"দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া” এই বাক্যটি নিয়ে বিভ্রান্তির জবাব

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:০৩

আমার দেশের একটা লেখা নিয়া সবাই লাফাচ্ছেন।

৯ম-১০ম শ্রেণীর 'ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা' বইয়ের ২য় অধ্যায় পাঠ ২৪ (শিরোনাম-শরিয়তের আহকাম সংক্রান্ত পরিভাষা) এর ৮২ নং পৃষ্ঠার কতিপয় হারাম বিষয় ও দ্রব্যের তালিকায় লিখা আছে "দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া”

এখানে দুইটি সাধারণ বাক্য এক করে একটি যৌগিক বাক্য করা হয়েছে।

১. দেবদেবীর নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া।

বা (+)

২. আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া।

= দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া।

যাদের বাংলা পড়ার অভ্যাস আছে তারা বিষয়টি সহজেই বুঝতে পারবেন।

বাক্যটিতে “দেবদেবীর বা আল্লাহ ব্যতীত” লিখা আছে। দেবদেবী বা আল্লাহ ব্যতীত লিখা নেই।

যদি লেখা হতো "দেবদেবী বা আল্লাহ" তাহলে বলা যেতো আল্লাহ কে দেবদেবীর সমান্তরাল বলা হয়েছে। যখন ই “দেবদেবীর” বলা হয়েছে তখন যদি “আল্লাহর” লেখা হতো তবু্ও সমান্তরাল বলা যেতো।



সুতরাং বাক্যটির অর্থ এমন করা যাবে না : “দেবদেবীর নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া হালাল” অথবা “দেবদেবী বা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উত্সর্গীকৃত পশুর গোশত খাওয়া হারাম।”(দেবদেবী এর পর “র” বাদ দিয়ে)



এর পরও যাদের মাথা ব্যাথা যায়নি তাদের বলছি,

লিঙ্কে যেয়ে দেখেন

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ৯ম-১০ম শ্রেণীর 'ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা' পুস্তকের ২য় অধ্যায় পাঠ ২৪ (শিরোনাম-শরিয়তের আহকাম সংক্রান্ত পরিভাষা) এর ৮২ নং পৃষ্ঠার কতিপয় হারাম বিষয় ও দ্রব্যের তালিকার ক্ষেত্রে ১৫নং লাইনে ভুলবশত: যা ছাপানো হয়েছিল, তা শুদ্ধ করে “আল্রাহ ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গকৃত পশুর গোশত খাওয়া” পড়তে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বিষয়ে গত ৩০ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে এনসিটিবি'র নং- শি:উ: ২৪২/২০১৩/৮১ স্মারক মোতাবেক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক, সকল উপ-পরিচালক, সকল জেলা শিক্ষা অফিসার ও সকল উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারগণকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইভাবে ওয়েবসাইটেও তা সংশোধন করা হয়েছে। এ সংশোধনী অনুযায়ী শ্রেণীকক্ষে উক্ত পাঠদান বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মাঠ পর্যায়ের সকল শিক্ষা কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষকবৃন্দকে পুনরায় নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

০ টি +০/-০