নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ভোরের আলো

নাস্তিকতা মানেই নগ্নতা

আমি ভোরের আলো › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাষ্ট্র বনাম মির্জা ফখরুল-আসিফ নজরুল

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫

আসিফ নজরুল স্যারের আজকের লেখাটা অসম্ভব ভালো লেগেছে বলেই কপি পেস্ট মারলাম :

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে সরকারের দৃষ্টিকটু হয়রানি অব্যাহত রয়েছে। অবিশ্বাস্য ও খেলো অভিযোগে সরকার তাঁকে আগেও গ্রেপ্তার করেছিল। ডিসেম্বরে দ্বিতীয় দফায় তিনি গ্রেপ্তার হন একই ধরনের অভিযোগে। এ বছরের শুরুতে হাইকোর্ট থেকে জামিন পাওয়ার পর তাঁকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আশঙ্কা রয়েছে, ৩৭টি মামলায় ক্রমান্বয়ে একই প্রক্রিয়ায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দীর্ঘকাল তাঁকে আটক রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার। ১৯৯০-এর পরবর্তী সময়ে প্রধান বিরোধী দলের দ্বিতীয় শীর্ষনেতার বিরুদ্ধে এ ধরনের নিপীড়নের ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এ ঘটনা দেশের শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদদের জন্য অশনিসংকেত, দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অধোগতির ইঙ্গিতবাহী এবং আইনের শাসনের জন্য হুমকিস্বরূপ।

মির্জা ফখরুলের আগে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতারা বিরোধী দলে থাকাকালে হাস্যকর সব অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন। মিষ্টির দোকানে চাঁদাবাজি, গৃহবধূর গয়না ছিনতাই এমনকি বৃদ্ধ নারীকে ধর্ষণের কল্পিত অভিযোগে দল দুটো সরকারে থাকাকালে প্রতিপক্ষের নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু অলিখিত কিছু ডেকোরাম দল দুটো তারপরও মেনে চলেছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল দলের মহাসচিব বা সাধারণ সম্পাদক পর্যায়ে কাউকে গ্রেপ্তার না করা।

বিএনপি দ্বিতীয় দফা ক্ষমতায় থাকাকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্দিষ্ট দিনক্ষণের মধ্যে সরকার পতনের ট্রাম্পকার্ডের ঘোষণা দেওয়ার পর সারা দেশে চাঞ্চল্য ও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু সেই ঘোষণা দেওয়ার পরও তাঁকে তখন গ্রেপ্তার করা হয়নি। খেলো অভিযোগে মির্জা ফখরুলকে গ্রেপ্তার করে বর্তমান সরকার তাই বিরোধী দলকে নিপীড়নের নতুন নজির গড়ল বলা যায়। হুকুমের আসামি হিসেবে তাঁকে যেভাবে রাজনৈতিক মামলায় আটক রাখা হয়েছে, এটি প্যাটার্ন হয়ে দাঁড়ালে বাংলাদেশে ভবিষ্যতে সরকারবিরোধী রাজনীতি করা দুষ্কর হয়ে পড়বে। সরকারগুলো আরও স্বৈরতান্ত্রিক ও জনবিরোধী আচরণ করার সুযোগও পাবে তাতে।

২.

মির্জা ফখরুল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের দায়িত্ব পান দলের সংকট সময়ে। তাঁর পূর্বসূরি খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ১/১১ সময়ে দলের ঐক্য ধরে রাখার পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। কিন্তু তিনি এরপর আর দলকে তেমন এগিয়ে নিতে পারেননি। তাঁর সন্তানদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড, দলে তাঁর নিজের গ্রুপের লোকদের প্রাধান্য, সর্বোপরি তাঁর অনাধুনিক ইমেজ দলের জন্য ইতিবাচক ছিল না। বিএনপিতে এর আগে যাঁরা খালেদা জিয়ার মহাসচিব ছিলেন (কে এম ওবায়দুর রহমান, আবদুস সালাম তালুকদার, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া), তাঁরা সবাই চৌকস বক্তা ছিলেন। বেসরকারি টিভির বিপুল জনপ্রিয়তার যুগে বিএনপিতে তাঁদের মতো একজন চৌকস মুখপাত্রের প্রয়োজনও ছিল। মির্জা ফখরুলের দায়িত্বপ্রাপ্তি তাই বিএনপিতে নতুন আশার সঞ্চার করেছিল।

