নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্ব তাবলীগ জামাতের গৌরব-দূর্গের পতনঃ (শেষপর্ব-৫ঃ তাবলীগ আমীরের বিতর্কিত কথাগুলি)

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:০১

ইসলাম সর্বশেষ সত্য ধর্ম। ধর্মের মালিক আল্লাহ, ধর্ম প্রচার করেন নবীদের মাধ্যমে। ধর্মের কথার মধ্যে মানুষের কোন কল্পনা বা আবিষ্কার গ্রহনযোগ্য নয়। তবে, ধর্মের মূলনীতীকে ঠিক রেখে গবেষক (মুজাতাহিদ) আলেমগণ বিভিন্ন যুগে যুগ-সমস্যার সমাধান দিয়েছেন- এ হিসেবে আলেমগণ ধর্মের ব্যাখ্যাদাতা মাত্র। এ হিসেবে ইসলামই একমাত্র অবিকৃত সঠিক ধর্ম হিসেবে টিকে আছে। নবীজী সাঃ ও তার সাহাবাগণের (রাঃ) ব্যাখ্যা ও মূলনীতীর আলোকে যারা চলেন তাদের “আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত” বলা হয়, এই আক্বীদা ও মূলনীতীর আলোকেই সকল সঠিক বিশ্বাসী আলেমগণ ও উম্মত চলেন। অন্যথায়, ধর্মের ব্যাখ্যা ‘মনগড়া’ ব্যাখ্যায় পরিনত হবে, যার পরিনতিতে আসল ইসলাম ও ধর্ম মানুষের বিভিন্নমুখী মনগড়া ব্যাখ্যার ঘন জঙ্গলে হারিয়ে যাবে।

অন্যান্য ধর্ম যেটা ঘটেছে, নবীদের তিরোধানের পরে ধর্ম-প্রচারকগণ নিজেদের সুবিধামত মনগড়া ব্যাখ্যা ও কথা ঢূকিয়ে দিয়েছে, যার ফলে আসল ও মূল ধর্ম হারিয়ে গেছে।

ইসলাম ধর্ম এর ব্যতিক্রম। এখানে হক্বানী ওলামায়ে কেরাম সর্বদাই ধর্মের মৌলিক বিষয়বস্তু রক্ষায় ততপর এবং যুগে যুগে উল্টা-পাল্টা ব্যখ্যাকারিদের চিহ্নিত করে দিয়েছে।

তাবলীগ জামাত একটা নিতান্তই ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলি প্রচারের জামাত। এখানকার আমীরের জন্য নতুন তত্ত্ব, কথা ও তথ্য হাজির করাটা একেবারেই অনুচিত। তারপরেও যে কথাগুলি মাওলানা সাআদ সাহেব-কে বিতর্কে ফেলেছে, তার কয়েকটি নমুনা নিম্নে দেওয়া হইলঃ-

*মক্কা-মদীনার পরে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থান নেযামুদ্দিনঃ মাওলানা সাদ তার বক্তব্যে নিজামুদ্দিন মারকাযকে মক্কা-মদিনার পর ইসলামের সবচেয়ে বড় কর্তৃপক্ষ দাবি করে। ভারতীয় দৈনিকগুলোতেও মাওলানা সাদের বক্তব্যগুলো নিয়ে নানা শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। দারুল উলুম দেওবন্দের মুহতামিম বা প্রধান মাওলানা আবুল কাসেম নোমানি, নদওয়াতুল উলামার প্রিন্সিপাল মাওলানা সাইয়্যিদ সালমান আহমদ নদভি ও দিল্লির আইম্মা পরিষদের চেয়ারম্যান, মুফতি ওয়াজাহাত কাসেমি এক যৌথ বিবৃত দেন।
এই বিবৃতি ভারতের জাতীয় দৈনিকগুলো ‘তাবলিগ জামাতের আমির মৌলবি সাদের কুফুরি কালিমা’ নিয়ে মুসলমানদের মাঝে তোলপাড় শিরোনামে হাইলাইট করে প্রকাশ করা হয়।

