নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

i blog/therefore i exist

অচিন্ত্য

"জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ"

অচিন্ত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার অভ্র

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

ভালবাসার অভ্র



যে জিনিসটা প্রতিদিনের ব্যবহারের, তা যে অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ, এই কথাটা দিনের অন্যান্য কথার সাথে মিশে থাকে বলে আলাদা করে আর চোখে পড়ে না। কী খেয়ালে আজ কথাটা আলাদা করে যেন চোখে পড়ছে।



২০০৭ সালে আমি যখন শিক্ষার্থীবেলায়, অতি আদরের এক ছোট ভাই গালিবদের বাসায় বেড়াতে যাই। কথায় কথায় ফাঁস হয়ে গেল যে আমি টাইপিং স্পিড বাড়ানোর জন্য কোমর বেঁধে লেগেছি। তেমন কোন কারণ ছিল না। একবার এক অ্যাসাইনমেন্ট টাইপ করতে দোকানে নিয়ে গিয়েছিলাম। ছোট্ট একটা ছেলে টাইপ করছিল। তার স্পিড দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন আমি ‘আর্ট অফ টাইপিং’ এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ঠিক করে ফেলি আমিও দ্রুত টাইপ করা শিখব। প্রসঙ্গক্রমে বাংলা টাইপ শেখার পরিশ্রমটুকুর প্রতি আমতা আমতা ভাবটাও গোপন রইল না। সেই শুভ মুহূর্তে গালিব অভ্র’র কথা বলল। আমি শুনে তো যারপর নাই খুশি। ওর পিসিতে বসে দেখিয়ে দিল, আমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিল। আমার আনন্দ আর ধরে না। সাথে পেনড্রাইভ ছিল। সফটওয়্যারটা নিয়ে এলাম।



সেই থেকে অভ্র আমার লেখনী। শিক্ষার্থীকাল সমাপ্তির পর যখন কাজের খোঁজ পেলাম, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বার বাংলা লিখতে হত না বলে সে বিষয়ে ভাবতে হয়নি। চতুর্থ কর্মস্থলে মাঝে মধ্যে বাংলা লিখতে হত এবং সেটা আমার লেখনী দিয়েই চালিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু বর্তমান কর্মস্থলে বাংলাতেই বেশি লিখতে হয় এবং অফিস থেকে বলে দেওয়া হয়েছে অবশ্যই সুতোনি ফন্টে লিখতে হবে। মহা বিপদে পড়লাম। ইউনিকোড থেকে বিজয়ে কনভার্ট করে চালাবো ভাবছিলাম। দেখলাম মাঝে মধ্যেই ফন্ট ভেঙে যাচ্ছে। কী করা যায় উপায় না দেখে বিজয় কীবোর্ড শিখেই নিলাম। এতেও সম্পূর্ণ সমাধান হল না। আমার যে ধরণের কাজ, তাতে যথেষ্ট স্পিড না হলেই নয়। বিজয় কিবোর্ড চিনেছি মাত্র, স্পিড তো নাই। এমন এক দিনে এক ছোটভাই এবং বর্তমান সহকর্মী জানাল অভ্র’র গ্লোবাল আউটপুট দুই ধরণেরই হতে পারে; ইউনিকোড এবং এএনএসআই। এবং এর এএনএসআই আউটপুট বিজয়ের সঙ্গে কম্পেটিবল। হায় হায়, এই জিনিস এতদিন জানলাম না কেন। অভ্র’র এই মোড অন করে সুতোনি ফন্টে দিব্যি লিখে যাচ্ছি।



এই সফটওয়্যারের পেছনের মূল মানুষটির নাম জানলাম মাত্র গত বছর। এই অমূল্য জিনিস ফ্রি ব্যবহার করতে দিয়ে নিজে ঠিক আড়ালটাই বেছে নিয়ে বসে আছেন মেহেদী হাসান খান। ২০১০ সালে বিজয়ের তরফে অভ্র’র লোকজনকে যে অপবাদ দেওয়া হয় তার পেছনে একট বিষয়ই উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেছে- ব্যবসার ক্ষতি। যে মানুষটিকে শ্রদ্ধায় ভালবাসায় মাথায় করে রাখার কথা, তাকে বলা হল চোর। হায়রে জব্বার আংকেল।



একজন বলেছিল ‘অভ্র’ হল একটি খনিজ। আমার জানা নেই। আমি শুধু জানি অভ্র মানে মেঘ; সাদা সাদা মেঘ; ভালবাসার মেঘ।



“আমার সকল পাপ ক্ষমা করে দিও তুমি মেঘ/ ভালবাসা হয়ো তুমি পরজনমে”

