নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

i blog/therefore i exist

অচিন্ত্য

"জগতে আনন্দযজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ"

অচিন্ত্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাজধানীতে সিএনজি বিড়ম্বনায় আমাদের কিছু করার আছে কিনা

০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯

আপনি জানেন মিটারে গেলে ভাড়া উঠবে ৩০ টাকা, সিএনজি ড্রাইভার চাচ্ছে ২০০ টাকা, অনেক বাগবিতণ্ডার পরও ১৫০ টাকা’র কমে রাজি হচ্ছে না এবং গাড়িতে চড়ে বসার পর বলছে, “সার্জেন্ট ধরলে বলবেন মিটারে যাচ্ছেন।” এটাই রাজধানীতে সিএনজি ভ্রমণের সাধারণ চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।



চিত্রটা এমন হওয়া অনুচিত। কিন্তু এই চিত্র এমন হল কেন ? আমার ধারণা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিএনজি আমরা ইমার্জেন্সিতে নিই। তখন ভাড়াটা যতই চাওয়া হোক দিতে হয়। সিএনজি ড্রাইভাররা এই অবস্থার ফায়দা নিয়ে থাকে। হ্যাঁ, দু’একজন ব্যতিক্রম তো অবশ্যই আছেন। আমি নিজে একবার অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলাম। ভাড়া জিজ্ঞাসা করাতে ড্রাইভার সাহেব বলেছিলেন, “আমি মিটারে ছাড়া যাব না।” এমন যারা আছেন তাদেরকে সম্মান করেই সাধারণ অবস্থাটা নিয়ে কথা বলা যাক।



তো যা বলছিলাম। চিত্রটা এমন কেন। ইমার্জেন্সি ছাড়া সাধারণত একটু সচ্ছল আর্থিক অবস্থার মানুষজন সিএনজি নিয়ে থাকে। তাদের পক্ষে অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করা খুব একটা সমস্যার নয়। আমার ধারণা এই শ্রেণীর মানুষের ভাড়া নিয়ে খুব একটা বাগবিতণ্ডা করার ইচ্ছা হয়ে ওঠে না। এভাবে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি’র সাথে প্রাপ্তির যোগ ঘটতে ঘটতেই মনে হয় অবস্থাটা এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে।



কী করা যায় ?

নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভার মিটারে যেতে না চাইলে বা বিশেষ কোন অঞ্চলে যেতে না চাইলে ট্রাফিক পুলিশকে জানানোর কথা। কিতাবের অক্ষর আমাদের রাস্তার ধুলায় যথেষ্ট ধূসর। তাই সে কথা পড়ার চেষ্টা আপাতত তোলা থাক। রাস্তার দিকে তাকানো যাক। ওই যে সি এন জি দাঁড়িয়ে আছে।



প্রথমত যারা অতিরিক্ত ভাড়া বহন করতে সক্ষম, তাদের বুঝতে হবে সাধারণ মানুষ এই সক্ষমতার আওতার বাইরে। এবং তাদেরকে ন্যায্য ভাড়ার জন্য লড়তে হবে। দ্বিতীয় চেষ্টাটা সবাই মিলে করতে পারলে কেমন হয় ? দেখেন তো মনে ধরে কিনা।



স্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই ফাঁকে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিকে (এমনিই) জিজ্ঞেস করুন মিটারে যাবে কিনা। নিশ্চিত ধরে নিন না বলবে। আপনি বলুন মিটারে না গেলে যাব না। (যদি রাজি হয়েও যায়, মিটারে গেলে খুব কম ভাড়া ওঠে।) এই কাজটা অহরহ ঘটতে থাকলে সিএনজি ড্রাইভারদের একটা সাইকোলজিক্যাল পরিবর্তন ঘটতে পারে। মিটারে না গেলে মানুষ যেতে চায় না, এমন একটা ধারণা আস্তে আস্তে প্রসারিত করতে পারলে এই সমস্যা কমতে শুরু করবে বলে আমার ধারণা।



আমি এই কাজটা এখন থেকে নিয়মিত করব। ভাল লেগে থাকলে আপনিও করুন। পাশের মানুষটিকে করতে বলুন।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৫

নীলতিমি বলেছেন: আজিব একটা দেশ, আজব তার মানুষ ! /:) /:)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

অচিন্ত্য বলেছেন: :(

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩৯

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: "অর্থ নয়, কীর্তি নয়...আরো এক বিপন্ন বিস্ময়/আমাদের অন্তর্গত রক্তের ভেতরে খেলা করে"

আরো এক বিপন্ন বিস্ময় > অন্য এক বিপন্ন বিস্ময়

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

অচিন্ত্য বলেছেন:
ঠিক বুঝতে পারছি না আপনার বক্তব্যটি। যাই হোক শুভেচ্ছা

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৫:৩৯

নস্টালজিক বলেছেন: নিয়মিত যাত্রী ছিলাম সি এন জির! আমার মত ভুক্তভোগী আর কমই আছে!


