নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব তাবলীগ জামাতের গৌরব-দূর্গের পতনঃ (পর্ব-৪ঃ টঙ্গী বিশ্ব এজতেমা ২০১৮, অস্থিরতার নেপথ্যে)

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

২০১৮ সালের টংগী বিশ্ব এজতেমা নিয়ে অস্থিরতার নেপথ্যে ছিলেন সেই মাওলানা সাআদ। গত দুই বছর ধরে চলমান বিশৃংখলার প্রভাব পড়ে ২০১৮ সালের টংগি বিশ্ব এজতেমায়। মাওলানা সাদকেন্দ্রিক সমস্যার সমাধান না হওয়া এবং উনি তাবলীগের একজন কেন্দ্রীয় চরিত্র হওয়াতে বড় ধরনের অস্থিরতার পূর্বাভাষ পাওয়া গেল। ইতিমধ্যে, এজতেমার আগে আগে কাক্রাইল মার্কাযে দু গ্রুপের দাঙ্গা ঘটে গেল। এজন্য বাংলাদেশের দ্বীনের অভিভাবক শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম পরামর্শে বসলেন। এজতেমার ভাবমূর্তি রক্ষায় স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রনালয় ফিকিরবান হলেন, ফলে স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রীর সভাপতিত্ত্বে তার বাসায় দেশের ওলামায়ে কেরাম, কাকরাইলের শুরা ও দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্ত্বপূর্ণ কিছু ব্যক্তি আলোচনায় বসলেন। যে আলোচনার আলোকে সিদ্ধান্ত হয়-
১) কাকরাইল মার্কায তাদের সকল কাজের তদারকির জন্য একটা উপদেষ্টা কমিটি গঠন করবে (সে অনুযায়ী যাত্রাবারী মাদ্রাসায় বৈঠক করে একটা উপদেষ্টা কমিটী গঠিত হয়, যার কথা পূর্বেই আলোচিত হয়েছে)।
২) একটা কমিটি ভারত সফর করে দেওবন্দ ও নেযামুদ্দিনের (সাদের) বিপরীত অবস্থান ও তাবলীগের বিবাদমান দুটি দলের বিস্তারিত প্রতিবেদন দেবে।
৩) মাওলানা বিশ্ব এজতেমায় সাআদ আসতে পারবেন, যদি কেবল দুইটি শর্ত পূরন হয়-
ক) যদি সাআদ সাহেব শরীয়তসম্মত রুযু করেন ও দেওবন্দ হতে মাওলানা সাদের বিরুদ্ধে ফতোয়া Withdraw করা হয়।
খ) যদি মাওলানা সাআদ নেযামুদ্দিনের কোন্দল মিটিয়ে বিপরীত গ্রুপের প্রবীন আলেম মাওলানা আহমদ লাট ও সাআদ সাহেবের নিজ ওস্তাদ মাওলানা ইব্রাহীম দেওলাসহ আসেন

প্রতিনিধিদলের ভারত সফরঃ
উপরোক্ত ২) নং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত দল ভারত সফর করে। ঐ দলে দু’জন আলেম প্রতিনিধি ও দু’জন কাকরাইলের মুরুব্বি ছিলেন। আলেম প্রতিনিধি হিসেবে মাওলানা মাহফুযুল হক (শায়খুল হাদিস আযিযুল হক্ব রঃ এর পুত্র), প্রিন্সিপাল, জামেয়া রাহমানিয়া, মোহাম্মাদপুর; মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক (সিনিয়র মুহাদ্দিস), বারিধারা মাদ্রাসা; কাকরাইলের ইমাম হাফেয যোবায়ের, মাওলানা জিয়া বিন ক্বাসেম ও ওয়সিফুল ইসলাম ছিলেন। এনাদের ভারত সফরের প্রতিবেদন হতে দেখা যায়ঃ-
ক) দেওবন্দ মাদ্রাসা লিখিতভাবে মাওলানা সাদের ব্যাপারে অনাস্থা প্রকাশ করেছে।
খ) আলমী শুরা (মাওলানা সাদের বিরোধী পক্ষ, মাওলানা ইব্রাহীম দেওলাসহ অন্যান্য) লিখিতভাবে বিশ্ব এজতেমায় আসতে অনীহা প্রকাশ করেন।
গ) মাওলানা সাদ-ও ওনাদের আসার ব্যাপারে অনীহা প্রকাশ করেন।

