নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন বুনি দিবশিনি

আহমেদ বায়েজীদের ব্লগ

আহমেদ বায়েজীদ

আহমেদ বায়েজীদের ব্লগ

আহমেদ বায়েজীদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাকাত প্রদান পদ্ধতি

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

রমজান মাস আসলেই বিভিন্ন দোকানে একটি সাইনবোর্ড দেখা যায়- 'এখানে যাকাতের কাপড় বিক্রি হয়।'



ছোট বেলায় এই সাইনবোর্ড দেখে ভাবতাম শরীয় বিধি-বিধান মোতাবেক কোন কাপড় আছে হয়তো যাকাত দেয়ার জন্য। হয়তো সেটাই বিক্রি হয়।



কিন্তু পরে জেনেছি যে বিশেষ ভাবে তৈরি নিম্নমানের কাপড়(যা কম দামে সংখ্যায় বেশি পাওয়া যায়) তাই যাকাতের কাপড়।

আমাদের ধনী শ্রেণীও(অবশ্য সবাই না) এই কাপড় বিতরণ করে দেদারসে সওয়াব কামাই করছে!



যাকাত এর উদ্দেশ্য একটাই- দারিদ্রতা দূরীকরণ। অথচ এই 'যাকাতের কাপড়' টাইপ পদ্ধতিতে তা হয় না।

লাইন ধরে এলাকার মিসকিনদের হাতে একটা করে শাড়ী/লুঙ্গি ধরিয়ে দিয়েই আমাদের যাকাত আদায় শেষ হয়। আর কত বেশি সংখ্যক মানুষকে খুশি করা যায়- তার জন্যই এই 'যাকাতের কাপড়'। অনেক সময় এর পিছনে যোগ হয় ভোটের সমীকরন।



সাধারনত যাকাত আদায়ের নিয়ম সরকারিভাবে(আদায ও বন্টন)। কিন্তু যেখানে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা নেই সেখানকার মানুষ ব্যক্তিগত ভাবেই যাকাত আদায় করতে পারে।

ফলে আমরা যার যার সুবিধা মত নিজেদের তৈরি নিয়মে যাকাত দেই। যার পিছনে দারিদ্র দূরীকরনের কোন উদ্দেশ্য নেই। অথচ কোন দেশ বা সমাজে সঠিক ভাবে যাকাত আদায় করা হলে সেখানে এক পর্যাযে এসে যাকাত নেযার লোক পাওয়া যাবে না।

তবে এটা কেবলমাত্র তখনই সম্ভব যখন যাকাত আদায় করা হবে পরিকল্পিত ও বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য।



লাইন ধরে গরিবদের মধ্যে শাড়ী/লুঙ্গি বিতরণ না করে যাদি পরিকল্পিত ভাবে কম সংখ্যক লোকের মাঝেও ঐ যাকাতের টাকা বিতরণ করা হয় তবে তা তাদের আর্থিক অবস্থার পরিবর্তন আনতে সাহায্য করবে। হোক সেটা একজন বা দুই জন।

অর্থাৎ বিতরন পদ্ধতিটা এমন হতে হবে যে, "এবছর আমি যাকে যাকাত দেব আগামী বছর যাতে তার যাকাত নেয়া দরকার না হয়।"



এমনি ভাবে একজন ধনী লোক যদি তার যাকাতের টাকায় প্রতি বছর দুইজন গরীবমানুষেরও অর্থিক অবস্তার পরিবর্তন আনতে পারে তবে সমাজে দারিদ্রতা কমতে বাধ্য।

কিন্তু একটি করে শাড়ী/লুঙ্গি কেয়ামত পর্যন্ত দেয়া হলেও তাতে কাজের কাজ কিছুই হবে না।



আরেকটি ধারণা কাজ করে আমাদের মাঝে যে- যাকাতের ঘোষনা দিয়ে বাড়িতে মঞ্চ বানিয়ে বসে থাকবো, আর গরিব শ্রেণী আসবে যাকাত নিতে।

অথচ যাকাত যার উপর ফরজ তার দায়িত্ব হকদারের নিকট যাকাত পৌছে দেযা। কেউ নিতে আসবে না। আমার যাকাত আমাকেই পৌছে দিতে হবে।

###



(বি:দ্র:-এটি কোন শরীয় ব্যাখ্যা বা মাসয়ালা নয়, একান্তই নিজস্ব মতামত।)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:১৭

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: ইসলাম বলে কী , আমরা করি কী ? আফসোস !

Click This Link

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:১৯

আহমেদ বায়েজীদ বলেছেন: আপনার লেখাটা অনেক সুন্দর। সুন্দর ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

আমারটা অনেকটা তাড়াহুড়ো করে লেখা।

২| ২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৮

জনদরদী বলেছেন: আপনার আইডিয়াটা দারুন । লেখাজোকা শামীম ভাই তার লেখায় সঠিক কথাটি তুলে ধরেছে । আমাদের প্রথমে দরিদ্র আত্মীয়দের যাকাত দেয়া উচিত । আমার মতে আরো একটু বাছাই করা উচিত । আমাদের দেশের শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ লোক অলস । আমার মতে বাকী ৩০ ভাগ কর্মঠ আত্মীয়দের টাকা দিলে তারা সেই টাকা দিয়ে আর্থিক অবস্থা পরিবর্তন করতে পারবে ।

২০ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:২০

আহমেদ বায়েজীদ বলেছেন: ধন্যবাদ জনদরদী ভাই।

আসলে সবকিছুই বিজ্ঞানসম্মত ভাবে করলে তার সুফল আমরা পাবোই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.