নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

!

দাম দিয়ে কিনেছি বাংলা, কারো দানে পাওয়া না!

মুশাসি

আমি আপনার তালে নেচে যাই, আমি মুক্ত জীবনানন্দ।

মুশাসি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বোনটা জেনে যেতে পারলো না সে এ+ পেয়েছিলোঃ এই মৃত্যুমিছিল থামবে কবে?

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১০:৫৮



রুমে ফিরে মনটাই খারাপ হয়ে গেলো। এক আপু একটা মেসেজ পাঠিয়েছেন। হুবহু মেসেজটা তুলে দিলাম:



‘‘হ্যালো ভাইয়া, ভালো আছেন? আপনার সাথে একটা কথা শেয়ার করতে চাই। আমার এক রিলেটিভ। নাম ইলমা। এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। কাল ও সুইসাইড করেছে। জাস্ট রেসাল্ট এর টেনশন করে। ও খুব ইনট্রোভার্ট ছিলো, ওর বেশি ফ্রেন্ডও ছিলো না। মে বি স্ট্রেস নিতে পারে নাই। আজ রেজাল্ট বেড়িয়েছে। মেয়েটা জিপিএ ৫ পেয়েছে।’’



প্রথমে ভাবলাম জিপিএ ৫ যেহেতু পেয়েছে পরীক্ষা নিশ্চয়ই ভালো হয়েছিল। ভালো পরীক্ষা দিয়েও মেয়েটা সুইসাইড করলো? মনে খটকা লাগলো। অন্য কোনো কারন নেই তো?



পরে আবার ভাবলাম। রেজাল্টের আগের দিনই তো সুইসাইট করেছে সে। মেয়েটা আর কতই ভা বড় হবে? এমন হতে পারে যে, কোনো একটা বা দুইটা পরীক্ষা হয়তো খারাপ দিয়েছিলো। হয়তো সে হিসেব মেলাচ্ছিলো এ+ হবে কি হবে না। হয়তো হিসাবটা মিলছিলো না। বাবা মা, পরিবার, শিক্ষকরা কি বলবে এ+ না পেলে? এই উত্তর হয়তো সে খুজে পাচ্ছিলো না। এই চাপটাই হয়তো সে নিতে পারলো না।



শুধু ইলমা না। পত্রিকা খুলে দেখলাম ইলমার পরিনতি বরন করেছে অনেকেই,



নিউজে দেখলাম অকৃতকার্য হয়ে মাদারীপুরের শিবচরে সুমি আক্তার নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীও আত্মহত্যা করেছে।



দেখলাম ফেল করায় লালমনিরহাটে জাহানারা খাতুন নামে এক ছাত্রীও বৃহস্পতিবার রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।



পত্রিকায় দেখলাম রূপসাতেও ঘটেছে একই ঘটনা। ডোবা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিস বিভাগের পরীক্ষার্থী ডোবা গ্রামের রতন শিকদারের কন্যা মিতু শিকদার গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দু’টায় ফলাফল প্রকাশের পর সে অকৃতকার্য হওয়ায় কিছুক্ষণ পর বাড়িতে গিয়ে সবার অগোচরে কীটনাশক পান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে সে মারা যায়।



দুঃখজনক ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ‘সহপাঠীদের’ কাছে অকৃতকার্য হওয়ার খবর পেয়ে নরসিংদীতেও এক এসএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। মেয়েটির নাম রুমা। আত্মহত্যার পর জানা গেল আসলে পাস করেছে রীমা’। ৩ দশমিক ৩১ জিপিএ পেয়ে পাস করে সে।



মৃত্যমিছিল চলছে প্রতিবছর।



এই মৃত্যুগুলো আবার সেই পুরোনো প্রশ্নটাই তুলে দিলো। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কি একেবারে কম বয়সে অতিরিক্ত চাপ দিয়ে ফেলছে ছাত্র ছাত্রীদের? হয়তো এই চাপ বেশির ভাগ স্টুডেন্টই নিতে পারে। হয়তো খুব কম সংখ্যক নিতে পারে না। এই কম সংখ্যকের কথা কি ভাববো না আমরা? যেখানে দেশের নীতি হওয়া উচিত 'এভ্রি সিংগেল কাউন্টস'



এই ঘটনাগুলো প্রতিবছরই ঘটছে। এখন আবার চালু হয়েছে পিএসসি, জেএসসি। যেই চাপ ক্লাস টেনের একজন কিশোর বা কিশোরী নিতে পারছে না সেই চাপ ক্লাস ফাইভের একটি শিশু কিভাবে নেবে?



