নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পবিত্র জেরুজালেম আসলে কাদের অধিকার?

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭

পবিত্র ভূমি জেরুজালেম ও মসজিদুল আক্বসা এলাকা বহু কাল আগে থেকেই বহু নবীদের জন্ম স্থান, তীর্থস্থান ও দ্বীন প্রচারের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ও প্রতিষ্ঠিত।  এখানে বহু নবী, বিশেষ্ করে, ইব্রাহীম আঃ ও ঈসা আঃ এর জন্মভূমি। হযরত সোলাইয়মান আঃ মসজিদুল আক্বসা নির্মান করেন।  এই মসজিদ অনেক নবীর ইবাদতগাহ ছিল। এদের মধ্যে ইয়াহুদিরা মুসা আঃ ও খ্রিস্টানরা ঈসা আঃ এর অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এনারা বেশিভাগই বনী ইস্রাইল বংশের নবী ছিলেন।

নবীদের পরিক্রমায় আসলেন সর্ব শেষ নবীজী হযরত মুহাম্মাদ সাঃ। শেষ নবী হযরত মু্হাম্মাদ  সাঃ এর মিরাজের শুরু হয়েছিল এই মসজিদ থেকে। এটা মুসলমানদের প্রথম ক্বেবলা-ও বটে। মুহাম্মাদ সাঃ শেষ সত্য ধর্ম ইসলাম নিয়ে আসেন। নবীজীর পরে ওনার খাটি সাহাবিরা এই ইসলামকে দূর-দূরান্তে প্রাচারিত করেন।

ইসলামে ২য় খলিফা,আমীরুল মুমিনিন ওমর রাঃ এর আমলে রক্তপাতহীন অবস্থায়, সন্ধির অধীনে ততকালীন খ্রিস্টান শাসকেরা মুসলিম খলিফার কাছে জেরুজালেম ও বায়তুল মুকাদ্দাসের চাবি হস্তান্তর করেন। তখন থেকেই সুদীর্ঘকাল তা মুসলিমদের অধিকারে থাকে। এখানকার বেশিরভাগ ইয়াহুদি ও খ্রিস্টান অধিবাসীরা ইসলাম গ্রহন করে। বাকি অন্য ধর্মের সকল মানুষ মুসলমানদের সাথে শান্তির সাথে সহ-অবস্থান করতে থাকে।

দুর্ভাগ্যক্রমে, একসময় খ্রিস্টান ক্রসেডারগণ বায়তুল আক্বসা দখল করে ও মুসলিমদের উপরে অবর্ণ্নীয় নির্যাতন করে। বিখ্যাত মুসলিম সেনানায়ক সালাউদ্দীন আইয়ুবী রঃ তা পু্নরুদ্ধার করেন ও সেখানে শান্তি ফিরিয়ে আনেন। মুস্লিমগন আবার মসজিদুল আক্বসা / বায়তুল মুক্কাদ্দাসে নামাজ আদায় করতে থাকেন। মুসলমান শাসকদের আমলে অত্র এলাকায় সকল ধর্মের মানুষের মধ্যে মিল-মহব্বত ও শান্তি বজায় ছিল।

সম্প্রতি, গত শতাব্দিতে, ইয়াহুদিরা জার্মানির হিটলার দ্বারা  নির্যাতিত ও বিতারিত হলে তাদে্র  একটা ভাগ ফিলিস্তিনে আশ্রয় নেয়। মুসলামানেরা ঈমানের খাতিরে এই হতভাগ্যদের আশ্রয় দিল। মেহ্ মান-কে আশ্রয় দেওয়া আরবদের ঐতিহ্য। কিন্তু হীতে বিপরীত। তখন থেকেই ইয়াহুদিরা তাদের পাপের কারনে আর আন্ত্ররজাতিক প্রচার মাধ্যমকে ব্যবহার করে ফিলিস্তিনে নিজেদের দখলদারিত্ত্ব প্রতিষ্ঠা করতে সমর্থ হয়। এককালের আশ্রয়দাতা আরব-মুসলিম-ফিলিস্তিনিদের উপরে তারা অকথ্য জুলুম শুরু করে। এ বেদনাদায়ক ইতিহাস কারো অজানা নয়।  আশ্রয়দাতা ফিলিস্তিনি আরবদের আজ ইয়াহুদিরা আশ্রয়হীন করতে মরিয়া। অর্থাত, ইয়াহুদিদের অবস্থা হোল-" বসতে দিলে শুইতে চায়, শুইতে দিলে ঘর দখল করতে চায়"।

