![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
১৩.১) হাদীস :
একদিন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সাহাবাদের সাথে বসে কথাবার্তা বলছিলেন। কথাবার্তা বলার সময় তিনি বললেন : সূর্য কিছুটা উপরে উঠলে কেউ তখন ওযু করে দুই রাকাত নামায পড়বে তার সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে এবং সে এমন নিষ্পাপ হয়ে যাবে যেনো সবেমাত্র মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হয়েছে।
১৩.২) হাদীস :
ফজরের নামায আদায় করে ধ্যানে বসে থেকে সূর্য উদয়ের পর ৪রাক’আত ইশরাকের নামায পড়লে একটি হজ্জ্ব ও একটি ওমরার সওয়াব পাওয়া যাবে। আল্লাহ পাক তার ঐ দিনের যাবতীয় নেক মকসুদ পূর্ণ করে দেন এবং তার জন্যে জান্নাতে ৭০ টি বালাখালা নির্মান করার আদেশ দিয়ে থাকেন।
১৩.৩) হাদীস :
যে ব্যক্তি ইশরাকের ১২ রাক’আত নামায পড়বে আল্লাহপাক তার জন্য জান্নাতে সোনার মহল তৈরী করে দিবেন। (তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ)
১৩.৪) হাদীস :
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি জোহারের দু’রাকা’আত নামায সংরক্ষণ করবে, তার পাপরাশী মাফ করে দেয়া হয় যদিও উহা সমুদ্রের ফেনার সমান হয়। (আহমদ, তিরমিযী)
সূর্য উদয় হতে সূর্য স্থির হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়কে জোহা বলে। সকালে বেলা উঠার পর নামায পড়লে এশরাক বলে। আর বেলা স্থির হওয়ার পূর্বে পড়লে চাশত বলে।
১৩.৫) হাদীস :
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন: তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির জোড়াগুলোর ওপর সাদকা ওয়াজিব। কাজেই প্রত্যেক বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলা সাদকা হিসেবে বিবেচিত, প্রত্যেক বার ‘আলহামদুলিল্লাহ’ বলা সাদকা হিসেবে বিবেচিত, প্রত্যেক বার ‘লা–ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলা সাদকা হিসেবে বিবেচিত এবং প্রত্যেকবার ‘আল্লাহু আকবার’ বলা সাদকা হিসেবে বিবেচিত। আর ‘সৎকাজের আদেশ করা” সদকা হিসেবে বিবেচিত হবে এবং ‘আসৎ কাজ থেকে বিরত রাখা’ সাদকা হিসেবে বিবেচিত হবে। আর এসবের মুকাবিলায় চাশতের যে দু’রাকা’আত নামায পড়া হবে তা যথেষ্ট বিবেচিত হবে।
©somewhere in net ltd.