*নিজের তাফসীর-কেই একমাত্র সঠিক তাফসীর দাবিঃ মাওলানা সাদ বিভিন্ন আয়াতের ব্যাখ্যা করার সময় বলেন, “আমি এই আয়াতের তাফরির এভাবে করি, এটা শুনো, এটা সঠিক তাফরির। মনোযোগ দিয়ে শুনো। মনোযোগ দিয়ে শুনো”। যেটা সম্পূর্ণরূপে ভুল।

*ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল নিয়ে তার নতুন ফতোয়াঃ মাওলানা সাদ ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল ফোন রাখাও হরাম বলেছেন। তিনি বলেন, “কারো পকেটে ক্যামেরা বিশিষ্ট মোবাইল রেখে নামাজ পড়লে নামায শুদ্ধ হবে না। যে উলামায়ে কেরাম ক্যামেরাওয়ালা মোবাইল রাখেন, তাঁরা উলামায়ে ছূ (নিকৃষ্ট)”। বারবার কসম করে বলেন, “তাঁরা হলেন উলামায়ে ছূ”। উল্লেখ্য, এখানে উলামায়ে ছূ বলতে উনি দেওবন্দের ওলামাদের বুঝিয়েছেন, কারন তারা উক্ত কাজকে হারাম মনে করেন না।

*মাদ্রাসার বেতনের বিরুদ্ধে ফতোয়াঃ তিনি বলেন, “মোবাইলে কুরআন শরীফ পড়া এবং শোনা, প্রশ্রাবের পাত্র থেকে দুধ পান করার মতো। উনার শব্দ হল, ‘পেসাবদানী ছে পানি পিনা হাঁয়’। কুরআন শরীফ শিখিয়ে যাঁরা বেতন গ্রহণ করেন, তাঁদের বেতন বেশ্যার উপার্জনের চেয়ে খারাপ। যেই ইমাম এবং শিক্ষকরা বেতন গ্রহণ করেন, তাদের আগে বেশ্যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন”।

*বাইয়াত নিয়ে বানোয়াত তথ্যঃ তিনি বলেন, “রাসূল সা. এর পর কেবল তিনজনের বাই’আত পূর্ণতা পেয়েছেন, বাকি সবার বাই’আত অপূর্ণ। তিন জন হলেন; শাহ ইসমাঈল শহীদ রহ., মাওলানা ইলিয়াছ রহ. ও মাওলানা ইউসুফ রহ.”।

*নতুন সুন্নতের আমদানীঃ তিনি আজমগড়ের ইজতিমায় একাধিকবার সুন্নাতকে তিন প্রকার বর্ণনা করেছেন- ইবাদাতের সুন্নাত, দাওয়াতের সুন্নাত এবং আচার-আচরণের সুন্নাত। এটা তার নতুন পদ্ধতির প্রচলন।

*নবীদের শানে বেয়াদবীঃ নবিদের বিষয়ে মাওলানা সাদ তাঁর বক্তব্যে বলেন, “হযরত ইউসূফ আ. ‘উযকুরনি ইনদা রাব্বিক’ বলে গাইরুল্লাহ’র দিকে নযর দেয়ার কারণে অতিরিক্ত সাত বছর জেলখানায় থাকতে হয়েছে।
“হযরত মুসা আ. দাওয়াত ছেড়ে দিয়ে কিতাব আনতে চলে গেছেন। দাওয়াত ছেড়ে চলে যাওয়ার কারণে পাঁচলক্ষ সাতাত্তর হাজার লোক মুরতাদ হয়ে গেল। হযরত মূসা আ. থেকে এক বড় ভুল হয়ে গেছে এবং তিনি অপরাধ করে বসছেন। এই জন্য তিনি ক্বওমকে ছেড়ে আল্লাহর সান্বিধ্য লাভের জন্য নির্জনতা গ্রহণ করলেন। হযরত মূসা আ. কর্তৃক একটি বড় ভুল হয়েছে যে, তিনি উম্মতকে ছেড়ে নির্জনতা অবলম্বন করেছেন। হযরত মূসা আ. কর্তৃক হারুন আ. কে নিজের স্থলাভিষিক্ত বানানো উচিত হয়নি।”।