আমি চাইলেও পরিবারকে পুরো দোষ দিতে পারছি না। কারন আমি জানি আমাদের দেশে শিক্ষার হার কত। আমি যদি আশা করি শিক্ষাটা পরিবার থেকে আসবে তবে ভুল করবো। কারন বেশির ভাগ মা বাবা অতটা শিক্ষিত না কিন্তু যারা শিক্ষিত তারাই ভা তাদের ভূমিকা কতটা পালন করছেন? তারা প্রতিনিয়ত তাদের সন্তানদের চাপে রাখেন। ছেলে এ+ না পেলে সমাজে তাদের মান থাকবে না। তাই তারা যেভাবে চাপ সৃষ্টি করেন তা অনেকসময় অশিক্ষিত অভিভাবকের চেয়েও ভয়াবহ। ছোটবেলা থেকেই এই চাপে শিশুরা যেনো গলায় দড়ি দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলছে। শুধু শ্বাসটা যাওয়াই বাকি।



মরচে পড়া ব্রিটিশ আমলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সেই কবে থেকে গড়িয়ে নিয়ে চলেছি আমরা। এই যুগে এর কার্যকরিতা কতটুকু তা ভাবার সময় নেই আমাদের। যাদের অনুকরন করছি সেই ব্রিটিশরা কি এখনো সেই প্রাচীন পদ্ধতিতেই চলছে?



কি শেখানো হচ্ছে স্কুলে কলেজে? কিভাবে এ+ পেতে হয়? শিক্ষাটা আসতে হবে শিক্ষকের কাছ থেকেই। আমার মা বাবা দুইজনই শিক্ষক। তবু আমি শিক্ষকদেরই এই মৃত্যগুলোর জন্যে কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো।



আমাদের শিক্ষকরা প্রতিটা দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কিভাবে এ+ পেতে হয় শেখাতে পারেন। কিন্তু এ+ না পেলে যে জীবনটা শেষ হয়ে যায়না এটা শেখানোর জন্য কি তারা দুই বছরে একটা ঘন্টাও বের করতে পারেন না?

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১২/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১১

নিকোটিন বলেছেন: আমাদের শিক্ষকরা প্রতিটা দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কিভাবে এ+ পেতে হয় শেখাতে পারেন। কিন্তু এ+ না পেলে যে জীবনটা শেষ হয়ে যায়না এটা শেখানোর জন্য কি তারা দুই বছরে একটা ঘন্টাও বের করতে পারেন না?


+

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৭

মুশাসি বলেছেন: আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা জীবনমুখী নয়। এই ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনাটা খুবই জরুরী।

প্লাসের জন্য ধন্যবাদ নিকোটিন ভাই। ভালো থাকবেন সবসময়।

২| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:১৬

টেকনো(মুভি এডিশন) বলেছেন: মনটা খারাপ হয়ে গেল। এরকম ঘটনা কোন ভাবেই কাম্য নয়। আমার বাবা মা কখনই আমাকে প্রেশার দেয় নি। তাতে হয়ত রেজাল্ট অতটা টপ ক্লাস না কিন্তু তারমানে এই নয় যে জীবন এখানেই শেষ...

just hope nothing like that ever happens again

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

মুশাসি বলেছেন: তুমি ভাগ্যবাদ ভাইয়া, কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ পরিবারেই প্রেসারে রাখা হয় ছেলেমেয়েদের।

৩| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬

নিস্প্রভ নীল বলেছেন: আসলেই খারাপ লাগলো শুনে, আমাদের সবার বুঝাতে হবে যে মাত্র একটা পরীক্ষার উপর জীবন নির্ভর করে না। জীবন যে কতটা দামি, সেটা যেন আমরা সবাই বুঝতে শিখি।

