয়েছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, আমাদের একটা টিভি চ্যানেল ও আমাদের দেশের দর্শকদের মন ভরাতে পারে নাই। বিষয়টা রহস্যজনক। এখন কী বলবো....টিভির যে অনুষ্ঠান তা কী মানসম্মত না....নাকি টিভির দর্শক হিসাবে আমরা রুচিশীল না? তবে দর্শক-এর রুচি নিয়েই আমার যত সন্দেহ।
আসেন বিষয়টা একটু পরিষ্কার করি।
গেল বাংলাদেশ-ওয়েষ্ট ইন্ডিজ-এর শেষ ওয়ানডে ম্যাচে চোখ ছিলনা এমন মানুষ বোধকরি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ঠিক ঐদিন খেলার মাঝখানে আমি আশা নিয়া টিভি রুমে প্রবেশ করি। সাধারণত টিভি দেখা হয় না, অনলাইনে ভাতের ব্যবস্থায় ব্যস্ত থাকার কারণে। দর্শক মা, কুমিল্লা থেকে আসা ছোট বোন আর আমার প্রাণপ্রিয় সহধর্মীনি। সবার চোখ টিভির স্ক্রিনে। আমার চোখ তাদের অনুসরণ করে যখন টিভিতে তখন মেজাজের চৌদ্দগুষ্ঠির সাথে দফারফা অবস্থা। রাতুল মাস্টার পায়েল সেনের কথপোকথন। আমার খুব একটা জরুরী মনে হয়নাই বিধায় রিমোর্টের একচাপে টাপুর টুপুর থেকে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। সাথে উপস্থিত দর্শকদের ব্যাপারে আমার কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, খেলায় মগ্ন। কিছুক্ষণ পর দেখি ময়দান খালি। বোন আর বউ গালে টেইনিস বল ঢুকিয়ে পাশের ঘরে প্রস্থান। মা রক্ত চোখে আমার দিকে, আমি তো থতমত...কী ব্যাপার?
শুরু হলো মা’র ঘেনঘেনানী। ঘরের মেয়েরা নাকি সারাদিন কাজকর্মে ব্যাস্ত থাকার কারণে টিভির সামনে আসতে পারে না, যাও একটু সন্ধ্যার পর আসে আমার জ্বালায় নাকি তাও দেখতে পারে না। আমি তো থ! কোন ভাষা নেই। বুঝতে সময় নিলো...কিসের জন্য এই বেদনা। দেরী না করে স্টার জলসা চ্যানেল এর জন্য বাটন টিপছি কিন্তু কত নম্বর চ্যানেল না জানার কারণে পাওয়ার অফ করে পুনরায় কম্পউটার এর সামনে। এসে বসতে না বসতেই এই ঘর থেকেই টিভির রুম থেকে ভেসে আসা গানের কলি ‘নাগর আমার নিঠুর বড়, মন বোঝে না..’।
কী বুঝলেন পাঠকরা। এই শুধু আমার পরিবারের দৃশ্য নয়...বাংলার ঘরে ঘরে একই চিত্র। কী শহর, আর কী গ্রাম।
মূলতঃ আমাদের দেশে বেশীর ভাগ টিভির দর্শক মহিলারা। আর তাদের দখলেই থাকে টিভির রিমোর্ট। যাক, এই দখলদারিত্ব নিয়ে আমার কোন আপত্তি নেই, আপত্তি যত এই সব চ্যানেলে দেখানো নাটকের মান নিয়ে। কি এমন কাহিনী থাকে যার জন্য আমাদের দেশের চ্যানেল গুলোতে কোথায় হুমায়ন আহম্মেদ আর কোথায় সালাউদ্দিন লাভলু, তার কোন পাত্তাই নেই এই সব দর্শকদের কাছে।
যেমন ধরুন, স্টার জলসার এক নাটক ভালবাসা.কম, এইটার নাম যদি এক স্বমীর তিন বধূ হতো তাহলে নামের স্বার্থকতা আরো বেশী হতো। নায়ক একজন স্ত্রী তিনজন। একজন ভালবেসে বিয়ে করে, দ্বিতীয়জন বন্দুক ধরে আর তৃতীয়জন প্রথম জনের সহযোগীতায় হাসপাতালে অজ্ঞান নায়কের হাত দিয়ে সিঁথিতে সিঁদুর লাগিয়ে দিব্যি ঘরণী হয়ে গেলেন।
