![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রথম রাউন্ড শেষের পথে। দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে পরবর্তি সবগুলো পর্ব হয় নক আউট পদ্ধতিতে। তাই নির্ধারিত সময়ে কোন খেলা অমীমাংসীত থাকলে প্রয়োগ হয় পেনাল্টি শুট আউটের মাধ্যমে টাইব্রেকিং পদ্ধতি। টাইব্রেকার এমন এক নাম যেখানে এলে নিরব হয়ে যায় উত্তেজনাময় ফুটবলের সব উদ্দামতা, থমকে যায় স্টেডিয়ামসহ পুরো ফুটবল দুনিয়া। গোল লাইন আর ১২গজ দুরত্বের একটি বিন্দুর মধ্যে পেন্ডুলামের মত দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। আশা নিরাশার দোলাচালে দুলতে থাকে পক্ষ বিপক্ষের সবাই। মূহুর্তের সফলতা-বিফলতা কাউকে হাসায় আবার কাউকে কাঁদায়। কেউ হিরো হয় কেউ বা ভিলেন। কিক নিতে যাওয়া খেলোয়ারটি কিংবা প্রতিপক্ষ দলের গোল রক্ষক দুজনকেই দিতে হয় চরম পরীক্ষা। দুজনের যে কারও পরবর্তি কয়েক সেকেন্ডের উপর ভিত্তি করে তৈরি হতে পারে ইতিহাস, পাল্টে যেতে পারে ফুটবলের দুঃখ সুখের কাব্য। টাইব্রেকারকে অনেকে 'কিক অব ডেথ' বলেও সম্মোধন করে থাকেন। তাই তো ফুটবল বিশ্বকাপের সাথে টাইব্রেকার জড়িয়ে আছে অনেক আনন্দবেদনার স্মৃতি হয়ে।
গোড়ার কথা:___________________
১৯৭৮ সালের আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে প্রথম প্রচলন হয় টাইব্রেকারের। অবশ্য সেবার মূলপর্বে কোন ম্যাচ টাইব্রেকারে গড়ায়নি। তবে আফ্রিকান অঞ্চলের বাছাই পর্বে (১৯৭৭ সালের ৯ জানুয়ারি) তিউনিসিয়া টাইব্রেকারে হারিয়েছিল মরক্কোকে। পরের বার অর্থাৎ ১৯৮২ সালের স্পেন বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্স ও পশ্চিম জার্মানির ম্যাচটি বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম টাইব্রেকারে মিমাংসা হয়। নির্ধারিত সময়ে খেলায় ৩-৩ গোলে সমতা ছিল। টাইব্রেকারে পশ্চিম জার্মানি ৫-৪ ব্যবধানে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। ফ্রান্সের পক্ষে স্তাইলাইক তৃতীয় শট এবং ম্যাক্সিম বসিস ষষ্ঠ শটটা মিস করেন। জার্মানীর পক্ষে চতুর্থ শট মিস করেন দিদিয়ের সিক্স যার ফলে ব্যবধান দাড়ায় ৫-৪। জার্মানির গোলরক হারাল্ড টনি শুমাখার সেবার নায়ক বনে যান।
এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ইতিহাসে মোট ২২টি ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। ১৯৮৬ সালের মেক্সিকো বিশ্বকাপে তিন-তিনটি কোয়ার্টার ফাইনালের নিষ্পত্তি হয়েছিল টাইব্রেকারে। সেবারও ফ্রান্সকে নামতে হয়েছিল এই পরীক্ষায়। তবে তাতে তাড়া উৎরে যায় ভালো ভাবেই।ভাগ্য সঙ্গ দেয় ফ্রান্সকে। ব্রাজিলকে তারা টাইব্রেকারে হারায় ৩-৪ ব্যবধানে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় রাউন্ড থেকেই শুরু হয় টাইব্রেকার পরীক্ষা। সেবার আয়ারল্যান্ড-রোমানিয়ার ম্যাচ গোলশূন্য ড্রর পর টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালের ছাড়পত্র পায় আইরিশরা। একই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের জমজমাট ম্যাচে ইংল্যান্ডের কপাল পোড়ে জার্মানীর কাছে টাইব্রেকারে হেরে। স্টুয়ার্ট পিয়ার্স ও পরে ক্রিস ওয়াডেল দুজনেই কিক মিস করায় ইংল্যান্ডের আশা ভঙ্গ হয়। অন্য সেমিফাইনালেও ইতালীকে টাইব্রেকারে পরাজিত করে ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত সব আসরেরই ২য় রাউন্ডের একটি করে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছিল টাইব্রেকারে। এর মধ্যে ১৯৯৮-এ আর্জেন্টিনার কাছে ইংল্যান্ডের পরাজয় বিশ্বকাপ দর্শকদের অনেক দিন মনে থাকবে।
