![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি কারো মতন নয়ই, একান্তই আমার মতো। বন্ধু-বান্দব আর পারিবারিক সব সম্পখের ক্ষেএে ভীষণ আন্তরিক। হাসি-খুশি আর দলবল নিয়ে ২৪ ঘন্টাই আড্ডায় থাকতে ভালবাসি। ভালোবাসি সাদা গোলাপ আর প্রিয়তমাকে। আমি এক আল্লাহ্র ইবাদত করি আর হজরত মুঃ সাঃ কে অনুসরন করি। সৃজনশীল বিষয়ে আগ্রহ করি। রাজনীতি আমার রক্তের সাথে মিশে গেছে বা আছে। জিয়াকে মডেল করে সমাজের ভাল পরিবর্তনের চেষ্টায় আছি। বর্তমান পরিবেশে দেশে কিছু করার মুরোদ রাখিনা তাই পরবাসী আছি। দেশ ও দেশে বসবাস করা প্রিয় মানুষদের জন্য অনবরত হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। নিজের অনুভূতি,অস্তিত্ব আর ভালোলাগা গুলো পরে থাকে প্রিয় জয়পাড়ায় যেখানে আমার শৈশব আর কৈশোর কেটেছে। দুঃখ একটাই জীবনে কোথাও শ্রেস্ট হতে পারিনি। আমি লিখতে পারিনা,আর লিখা লিখি করার জন্যও আমি ব্লগে আসিনি। আমি পড়তে এসেছি। নিজেকে একজন ভাল পাঠক বলে দাবি করি।
প্রকৃতির স্বাভাবিক কিছু নিয়ম-কানুন আছে। এই নিয়মের ভেতর যারা চলে, তারা সাধারণ মানুষ। রাতে ঘুমায়, সকালে উঠে, সারাদিন কাজ করে, টাকা উপার্জন করে এবং দিনশেষে নীড়ে ফিরে যায়। ফের ঘুম-ফের জাগা ব্যস্ততা।ৱ
দুই শ্রেণীর মানুষ এই নিয়মের ব্যতিক্রম করে-
এক. যারা ট্যালেন্টেড একং ক্রিয়েটিভ। ট্যালেন্টেড বলছি এই কারণে,এরা একই ধরণের কাজ ভিন্নভাবে করতে পারে অথবা প্রথাগত নিয়মের বাইরে নতুন কিছু সৃষ্টি করে। বিজ্ঞানী, শিল্পী, গায়ক, নায়ক ইত্যাদি ইত্যাদি এই শ্রেণীর।
দুই. এরা সময়ের উল্টো পথের পথিক, আমরা যাদেরকে সমাজের আবর্জনা বলি। ব্যতিক্রম কিছু করতে গিয়ে এরা পথ থেকে বিপথে চলে যায়। প্রতিটি সমাজের উত্থান এবং পতনে এই দুই শ্রেণীর মানুষের অবদানই সবচেয়ে বেশি। তথাকথিত নেশাখোর নায়ক-গায়করাই মূলত এই শ্রেণীর প্রতিনিধি।
এই দুই শ্রেণীর বাইরে যারা, তারাই সাধারণ শ্রেণী। এই শ্রেণী ট্যালেন্টেড/ক্রিয়েটিভ শ্রেণীর সৃষ্টিশীলতা দ্বারা উপকৃত হয় এবং আবর্জনা শ্রেণী দ্বারা বিভিন্ন ধরণের ঝামেলার মুখোমুখি হয়।
সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত মডেল (!) জ্যাকুলিন মিথিলার আত্নহত্যার বিষয়টি নিয়েই এই লেখা। মেইনস্ট্রিম মিডিয়ার শিরোনাম হওয়ার জন্য এই মেয়ে ফেসবুকে যা খুশি তাই করেছে। জ্যাকুলিন মিথিলার মত আরো কিছু সো কল্ড মডেল আছে এই তালিকায়। মূল মিডিয়ায় জায়গা পাওয়ার জন্য পুরো কালচারটাই এরা নষ্ট করে ফেলেছে এবং ফেলছে। কুরুচিপূর্ণ ড্রেসে ফেসবুক লাইভে এসে কিশোর-তরুণদের সুড়সুড়ি দিয়ে মাথা নষ্ট করাই এদের মূল কাজ এবং এই সস্তা জনপ্রিয়তাকে (!) পুঁজি করেই এরা উপরে উঠার স্বপ্ন দেখছে। এতে কাজের কাজ আসলে কিছুই হয়না। সাময়িক দু-একটি ভাল সুযোগ হয়তো আসতে পারে, কিন্তু এই জনপ্রিয়তার পারসিসটেন্সি থাকেনা। শরীর আর ব্যক্তিত্ব বিকোতে বিকোতে একটা সময় এদের হুঁশ হয়, কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। এরা প্রচন্ড রকমের ফ্রাস্টেটেড হয়ে পড়ে, ফলে আশ্রয় খোঁজে নেশার ভিতর। উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরার কারণে পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় স্বজন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এরা অন্ধকারের পথে পা বাড়ায়। সেই অন্ধকার এক সময় আরো গাঢ় হয়। শরীরের নেশা কেটে গেলে মৌমাছিরাও পালিয়ে যায়। অনবদ্য নিঃসঙ্গতা আর অসহায়ত্বের একমাত্র সমাধান তখন আত্নহনন। মিথিলার ক্ষেত্রেই সেটাই হয়েছে।
