![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কারো মতন নয়ই, একান্তই আমার মতো। বন্ধু-বান্দব আর পারিবারিক সব সম্পখের ক্ষেএে ভীষণ আন্তরিক। হাসি-খুশি আর দলবল নিয়ে ২৪ ঘন্টাই আড্ডায় থাকতে ভালবাসি। ভালোবাসি সাদা গোলাপ আর প্রিয়তমাকে। আমি এক আল্লাহ্র ইবাদত করি আর হজরত মুঃ সাঃ কে অনুসরন করি। সৃজনশীল বিষয়ে আগ্রহ করি। রাজনীতি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে বা আছে। জিয়াকে মডেল করে সমাজের ভাল পরিবর্তনের চেষ্টায় আছি। বর্তমান পরিবেশে দেশে কিছু করার মুরোদ রাখিনা তাই পরবাসী আছি। দেশ ও দেশে বসবাস করা প্রিয় মানুষদের জন্য অনবরত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। নিজের অনুভূতি,অস্তিত্ব আর ভালোলাগা গুলো পরে থাকে প্রিয় জয়পাড়ায় যেখানে আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে। দুঃখ একটাই জীবনে কোথাও শ্রেস্ট হতে পারিনি। আমি লিখতে পারিনা,আর লিখা লিখি করার জন্যও আমি ব্লগে আসিনি। আমি পড়তে এসেছি। নিজেকে একজন ভাল পাঠক বলে দাবি করি।
সাবিত্রী, আমার ক্লাসমেট ছিল। অতখানি অধিকার জন্মেনি যে বন্ধু বা বান্ধবী বলে পোস্ট লেখা শুরু করবো। তাছাড়া এখন কার ফেসবুকের আমলের মতো আমাদের সময়ে এত সহজে বন্ধু বলে ডাকা, গায়ে পড়া ভাব ছিল না বা হতো না। আমাদের সময়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বন্ধুত্বসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিল সততায় ভরপুর।
যে কথা বলছিলাম, সাবিত্রী আমার ক্লাসমেট কিন্তু কখনো আমরা একসাথে ক্লাস করিনি, তাহলে কি করে ক্লাসমেট? আসলে ক্লাসমেট না বলে ইয়ারমেট বলাটাই মনে হয় বেশি যুক্তিযুক্ত। আমারা প্রাইভেট পড়েছিলাম কিছুদিন একসাথে এবং সে সুবাদেই ইয়ারমেট না ভেবে ক্লাসমেট ভাবতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধা করতাম। সামান্য আলাপ চারিতায় একটুখানি পরিচিত। সাবিত্রী খুব সুন্দরী আর নরম প্রকৃতির মেয়ে ছিল। সরস্বতীর পুজোয় ওকে একদিন জিজ্ঞেস করেছিলাম রাজহাসের সাথে তোর সাদা মূর্তিটা বানায়ছে ক্যারে ? ওর স্বভাবসুলভ জবাব ছিল, যাহ্! আমার হবে কেন? এটাতো সরস্বতীর প্রতিমা। ওরে কখনো রাগতে দেখিনি। নারীরা যে কারনে সবচেয়ে বেশি সুন্দরী হয় তা ছিল ওর মাঝে ১০০তে ১০০, আর তা হলো লজ্জা। ওর মতো লজ্জাবতী কন্যা আমি আর দ্বিতীয়টা দেখিনি।
জয়পারা পাইলট স্কুলের সামনে ওদের একটা মুদি দোকান ছিল। সে দোকানে ও মাঝে মাঝে বসতো । এক টাকায় দুই তকতি পাওয়া যেতো এবং দুইটা লাল ফোটা দেওয়া সাদ বিস্কুট । আমি তিনটা নিয়ে নিতাম কখনো জোর খাটিয়ে, কখনোবা ক্লাসমেটের অধিকারের বলে। তখনো বুঝিনি কি একটা ঝামেলায় যেন ওদের বাড়ীটি বিক্রি করে দিয়েছিল। বাড়ী বিক্রি করার পরও ওর ছোট ভাই দোকানটি চালাতো । কিন্ত মাঝ কিছুদিন পর ওরা হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে গেল। ওদের আর কোন হদিস পাইনি, খুঁজিওনি । খোঁজার ইচ্ছাও কখনো করিনি, আগেই বলেছি সাবত্রি আমার বন্ধু ছিল না। তবু কোথাও যেন শূন্যতা কাজ করতো মাঝে মাঝে। কিশোরবেলার সেই মন অজানা কারনেই মাঝে মাঝে মনে করে সাবিত্রীর কথা।
কাল হটাত করে ফেসবুকে আলাপ চারিতায় পরিচয় হল সাবিত্রীর ভাইপোর সাথে। ওর কাছে শুনলাম সাবিত্রী বিয়ে করে চলে গেছে ইন্ডিয়াতে। আহ্! এই জীবনে আর কখনো দেখা হবে না ওর সাথে। কিশোর বেলার সে লাল ফোটাওয়ালা সাদা বিস্কুট জোর করে খাওয়ার জন্যে স্যরিও বলতে পারবো না। আমারা একই এলাকার পাড়া-প্রতিবেশী ,আমরাই তো আপনজন কিন্ত শুধু নোংরা রাজনৈতিক ব্যবস্থা আর ধর্মীয় বিভাজনে পর হয়েছি। চলে গেছে অনেক দূরে যেখানে ও নিশ্চিত নিরাপত্তা বোধ করে। আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে ওর মন খারাপ করেনা জন্মভূমির জন্যে ? যেখানে ও কানামাছি খেলছে, পুতুলের বিয়ে দিছে। সাবিত্রী, যেখানে থাকিস ভাল থাকিস রে...