উক্ত প্রতিবেদনে প্রতিনিধিদলের সম্মিলিত স্বাক্ষরে এ কথা উল্লেখ থাকে যে, মাওলানা সাদ-কে বাংলাদেশে নিয়ে আসার দুটি শর্তের (উপরোক্ত ৩ এর ক ও খ নং পয়েন্ট) একটি-ও পুরন হয় নাই।

গুরুত্ত্বপূর্ন বৈঠক ও সিদ্ধান্তঃ
এমতাবস্থায়, উক্ত প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও জমা দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রী উক্ত প্রতিবেদনের সাপেক্ষে সমস্যা তাবলীগের মুরুব্বি/শুরা ও উপদেষ্টা কমিটি ও দেশ-বরেন্য ওলামাদের সমন্বয়ে সুরাহা করতে বলেন। সে উদ্দেশ্যে তারা যাত্রাবারি মাদ্রাসায় বসেন মাওলানা মাহমুদুল হাসান দা বা এর সভাপতিত্ত্বে। মাদ্রাসায় যারা বৈঠকে বসেন তারা ছিলেন-২১ জন।

সে প্রেক্ষিতে উপস্থিত ২১ জনের মধ্যে ১৩ জন এবারের ইজতেমায় মাওলানা সাদ কান্ধলভীর না আসার পক্ষে মত দেন। তারা হলেন-

বেফাকের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আশরাফ আলী, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারার মুহাদ্দিস মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক,তাবলিগের শুরা সদস্য মাওলানা মোহাম্মাদ যোবায়ের, মাওলানা মুহাম্মাদ হোসাইন ও মাওলানা ফারুক, বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস, হাটহাজারী মাদরাসার সহকারী শিক্ষাসচিব মাওলানা আনাস মাদানী, তাবলিগের শুরা সদস্য মাওলানা উমর ফারুক ও মাওলানা রবীউল হক, শাইখ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক মাওলানা মিযানুর রহমান সাঈদ, হাটহাজারীর মুফতী কেফায়াতুল্লাহ, মাওলানা মুফতী মোহাম্মাদ আলী (আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদের প্রতিনিধি), ভারত সফরকারী প্রতিনিধি দলের সদস্য জামিয়া রাহমানিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহফুজুল হক।

একই সঙ্গে এই ১৩ জন সদস্য নেজামুদ্দীন মারকাজের মুরব্বি মাওলানা মুহাম্মাদ সাদ ও মাওলানা মুহাম্মাদ ইউসুফ এবং নেজামুদ্দীনের বাইরের মাওলানা ইবরাহীম দেওলা ও মাওলানা আহমাদ লাট এই চারজন না এসে তাদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসার পক্ষে মতামত দেন।

অপরদিকে ৭ জন মাওলানা সাদের আসার পক্ষে মত দেন। তারা হলেন,

তাবলিগের শুরার সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হামিদ মাছুম, মুহাম্মাদ খান শাহাবুদ্দীন নাসিম, মাওলানা জিয়া বিন কাসেম, ইউনুছ শিকদার, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও আনওয়ার হোসাইন।

সভায় বৈঠকের সভাপতি মুহিউস সুন্নাহ আল্লামা মাহমুদুল হাসান অধিকাংশের মতামতের ভিত্তিতে উপরোক্ত চারজন না এসে তাদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি আসারই সিদ্ধান্ত দেন। এবং এ সিদ্ধান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও জানিয়ে দেওয়া হয়।