মির্জা ফখরুল অসাধারণ কোনো সংগঠক হয়তো ছিলেন না, রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি খুব বেশি অভিজ্ঞও নন। কিন্তু তাঁর সবচেয়ে বড় সম্পদ তিনি বাংলাদেশের মতো দেশে একজন বিতর্কমুক্ত রাজনীতিবিদ। তিনি একসময় বাম রাজনীতি করতেন, আইয়ুববিরোধী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন, খালেদা জিয়ার প্রথম আমলে প্রতিমন্ত্রী থাকার সময় তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি বা অনিয়মের কোনো অভিযোগ কখনো উচ্চারিত হয়নি। তিনি ভদ্র, সজ্জন ও মিতভাষী অথচ চৌকস বক্তা, দলের ভেতর কোনো গ্রুপিং করেন না, সর্বোপরি তিনি খালেদা জিয়ার আশপাশের গুটি কয়েক বিশ্বস্ত মানুষদের একজন। বিএনপি ও সরকারবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হয়ে উঠেছিলেন তাই অল্প সময়ে।

হয়তো এসব গুণই কাল হয়েছে তাঁর জন্য। হয়তো এসবের কারণেই সরকারের টার্গেট হয়েছেন তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে খড়্গহস্ত হতে গিয়ে সরকার এমন সব নিপীড়নের মানদণ্ড তৈরি করছে, যা আইনের শাসনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। গত ২৯ এপ্রিল সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় তাঁকেসহ বিএনপির বহু শীর্ষস্থানীয় নেতাকে আসামি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে, যে দুজন মোটরসাইকেল আরোহী ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল বলা হচ্ছে, তাদের এখনো গ্রেপ্তার দূরের কথা, শনাক্ত পর্যন্ত করা হয়নি। তাহলে কোন তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে মির্জা ফখরুলদের গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল? বিএনপির ৩৩ জন নেতা কি একই সঙ্গে দুজন মোটরসাইকেল আরোহীকে ককটেল বিস্ফোরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন? এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর আজও পাওয়া যায়নি।

উপরিউক্ত নিন্দনীয় ঘটনাতেই সরকার থেমে থাকেনি। মির্জা ফখরুলকে দ্বিতীয় দফা গ্রেপ্তার করা হয় আবারও একটি খেলো অভিযোগে। তিনি গত ৯ ডিসেম্বরে অবরোধ কর্মসূচির আগে জনগণের সহযোগিতা চেয়েছিলেন এবং সে জন্য রাস্তায় গাড়ি না নামাতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। অবরোধের দিন যতগুলো ভাঙচুর বা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, সে জন্য শুধু এই বক্তব্য দেওয়ার কারণে মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এই বক্তব্যের কারণে মির্জা ফখরুল হুকুমের আসামি হলে, ছাত্রলীগকে সরকারবিরোধী আন্দোলন প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগের যেসব নেতা নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁরা তাহলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোর কারণে গ্রেপ্তার হবেন না কেন? কেন বিশ্বজিৎ হত্যার জন্য হুকুমের আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে? আরও আগে লগি-বৈঠা হত্যাকাণ্ডের হুকুমের আসামি কে হবে তাহলে?

মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ মামলায় এজাহারের বিবরণীতে তাঁর বক্তব্যের (গাড়ি না নামানোর আহ্বানসংক্রান্ত) উল্লেখ থাকলেও এজাহারে তাঁকে আসামি করা হয়নি। এজাহারে সুনির্দিষ্টভাবে আসামি হিসেবে নাম না থাকার কারণে একসঙ্গে সব মামলায় উচ্চ আদালতে তাঁর জামিনের আবেদনও তাই করা যায়নি। যেসব মামলায় আসামি হিসেবে তাঁর নাম রয়েছে, সেসব মামলায় তিনি উচ্চ আদালতে জামিন পাওয়ার আবেদন করেছেন, জামিন পেয়েছেনও। কিন্তু জামিনে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার আগেই এজাহারে আসামি হিসেবে নাম নেই এমন মামলায় নতুন করে আসামি হিসেবে দেখিয়ে তাঁকে শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করছে পুলিশ। এ ধরনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক কর্তৃক শ্যোন অ্যারেস্ট মঞ্জুর করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানতে হয়। সাইফুজ্জামান বনাম রাষ্ট্র ২০০২ মামলায় উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত রয়েছে যে ইতিমধ্যে আটক থাকা কোনো ব্যক্তিকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হলে সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করবে না যদি তদন্তের সব কাগজপত্রসহ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে হাজির না করা হয়। মির্জা ফখরুলের ক্ষেত্রে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর সময় তাঁকে আদালতে হাজির করা হয়নি। শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীদের জানানো হচ্ছে না বলে তাঁরা বিষয়টি বা তদন্তের নথিপত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে কি না, তা-ও আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।

মির্জা ফখরুলের বিরুদ্ধে নজিরবিহীনভাবে তৎপর রয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কিছু আইনজীবীও। সাধারণত জামিনের আবেদন নিষ্পত্তির জন্য সময় চেয়ে পরে প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন করার কথা আসামিপক্ষের আইনজীবীদের। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দ্রুততর করার জন্য প্রোডাকশন ওয়ারেন্টের আবেদন করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এমন অচিন্তনীয় ঘটনাও সম্প্রতি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। দেশের শীর্ষস্থানীয় একজন রাজনীতিবিদের কণ্ঠ স্তব্ধ করে রাখার জন্য এভাবেই রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে বর্তমান সরকার।

৩.

