![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কারো মতন নয়ই, একান্তই আমার মতো। বন্ধু-বান্দব আর পারিবারিক সব সম্পখের ক্ষেএে ভীষণ আন্তরিক। হাসি-খুশি আর দলবল নিয়ে ২৪ ঘন্টাই আড্ডায় থাকতে ভালবাসি। ভালোবাসি সাদা গোলাপ আর প্রিয়তমাকে। আমি এক আল্লাহ্র ইবাদত করি আর হজরত মুঃ সাঃ কে অনুসরন করি। সৃজনশীল বিষয়ে আগ্রহ করি। রাজনীতি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে বা আছে। জিয়াকে মডেল করে সমাজের ভাল পরিবর্তনের চেষ্টায় আছি। বর্তমান পরিবেশে দেশে কিছু করার মুরোদ রাখিনা তাই পরবাসী আছি। দেশ ও দেশে বসবাস করা প্রিয় মানুষদের জন্য অনবরত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। নিজের অনুভূতি,অস্তিত্ব আর ভালোলাগা গুলো পরে থাকে প্রিয় জয়পাড়ায় যেখানে আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে। দুঃখ একটাই জীবনে কোথাও শ্রেস্ট হতে পারিনি। আমি লিখতে পারিনা,আর লিখা লিখি করার জন্যও আমি ব্লগে আসিনি। আমি পড়তে এসেছি। নিজেকে একজন ভাল পাঠক বলে দাবি করি।
চারদিকে প্রশ্নপত্রের ছড়াছড়ি দেখে অনেকে অনেক বলাবলি করছে! ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে মাতম করছেন কেউ কেউ! হায় হায় করছেন কি হল আমাদের শিক্ষার কি হবে আমাদের বাচ্চা কাচ্চার। প্রতিদিন পত্রিকায় হেডলাইন হচ্ছে, অপরদিকে প্রেস ব্রিফিং দিয়ে সেটাকে বরাবরের মতই গুজব বলে উড়িয়ে দিচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়!! পত্রিকাগুলোও হাল ছেড়ে দিচ্ছে মনে হয়। মূল শিরোনাম থেকে তা আস্তে আস্তে ভেতরের পাতায় চলে যাচ্ছে। কিছুদিন পরে হয়তো প্রশ্নফাঁসের বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশের অনুপযোগী হয়ে যাবে, তথা গুম-খুন-ধর্ষণের মত এই বিষয়টিও আমরা সয়ে যাচ্ছি ধীরে ধীরে!! ভাল, সয়ে যাওয়া ভাল। তবে কবি বলেছেন, সমুহ পঁচন থেকে মাথাটা বাঁচাও... কিন্তু সেটা হয়তো আর সম্ভব হচ্ছেনা। ঘুনপোকা ধরে ফেললে সেটাকে কি আর বাঁচানো যায়? যায় না। রাষ্ট্রই যেখানে চলছে অবৈধ শাসকের হাতে, সেখানে প্রশ্নফাঁস খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নয় বৈকি!!
এই সব দেখে পারিবারিক একটা ঘটনা সকলের সাথে শেয়ার করতেছি , ৭২রে আমার মেঝ চাচা ক্লাস সেভেন থেকে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছিলেন তার মুক্তিযোদ্ধা ছোটভাইয়ের দাপটে । ৯৬ তে যখন আওয়ামীলীগ দেশের ক্ষমতায় আসে তখন নকল আর বই দেখে পরীক্ষা দেওয়ার সিস্টেম চালু করেছিল ছাত্রলীগ। এহসানুল হক মিলনে এসে নকলের ঐতিহ্যকে যাদুঘরে পাঠাতে পেরেছিলেন বটে, তবে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করা হয়নি আর। পূনারায় ক্ষমতায় এসে আওয়ামিলীগ পরীক্ষার আগের রাতে কষ্ট করে নকল তৈরি করার ঝামেলা রাখেনি। এখন পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র পৌঁছে দেয়া হয়, পরীক্ষার্থীরা চুপচাপ পরীক্ষা দিয়ে যায়। ফাঁসকরা প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত না করতে পারলেও সমস্যা নেই। হলে বসেই দেখাদেখি করে লেখা যায়। খাতায় না লিখতে পারলেও সমস্যা নেই, খালি খাতায় নাম্বার দেয়ার বিষয়েও সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন অবৈধ শিক্ষামন্ত্রী। আর পরীক্ষা দিয়েই শুধু ছাত্রলীগ বা আওয়ামীলীগের পরিবারের সন্তান হলেই চাকরির নিশ্চিয়তা, আর কি চাই বাবা!! মেধাবীরা নয় আওয়ামীলীগের লোকজনই দেশ চালাবে ।
প্রশ্নপত্র ফাস নকল করে পরীক্ষা দেওয়া-এই সব আওয়ামীলীগের পুরানোই খাচলত। মুক্তিযুদ্ধের পর এই কালচার শুরু করেছিলেন আওয়ামিলীগের গুরু শেখ মুজিব। নকল করে পাশ করা দল দল শিক্ষার গুরুত্ব কি বুঝবে ? অনেকেই হা-হুতাশ করলেও আমার বুঝে আসে না এসব। আরে এমনটাই তো হবার কথা। হচ্ছেও তাই। এই সিস্টেম মেনে নিয়ে নিজ সন্তানকে নিজের মত করে শিক্ষা দিন, নৈতিকতার ভিত্তিকে মজবুত করে নিন।
আপনারাইতো এই দলকে ক্ষমতায় আনতে সহায়তা করেছিলেন। ভুলে গেছেন ২৯ ডিসেম্বরের কথা? মার্চ ফর ডেমোক্রেসি'র কথা? হা হা হা!! এলা মুড়ি খান।
২৯ শে নভেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৪৬
শিপন মোল্লা বলেছেন: শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন ফেসবুকে প্রশ্নপত্র পাওয়া গেছে তাই ফেসবুক বন্ধ করে দিবে এখন নীলক্ষেতে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় সেটাও বন্ধ করে দিবে তাহলে । শালার পাগল ছাগল মন্ত্রীই দেশকে ডুবাবে সাথে আওয়ামীলীগকেও ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৩
স্বপ্নছায়া বলেছেন: নীলক্ষেতে নাকি প্রশ্ন বিক্রিও হয় । আহা কি আনন্দ প্রশ্ন দেখে পরীক্ষা দেয়ার মজাই আলাদা । এরাইতো ভালো রেজাল্ট করে জাতির মুখ উজ্জল করবে ।