বিশ্বকাপ ফাইনাল ম্যাচ টাইব্রেকারে মীমাংসা হওয়ার ঘটনা এপর্যন্ত দুটি। ঘটনাক্রমে দুবারই ইতালি ছিল এই ঘটনার স্বাক্ষী। ১৯৯৪ যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বকাপে রবার্তো ব্যাজিও'র কিক মিস হলে চতৃর্থবার শিরোপার স্বাদ পায় ডু্ঙ্গার ব্রাজিল(৩-২)। ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে আবারও টাইব্রেকার পরীক্ষায় নামতে হয় ইতালিকে। এবার অবশ্য ফ্রান্সকে ৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে শেষ হাসি হাসে আজ্জুরিরা।
সফলতা-ব্যর্থতার খতিয়ানঃ_______________
টাইব্রেকারে দল হিসবে সবচেয়ে সফল ইউরোপিয়ান জায়ান্ট জার্মানী। চারবার এই অগ্নিপরীক্ষায় নেমে প্রতিবারই হাসিমুখে মাঠ ছেড়েছে তারা। আর সবচেয়ে ব্যর্থ দল ইংল্যান্ড। এখন পর্যন্ত তিনটি বিশ্বকাপে টাইব্রেকারে অংশ নিয়েছে ইংলিশরা। তবে একবারও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি তারা। আর্জেন্টিনা মোট চারবার টাইব্রেকারে অংশ নিয়ে জয়ী হয়েছে তিনবার। এর মধ্যে ১৯৯০ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে যুগোস্লাভিয়াকে ৩-২ ব্যবধানে হারানোর পর সেমিফাইনালে ইতালিকে পেছনে ফেলে ৪-৩-এ। ১৯৯৮-এ দ্বিতীয় রাউন্ডে ৪-৩ ব্যবধানে হারায় ইংল্যান্ডকে। অন্যদিকে ২০০৬-এ জার্মানির কাছে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায় ৪-২ ব্যবধানে। ব্রাজিল তিনবার মুখোমুখি হয় টাইব্রেকারের। এর মধ্যে প্রথমবার ১৯৮৬-র কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের কাছে ৩-৪ ব্যবধানে হারে তারা। এরপর ১৯৯৪-এর ফাইনালে ইতালিকে (৩-২) আর ১৯৯৮-এর সেমিফাইনালে হারিয়েছিল নেদারল্যান্ডসকে (৪-২)। নেদারল্যান্ডসের জন্যও সেটি বিশ্বকাপে টাইব্রেকারের একমাত্র ঘটনা।
টাইব্রেকার ভাগ্যটা মোটেও সুবিধার ছিল না ইতালির। চার বারের মধ্যে তিনবারই হারতে হয়েছে তাদের। ১৯৯০ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৩-৪, ১৯৯৪-এর ফাইনালে ব্রাজিলের সঙ্গে ২-৩ আর ১৯৯৮-র কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে তারা হারে ৩-৪-এ। বিশ্বকাপ ইতিহাসে আর কোনো দলই টানা তিনবার বাদ পড়েনি টাইব্রেকারে হেরে। তবে ২০০৬ এর ফাইনালে তার এ ধারা পাল্টে ঘরে তোলে শিরোপা। বর্তমান চ্যাম্পিয়ান স্পেন এ যুদ্ধে তিনবারে মধ্যে দুইবার পরাজিত হয়। ফ্রান্স মোট চারবার অংশ নিয়ে জয় পরাজয় ২-২। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলকে হারানো ফ্রান্স ২০০৬ সালের ফাইনালে এসে ইতালির কাছে পরাজিত হয় টাইব্রেকারে। এছাড়া দুইবার করে অংশ নেয়া মেক্সিকো ও রোমানিয়ার ফলাফলও শূণ্য।
নায়ক থেকে ভিলেনঃ______________
পায়ের জাদুতে ভুবন মাতানো অনেক বিখ্যাত তারকাও কাবু হয়ে গেছেন টাইব্রেকারে এসে। স্পট কিক মিস করে পরিনত হয়েছেন দেশের দুর্ভাগ্যের প্রতীকে। দেশের মানুষকে যারা একের পর এক আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন তাদের সামান্য ব্যর্থতায়ই আবার দেশে কেঁদেছে কথনও। এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি আলোচিত তারকা ইতালির রবার্তো ব্যাজিও। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্যাজিও পোস্টের বাইরে দিয়ে উড়িয়ে মারলে শিরোপা বঞ্চিত হয় ফেবারিট ইতালি। অথচ সেই বিশ্বকাপে ইতালিকে ফাইনালে তুলতে ৫টি গোলসহ তার ভুমিকা ছিল অদ্বিতীয়। তাছাড়া পরিসংখ্যান বলে ২২ বছরের ক্যারিয়ারে ৯১টি পেনাল্টির ৭৬টিই লক্ষ্যভেদ করেছেন রবার্তো বাজ্জিও। ইতালিয়ান ফুটবল ইতিহাসেই সেটা সেরা। সে ম্যাচে অবশ্য ইতালিয়ান ডিফেন্ডার ফ্রাঙ্কো বারেসিও কিক মিস করেন।
