নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

The Great (মহামতি) আকবর কতটুকু মহামতি?

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪১

ইতিহাসখ্যাত মোগল সম্রাট আকবর ভারতবর্ষ শাসন করেছিলেন প্রায় ৫০ বছর। তার পিতা মোগল সম্রাট হুমায়ুন। বর্তমান প্রচলিত ইতিহাসের কিছু বইয়ে এবং প্রচারিত মিডিয়ায় তাকে স্মরণ করা হয় The Great (মহামতি) আকবর হিসেবে। মহান হবার কিছু বিশেষত্ত্ব থাকে; সম্রাট আকবরের কী এমন বিশেষত্ত্ব যার কারনে তাকে মহামতি উপাধি দেওয়া হয়। রাজ্য শাসনে অভিনবত্ত্ব? নাকি নতুন রাজ্য প্রতিষ্ঠা? নাকি প্রজা-বতসল রাজা? নাকি সর্বাধিক বড় রাজত্ত্বের অধিকারী?

মোগল রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন সম্রাট বাবর। তার পুত্র হূমায়ুন কিছুদিনের জন্য আফগান শুরীদের নিকট রাজ্য হারিয়ে পরাশ্রিত ছিলেন। পরে বিখ্যাত সেনাপতি “বৈরাম খা” এর কৌশলে ও বীরত্ত্বে সে দিল্লীর দরবার পুনর্দখল করতে সক্ষম হয়। মোগল সাম্রাজ্য পুনর্দখলের মূল কারিগর হলেন “বৈরাম খা”। হুমায়ুনের মৃত্যুর পরে ‘নাবালক’ সম্রাট আকবরের মূল অভিভাবক ছিলেন “বৈরাম খা”। আকবর লেখাপড়া কিছুই জানত না। বৈরাম খা-ই পরামর্শ দিয়ে আকবর-কে সামনে রেখে রাজ্য চালাতেন। এ সেনাপতির মহানুভবতা অপরিসীম। ইচ্ছে করলে নাবালক আকবর-কে হত্যা কড়ে সরিয়ে দিতে পারতেন। কিন্তু তা তিনি করেন নাই। বছর খানেক পরে মত-বিরোধের কারনে আকবরের ইশারায় বৈরাম খা-কে হত্যা করা হয়।

হেরেম পত্নী ও উপ-পত্নী দিয়ে ভরানো শুরু করেন আকবর। ইতিহাস অনুযায়ী, তার হেরেম ন্যূনতম ৫০০ উপ-পত্নী থাকত। হিন্দু রাজারা আকাতরে আকবর-কে কন্যা দান করত। এসব কন্যারা তার হেরেমের শোভা বর্ধন করত। মদ্যপানে অত্যধিক আসক্ত ছিলেন তিনি। এটা কি কামুক ও লম্পট চরিত্র নয়?

তার অন্যতম সুকীর্তি (?) হইল “দ্বীন-ই-ইলাহী” নামক ইসলাম-হিন্দু মিশ্রিত নতুন ধর্মের প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করা। এতে পরিনামে তিনি ব্যর্থ-ই হয়েছেন।

রাজ্যের আকারের কথা চিন্তা করলে সর্বাধিক বড় রাজ্যের মালিক ছিলেন ‘সম্রাট আওরংজেব আলমগীর’। তিনি-ই সর্বাধিক সু-শৃঙ্খলভাবে রাজ্য পরিচালনা করেছেন। সকল প্রকার হেরেম ও উপ-পত্নী বন্ধ কড়ে দিয়েছেন। মদ্যপান নিষিদ্ধ করেছেন। তিনি-ও শাসন করেছিলেন প্রায় ৫০ বছর।

প্রজা-বাতসল্যের কথা চিন্তা করলেও আলমগীরের জুরি মেলা ভার। আসলে প্রায় সকল মোগল সম্রাটই হিন্দু-দের অনেক প্রাধান্য দান করতেন। আলমগীরের প্রধান সেনাপতি ছিলেন যশোবন্ত সিং ও উদয় সিং। হিন্দু প্রাজারা-ও অনেক ভালই ছিলে তার আমলে।

তাইলে এখন কোন হিসেবে ‘আকবর-কে’ মহামতি বলা হয়? এটা কি শুধুই এ জন্য যে, তিনি “দ্বীন-ই-ইলাহী” চালু করেছেন? নাকি এজন্য যে তিনি আন্যায় ও বিশ্রীভাবে হিন্দুদের অনেক বেশি প্রধান্য দিয়েছে ও তার বিনিময়ে হেরেম ভর্তি করেছেন?
আসলেই, সত্য কি?