এরকম ঘটনা আরো ঘটবে আমাদের দেশে। জ্যাকুলিন মিথিলা এর শুরু মাত্র। একটা বাংলাদেশী মেয়ের এরকম বখে যাওয়াটা এ্যালার্মিং। সবাইকে অনুরোধ করবো, আপনার মেয়ে, বোন, বান্ধবী, প্রেমিকাকে সামলে রাখুন, আগলে রাখুন। পারিবারিক বন্ধনটাকে দৃঢ় করুন। আমরা যাতে ভুলে না যাই এটা বাংলাদেশ এবং আমাদের দেশে এরকম নোংরামি এখনো স্বাভাবিকতা পায়নি। যতদিন পর্যন্ত জ্যাকুলিন মিথিলাদের এরকম চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খলতা হিসেবে বিবেচিত হবে, ততদিন পর্যন্ত এরকম অস্থিরতা চলতেই থাকবে, আত্নহননও থামবেনা। সুতরাং, আমাদের উচিত হবে সময়ের বিপরীতে চলার চেষ্টা না করা। সব কাজ সবার জন্য না, সবার মডেল হবার দরকারও নাই।
১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৪:৫৭
শিপন মোল্লা বলেছেন: বালাই ষাট ।
২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৭
সাহসী সন্তান বলেছেন: সত্যি বলতে কেউ বিশ্বাস করুক অথবা না করুক, জ্যাকুলিন মিথিলা না মরলে আমি জানতামই না যে, ঐ নামে আমাদের দেশে একজন মডেল ও আইটেম গার্ল ছিল! আমার তরফ থেকে আপাতত মিথিলার জন্য এতটুকু পরিমাণে সমবেদনা নাই!
ও মডেল ছিল সেই কারণে নয়! আসলে এর অন্যতম কারণ হল ওর মৃত্যু! আত্মহত্যাই যে জীবনের শেষ সমাধান হতে পারে, এইটা আমি নিজে যেমন মানি না, তেমনই যারা মানে তাদেরকে মনে প্রাণে ঘৃণা করি!
একবার আত্মহত্য থেকে বেঁচে যাওয়া মানুষদের অনুভূতি নিয়ে বিবিসির একটা প্রতিবেদন পড়ছিলাম! যেখানে উল্লেখিত প্রত্যেকটা ব্যক্তি স্বীকার করছিল, আত্মহত্যা থেকে বেঁচে গিয়ে তারা এখন খুব ভাল আছে! এবং তাদের পূর্বের ডিসিশনটা ছিল সম্পূর্ন ভুল!
৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪১
মানবী বলেছেন: জ্যাকুলিন মিথিলার নাম পোস্টেই জানলাম।
আসলে আত্মহননের প্রবণতা যেকোন শ্রেনীর যোন মানুষের মাঝে হতে পারে। নৈতিকতার অধঃপতন কারো কারো কারণ হলেও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক সুস্থ মানুষ যেকোন হতাশা আর বিষন্নতায় এমনটা করতে পারে।
আত্মহনন সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেয়া জরুরী। পরিচিত অপিরিচ কেউ কখনও আত্মহননের ইচ্ছে প্রকাশ করলে তা গুরত্বের সাথে গ্রহন করে, তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের জানানো জরুরী। এক্ষেত্রে তিরস্কার বা অবহেলা না করে তাঁর কাউন্সেলিং এর প্রয়োজন, প্রফেশনাল দিয়ে অথবা পারিবারিক বন্ধু বান্ধবের মাধ্যমে।
পোস্টের জন্য ধন্যবাদ শিপন মোল্লা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪
চাঁদগাজী বলেছেন:
আপনার লেখা দেখে মনে হচ্ছে, আপনিও টেলেন্টেড; শেষে আপনার উপরও পোস্ট পড়তে হয় কিনা কে জানে!