সর্বশেষ নাটকীয়তা ও সাআদ সাহেবের আগমনঃ
উক্ত সিদ্ধান্ত দেশবাসী সকলেই জানে ও তাবলীগী কর্মীরা ও ওলামায়ে কেরাম আশ্বস্ত হয়। কিন্তু গত ১০/১/১৮ ইং তারিখে হঠাত খবর পাওয়া যায় সাআদ সাহেব বাংলাদেশে আসছেন টঙ্গী এজতেমায় অংশগ্রহন করবেন। এ খবরে উত্তেজনা ছড়ায়, সাআদ বিরোধী তাবলীগী কর্মীরা ও ওলামাগণ এয়ারপোর্ট ঘেরাও করেন। অপরদিকে, উপদেষ্টা, ওলামা পরিষদ ও তাবলীগী ভাইদের সাথে স্বরাষ্ট্র মন্তনালয়ের দফায় দফায় বৈঠক চলে। ওলামা-তোলাবা কঠর অবস্থান নেবার হূমকি দেন। অবশেষে স্বরাষ্ট্র মন্তনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাওলানা সাআদ সাহেব এজতেমা ময়দানে না গিয়ে কাকরাইলে থেকেই ২ দিন পরে বিদায় নেন।

কিভাবে ও কেন আসলেন সাআদ সাহেবঃ
উল্লেখ্য, সম্মিলিত একটা সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই মাওলানা সাআদ সাহেব এদেশে আসেন। এটা ওনার ইচ্ছা, নাকি এদেশের কতিপয় লোকের কারসাজি- তা এখন অনেকটাই পরিষ্কার। উক্ত বৈঠকে যারা সাআদ সাহেবের পক্ষে রায় দিয়েছিলেন, তারাই ওনাকে গোপনে নিয়ে আসলেন। এনারা ছিলেন- তাবলিগের শুরার সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা আবদুল হামিদ মাছুম, মুহাম্মাদ খান শাহাবুদ্দীন নাসিম, মাওলানা জিয়া বিন কাসেম, ইউনুছ শিকদার, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন ও আনওয়ার হোসাইন।

এদের মধ্যে শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মুহাম্মাদ খান শাহাবুদ্দীন নাসিম, ইউনুছ শিকদার, ও আনওয়ার হোসাইন- এনারা আলেম নন। আবার এর মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম একজন অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি। সরকারের অতি উচ্চ ও ঘনিষ্ঠ মহলে তার যোগাযোগ। তবে এর পেছনে ড এরতাযা হাসা নামের আরেকজন আছেন বলে শোনা যায়। এই সব প্রভাবশালী ব্যক্তি আলেম না হলেও সাআদ সাহেবের অতি ভক্ত বলে শোনা যায়। তবে, মাওলানা সাআদের মত ব্যক্তিত্ত্ব কেন ঐ সম্মিলিত সিদ্ধান্ত জানার পরেও কিছু ব্যক্তিবিশেষের আহবানে এদেশে আসলেন, তা পরিষ্কার না। যা হোক, এনারা যেকোনভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়-কে ম্যানেজ করতে সক্ষম হন।

ওলামা ও তাবলীগের একাংশ আন্দোলনে কেন গেলেনঃ (২০১৭ সালের পটভূমি থেকে)
ওলামা ও তাবলীগের একাংশ সাআদকে ফেরাতে নযীরবিহীনভাবে পথে নামেন। এর কারন, সাআদকেন্দ্রিক সমস্যা প্রকাশ্যে আসে ২০১৬ সালে, ফলে ২০১৭ সালেই বাংলাদেশের ওলামারা উক্ত(উপরোক্ত ৩ এর ক ও খ নং পয়েন্ট)সমস্যা না মিটিয়ে সাআদ সাহেবের বাংলাদেশে না আসতে অনুরোধ করে পত্র লিখেন দেওবন্দ, নেযামুদ্দিন, কাকরাইলসহ বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু কাকরাইলের শুরা সদস্য ওয়াসিফুল ইসলাম ঐ সব চিঠি উপেক্ষা করে সাআদ সাহেব-কে নিয়ে আসার ব্যাপারে কাজ করেন এবং ওলামাদের কথা দেন যে, সাআদ সাহেব বয়ান/দোয়া কিছুই করবেন না। শুধু উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু সাআদ সাহেবের আসার পরে জনাব ওয়াসিফুল ইসলাম কায়দা করে সাআদ সাহেবকে দিয়ে বয়ান ও দোয়া সবই করান। শুধু তাই নয়, সাআদ সাহেব এজতেমার বয়ানে তার অনেক বিতর্কিত থিওরী আওড়িয়ে যান। আবার, ২০১৮ সালেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছিল। এই আশঙ্কা থেকে তারা মাঠে নামেন।