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


আসল সত্য হলো আপনার মনোভাব! আকবরের "মহামতি" উপাধি কেড়ে নিলাম; আওরংগজেবকে তা দিয়ে দিলাম; এটা প্রতিষ্ঠিত করার সব দায়িত্ব আপনাকে দিলাম।

অন্য কোন সম্রাটের সমস্যা ধরতে পারলে আমাকে জানাবেন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৪

আবু সায়েদ বলেছেন: এখানে মনোভাবের কোন বিষয় নেই। কোন যোগ্যতার বিচারে আকবরকে মহামতি বলা যায়-তা আপনি বলুন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৬

আবু সায়েদ বলেছেন: নিরেট ঐতিহাসিক তথ্যাদির আলোকে পারফরমেন্স করলে বাবর অথবা আওরংজেব-ই মহামতি উপাধি পাবার যোগ্য।

২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আকবর শাসক হিসেবে দুর্বল ছিলেন। তাকে আমি মহামতি বলব না।

৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

ইমরান আশফাক বলেছেন: বৈরাম খাঁর ঘটনা সত্য।

৪| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: যার যেমন চিন্তাভাবনা। জ্ঞানের পর্যায় বলা যাবে না, কারণ ইতিহাস এমন জিনিস, এটা যেমন খুশী লেখা যায়। আপনি কার লেখা বই পড়েছেন সেটার ওপরে আপনার চিন্তা নির্ভর করছে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮

আবু সায়েদ বলেছেন: যার বই পড়ি না কেন, এখানে নিরেট ঐতিহাসিক তথ্য সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ইতিহাস যেমন খুশি লিখা যায় না, খুশি-মত লিখলে তা মিথ্যা ইতিহাস। এইসব ভুয়া ভাবাবেগের কারনেই আকবর আজ মহামতি।

৫| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৪

আবু তালেব শেখ বলেছেন: পুরোনো ইতিহাস ঘেটে আর কি লাভ?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আবু সায়েদ বলেছেন: সঠিক ও সত্য যখন মিথ্যার দাবানলে নিঃশেষ হবার পথে, তখন সত্য -কে বারবার প্রকাশ করা উচিত।

৬| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৮

বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: প্রাঙ্গনেমোর নাট্যদলের নাটক আওরঙ্গজেব দেখলে সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আবু সায়েদ বলেছেন: নাটক-উপন্যাসের মাধ্যমেই ইতিহাসের সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে।

৭| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এই ইতিহাসগুলো নিয়ে বিতর্ক শেষ হবে না...

৮| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:১৫

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অন্যান্যদের তুলনায় আকবর প্রজাবৎসল ছিলেন, ছিলেন যথেষ্ট উদারও। অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ছিলো। তাঁর দ্বীন ই ইলাহী বিতর্কের সৃষ্টি করলেও এর উদ্দেশ্য মহৎ ছিলো। হিন্দু-মুসলিম এর মধ্যে বিভাজন নিরসনের প্রয়াস ছিলো।
আওরঙ্গজেব সম্পর্কে জ্ঞানের পরিধি একটু বাড়ান। তার কুকীর্তির মধ্যে একটা হলো, মোটামুটি সব ভাই হত্যা করা। পিতাকেও আমৃত্যু গৃহবন্দি করে রেখেছিলেন।

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আবু সায়েদ বলেছেন: আকবর শুধু নয়, প্রজা-বতসল অনেকেই ছিলেন। অন্যান্য সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ একজিনিস, আর প্রাধান্য দেওয়া আরেক জিনিস। হিন্দু-মুসলিমের বিভাজন নিরসনে নতুন ধর্ম বানানো হিন্দূ ও মুসলিম উভয় জতির নিকট সমান অপরাধ।

আওরংগজেব পিতাকে বন্দি করেছেন নাকি কী করেছেন- তা জানতে আপনি একটু জ্ঞানের পরিধি বাড়ান।

৯| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

কালীদাস বলেছেন: পোস্টের সাথে একমত। রাজা বাদশাহ বলতে গেলে একটাকেও দেখতে পারিনা, সেখানে মোগলগুলোর তো কথাই নাই। আকবরকে যারা গ্রেট ডাকে, বেশিরভাগই মুসলিম। শিট ম্যান। এই হারামী যে নতুন ধর্ম চালু করতে চেয়েছিল এই উপলক্ষ্যেই তো হারামজাদার পাছায় লাথি মারা উচিত ছিল।

আপনার সবার কমেন্টের উত্তর দেয়া উচিত। এভাবে স্কিপ করে রিপ্লাই দেয়াটা পাঠকের জন্য খুবই ইনসাল্টিং।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.