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: অভ্র এক মহান আন্দোলনের নাম। জব্বার কাগু যখন ঝামেলা করতাসিলো তখন তো ব্লগে ছিলা না বোধ হয়। সে এক অসাধারণ সংহতি।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫২

অচিন্ত্য বলেছেন: রাইট। অভ্র এক মহান আন্দোলনের নাম। হ্যাঁ, তখন ব্লগ দুনিয়ার সাথে যোগ ছিল না। ভাল থাকুন

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৫

আরজু পনি বলেছেন:

সুতোনি ফন্টে অভ্র....বিষয়টা ঠিক পরিষ্কার হলো না ।

আমার পিসি থেকে বিজয় সফ্টওয়ার একেবারেই বাদ দিয়েছি । কিন্তু ছাপাখানায় কাজে লাগানো যেতে পারে এমন ফন্ট দিয়ে অভ্র চালানোটা জরুরী হয়ে গেছে ।

একটু বিস্তারিত জানাবেন কি ?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৫

অচিন্ত্য বলেছেন: অভ্র সিস্টেম ট্রে তে মিনিমাইজ করা অবস্থায় আইকনটাতে রাইট ক্লিক করে টুলস'এ যান। দেখবেন পপ-আপ মেনুর সবার উপরে লেখা আছে Output as Unicode (Recommended), তার নিচের অপশনটা হল Output as ANSI (Are you sure ?)| দ্বিতীয় অপশনটাতে ক্লিক করলেই কাঙ্ক্ষিত মোডটি চালু হবে। অবশ্য এটিতে ক্লিক করার সময় একটা নোটিফিকেশন আসে। সেখানে একটা অপশন আছে (ইংরেজিটা ঠিক মনে নেই) যার অর্থ অনেকটা এরকম- যেভাবেই হোক এই মোডেই চালু হোক। সেখানে ক্লিক করলেই হল।

ভাল থাকুন। ফেসবুকে আপনার একটা অ্যাকাউন্টের ব্যাকগ্রাউন্ডে একটা বই দেখলাম। আপনার লেখা বই। পড়তে চাই। কোথায় কিনতে পাওয়া যাবে ?

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:০০

অচিন্ত্য বলেছেন: ওহ হো। আরেকটা কথা বলতে ভুলে গেছি। দু'একটা বানানে একটু সমস্যা হয়। যেমনঃ শুরু, ন্ত, স্ত ইত্যাদি। এসব ক্ষেত্রে আমি বিজয়ে লিখি।

ইন ফ্যাক্ট আমি বিজয় এবং অভ্র দু'টোই অন রাখি। অভ্রতে সুতোনি ফন্টে লিখতে গিয়ে যে জায়গাগুলোতে সমস্যা হয় সেখানে সাথে সাথে F12 চাপি, অর্থাৎ অভ্র অকার্যকর হয়ে পড়ায় একমাত্র বিজয় কার্যকর থাকে। তখন সেই অংশটা বিজয় কিবোর্ডে লিখে নিয়ে আবার F12 চেপে অভ্রতে ফিরে আসি। এই আর কি

ভাল থাকুন। লিখতে থাকুন

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এখন আমি বাংলা টাইপে এক্সপার্ট। ইংরেজী টাইপ এ স্পিড কমেছে আগের তুলনায়।
একজন বলেছিল ‘অভ্র’ হল একটি খনিজ। আমার জানা নেই। আমি শুধু জানি অভ্র মানে মেঘ; সাদা সাদা মেঘ; ভালবাসার মেঘ।

“আমার সকল পাপ ক্ষমা করে দিও তুমি মেঘ/ ভালবাসা হয়ো তুমি পরজনমে
যথার্থ বলেছেন একচেটিয়া ব্যবসা হলে তখন ভোক্তাকে নিয়ে খেলাটা স্বাভাবিক হয়ে যায়।

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

অচিন্ত্য বলেছেন: বেশ। খুব ভাল লাগল জেনে যে আপনি বাংলা টাইপে ওস্তাদ হয়ে গেছেন।
সময় করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
কথা হবে

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৮

আরজু পনি বলেছেন:

:|

কমেন্ট প্রিয়তে রাখার উপায় নেই । তাই পোস্টটাই প্রিয়তে রাখলাম :P

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:০৭

অচিন্ত্য বলেছেন: :)

৫| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৯

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: জয়তু অভ্র!

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

অচিন্ত্য বলেছেন: :)

৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৩২

নস্টালজিক বলেছেন: নিখাদ ভালোবাসার নাম অভ্র!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৬

অচিন্ত্য বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.