এই ইয়াহুদি জাতি তাদের নিকট আগত বহু নবীকে হত্যা করেছিল। বিশ্বাসঘাতকতা আর মুনাফেকী তাদের ঐতিহ্য। কোরানের ভাষায় তারা অভিশপ্ত। সাম্প্রদায়িক চেতনার সকল খারাপ দিক এদের মধ্যে বিদ্যমান।

যাই হোক; পবিত্র হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, শেষ জমানায়, মুস্লিমদের শেষ ত্রাতা আসবার আগে পর্যত্ন পবিত্র জেরুজেলে্মের ভাগ্যে খুব ভাল কিছু লেখা নেই।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭

কানিজ রিনা বলেছেন: খুব সুন্দর একটা পোষ্ট দিয়েছেন, তাই
আন্তরিক অভিনন্দন।
হিটলারের সিদ্ধান্ত মনে হয় ঠিক ছিল
হিহুদীজাতী নিশ্চন্হ করা। তাহলেই মনে
হয় ভাল হত। ধন্যবাদ।

২| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:১০

আমানউল্লাহ রাইহান বলেছেন: ধন্যবাদ প্রিয়।

৩| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সূরা রা’দের ১১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ বলেছেন-
"মানুষের জন্য তার সম্মুখে ও পশ্চাতে একের পর এক প্রহরী থাকে, তারা আল্লাহর আদেশে তার রক্ষণাবেক্ষণ করে। আল্লাহ অবশ্যই কোন সম্প্রদায়ের অবস্থা পরিবর্তন করেন না যতক্ষণ না তারা নিজ অবস্থা নিজে পরিবর্তন করে। কোন সম্প্রদায় সম্পর্কে আল্লাহ যদি অশুভ কিছু ইচ্ছা করেন তবে তা রদ করার কেউ নেই। এবং তিনি ব্যতীত তাদের কোন অভিভাবক নেই।" (১৩:১১)

মুসল্মান নামধারী লেবাস ধারি সসিডি গংয়ের হাতে ক্ষমতা রেখে কিছুই হবে না!!!! মুস্লিম জাতিকেই আগে নিজেদের নেতৃত্ব ঠিক করতে হবে! তবেই যদি কিছু হয়!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৬

আবু সায়েদ বলেছেন: ঠিক।

৪| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


জেরুসালেম সম্পর্কে আপনার ও অনেক বাংগালী মুসলমানদের নিজস্ব ভুল ইতিহাস থাকায় আপনারা স্বয়ং প্যালেষ্টাইনীদের চেয়ে বেশী দু;খ পাচ্ছেন।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫

আবু সায়েদ বলেছেন: দুটি সম্পুর্ণ ভিন্ন বিষয়। আপনি এক করে গুলিয়ে ফেলেছেন। বাংলা ভাষা, বাঙ্গালী ইতিহাস আমাদের নিজের ইতিহাস, একে অস্বীকার করার কারন নেই। তেমনি, মুসলিম জাতি হিসাবে আমাদের সকল মুসলমানের অন্তর, ধর্মীয় সংস্ৃতি ও ঐতিহ্যের সাথে মক্কা-মদীনা জেরুজালেম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যারা কোরান-হাদিস ও মুসল্মান দের ভাগ্য নিয়ে ভাবেন, তাদের অনেক ভাবিত হবার কারন আছে। অপরদিকে, যেসব বন্ধুগণ নিজেদের মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতেই কু্নঠা হয়, তাদের অতসব ভাবার ফুরসত কই? যা হোক, দুটি আলাদা বিষয়-কে গুলিয়ে না ফেলাই ভাল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.