![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কারো মতন নয়ই, একান্তই আমার মতো। বন্ধু-বান্দব আর পারিবারিক সব সম্পখের ক্ষেএে ভীষণ আন্তরিক। হাসি-খুশি আর দলবল নিয়ে ২৪ ঘন্টাই আড্ডায় থাকতে ভালবাসি। ভালোবাসি সাদা গোলাপ আর প্রিয়তমাকে। আমি এক আল্লাহ্র ইবাদত করি আর হজরত মুঃ সাঃ কে অনুসরন করি। সৃজনশীল বিষয়ে আগ্রহ করি। রাজনীতি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে বা আছে। জিয়াকে মডেল করে সমাজের ভাল পরিবর্তনের চেষ্টায় আছি। বর্তমান পরিবেশে দেশে কিছু করার মুরোদ রাখিনা তাই পরবাসী আছি। দেশ ও দেশে বসবাস করা প্রিয় মানুষদের জন্য অনবরত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। নিজের অনুভূতি,অস্তিত্ব আর ভালোলাগা গুলো পরে থাকে প্রিয় জয়পাড়ায় যেখানে আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে। দুঃখ একটাই জীবনে কোথাও শ্রেস্ট হতে পারিনি। আমি লিখতে পারিনা,আর লিখা লিখি করার জন্যও আমি ব্লগে আসিনি। আমি পড়তে এসেছি। নিজেকে একজন ভাল পাঠক বলে দাবি করি।
উন্নত, উন্নয়নশীল কিংবা অনুন্নত যেমনই হোকনা কেন, একটি জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি এবং সম্পদ হলো জাতীয় ইস্যুতে দল-মত-নির্বিশেষ জাতীয় ঐক্য এবং মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাবোধ। মূল্যবান দুটি সম্পদই আমাদের ছিল এবং অতীথতের বিভিন্ন সংকটময় মুহুর্তে আমরা এর প্রমাণও দিয়েছি অসংখ্যবার। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো, বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ নামের ক্ষমতাসীন এই দলটি একটু একটু করে গলাটিপে হত্যা করেছে আমাদের ঐক্য এবং মানবতা নামের দুটি অমূল্য সম্পদকে।
আপনি আওয়ামিলীগ করেন, আপনি যত ভাল মানুষই হন না কেন, আপনার মতামতের দুই পয়সা দাম নাই আমার কাছে। আমি বিএনপি করেন, আমার কাজ-কর্ম, মতামত-বিচারবিবেচন যতই গঠনমূলক হোক না, আমাকে গোণার সময় আপনার নাই!!
গতকাল হেফাজতের শত শত কর্মী মারা গেল, আপনি আওয়ামিলীগ করেন বলে আপনি উল্লাস করলেন। ফটিকছড়িতে আওয়ামিলীগের অনেক নেতাকর্মী মারা গেল, আমি বিএনপি করি বলে উল্লাস করলাম। ইলিয়াস আলী গুম হলো, বিএনপির নেতা বলে আপনি পাত্তাই দিলেন না। বিশ্বজিত মারা গেল, নিজের দলকে বাঁচাতে আপনি এড়িয়ে গেলেন।
তাজরিনে শতাধিক শ্রমিক পুড়ে কয়লা হলো, দলের ইমেজ বাঁচাতে আপনি দুর্ঘটনা বলে উড়িয়ে দিলেন। সাভারে হাজার খানেক গার্মেন্টসশিল্প শ্রমিক পিষ্ট হলো, দলের পিঠ বাঁচাতে আপনি এড়িয়ে গেলেন।
এই যে বিভাজন, নীতির প্রশ্নে আপস, বিপক্ষের কেউ মারা গেলে নগ্ন নৃত্য, এই সংস্কৃতি তো আমাদের ছিল না। আমরা তো বীরের জাতি হিসেবে সারা বিশ্বে পরিচিত ছিলাম। আমরা ব্রিটিশদের তাড়িয়েছি, পাকিস্তানিদের তাড়িয়েছি, স্বৈরাচারী সরকারকে হটিয়েছি একে অপরের হাতে হাত রেখে। তাহলে আজ কেন এই বিভাজন??
বিরুদ্ধ মতকে দমন করো, অন্যায়ের প্রতিবাদী কন্ঠকে রুদ্ধ করো, কে শুরু করেছে এই নিয়ম?
মানুষের মৃত্যুতে মানুষ উল্লাস করে, আমাদেরকে কে শিখিয়েছে এই সংস্কৃতি?
টুপি দেখলেই গুলি করতে হবে, কে শুরু করেছে এই সংস্কৃতি?
পুরো জাতিকে বিভক্ত করেছে কে??
খুনি হাসিনা জবাব চাই..