মির্জা ফখরুলকে এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে কেন? তিনি আটক থাকলে বিএনপি এবং সরকারবিরোধী রাজনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাঁকে আটক রাখা হলে বিএনপিতে ভাঙন ধরানোর তৎপরতা চালানোও হয়তো সুবিধাজনক হবে। আওয়ামী লীগবিরোধী বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষের সংগঠন হিসেবে বিএনপির ঐক্যভিত্তি এখনো সুদৃঢ় হয়নি—এমন নজির অতীতে দেখা গেছে। খালেদা জিয়া নিজেই অন্তত দুবার (কে এম ওবায়দুর রহমান ও মান্নান ভূঁইয়ার নেতৃত্বে) বিএনপির ভাঙন দেখেছেন। বিএনপির ভেতর-বাইরের শক্তির সম্মিলনে খালেদা জিয়ার অতি বিশ্বস্ত একজন মহাসচিবের অনুপস্থিতিতে নতুন ভাঙনের কাজটি হয়তো সহজতর হবে বলে ভাবছেন সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। কিন্তু তাঁদের মনে রাখা প্রয়োজন, শেখ হাসিনা যেমন একাই আওয়ামী লীগের সমার্থক হয়ে উঠেছেন, খালেদা জিয়াও তাই বিএনপির জন্য। বিএনপির সুবিধাবাদী কিছু লোককে দিয়ে নতুন দল গড়ে তাঁদের নিয়ে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে, তাই মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না ভবিষ্যতেও। আর এই ছক সফল করার প্রয়োজনে মির্জা ফখরুলকে অব্যাহতভাবে আটক রাখার চেষ্টা করা হলে তা সরকারকে কোনো সুফল প্রদান করবে না চূড়ান্ত বিচারে।

অদূর ভবিষ্যতে মির্জা ফখরুলের মতো গ্রেপ্তার বা আটকের শিকার হতে পারেন বিএনপির আরও অনেক ত্যাগী নেতা। গ্রেপ্তারকৃত নেতাদের মুক্তির দাবিতে বা জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির আহূত প্রতিবাদ কর্মসূচিকেও ঢালাওভাবে যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার আন্দোলন হিসেবে প্রচারণা চালাতে পারে সরকার। ছাত্রলীগ বা পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া, তরল গ্যাস নিক্ষেপ-গুম-হত্যা সবকিছুই করা সম্ভব বিরোধী দলের বিরুদ্ধে। কিন্তু এতে আর যাই হোক দেশে গণতন্ত্র বলে কিছু থাকবে না।

প্রতিবাদের কণ্ঠকে যেকোনোভাবে রুদ্ধ বা দমন করার রাজনীতি দেশে ফ্যাসিজম ছাড়া আর কিছুই নিয়ে আসতে পারবে না। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের মানুষ এ ধরনের কিছু মেনে নিতে রাজি হবে কখনো।

আসিফ নজরুল: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

শোয়েব হাসান বলেছেন: বরাবরের মত ভালো লিখেছেন নজরুল স্যার । আপনার এই কথা বোঝার যোগ্যতা আওয়ামীলিগের এখনও হয়নি !

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

আমি ভোরের আলো বলেছেন: ঠিক বলেছেন দেশে এখন ফ্যাসিজম ছাড়া আর কিছুই নাই

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

samolbangla09 বলেছেন: আসিফ নজরুল স্যার শুধু ভাল লেখকই নন তিনি অনেক ভাল কথাও বলেন। টকশোগুলোতে যার প্রমান মেলে।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৫

আমি ভোরের আলো বলেছেন: হুম

৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:২৯

রিমন রনবীর বলেছেন: এত ছুডো মেশিন নিয়া এত বড় লেখা কেমনে লিখল? =p~

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৭

আমি ভোরের আলো বলেছেন: আসিফ নজরুলের লিখাটা সার্থক ! কারন কুত্তার গায়ে আগুন লেগে গেছে দেখছি

৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১১

কলির কৃষ্ণ বলেছেন: জুলুমকারীদের আল্লাহ হেদায়েত করবেন।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২১

আমি ভোরের আলো বলেছেন: কর্মের ফল তারা একদিন পাবেই

৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

তাজুল ভাবুক বলেছেন: আমারও অসম্ভব ভালো লেগেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.