*তাবলীগের কাজে ভিন্নতা আনয়নঃ তিনি বলেন, “আমাদের কাজের (তাবলিগী) সাথে লেগে থাকা এবং মাওলানা ইলিয়াছ ও মাওলানা ইউসূফ সাহেবের কিতাব পড়বে, অন্য কোন কিতাব পড়বে না”।

এছারাও দেওবন্দের ফতোয়া হতে আরো কিছু বিষয় প্রতিভাত হয়ঃ

*তাওবার নতুন শর্ত আবিষ্কারঃ উনি বলেন, “তাওবা কবুলের শর্ত হোল তাবলীগে বের হওয়া। আত্মশুদ্ধি ও তওবার পূর্ণতার জন্যই তাবলীগি কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতে হবে৷ তওবার তিনটি শর্ত তো মানুষের জানা আছে। কিন্তু চতুর্থটি জানা নেই, মানুষ তা ভুলে গেছে৷ আর সেটি হলো আল্লাহর পথে বের হওয়া৷ এটি মানুষ ভুলে গেছে৷ হাদিসে আছে, নিরানব্বইজন মানুষের খুনির সাক্ষাৎ কোনো পাদ্রীর সঙ্গে হয়েছিল৷ পাদ্রী তাকে নিরাশ করেছে৷ এরপর তার দেখা এক আলেমের সঙ্গে হয়েছিল৷ আলেম তাকে বলেছেন, ‘তুমি অমুক জনবসতির উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ো৷'
অতঃপর সেই খুনি বের হলো৷ তাই, আল্লাহ তাআলা তার তওবা কবুল করেন৷ এর দ্বারা বোঝা যায়, তওবার জন্য আল্লাহর পথে বের হওয়া-ও শর্ত৷ অন্যথায় তওবা কবুল হবে না৷ এই শর্তটি মানুষ ভুলে গেছে৷ কেবল অন্য তিনটি শর্ত বয়ান করে ৷ অথচ চতুর্থ শর্ত অর্থাৎ আল্লাহর পথে বের হওয়ার শর্তটি সবাই একদম ভুলে গেছে”।

*মাদ্রাসার বিরুদ্ধে বক্তব্যঃ উনি বলেন, “হেদায়েতপ্রাপ্তির স্থান একমাত্র মসজিদই৷ যেখানে কেবল ধর্মীয় বিষয়াদি পড়াশোনা হয়, তাদের সম্পর্ক যদি মসজিদের সঙ্গে কায়েম না হয়, তাহলে আল্লাহর শপথ! সেখানেও দীন নেই। সেখানে ধর্মীয় পড়াশোনা হতে পারে, কিন্তু দীন বা ধর্মীয় ইবাদত হবে না৷”
(এখানে মসজিদের সাথে সম্পর্ক থেকে উদ্দেশ্য মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া নয়৷ বরং তাবলিগী কাজে নিজেকে নিয়োজিত করাই উদ্দেশ্যে। কেননা, তিনি কথাটি মসজিদের গুরুত্ব এবং দীনি বিষয় কেবলমাত্র মসজিদেই আলোচনা করার ব্যাপারে নিজের বিশেষ মত বয়ান করতে গিয়ে বলেছেন৷ বিস্তারিত অডিওতে রয়েছে। তার বিশ্বাস হলো, দীনের কথা মসজিদের বাইরে বলা সুন্নতের পরিপন্থী; আম্বিয়ায়ে কেরাম ও সাহাবায়ে কেরামের মতাদর্শের খেলাফ)৷

*কোরান বুঝে পাঠের ব্যাপারে কঠোরতাঃ উনি বলেন, “ কোরআনে কারিম বুঝে-বুঝে পাঠ করা প্রত্যেক মুসলমানের ওপর ওয়াজিব৷ যে উক্ত ওয়াজিব ছেড়ে দেবে সে ওয়াজিব ছেড়ে দেবার গোনাহে লিপ্ত হবে”।

