![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
(অনলাইন সংস্করণ চালুর হওয়ার কারণে এখন অনেক বাসায় কিংবা মেসে হকারের কাছ থেকে পত্রিকা কেনা হয় না। কোথাও বা সপ্তাহে একদিন কেনা হয়। কেউবা আবার বিশেষ কারণে মাঝে মধ্যে পত্রিকা কিনে থাকেন। সেক্ষেত্রে একটি পত্রিকার পাঠ চক্র যেমন হয়।)
১ম দিন: প্রথমদিন সকালে পত্রিকা আসার পর কিছুটা কাড়াকাড়ি অনিবার্য। কেউ প্রথম পাতা, কেউ খেলার পাতা, কেউ বিনোদন আবার কেউ ফ্রি ম্যাগাজিন নিয়ে বসে যায়। নিজেরটা পরা শেষে অন্যজনের সাতে বদলা-বদলি করে পড়ে।
২য় দিন: প্রথম দিন হয়তো ভুল করে কোন একটা পাতা পড়া হয়নি। দ্বিতীয় দিন পত্রিকা চোখে পড়া মাত্র সেটা পড়া চাই। অন্য পৃষ্ঠাগুলোতেও সুযোগ পেলে একবার চোখ বোলায়। সদ্য পাশকৃতরা চাকরির বিজ্ঞাপনগুলো গভীর মনোযোগের সহিত পড়ে।
৩য় দিন: তৃতীয় দিনে এসে সম্পাদকীয় পৃষ্ঠার কলামগুলো সুখাদ্যে পরিণত হয়। দীর্ঘ সময় নিয়ে কলাম পড়ার পর শুরু হয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা-সমালোচনা। সাথে চলে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা আর রাজনীতিবীদদের গোষ্ঠি উদ্ধার।
৪র্থ দিন: এদিন আন্তর্জাতিক ও মফস্বল পৃষ্ঠার বাদ পড়া সংবাদগুলো গুরুত্ত পায়। যেমন- ভেনিজুয়েলায় ব্যাঙের সাথে সাপের বিয়ে কিংবা বরিশালের বাকেরগঞ্জে একটি মুরগির ডিমে দুইটি ছানা।
৫ম দিন: হাতে কোন কাজ নেই তাই এদিন নিরস ফিচারগুলোতে চোখ বুলায়। কেউবা ম্যাগাজিনের পাঠকের চিঠি কিংবা আজব সমস্যার গজব সমাধান জাতীয় লেখা পড়ে। ছাত্ররা বিদেশে উচ্চ শিক্ষার বিজ্ঞাপন নিয়ে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করে।
৬ষ্ঠ দিন: কুলখানি চেহলামের খবর পড়তেও খারাপ লাগেনা। শব্দ ধাধার সমাধান কিংবা সুডোকু মিলাও বেশ জমে ওঠে। কয়েকজন একসাথে করতে শুরু করলে দ্রুতই সমাধানে পৌছা যায়।
৭ম দিন: এদিন পত্রিকার স্থান হয় ভাতের প্লেটের নিচে। তবে ভাত খেতে খেতে পাত্র-পাত্রী চাই, কিংবা টিউশনি দিচ্ছি/নিচ্ছি পড়াও শেষ হয়ে যায়। আর খাওয়া শেষে ম্যাগাজিনের ওলেকাম টিউনের গানের তালিকাটা পড়তেই বা দোষ কোথায়?
©somewhere in net ltd.