গ্রেটদের এই 'কালো তালিকায়' আছে আরও বড় বড় নাম। ব্রাজিলের সর্বকালের অন্যতম সেরা তারকা সক্রেটিস এবং জিকো সেই তালিকায় উপরের দিকে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিক মিস করেন তারা দুজন। একই ম্যাচে কিক মিস করেছিলেন ফরাসি মহানায়ক মিশেল প্লাতিনিও। তবে সতীর্থদের সফলতার কারণে তার মিস দলের পরাজয়ে কারন হয়নি। ৪-৩ ব্যবধানে ব্রাজিলকে হারায ফ্রান্স। তালিকায় আছে আর্জেন্টাইন ফুটবল ইশ্বর ডিয়াগো ম্যারাডোনার নামও। ১৯৯০ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনা কোয়ার্টার ফাইনালে যুগোস্লাভিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকার মিস করেছিলেন। তবে আর্জেন্টিনার জয়ের পথে অবশ্য বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি ম্যারাডোনার সেই মিস। একই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ইতালির খল নায়ক রবার্তো ডোনাডুনি। যার ফলে ইতালিকে হারিয়ে ফাইনালে পৌছে যায় আর্জেন্টিনা।
স্নায়ুর খেলাঃ ________________
অনেকেই বলেন টাইব্রেকার শুধু পায়ের খেলাই নয় এটি স্নায়ুরও খেলা। প্রচন্ড চাপের মাঝেও মাথা ঠিক রেখে লক্ষভেদ করা জন্য চাই অনেক মানসিক দৃঢ়তা। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে ইতালির বিপক্ষে জয়সূচক কিকটি নেয়ার পর ব্রাজিল দলপতি দুঙ্গা বলেন, 'ব্রাজিলিয়ানরা পেনাল্টিকে এতই গুরুত্বপূর্ণ ভাবে যে তাদের মতে কেবল প্রেসিডেন্টকেই এই শট নিতে পাঠানো উচিত।'
আর এই চাপের ব্যাপারটা ইতালিয়ান সুপার স্টার রবার্তো ব্যাজিওর চেয়ে আর কেইবা ভালো বুঝবে। এক সাক্ষাৎকারে ১৯৯৪ সালের ফাইনালের কথা স্মরণ করে বলেন-'আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বাজে মূহুর্ত, এখনও মাঝে মাঝে দুঃস্বপ্ন হয়ে আসে সেটা। যদি পারতাম জীবন থেকে মুছে দিতাম ঘটনাটা।'
১৯৯০ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিক মিস করা ইংলিশ ফুটবলার স্টুয়ার্ট সেই সময়ের কথা মনে করে বলেন-'মনে হচ্ছিল আমার গোটা পৃথিবীটাই ভেঙে পড়েছে। মাঝ বৃত্তে ফিরে আসার সময় চোখ ফেটে কান্না আসছিল।' অজ্ঞাত এক গোলরক্ষকের একটি কথা ফুটবল বিশ্বে বহুল প্রচলিত আছে। তিনি নাকি বলেছিলেন- 'পেনাল্টি বাঁচাতে গোলপোস্টের নিচে দাঁড়ালে মনে হয় জন্ম কিংবা মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে আছি।'
টাইব্রেকার নিয়ে আলোচনা সমালোচনার শেষ নেই। হয়েছে গবেষণাও। তেমনি এক গবেষণায় দেখা গেছে শতকরা ৬০ভাগ ক্ষেত্রে আগে শট নেয়া দলগুলো জয়লাভ করে। গবেষণা পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান অসলোর নরওয়েজিয়ান স্কুল অব স্পের্ট এর সহযোগী অধ্যাপক জিয়ের দরদেত বলেন-' পেনাল্টি শ্যুট আউট একটা মনস্তাত্তিক খেলা। এখানে দক্ষতা বা স্কীলের চেয়ে চাপের মুখে খেলোয়াররা কতটা নিজেদের ধরে রাখতে পারেন সেটা মুখ্য।' জরদেত তার গবেষণায় দেখিয়েছেন ইতালি, স্পেন আর নেদারল্যান্ডসের তারকা খেলোয়াড়রা এই জায়গায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল।
বিচিত্র টাইব্রেকারঃ______________