০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫

অচিন্ত্য বলেছেন: :(

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৬

হাসান মাহবুব বলেছেন: একদিন একটা শিক্ষা দিবো ঠিক করসি। সে যে ভাড়া বলে তাতেই রাজি হয়ে উঠে পুলিশ আশেপাশে দেখলে থামতে বলে ধরায় দিবো।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

অচিন্ত্য বলেছেন:
হাহাহাহা এই কাজ আমার এক পরিচিত করে থাকে। সে পুলিশ স্টেশনের সামনে নেমে বলে "মিটারে কত উঠসে ?"

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: প্রস্তাবটা মনে ধরেছে। কিন্তু ইমারজেন্সির সময়েই যেহেতু সিএনজি নিয়ে থাকি, সেজন্য এটা কতখানি কার্যকর হবে তা নিয়ে ভাবতে হবে। তবে সুযোগ এলেই এটা করা যেতে পারে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

অচিন্ত্য বলেছেন:
অনেক ধন্যবাদ, পড়ার জন্য, ভাবার জন্য। ভাল থাকুন। কথা হবে।

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০৪

গুরাবা বলেছেন: পুলিশে ধরায় দেয়াই ভাল। যেমন ধরুন আপনার গন্তব্যের কাছাকাছি পৌছে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের কাছে সি.এন.জি থামাতে বলে ট্রাফিক পুলিশকে ধরায় দেয়া যায়। এরকম নিয়মিত করলে ই এরা ঠিক হয়ে যাবে কিছুদিনে।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

অচিন্ত্য বলেছেন:
ধন্যবাদ সময় করে পড়ার জন্য এবং মন্তব্যের জন্য।

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৪

মুদ্রা সংগ্রাহক বলেছেন: আমি আগে একটা কাজ করতাম। তখন তো দরজা খোলা থাকত, ঢুকে কথাবার্তা শুরু করতাম। যেতে না চাইলে ট্রাফিক পুলিশ কে ফোন দিতাম কিন্তু সিএনজি থেকে নামতাম না। ২-৩ বার গুলশান ২ নম্বর এ ট্রাফিক পুলিশকেই অনুরোধ করেছি সি এন জি ঠিক করে দেওয়ার জন্য। এগুলো অবশ্য মিটার থেকে ১০ টাকা ২০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়ার সময়ের ঘটনা।

গন্তব্যে যেতে যেহেতু সিএনজি ওয়ালা রা রাজী নয়, তাই উঠে গন্তব্য জিজ্ঞেস করলেই বলতাম - ভাই আপনার যেখানে পছন্দ সেখানে নিয়ে যান, আমার কোন সমস্যা নাই, এ পদ্ধতিতেও কাজ হয়েছে বেশ কয়েকবার।

সবচেয়ে বড় মুশকিল টা হয়ে গেছে যাত্রীদের সাইডে দরজা করে দেওয়ার পর থেকে, হুট করে সি এন জিতে ঢুঁকে পড়া যায় না, আর এখন যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে মিটারে ভাড়া কারেকশন আর পুলিশি শক্ত নজরদারী ছাড়া হয়ত পরিস্থিতি ঠিক করা সম্ভব হবে না।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

অচিন্ত্য বলেছেন:
অনেক সময় নিয়ে অনেক বড় মন্তব্য করলেন। অনেক ধন্যবাদ। সক্রিয় পাঠের জন্য।

একটা কথা অবশ্য ঠিক, সিএনজি ড্রাইভারদেরকে আগের চেয়ে অনেক বেশি টাকা দিন শেষে জমা দিতে হয়। সেজন্য ব্যবস্থাপনাটার সংস্কার দরকার। মিটারের রেট বাড়িয়ে দিলেই হয়।

ধন্যবাদ

৮| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫

অহেতুক অকারণ বলেছেন: মোবাইলে কেস করে দেবার ব্যবস্থা করতে পারলে ভাল হতো....... আস্তে আস্তে সব ঠান্ডা হয়ে যেত।। 8-| 8-| 8-|

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৯

অচিন্ত্য বলেছেন:
হাহ হাহ
ধন্যবাদ

৯| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

আিম এক যাযাবর বলেছেন: একদিন দরাদরি করে সিএনজিতে উঠে দেখলাম মিটার নাই, সামনে এক লিস্টে ঢাকা শহরের সকল থানা এলাকার সার্জেন্টদের মোবাইল নম্বর লেখা, ড্রাইভার জানালো এই সিএনজির মালিক পুলিশের অফিসার। এ ধরনের সিএনজির সংখ্যা কিন্তু এখন অনেক। শর্ষের মধ্যে ভূত থাকলে আম-পাবলিকের কি করার থাকে!

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

অচিন্ত্য বলেছেন:
হুম, এটা একটা বড় সমস্যা।
ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য

১০| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৭

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: একটা জিনিষ করার আছে। একটা হুন্ডা কিন্না ফালান।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:১৪

অচিন্ত্য বলেছেন:
সাইকেল একটি ভাল বিকল্প হতে পারে মনে হয়।

১১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: আসে একটা উপায়। ঢাকা শহরের প্রায় ৮০% ট্যাক্সির মালিক পুলিশগুলা। এই কুত্তার বাচ্চাগুলারে যদি ঠাপাইতে পাড়েন তাইলে কিছু হবে। নাইবে সারাটিজীবন চোদন খাইতে থাকিবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.