নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব তাবলীগ জামাতের গৌরব-দূর্গের পতনঃ (পর্ব-২ঃ বিভক্তি থেকে দাঙ্গা)

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

আলমী শুরা বনাম মাওলানা সাদ দ্বন্দ্বঃ
তাবলীগ জামাতের সাথিরা শুরা ও আমির কেন্দ্র করে নযিরবিহীন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। তাদের পুরনো সিফাত ও গুনাবলী, সহনশীলতা ও ধৈর্যেকে ভূলুন্ঠিত করে আলমী শুরা ও মাওলানা সাদের অনুসারিরা একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করতে থাকে। ফলে বাড়তে থাকে বিভক্তি, বিঘ্নিত হয় দাওয়াতী পরিবেশ।

নেযামুদ্দিন মার্কাযে দাঙ্গাঃ
২০১৬ সালে এই বেদনাদায়ক ঘটনা সংঘটিত হয়। মুখোমুখি অবস্থানে থাকার পরে মাওলানা সাআদ অনুসারী গ্রুপ ও আলমী শুরার অনুসারিদের মধ্যে ব্যাপক, রক্তক্ষয়ী ও প্রাণঘাতী দাঙ্গা অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষের অনুসারীরা বিপরীত মতের মুরুব্বিদের লাঞ্চিত করতে কুন্ঠিত হয় নি। তবে এ ঘটনার পরে মাওলানা সাআদের অনুসারী গ্রুপ নেযামুদ্দিনের দখল নিয়ে নেয় এবং আলমী শুরার মুরুব্বিদেরকে মার্কায থেকে বের কড়ে দেওয়া হয়। যারা চলে যান, তাদের মধ্যে প্রবীন বরেন্য আলেম মাওলানা আহমদ লাট, মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা, আলীগরের প্রফেসর সানাউল্লাহ, খালেদ সিদ্দিকী, নাদের আলী, ভাই ফারুক, মুফতি ইয়াকুব, প্রমুখ। এর মধ্যে মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা স্বয়ং সাআদ সাহেবের ওস্তাদ। এই দুঃক্ষজনক ঘটনার পরে পুরা ভারতের তাবলীগ জামাত দুই ভাগ হয়ে যায়, আলমী শুরা স্বতন্ত্রভাবে কাজ শুরু করে । দুনিয়ার বিভিন্ন মহল থেকে মাওলানা সাআদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হন অনেকে।

বিশ্বব্যাপী এর প্রভাবঃ
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তাবলীগী মার্কাযে-ও বিভক্তি দেখা যায়। কেউ আলমী শুরাতে যোগ দেন, অন্যদিকে কেউ বা মাওলানা সাদের নেতৃত্ত্ব মেনে নেন। তবে বর্তমানে আলমী শুরার পক্ষে মত দিয়েছেন বিশ্বের বেশিরভাগ প্রভাবশালী (তাবলীগের ক্ষেত্রে) দেশ।

বাংলাদেশের কাকরাইলে মার্কাযে এর প্রভাবঃ
ঢাকার কাকরাইল মার্কাযেও এর প্রভাব পরে। কাকরাইল মার্কাযের শুরা সদস্য ১১ জনের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় ৪ জন আলেম (মাওলানা যোবায়ের, মাওলানা মোহাম্মাদ হোসেন, মাওলানা ওমর ফারুক, মাওলানা রবিউল হক্ব) প্রবলভাবে মাওলানা সাদের একক আমীরত্ত্বের বিরধিতা করেন ও আলমী শুরার পক্ষে যোগ দেন। অধিকাংশ আলেম ওনাদের পক্ষে মত দেন। কিন্তু অপরদিকে প্রভাবশালী শুরা সদস্য ওয়াসিফুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা মাওলানা সাদের আমীরত্ত্ব মেনে নেন।

বাংলাদেশের কাকরাইলে মার্কাযে দাঙ্গাঃ
ফলে কাকরাইল মার্কাযে এ দু গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে দন্দ্ব তৈরি হয় এবং এক পর্যায়ে গত বছরের ১৪ নভেম্বর, ২০১৭ তারিখে দাঙ্গা বাধে। কাকরাইলের অনেক কক্ষ ভাংচুর হয় এবং অনেকে আহত হয়। পুলিশের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে এবং এরপর থেকে কাক্রাইল মার্কাযে সর্বদা পুলিশি প্রহরা নিযুক্ত হয়।

কাক্রাইল মার্কাযের শুরাদের বিশেষ উপদেষ্টা কমিটি গঠনঃ
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, কাকরাইল মসজিদে শান্তি, শৃংখলা ও স্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে, ও কাকরাইলের শুরাদের দেখভাল করার জন্য ও তাদের মধ্যে সম্প্রিতী ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রীর বাসায় দেশের বরেন্য ওলামা ও কাকরাইলের শুরাদের বৈঠোকের আলোকে দেশের শীর্ষ ৫ জন আলেম-কে বাংলাদেশের তাবলীগী শুরা ও তাবলীগী জনতার “উপদেষ্টা” করা হয়। এনারা হলেন-মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আব্দুল মালেক, মাওলানা আশরাফ আলী ও মাওলানা ফরীদুদ্দিন মাসুদ। উদ্দেশ্য হোল- যে কোন কঠিন ও ঝামেলার বিষয়ে তাবলীগের শুরা এনাদের পরামর্শ নিয়ে চলবে।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৮

রাজীব নুর বলেছেন: বিভক্তি থেকে দাঙ্গা।
ছোট ছোট বিষয় ধার্মিকেরা পারেও !!!