টাইব্রেকার নিয়ে আনন্দ-বেদনার গল্প যেমন আছে তেমনি আছে কিছু বিচিত্র ঘটনাও। ২০০৬ বিশ্বকাপে ইউক্রেনের কাছে হারার পাশাপাশি সেবার অগৌরবের একটা রেকর্ডও গড়ে সুইজারল্যান্ড। নিজেদের নেওয়া টানা তিনটি শটের প্রতিটিই মিস করে তারা । আর সেই র্কীতির(!) তিন নায়ক হলেন স্টেলার, বারনেতা ও ক্যাবানেস। বিশ্বকাপে এমন ঘটনা ঘটেনি আর কখনোই। বিশ্বকাপ আসরের বাইরেও আছে এমন ঘটনা। ২০০৪ সালের কোপা আমেরিকার কোয়ার্টার ফাইনালের টাইব্রেকারে চারটি শটের একটিও জালে জড়াতে পারেননি ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা। এ টাইব্রেকার মিস করা সেই চারজন হলেন ফ্রেড, এলানো, থিয়াগো সিলভা ও আন্দ্রে সান্তোস। পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ও আটবারের কোপাজয়ীদের জন্য নিঃসন্দেহে টাইব্রেকারে জঘন্যতম পারফরম্যান্স এটা। বড় কোনো আসরে টানা চারটি শট মিস করার রেকর্ডও এটি।
ক্লাব ফুটবলে ১৯৮৫-৮৬-র চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে স্টুয়া বুখারেস্টের বিপক্ষে বার্সেলোনা অবশ্য মিস করেছিল টানা চারটি শট। সেবার গোল করতে পারেননি বার্সার আলেসাংকো, পেদরাজা, আলনসো ও মার্কোস।
জেনে নিনঃ_________
> ১৮৯১ সালের সেপ্টেম্বরে এক ম্যাচে ওলভহার্মটন ওয়ান্ডারার্সের জন হিথ ফুটবল ইতিহাসে প্রথম পেনাল্টি নিয়েছিলেন একরিংটন স্ট্যানলির বিপক্ষে। গুরুতর ফাউল ঠেকাতেই ফুটবলে পেনাল্টির সংযুক্তি। পরবর্তিতে এই পেনাল্টিকেই টাইব্রেকার হিসেবে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়।
> কোনো আন্তর্জাতিক আসরের ম্যাচে প্রথমবারের মতো টাইব্রেকারে নিষ্পত্তি হয়েছিল ১৯৭৬ সালে। সেবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে চেকোস্লোভাকিয়া ৫-৩ ব্যবধানে হারায় পশ্চিম জার্মানিকে। ঐতিহাসিক প্রথম শটটা ঠিকমতোই জালে পাঠিয়েছিলেন চেকোস্লোভাকিয়ার মারিয়ান ম্যাসনি।
> এ পর্যন্ত বিশ্বকাপ ইতিহাসে মোট ৮টি বিশ্বকাপের ২২টি ম্যাচ গড়িয়েছে টাইব্রেকারে। কিক হয়েছে প্রায় ২০০টি। এর মধ্যে মিস হয়েছে শতকরা ৩০ ভাগ।
> বিশ্বকাপ ইতিহাসে প্রথম টাইব্রেকারে গোল করতে ব্যর্থ হন জার্মানীর উলি স্টিলাইক। ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপের ঘটনা সেটি। তবে এরপর আর জার্মানীর কেউ টাইব্রেকারে গোল মিস করেনি।
> ইংলিশরা বিশ্বকাপে মোট ১৪টি টাইব্রেকার কিক নিযেছে, যার মধ্যে ৭টিতেই ব্যর্থ তারা।
> মেয়েদের বিশ্বকাপেও দুটি ফাইনালে শিরোপার নিষ্পত্তি হয়েছে টাইব্রেকারে। ভিন্ন ভিন্ন ভুমিকায় দুইবারই এই ঘটনার স্বাক্ষী যুক্তরাষ্ট্র। এই জায়গায় তারা পুরুষদের বিশ্বকাপে ইতালির মত একই অবস্থানে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্র ৫-৪ ব্যবধানে হারায় চীনকে। তবে এশিয়ারই আরেক দল জাপানের বিপক্ষে গত বিশ্বকাপের ফাইনালে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র হেরে যায় ১-৩-এ।
১৮.০৬.২০১৪
(আমার এই লেখাটি চলতি সংখ্যা সাপ্তাহিক ২০০০ পত্রিকায় প্রকাশিত হযেছে)
২৮ শে জুন, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৩
আহমেদ বায়েজীদ বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ২৯ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: অসাধারণ তথ্যমুলক পোাস্ট।+++
৩০ শে জুন, ২০১৪ রাত ৮:২৯
আহমেদ বায়েজীদ বলেছেন: ধন্যবাদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুন, ২০১৪ দুপুর ২:২৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: সুন্দর একটা তথ্যসমৃদ্ধ লেখা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।