নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

উতস

আবু সায়েদ

student

আবু সায়েদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কৃষি-ই প্রথম (Agriculture First)

৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:২৭

বেচে থাকতে খাবার প্রয়োজন, খাবারের জন্য দরকার কৃষি। এর কোন বিকল্প না ছিল, না আজো আছে। পেটে খাবার না থাকলে জ্ঞান-গবেষনা চলবে না, শিল্প ও বিজ্ঞানের বিকাশ সম্ভব হবে না।

জীবন বাচানোর তাগিদেই সকল উদ্ভাবন। আর জীবনের জন্য প্রথমে প্রয়োজন খাদ্য। আর খাদ্য উৎপাদনের জন্য দরকার কৃষি। আর কৃষির জন্য প্রয়োজন কৃষি-যোগ্য জমি।

বর্তমানে নগরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে ব্যাপকহারে নিধন হচ্ছে কৃষি জমি, যা রীতিমত Alarming. নগরায়ন আর শিল্পায়নের ফলে মানুষের হাতে অর্থ আসছে ঠিকই, কিন্তু বাড়ছে না আবাদ ও আবাদযোগ্য জমির পরিমান। কৃষিতে নিজের পায়ে না দাড়াতে পারলে শুধু নগরায়ন ও শিল্পায়ন দিয়ে কোমর সোজা রাখা যাবে না।

যেকোন জেলা শহর থেকে বেরোলে, এখন বহুদুর পর্যন্ত কৃষি জমির দেখা মেলে না। শুধু সিএনজি, ডিজেল স্টেশন, কারখানা, পাকা দালান ইত্যাদি চোখে পড়ে।


হাতে অর্থ থাকলেও, পকেটে টাকা থাকলেও, খাবার যদি না মেলে, তাইলে সে অর্থের কী মূল্য?

প্রশ্ন উঠবে, টাকা দিয়ে বাইরের দেশ থেকে খাদ্য সংগ্রহ করে খাব, তো সমস্যা কোথায়? খাদ্যের ক্ষেত্রে বাইরের দেশের প্রতি নির্ভরশীল হওয়া আত্ম-হননের নামান্তর। জীবনের মূল উপকরনের ব্যাপারে অন্য দেশের প্রতি নির্ভরশীল হওয়া বিপদজ্জনক। সম্পর্কের টান-পোড়েনে যে কোন অবরোধে কোন উপায় থাকবে না।

আমরা দেখেছি কাতারের অবস্থা কী হয়েছিল প্রতিবেশী সৌদির অবরোধের কারনে। কাতারের অর্থ ছিল, কিন্তু খাদ্যের ব্যাপারে স্বয়ং-স্বম্পুর্ণ ছিল না। ফলে বিপদে দেশটিকে অন্যান্য দেশের দ্বারস্থ হয়েই চলতে হয়েছে। তাদের খাদ্যের ব্যাপারে রেশনিং করতে হয়েছে।

সুতরাং কৃষিকে বাচাতেই হবে, কৃষিযোগ্য জমি চিহ্নিত করে সংরক্ষন করতে হবে। কৃষকের অধিকার রক্ষা ও কৃষিকে লাভজনক পেশা বানাতে হবে।

আমাদের দেশে কৃষকের অবস্থাও ভাল নেই। তাদের মূল্য নেই। দিন দিন মানুষ কৃষিকাজ থেকে মুখ ফেরাচ্ছে। হাড়-ভাঙ্গা খাটুনির প্রতিদান তারা পায় না। আগে কৃষকেরা (কামলা) গেরস্থের বাড়িতে যেয়ে কাজের আবদার করত। এখন গেরস্থ নিজেই কামলার বাড়িতে গিয়ে আবদার করে, তবুও কৃষক পাওয়া যায় না। এর কারনে কৃষি কাজের উপর থেকে গেরস্থদের আস্থাও কমে যাচ্ছে।


উন্নত বিশ্ব, অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জাপান, ইউরোপে কৃষিতে অনেক উন্নত, শক্তিশালী। কৃষকেরা ভাল আছে, কৃষিকাজে লাভ আছে। ফলে তাদের খাদ্যের ভান্ডারে কমতি নেই, পর-নির্ভরশীলতা নেই।

উন্নত বিশ্বের শিল্প ও বিজ্ঞান দেখলেই হবে না, তাদের কৃষি-ও দেখতে হবে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৮:৫১

লাবণ্য ২ বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:০৬

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: বাংলা‌দে‌শে জ‌মির প‌রিমাণ খুবই কম। এ‌তো কম ও ছোট আকা‌রের জ‌মি‌তে আধ‌ুনিক কৃ‌ষি প্রচল করা সম্ভব নয়। মাত্রা‌তি‌রিক্ত জনসংখ্যা আমা‌দের সব শেষ ক‌রে দি‌য়ে‌ছে।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: কৃষি নিয়ে কেউ ভাবে না। আপনি লিখেছেন আপনাকে ধন্যবাদ।
রবীন্দ্রনাথের পর আর কাউকে কৃষি নিয়ে ভাবতে দেখিনি। তিনি তার ছেলে পর্যন্ত বিদেশ পাঠিয়েছেন কৃষি কাজ শেখার জন্য।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:১০

বিজন রয় বলেছেন: কৃষি নিয়ে উত্তম ভাবনা।
এটা নিয়ে সরকার ভাবে না।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ সকাল ১১:৫৪

তাহমিনা আক্তার সুইটি বলেছেন: সুন্দর

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.