দীর্ঘমেয়াদী ও গভীর ফাটলের অপেক্ষাঃ
সাআদ সাহেব কাকরাইলে ২ দিন থাকলেন। বয়ান করলেন, দোয়া করলেন। আরো অনেক কাজ করে গেলেন। তার মেজবান ওয়াসিফুল ইসলামের দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে জড় করলেন। একটা পর্যায়ে কাক্রাইলে সাআদকেন্দ্রিক আলাদা “বিশ্ব এজতেমা” করার ঘোষনা এল। মাওলানা সাআদ এসে সবাইকে তার মার্কায নেযামুদ্দিনে যাবার তারতীব করে দিলেন, নিজেরা আলাদা বিশ্ব এজতেমার দিন-তারিখ ঘোষনা দিয়ে গেলেন। তার অনুসারীরা এটাও ঘোষনা দিল, আগামী বার-ও সাআদ সাহেবকে নিয়েই প্রয়োজনে আলাদা বিশ্ব এজতেমা হবে। এতগুলি ঘটনা সাআদ সাহেবের উপস্থিতিতেই সম্পন্ন হয়েছে।

বিস্ময় ও উদ্বেগঃ
ভারত যাওয়া থেকে শুরু করে প্রায় সকল প্রক্রিয়ার মধ্যে একজন সদস্য ছিলেন জনাব ওয়াসিফুল ইসলাম। তারপরেও, ওনারই নেতৃত্ত্বে, কাকরাইল শুরার ৫/৬ জনের একটা খুদ্র অংশ (যাদের ৪ জনই আলেম না, বরং দুনিয়াদার শিক্ষিত) সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে পাশ কাটিয়ে গোপনে ম্যানেজ করে ও বেপরোয়াভাবে যেভাবে সাআদ সাহেব-কে এদেশে আনলেন, তা সবার মনে একাধারে বিস্ময় ও গভীর উদবেগ সৃষ্টি করেছে। তাবলীগের মত নিখাদ ধর্মীয় কাজে যে কোন ধরনের উদ্ধত ও ‘পেশী শক্তি’ প্রদর্শনমূলক ঘটনা অনাকাংখিত ও বিরল। বরং নিস্বার্থ ও ত্যাগী মানসিকতা, বিনয় ও নম্রতা, নিজের চেয়ে অপরেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া-এসব গুনাবলী তাবলীগের কর্মকান্ডের মূল আলোচ্য বিষয় ও কাজ বিস্তারের মূল অনুঘটক। তাই উক্ত অনাকাংখিত ঘটনায় কাদের কী স্বার্থ, তা হয়ত একসময় পরিষ্কার হবে। তবে এটা সত্য, তা নেযামুদ্দিনের মাওলানা সাআদ-কে আরো গভীর প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলল।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ইজতেমাতে দেশের কি কি লাভ হয়?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আবু সায়েদ বলেছেন: সুন্দর প্রশ্ন। এদেশে এজতেমা না হলে কি কি অসুবিধা?

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:২৪

ইফতি সৌরভ বলেছেন: তার মানে এখানেও রাজনীতির মধ্যে পলিটিক্স শুরু হয়েছে!!!

কত অজানাকে জানাইলেন আপনি!!

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০৪

আবু সায়েদ বলেছেন: পলিটিক্স ও স্বার্থবাদিতা অনেক আগেই শুরু হয়েছে। তাবলীগ জামাত মিডিয়ামুখী নয় বলে এসব আলোতে আসত না। তবে ভেতরে ভেতরে অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:১৭

আশিক_ইসিই_২ক১৩ বলেছেন: ভাই, আল্লাহ তায়ালা কখন কোন কাজের কারণে কাকে মেহনত থেকে বের করে দিবেন!! বড় ভয় লাগে নিজের জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.