০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৩২
শিপন মোল্লা বলেছেন: জি হাসান ভাই,
আওয়ামীলীগ যে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে তা তাদের সাহসিকতা বা বীরত্ব নয় বরং তারা ভবিষ্যতে ক্ষমতা হারিয়ে বিচারের সম্মুখীন ও শাস্তি পেতে পারে তাদের এরকম ভয় থেকেই তারা এ জঘন্য কাজগুলো করছে । এবং বর্তমানে এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে যে তারা চাইলেও শেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারবে না । তারা এখন খুনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে এবং কারণে অকারণে একটার পর একটা হত্যাযজ্ঞ চালিয়েই যাবে যতক্ষণ তাদের হাতে ক্ষমতা আর অস্ত্র রয়েছে । এমনকি তারা হয়তো পরিকল্পনাই করে রেখেছে, যদি প্রয়োজন হয় তাহলে কোটি-কোটি লোককেও হত্যা করবে । অবশ্যই তাদের দুঃসাহস আরো বেড়ে গিয়েছে যখন দেখল, শাপলা চত্বরের গণহত্যার পর কোথাও তেমন কোন প্রতিবাদ-প্রতিরোধ নেই । তারা এখন হেফাজতকে মেরে অন্য বিরুদি দলকেও বুঝিয়ে দিয়েছে যে তারা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ন্তা প্রভু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং মানুষকে দাসে পরিণত করার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে ।
সুতরাং দেশের আপামর জনসাধারণ! আজ যদি না জেগে উঠে এই অত্যাচার, গনহত্যা প্রতিরোধ না করে, তবে সেদিন খুব দূরে নয় যেদিন প্রতিটি মানুষ আওয়ামীলীগের দাসে পরিণত হবে । স্বভাবগত ভাবেই আওয়ামীলীগ একটি প্রভুত্ববাদি জাতি । কেননা তাদের প্রভু ভারত। তারা মনে করে ভারতই তাদের আবার ক্ষমতায় আনবে বার বার।
ফেরাউন-নমরুদের মত এই প্রভুত্ববাদীদের এখন রোখার একটাই উপায় আর তা হল, আপামর জনসাধারণ রাস্তায় দুর্বার আন্দোলনের জন্য বেরিয়ে আসা অথবা ঘরে ঘরে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করা । এর কোন বিকল্প আপাতত নেই ।
২| ০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৪৯
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: আচ্ছা ভাই ? এক জায়গায় বলেছেন ! টুপি দেখলেই গুলি করতে হবে, কে শুরু করেছে এই সংস্কৃতি?
আমি মাঝে মাঝে ক্যাপ মাথায় দেই ! আমার কি কুনু রিস্ক আছে ?
০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২৮
শিপন মোল্লা বলেছেন: আপনার অবস্তা আরো ভয়াবহ কেননা সকলের হুগায়ই আপনি একটু খুচায় জান। তবে আপাদত আপনি নিরাপদের জন্য হেলমেট পরতে পারেন।
৩| ০৯ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৫
সরকার৮৪ বলেছেন: শিপন ভাই ফটিকছড়ি আর শাপলা চত্বর এক করে দেখা ঠিক হবে না। ফটিকছড়িতে সাধারন মানুষ আক্রোশ দেখাইছে, আর শাপলা চত্বরে সরকারি বাহিনী পরিকল্পিত হত্যাকান্ড ঘটাইছে।
৪| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১:৫৮
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আলাদা দেখলে হবে না । সরকার ফটিকছড়ির প্রতিশোধ নিয়েছে ।
৫| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০১
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: ভুলে গেলে হবে না । সরকার সাভারের পাকে ছিল । ফটিকছড়িতে কোপ খাইছিল । কিন্তু এখন এভরিথিং ইজ ওকে । আলাদা করে দেখাতে বরং আমরা পুরো দৃশ্য দেখা থেকে বঞ্চিত থেকে যাই ।
৬| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ২:০৬
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: আর্মির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা শুরু হয়েছে । মনে হচ্ছে আরেকটি ঝড় যাবে আর্মির উপর দিয়ে । বিএনপির নির্বাচন উপযোগী কেউ থাকবে না । তখন আর্মি নামবে তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ফ্রি-ফেয়ার ইলেকশন হবে ।
আলাদা আলাদা অংশকে যে জোড়া দিয়ে জনগণকে একত্রিত করতে পারবে । শেষ হাসি হবে বাংলাদেশের । নতুবা আমরা এসকল ঘটনার পুনরাবৃত্তি দেখতে থাকব ।
৭| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
বোকা ডাকু বলেছেন: বিভাজনের এই সংস্কৃতি এখন সকলের মাঝেই ছড়িয়ে পড়েছে।
হাসান ভাইয়ের সাথে একমত।
৮| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আমিও মাঝে মাঝে টুপি মাথায় দেই আমারও কি কোন রিস্ক আছে :-& :-& :-&
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৬
বাংলার হাসান বলেছেন: রাজনৈতিক ভাবে দেওলিয়া বর্তমান বিরোধীদল গুলো ক্ষমতায় যাবার জন্য বারবার সিঁড়ি বদলের খেলায় লিপ্ত। পদ্মা সেতু দুর্নীতি, হলমার্ক কেলেঙ্কারী, শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী, রেলের কালো বিড়াল, বিডিআর হত্যাকান্ড, রামপাল বিদুৎ চুক্তি, সাভার হত্যাকান্ড, হেফাজতের উত্থান ও কঠোর হাতে দমন সহ নানাবিদ কর্মকান্ড নিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের গদি যখন টালমাটাল। সাধারন মানুষ যখন জীবন অতিবাহিত করছে নিরাপত্তা হীনতায় তখন কিছূ মানুষ রাজনৈতিক ভাবে দেওলিয়া বর্তমান বিরোধীদল গুলো ও রাষ্ট্র পরিচালনায় পুরোপুরি ব্যর্থ ক্ষমতাসীন সরকারের পা চেটে যাচ্ছে নিলজ্জহীন ভাবে। দেশের কোন নাগরিক খুন হবার পরে যেই দেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন যে, কারো বেড রুম পাহারা দেবার দায়িত্ব সরকারের নয়, সেই প্রধানমন্ত্রী কতটা যোগ্য দেশ শাসনের তা এই উক্তিতেই বুঝা যায়।