![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৃহস্পতিবার রাত ১১টার সময় বাড়ির সামনের রাস্তায় একটি মেয়েকে অপহরণ করার সময় লিটনের চোখে পড়ে। কোন কিছু না জেনেও শুধু বিবেকের তাড়নায় মেয়েটিকে বাচাতে এগিযে আসে লিটন। সন্ত্রাসীদের সাথে ধস্তাধস্তি করে মাইক্রোবাস থেকে মেয়েটিকে নামাতে গেলে তার পেটে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। লিটন পরে যায় রাস্তায়। মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।
দুই সন্তানের জনক লিটন ক'দিন পরেই সৌদি যাবে চাকরি নিযে। টিকেট কনফার্ম হতে দেরি হওয়ায় মাঝখানের সময়টায় দাড়োয়ানের চাকরি নেন উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরের ৩ নম্বর রোডের ৬ নম্বার বাড়িতে। ঐ বাড়ির একজন বাসিন্দা জানান- 'গুলিতে আহত হওয়ার পর লিটনকে উত্তরার বাংলাদেশ মেডিকেল ও সেন্ট্রাল হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু পুলিশ কেস তাই সেই দুটি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয় নি(খিয়াল কৈরা)। এরপর তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষণা করেন।
উত্তরা থেকে ঢাকা মেডিকেলের দুরত্ব অনেক। একজন গুলিবিদ্ধ মূমুর্ষ রুগীকে এতপথ পাড়ি দিয়ে সেখানে নেয়ার পরিণতি এমন হতেই পারে। অথচ উত্তরা থেকে ঢাকা মেডিকেলের রাস্তার পাশে কমপক্ষে আর পঞ্চাশটি হাসপাতাল/ক্লিনিক পাওয়া যাবে। সেখানে সেবার মানসিকতা(!) নিয়ে ডাক্তার হওয়া অনেকে নিশ্চয়ই আছেন। কিন্তু একজন লিটনের প্রতি কোন দায় তাদের নেই। থাকলেও আইনের ভয় অথবা দোহাই দিয়ে তারা এড়িয়ে যাচ্ছেন।
মেয়েটি ক্যাম্ব্রিয়ান কলেজের ছাত্রী ফাতেমা। তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিঃস্বার্থ ভাবে পরোপকারে এগিয়ে আসা একজন লিটন নিজেকে উদ্ধার করার সমস্ত পথ বন্ধ করে দিয়ে চলে গেছেন পৃথিবীর মায়া ছেড়ে। কিশোর দুটি সন্তানের মুখ দেখার লোভ ছেড়ে, আর আমাদের মানবিক সভ্যতার মুখে একরাশ থুথু ছিটিয়ে নিশ্চয়ই।
ভালো থেকো লিটন......
©somewhere in net ltd.