*মুরুব্বি বা পীরের কাছে ইসলাহ অপ্রোজনীয়; তাবলীগের কাজ করলেই ইসলাহ হয়ে যায়ঃ উনি বলেন, “আমার আফসোস হয়, যখন আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, ‘তোমার ইসলাহি সম্পর্ক কার সঙ্গে?' তারা কেন বলে না, আমার ইসলাহি সম্পর্ক এই দাওয়াত ও তাবলিগের কাজের সঙ্গে! এ কথার ওপর বিশ্বাস করো, দাওয়াতের কাজ তরবিয়তের জন্য শুধু যথেষ্ট নয়; বরং গ্যারান্টিদাতা৷ আমি অনেক ভেবে দেখেছি, কর্মীদের পদস্খলনের মূল কারণ এটাই”৷

*তাবলীগের ছ্য় উসুলই পরিপূর্ণ দ্বীনঃ
উনি বলেন, “আমার তো সেসব লোকের জন্য চিন্তা হয়, যারা এখানে বসে বলে ‘ছয় নম্বর পূর্ণ দীন নয়৷' নিজের দইকে নিজেই টক বর্ণনাকারী কখনও ব্যবসা করতে পারে না”৷

*হক্বানী শায়েখদের ব্যাপারে বিষোদগারঃ উনি বলেন, “আমার বড় আফসোস হলো, যখন আমাদের একজন তাবলিগি ভাই আমাকে বলল, ‘আমার এক মাসের ছুটি দরকার৷ অমুক শায়খের নিকট এতেকাফের উদ্দেশ্যে যেতে হবে৷' আমি বললাম,এখনো পর্যন্ত তোমরা দাওয়াত ও ইবাদতকে এক করো নি৷ তাবলিগের কাজে চল্লিশ বছর কাটানোর পর কিভাবে একজন লোক বলতে পারে যে, ইতিকাফের জন্য আমাকে এক মাসের ছুটি দিতে হবে?! আমি বললাম, যে ইবাদতের জন্য দাওয়াত থেকে ছুটি চাচ্ছে, সে দাওয়াত ছাড়া ইবাদতে উন্নতি করতে পারবে কী করে”?

*তাবলীগে বের হলেই আল্লাহর ওলী হওয়া যায়ঃ উনি বলেন, “আমি পরিষ্কারভাবে বলছি, নবীর কাজ ও ওলীর কাজের মধ্যে পার্থাক্য হলো কেবল আল্লাহর রাস্তায় বের হওয়া বা না হওয়া।
আমি স্পষ্টভাবে বলছি, আমরা কেবল দীন শেখবার জন্য তাবলিগে বের হই না৷ কারণ দীন শেখার তো আরও পথ-পন্থা রয়েছে৷ তাহলে তাবলিগে বের হওয়া কেন জরুরি? দীনই যদি শিখতে চাও তাহলে মাদরাসা থেকে শেখো, খানকা থেকে শেখো”৷

তার বয়ানের কিছু এমন অংশও পৌঁছেছে, যার মাধ্যমে স্পষ্ট হয় মাওলানা মুহাম্মদ সা’দ সাহেবের মতে দাওয়াতের ব্যাপক অর্থে কেবল তাবলিগি জামাতের বর্তমান ব্যবস্থাপনাই অন্তর্ভুক্ত৷ তাবলীগকেই তিনি আম্বিয়ায়ে কেরাম ও সাহাবায়ে কেরামের পথ ও পন্থা মনে করেন। আর এই বিশেষ সংঘকে সুন্নত ও হুবহু আম্বিয়ায়ে কেরামের মেহনতের মতো সাব্যস্ত করেন৷ অথচ উম্মতের সর্বসম্মত মাসলাক হলো, দাওয়াত ও তাবলিগ একটি ব্যাপক বিষয়৷ শরিয়তে তার জন্য কোনো বিশেষ পদ্ধতি আবশ্যক করা হয়নি, যা পরিত্যাগের ফলে সুন্নত ছেড়ে দেয়া সাব্যস্ত হয়৷ বিভিন্ন যুগে দাওয়াত ও তাবলিগের নানান পদ্ধতি চালু ছিলো৷ কোনো যুগে-ই দাওয়াতী কাজকে অবেহেলা করা হয়নি। সাহাবায়ে কেরামের পরে তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন আইম্মায়ে কেরাম, মুজতাহিদিন, ফুকাহা, মুহাদ্দিসিন, মাশায়েখ, আওলিয়ায়ে কেরাম এবং নিকটতম সময়ে আমাদের আকাবিরে কেরাম বিশ্বব্যাপী দীন প্রতিষ্ঠিত রাখতে নানামুখী পথপন্থা অবলম্বন করেছেন৷