তারপর আরেকটি নাকি জনপ্রিয় সিরিয়াল তোমায় ছাড়া ঘুম আসে না মা হৃদয়বিদারক সংগীতের মাধ্যমে শুরু হওয়া ‘মা’।
এইখানে আরেক উদ্ভট কাহিনী, মা নাকি এখনও নিজের মেয়ে পরীকে চিনতে পারে না....সে যে কতো আধিখ্যাতা। এখানেও নায়কের বিয়ের জীবনে দুই স্ত্রী ভূমিকা...বিয়ে করে ফুলকি আর বিয়ে না করে ঝিলিক। অর্থাৎ, ইন্ডিয়ান সিরিয়াল গুলোতে স্বামী একজনই কিন্তু স্ত্রী একের অধিক না হলে চলে না। পরকীয়াও কম যায় না।
যেমন, বাহা বলে খ্যাত ইষ্টি কটুম। নাটকের ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন নায়ক অর্চি বাবুর সাথে পরিচালক একই ঘরের দুই মেয়েরে বিয়ে করিয়ে দেন। ভাবুন কি ধরণের নোংরা মানসিকতার পরিচালক। আবার বিয়ে করা দুই বোনের একই বাবার ও বিয়ের আগে ইটিস পিটিস কাহিনী। দেখলে মনে হয় লাথি মেরে টিভিটাই ভেঙ্গে ফেলি।
আবার পুরোদস্তুর বিয়ে করা বউ স্বামীর সামনে দিয়েই পরপুরুষের সাথে পার্টিতে...আর স্বামী বেচারা স্ত্রীর সম্ভ্রম বাঁচাতে স্ত্রীর পিছু পিছু। এই হলো আরো একটি মা-বোনদের চোখ না ফেলানো সিরিয়াল টাপুর টুপুর।
এতো গেলো বাংলা ।
এক মরাতে বাঁচি না এর সাথে হিন্দি চ্যানেল- স্টার প্লাস। এখানে চলে ফ্যাশন আর কানাই বাবার মতো দেবতাদের অদৃশ্য ক্ষমতা। বিভোর হয়ে দেখতে থাকে গোপীকে। আরে এতো সোনার বউ।
যদি বলে মারি বলে মারেন, যদি বলে খাবো তবে বলে খান। এতো মান্নিগণ্যি ঘরের লক্ষি! আবিার দিব্যি শিক্ষিত মেয়ে হালুয়া অলার ঘরে এসে পুরোদস্তুর বাধ্য বউ।
এইরকম প্রতি আধা ঘন্টার সিরিয়ালে ১৫ মিনিটের বিজ্ঞাপন বাদ দিলে বাকী ১৫ মিনিটের নাটকের জন্য আমাদের দেশের নারীরা খাওয়া-দাওয়া পর্যন্ত ভুলে যায়।
কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় বাংলা সিরিয়াল গুলোতে যত সব নোংরামী আর উদ্ভট কাহিনীতে ভরা। হিন্দী গুলি অবশ্য এতো অশালীন না হলেও গরীবের ঘরের বউয়েরও মাথা থেকে পা পর্যন্ত গয়না পড়া থাকে। যেখানে নাটকের প্রতিপাদ্য হলো মানুষ, সমাজ-এর বাস্তব চিত্র, সেখানে ইন্ডিয়ান এই চ্যানেলগুলিতে যত সব গাঁজাখুরি কাহিনী।
আরো লজ্জার বিষয় ইন্ডিয়াতে আমাদের চ্যানেল গুলো সে দেশের ক্যাবল অপারেটর গুলি চালায় না। আর আমরা তাদের চ্যানেল গুলি না দেখলে ত্রাহি অবস্থা।
আজ প্রতিটি ঘরে সন্ধ্যা নামলে রাত ১১টা পর্যন্ত একটানা ইন্ডিয়ান চ্যানেল গুলি নিয়ে ব্যাস্ত থাকে আমাদের শহর-গ্রামের মহিলারা। কিন্তু তাদের যেকোন চ্যানেলের অনুষ্ঠানের চেয়ে আমাদের দেশের চ্যানেলের নাটকগুলো অনেক উন্নত। এ অবস্থা থেকে আমাদের স্ব উদ্দ্যোগে বের হয়ে আসতে হবে। তা না হলে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের চ্যানেল মালিকরা নিজেদের চ্যানেল বন্ধ করে দিয়ে ইন্ডিয়া থেকে চ্যানেলের ডিলার শিপ আনবে।
২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১০:০৪
সবুজ ভীমরুল বলেছেন: বলেন কি? বাংলা সিরিয়াল গুলা হিন্দিগুলার চেয়েও নোংরা!!!!