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

আবু সায়েদ বলেছেন: বিভক্তি নতুন কিছু না

২| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: নেতৃত্ব ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান বেশি দিন চলতে পারে না। শুরা নেতৃত্বের জন্য সহায়ক, কিন্তু শুরা দিয়ে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণীয় নয়।
শুধুমাত্র শুরা একটা অন্তরবর্তী ব্যবস্থা হতে পারে, কোনক্রমে স্থায়ী ব্যবস্থা হতে পারে না। এটা সুন্নাহের বিরোধীও বটে। এর ফলাফল এমনই হওয়ার কথা ছিল - ইসলামী বা পার্থিব উভয় দৃষ্টিকোন থেকে ।

১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:০০

আবু সায়েদ বলেছেন: আমীর একটা কঠিন জিনিস। খোলাফায়ে রাশেদার পরে দুনিয়াতে উপযুক্ত আমীর ২/৩ জন ছাড়া আর পাওয়াই যায় নাই। পক্ষান্তরে, অনুপযুক্ত আমীর নিযুক্ত হলে ভয়াবহ ক্ষতির আশঙ্কা, যার ভুরি ভুরি তথ্যপ্রমান ইতিহাসে মওজুদ। মাওলনা সাদের ব্যাপারে সব তাবলীগী ভাইয়েরা কখোনই একমত হবে না, তার বিভিন্ন সমস্যা-ও আছে, তার বিরুদ্ধে দেওবন্দের ফতোয়া আছে। তাবলীগের মত ব্যাপক বিস্তৃত কাজে বর্তমানে শুরাই নিরাপদ পন্থা।

৩| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:০৯

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:

৪| ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:১৭

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক মনোনীত না হলে কেউ বেশীদিন রাজত্ব করতে পারে না। প্রকৃত ইসলামী খিলাফত মহান আল্লাহই রক্ষা করছেন।

৫| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৪

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:
সবাই আমন্ত্রিত

৬| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: তাবলীগের মত ব্যাপক বিস্তৃত কাজে বর্তমানে শুরাই নিরাপদ পন্থা।

কিন্তু শেষ রক্ষা হল না! বিভক্ত হয়ে পড়ল জামাত, নিজেদের কর্তৃত্ব ও সিদ্ধান্তের ক্ষমতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মাওলানা ফরিদ ও মুফতি ফয়জুল্লাহর মত ধান্ধাবাজদের হাতে ছেড়ে দেয়া হল। আমি বিস্মিত, একটি সুন্নাহবিরোধী পদ্ধতিকে আপনি নিরাপদ ব্যবস্থা বলছেন। শুরা পরামর্শ দেবে, কিন্তু চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়ার দায়িত্ব শুধু আমিরের, এতে কোন ব্যত্যয় নাই। এবং সুন্নাহকেই শ্রেষ্ঠ পন্থা আল্লাহর রহমত ও বরকতের বিষয় মনে না করে অন্য কিছুকে শ্রেয়তর মনে করা গোমরাহী - আল্লাহ আমাদের এমন অপচিন্তা থেকে পানাহ দিন। আপনি অন্যের যুক্তিবুদ্ধি ধার করে এই মতামত পোষন করেন নাকি কোরআন-সুন্নাহের আলোকে - আবার ভেবে দেখুন, খতিয়ে দেখুন এবং যাচাই করে মত দিন।

মাওলানা সাদের নেতৃত্বের ব্যাপারে আপত্তি থাকতে পারে, এবং সেই আপত্তির উদ্ভব প্রকৃতপক্ষে আমির নির্বাচনের সুন্নাহ পরিপালনের বরখেলাফের কারনেই হয়েছে। যা হোক, মাওলানা সাদের নেতৃত্ব পছব্দ না হলে মোবাল্লেগেরা যার নেতৃত্বে আস্থা, তারই বায়াত নিক। শেষ কথা হল, আমির নির্বাচনের সুন্নতি পদ্ধতিকেই শ্রেষ্ঠ মনে করতে হবে এবং এতেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে। আল্লাহ আমাদের কোরআন-সুন্নাহে পরিস্কার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও কিয়াস-ইজমায় শরণ নেয়ার গোমরাহী থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

২১ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২১

আবু সায়েদ বলেছেন: হ্যা, যোগ্য/সর্বজনগ্রাহ্য আমীর না পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা তো করতে হবে। শুরা তো সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে অবশ্যই গ্রহনযোগ্য। তাবলীগের উপদেষ্টাদের মধ্যে ফরীদুদ্দিনের মাসুদের নাম প্রস্তাব করেছে কাকরাইল মার্কাযেরি কিছু প্রভাবশালী সদস্য। সুতরাং, তাকেও নেওয়া হয়েছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.