উপরের লিখিত তার অনেক ধ্যান ধারনাই সঠিক ‘আহলে সুন্নাত ও জামায়াত’ এর আক্বীদার সাথে সাংঘর্ষিক। এজন্য, এইসব বক্তব্যের ব্যাপারে আমাদের সবারই সাবধান থাকতে হবে। আগের তাবলীগের আমীর ও মুরুব্বিগণ কেউই এ ধরনের বক্তব্য প্রদান করেন নি। আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:১১

ময়না বঙ্গাল বলেছেন: আমার দৃষ্টিতে আপনার লেখায় উল্লেখিত আমীরের বয়ানগুলো সত্যিই খুব বিতর্কিত ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২০

আবু সায়েদ বলেছেন: ঠিক। আমাদের সাবধান হতে হবে।

২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৪:০৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: হুমম। ঢাকায় আবার কি নতুন ফতোয়া দিতো কে জানে?

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২২

আবু সায়েদ বলেছেন: এজন্য আলেমরা ওনার বিরোধিতা করছে।

৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

রাজীব নুর বলেছেন: যে যার ধর্মকে মহৎ ভাবতে ভালোবাসে।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৩

আবু সায়েদ বলেছেন: ্ধর্ম নিয়ে নতুন ব্যাখ্যার বিতর্ক বানানো ভাল না।

৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৩৬

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: একপাক্ষিক বক্তব্য। এসব তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগমালা। সত্যমিথ্যা কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারে না। মাওলানা সাদ অদৌ এসব বক্তব্য দিয়েছেন কি না, দিলে অভিযোগের ব্যাপারে তার যুক্তি কি, সেই আত্মপক্ষ সমর্থন করার সুযোগ না দিয়ে তাকে ভিলেন বানিয়ে প্রচার করাটা গর্হিত - এটাই আমার পর্যবেক্ষন ।

২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২০

আবু সায়েদ বলেছেন: এগুলি নতুন না, এগুলি নিয়ে বেশ কয়েকবছর আগে থেকেই লেখা-লেখি হচ্ছে, বিশেষ করে ভারতে। আমাদের ওলামারাও লিখছে। ভারতীয় ৫টি বইয়ের অনুবাদ-ও বের হয়েছে। দেওবন্দের ফতোয়া তাদের ওয়েবসাটসহ বাংলাদেশের জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

লেখক নিজেই কয়েটি বিশ্ব এজতেমায় উপরের বেশ কয়েকটি বক্তব্য সাআদের বয়ান হতে নিজ কানে শুনেছে। নিজে তাফসীরের ব্যাপারে সঠিক দাবি, কোরান বুঝে পড়ার ব্যাপারে কঠোরতা, তাওবার নতুন শর্ত আমদানী- এগুলি আমি নিজ কানেই টঙ্গী বিশ্ব এজতেমার ওনার বয়ানে শুনেছি।

৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:১৯

ক্ষতিগ্রস্থ বলেছেন: আমি তর্কে যেতে চাই না। এই লিঙ্কটি দেখুন। আল্লাহ আমাদের হক্কের উপরে রাখুন। আমিন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:৫১

আবু সায়েদ বলেছেন: তাবলীগের কাজ অনেক বড়, এতে কোন সন্দেহ নাই, কারনঃ,ধর্ম প্রচার তো নবীদের কাজ ছিল। কিন্তু তা শুদ্ধ ভাবে হতে হবে।

৬| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:৫১

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:০১

আবু সায়েদ বলেছেন: কাদিয়ানী কাফের ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.