দাদা বাবুরা দেখছি একটু বেশী আধুনিক!!!!
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৩
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: অনিয়মিত দর্শক বলিয়া বোধকরি সন্দেহ
৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ১১:৩৫
কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: চরম ভাবে ঠেকানোর চেষ্টা করুন। হঠাত করে একদিন চরম আচরণ করুন। এমনই চরম যেটা কোনদিন কেউ দেখেনি। আমি ফল পেয়েছি। সিরিয়াল হয়তো বন্ধ হয়নি। কিন্তু আমার পায়ের আওয়াজে রিমোট সুইচ হয়ে ডিসকভারিতে চলে যায়।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: ভালো পদক্ষেপ ☺☺☺☺
৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:২৮
rakibmbstu বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
লেখা পড়ে মনে হলো আপনিও একজন নিয়মিত ঐ অনুষ্ঠান গুলার দর্শক। না হলে এত ডিটেইল বললেন যে কিছুটা...................?????
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৬
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: ভালোই বলেছেন.......দীর্ঘদিনের কর্ণপাত আর ঘরের আলাপচারিতাই অটুকু ডিটেইলের জন্য যথেষ্ঠ...ভাই....এর জন্য নিয়মিত দর্শক হতে হয়না...
৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ১২:৩৯
ডট কম ০০৯ বলেছেন: সহমত............।।
৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৩৩
মোঃ ইসমাইল বলেছেন: আমার মনে হইনা এরকম কিছ্বও আছে
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: মতামত ভিন্নতা থাকতে পারে
৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৬:১৭
সামাজিক জোছনা বলেছেন: ভারতীয় এইসব সিরিয়ালের বর্ননা শুনলেও বিরক্ত লাগে
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৭
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: ঘৃণা টা বাদ যাবে না বৈকি
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:২২
বনশ্রী বলেছেন: এর জন্য আমাদের দেশীয় চ্যানেল গুলি দায়ী....আমাদের দেশের একটা চ্যানেল দেখাতে পারেন যেইগুলি একটি মাধ্যম নিয়ে থাকে, একটি চ্যানেল এ পাঁচ মিশালী সব কিছু....বাইরের চ্যানেল গুলি জানে কিভাবে দর্শক ধরে রাখতে হয়....আমাদের দেশে এখনও তা শিখে উঠতে পারে নাই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: কিঞ্চিৎ যে সত্য বলেন নাই অস্বীকার করবো না কিন্তু আপনার অনুভূতি পুরোপুরি মেনে নেওয়াটা অবিবেচকের মতো হবে বৈকি।
৯| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:৩০
SIMANTO বলেছেন: News channels এ profit বেশী......দর্শক থাকবে কী থাকবে না তা নিয়ে মোটেও ভাবনা নেই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: সহমত
১০| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
রংধনু ১০ রং বলেছেন: স..হ..মত
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
টেরাথোমিটার বলেছেন: আপনিওতো দেখি কম যান না..।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: এই টুকু উপলব্ধি করার জন্য বেশী কিছু হতে হয় না।
১২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৬
Pluto বলেছেন: নিজেও নিরন্তর জ্বালায় আছি।
১৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:১৬
আরমান কায়েস বলেছেন: সহমত
১৪| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২
Ariful448 বলেছেন: আপনি প্রমান করে দিলেন পুরুষরাও পিছিয়ে নেই।
১১ ই নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২
আবুনাছের আখন্দ বলেছেন: উপায় নেই ভ্রাতা, অক্ষি দ্বয় ফিরিয়ে রাখিলেও কর্ণ দ্বয় ঢাকিয়া রাখি কি ভাবে?
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ৩:২৮
একজন ঘূণপোকা বলেছেন: স হ ম ত