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১:২৮
শিপন মোল্লা বলেছেন: হা অভি ভাই অনেক দিন পর। বেশ কিছুদিনই ভাবতে ছিলাম ব্লগে আবার ফিরে আসবো । ইচ্ছা আছে আবার নিয়মিতো হবার ।দোয়া কয়রেন আমার জন্যে ।
হা আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। আপনি কেমন ?
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বন্ধু দিবসের শুভেচ্ছা। বন্ধুত্ব হোক চিরদিনের জন্য।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:০৪
শিপন মোল্লা বলেছেন: আজকাল বন্ধুও হয় মেপে ঝুপে ! দিন বদলায়ছে বন্ধুর ধরনও বদলায়ছে। ধন্যবাদ কাণ্ডারি ভাই।
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: খাইছে!!!!!! এত দিন পর আপনি পোষ্ট দিলেন!!
আপনার বন্ধুর জন্য শুভ কামনা থাকল!
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৬
শিপন মোল্লা বলেছেন: আসলে মাঝে মাঝে ফেসবুকে বোরিং ফিল করি এই ব্লগে কখনোই তা করতাম কিন্ত ইদাইং আর ব্লগেও আসা হয়ে উঠে না। ইচ্ছা আছে আবার ব্লগে নিয়মিত হবার।
ধন্যবাদ কাভা ভাই।
৪| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ২:৫৩
নাজনীন১ বলেছেন: সবাই দেখছি অনেকদিন পর পর পোস্ট দিচ্ছে। পুরোনো অনেকেই নিরব। ম্যালাদিন পর ব্লগে এসে পরিচিত মুখগুলো একটু দেখে গেলাম! কেমন আছেন?
আপনার বন্ধুর জন্য শুভেচ্ছা! আমার স্কুলজীবনের এক বান্ধবী, বিয়ের সুবাদে ভারতে। অনেকদিন পর তার ফোন নাম্বার পেয়ে সারপ্রাইজ দিতে ফোন দিলে একরাশ অভিমান ঝরে পড়লো তার গলায়, আমার খবর কেউ রাখে না! বললাম, গেলি ক্যান ঐ মরার দেশে?
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২১
শিপন মোল্লা বলেছেন: আছি ভালই । হুম অনেক দিন পরই আসলাম আপনার খবর কি ?
আসলে স্কুল জীবনের বন্ধুরাই জীবনে অনেকখানি হয়ে থাকে। আমার ভীষণ কষ্ট লাগে কেন যে হিন্দু সম্প্রদায়ের বন্ধুরা অই দেশটাকে তাদের জন্যে নিরাপত্তার সঠিক দেশ মনে করে । আসলে সত্যি তো এই, অখানে গিয়ে অরা ভাল থাকে না। তারপরও যায়
৫| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:২৮
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আসলে মনের মিল না হইলে বন্ধুত্ব হয় নারে ভাই যতই চেষ্টা চরিত্র করা হোক না কেন।
১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:২২
শিপন মোল্লা বলেছেন: টাই আসল কথা ।
৬| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
ফেইসবুকেই পড়েছিলাম।
বন্ধু দিবসে আমার পড়া সেরা লেখা এইটা।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৪
শিপন মোল্লা বলেছেন: হা হা অনেক সম্মানিত করে দিলেন পোকা ভাই ।
ধন্যবাদ । ভাল থাকবেন ।
৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:০৫
রঙ তুলি ক্যানভাস বলেছেন: ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে হঠাত করে কোন কারণ ছাড়াই পুরোনো বন্ধু কিংবা সহপাঠীদের কথা হঠাত করেই মনে পড়ে যায়...কখনোবা অল্প পরিচিত কারো কথা..বিচিত্র মন..
অনেকদিন পর এলাম আপনার ব্লগে,আপনিও অনিয়মিত ছিলেন দেখছি.।।।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:৩৮
শিপন মোল্লা বলেছেন: আসলে যায় দিন ভাল আসে দিন খারাপ। ব্যস্ত এই জীবনে আজকাল কে কাকে মনে করে কিন্ত ছেলেবেলার বন্ধুরা হটাত করেই মনের মাঝে এসে ভির করে । নস্টালজিয়ায় পরে যেতে হয় চরম করে ।
হা প্রায় দের বসর পর এলাম আবার সামুতে ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৫৪
স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনেক দিন পর পোস্ট দিলেন, ভালো আছেন আশা করি!