![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বক্ষব্যাধির ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম গতো সপ্তাহে, যদিও তেমন কিছু না। তিনি দুইটা টেষ্ট করাইতে দিলেন। নাক এবং বুকের। রিপোর্ট দেখিলাম। সমস্যা তেমন নাই। তবে একটা চিন্তায় বুক হিম হইয়া গেল, কল্পনার আকিবুকি ঢেউ খেলিয়া গেল, বিশেষ করিয়া নাক, মুখ ও খুলির মাংসহীন ছবি দেখিয়া বুকের ভিতর ঠান্ডা রক্ত ছলাত করিয়া উঠিল। অদূর ভবিষ্যতের বাস্তবতা যেন হঠাত সামনে আসিয়া পড়িল। আর কত দিন? আজতো ২৫। আর মাত্র ৩০/৩৫ বছর, নয়তো ৫০, তারপরে, ইহাই তো আমার অলঙ্ঘনীয় নিয়তি, নয় কি?
একটা ঘটনা তাই মনে পরিল। কোথাও পড়িয়াছিলাম। একদিন এক ব্যক্তি দ্রুত পদে হাটিয়া যাইতেছিলেন। পথিমধ্যে একটা পুরনো মাথার খুলি পদতলে পিষ্ট হইয়া চূর্ণ হইয়া গেল। চূর্ণাবশেষ হইতে আওয়াজ আসিল, “হে পথিক, একটু সাবধানে পা ফেলিও। আমিও একদিন তোমার মত গর্বিত মানুষের মস্তক ছিলাম।”
আসলেই তো। আজ যে মাথায় শত পরিকাল্পনা গিজগিজ করিতেছে, কাল তো তাহা ধূলায় মিশিয়া যাইবে। যে মাথা মা’বুদকে চিনিতে ব্যবহৃত হইলনা, সেদিন ইহার কী দাম হইবে যেদিন ইহা নিয়া ইহারই সৃষ্টিকর্তার সামনে দাড়াইতে হইবে?
অবসর সময়ে এইসব কিছু ভাবনা আসে। যাহা এড়াইতে পারিব না, উহার কল্পনা হইতেও দূরে ও নির্ভয় থাকিতে পারি না।
বিজ্ঞান ও টেকনোলজি তো সৃষ্টিকর্তাকেই চিনিতে সাহায্য করিতেছে। পার্থক্য আমাদের দেখার। যদি সঠিকভাবে দেখিতে ও চিন্তা করিতে পারা যায়, তাহলে সৃষ্টির ভেতর দিয়াই আল্লাহ তায়ালাকে এবং আমাদের ঠিকানাকে চিনিয়া লওয়া যাইবে।
©somewhere in net ltd.