নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইসলামের বিরুদ্ধে এত প্রোপাগান্ডা, তারপরেও মানুষ মুসলমান হয় কেন?

৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

প্রতি বস্তুর একটা বস্তুগত বৈশিষ্ট্য থাকে, যাকে বস্তুর ধর্ম বলে। বস্তুর বস্তুগত ধর্ম ই ঐ বস্তুর পরিচয় বহন করে। একটা বস্তুর বা ধাতুর মৌলিক গুনাবলী ও আচরন তার ধর্মের সাথে সম্পর্কিত। বস্তুধর্ম নির্দিষ্ট, এটা পরিবর্তন হয় না। এই বস্তুধর্ম গুলি উনি দান করেছেন যিনি বস্তুগুলি সৃষ্টি করেছেন।

কাচ বা পানির মধ্য দিয়ে আলোক রশ্মি গমনের সময় আলো বাকবেই, এটাকে প্রতিসরন বলে। এই প্রতিসরন আলোর ধর্ম। এই ধর্ম মানুষ সৃষ্টি করে নি, মানুষ শুধু খুজে পেয়েছে মাত্র। সকল আবিষ্কৃত ও অনাবিষ্কৃত বস্তু ও বস্তুধর্ম একবারেই সৃষ্টি করে ছেড়ে দিয়েছেন মহান সৃষ্টিকর্তা।

তেমনি, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। মানুষের-ও একটা মানব ধর্ম ও চরিত্র আছে, যা দুনিয়ার সকল প্রান্তের মানুষের মধ্যে বিদ্যমান। মানব বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের বিভিন্ন আঙ্গিক আছে; যেমন, ভয়, ভালবাসা, ঘৃনা, লোভ ইত্যাদি। অন্যান্য বস্তুর সাথে মানুষের পার্থক্য হল, মানুষের ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য-কে সৃষ্টিকর্তা বৈচিত্র্যময়, পরিবর্তন ও পরিমার্জনশীল ও ইচ্ছার অধীন করে দিয়েছেন। তাই মানুষ চেষ্টা করলে লোভ সংবরন, ভয়কে জয় , ইত্যাদি করতে সক্ষম।

মানব বৈশিষ্ট, স্বভাব ও চরিত্র যাতে সু-উন্নত ও সংরক্ষিত থাকে, এজন্য সৃষ্টীকর্তা বিভিন্ন ধর্ম নাযিল করতেন। ইসলাম ধর্ম মানুষের জন্য সৃষ্টিকর্তা দিয়েছেন, যাতে এ ধর্মের খোলসে মানুষের স্বভাব ও চরিত্র সু-সংরক্ষিত থাকে। বস্তুর জন্য যেমন বস্তুধর্ম, মানুষের জন্য তেমনি ইসলাম ধর্ম। মানব ধর্ম, মানব চরিত্র ও মানব স্বভাব এর সহজাত প্রকৃতি ইসলামের মধ্যে খুজে পাওয়া যায় বলেই এর মধ্যে এক সহজ-স্বাভাবিক ঐশী সৌন্দর্য আছে।

মানুষ যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি ভাল জানেন কিসে মানব-ধর্ম সঠিক পথে বিকাশ পাবে। এজন্য মানুষের বুদ্ধিজাত কৌশল প্রয়োগের অপেক্ষা না করে মহান আল্লাহ তায়ালা মানুষের স্বভাব ও মনুষ্যত্বের সঠিক বিকাশের জন্য ইসলাম ধর্ম পাঠিয়েছেন। এজন্যই দুনিয়ার সকল প্রান্ত ও ধর্মের মানুষ ইসলামের মধ্যে একটা শান্তি খুজে পায়।

এটাই সেই কারনে, যে জন্য শত প্রোপাগান্ডা সত্ত্বেও ইসলামের সরল সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে মানুষেরা ইসলামের মধ্যে আসছে। মুসলমানদের শত দুর্বলতা আছে, কিন্তু দুর্বলতা কাদের নেই? হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলেরই তো দুর্বলত আছে। তারপরেও অন্য ধর্মের মানুষদের বিরুদ্ধে কি কোন প্রোপাগান্ডা আছে? না, একেবারেই চোখে পড়ে না। অথচ, ইসলামের বিরুদ্ধে কত কিছুই না চলে- "সন্ত্রাসী", "পশ্চাতপদ", "জঙ্গী", "উগ্রতাবাদী", ধর্ন্মান্ধ, ইত্যাদি আরো কত কিছু।

এত প্রোপাগান্ডা এড়িয়ে ইসলাম গ্রহনের হার তো বেড়েই চলেছে। ইসলামের সরল-সত্য-সৌন্দর্য যে মুছা যায় না! সুর্যের বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালিয়ে কি সূর্যের আলো ম্লান করা যায়?!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:২০

চাঁদগাজী বলেছেন:


সুর্যের বিপক্ষে প্রচারনা চালানোতে এখন দুপুর বেলা মানুষ সমদ্রে 'সুর্য-স্নানে' যায় না।

২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৩৯

অগ্নিবেশ বলেছেন: ফলেই পরিচয়

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.