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫০

মুশাসি বলেছেন: শুধু আমাদের বুঝেই হবে না, এই শিক্ষাটা সমাজে ছড়িয়ে দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের বোঝাতে হবে, তাদের মা বাবাকে বোঝাতে হবে।

ধন্যবাদ নিস্প্রভ নীল ভাই

৪| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
ক্লাস ফাইভে পিএসসি পরীক্ষার কোন দরকার নাই ! ফাউ বাচ্চাগুলারে প্রেসারে ফালায় .। এই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা মোটেও ভাল নাহ

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫২

মুশাসি বলেছেন: সহমত ভাইয়া, পিএসসির কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের নীতিনির্ধারকদের এটা কে বোঝাবে?

৫| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৩৭

লিংকন১১৫ বলেছেন: ভালো রেজাল্ট কি জীবনের পরিবর্তন এনে দিতে পারে ?

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৫৪

মুশাসি বলেছেন: জীবনের জন্য ভালো রেজাল্ট, ভাল রেজাল্টের জন্য জীবন নয়।

৬| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৩

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: একটা কথা কি আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা আসলে কোন জাতেরই না।দেখুন এটা বললাম বলে অনেকে অন্য কিছু মনে করবে।আমি কিছুটা ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি।

আমাদের দেশে বোর্ড পরীক্ষা গুলোকে এমন ধরা হয় যে, এগুলোতে ছেলে মেয়ে ভাল রেজাল্ট না করলে জীবনে কোনদিনই উন্নতি করতে পারবে না।আর আমার অনেক সময় মনে হয় পরীক্ষার্থী শুধুই পরীক্ষা দিচ্ছে না দিচ্ছে তার পুরো পরিবার(আমার বেলায় ও সেইম কেইস)।আসলে কিন্তু এসব রেজাল্টের কোন অর্থ নেই।কারণ আপনি ভাল রেজাল্ট যাই করেন না কেন আপনার প্র্যাক্টিক্যাল নলেজ না থাকলে কোন ক্ষেত্রেই আপনি দাঁড়াতে পারবেন না।

বর্হিবিশ্বরের শিক্ষানীতি দেখুন গুলো দেখুন।ঐখানে সব কিছুই প্র্যাক্টিক্যালি শিখানো ও পড়ানো হয়।মানলাম আমাদের দেশ গরীব, কিন্তু তাই বলে তো এই না যে মুখস্ত বিদ্যার ভার দিয়ে ছেলে মেয়ে উপর স্টীম রোলার চালানো উচিত।

প্রমাণ স্বরূপ দেখুন স্যার স্টীভ জবস একজন এভারেজ স্টুডেন্ট ছিলেন।কিন্তু তিনি সারা বিশ্বের কিং টেক নামে পরিচিত।

বিল গেটস যে বিশ্বের ধনীদের মধ্যে একজন।উনিও উনার শিক্ষা জীবনে এভারেজ স্টুডেন্ট ছিলেন।তাই বলে কি জীবনে উন্নতি করতে পারে নি।

সর্বোপরি আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কোন শিক্ষার্থী কিছু শিখে না বরং অসুস্থ হয়।

১১ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:৪০

মুশাসি বলেছেন: খুব সুন্দরভাবে সহজে বিষয়টি ব্যাখ্যা করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ বাপ্পী ভাই। এই দুজনের মতো আরও অনেক অনেক উদাহরন দেয়া যাবে। আসলেই আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক সেকেল, অনেকটা পিছিয়ে আছে। একে জীবন মুখী করতে হবে। প্রাক্টিক্যাল শিক্ষার সুযোগ বাড়াতে হবে।

৭| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:১৫

কে এম শিহাব উদ্দিন বলেছেন: লেখক বলেছেন: জীবনের জন্য ভালো রেজাল্ট, ভাল রেজাল্টের জন্য জীবন নয়।
.
সহমত ভাই।
পোস্টে প্লাস।

১১ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:০০

মুশাসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই

ভালো থাকবেন সবসময়

৮| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১:০৭

আমিনুর রহমান বলেছেন:

তাও এরা অনেক বড় হয়েছে কিন্তু এই বছর পিএসসি তে এ+ না পাওয়াতে আমার জানা মতে ৩ টা বাচ্চা আত্মহত্যা করেছে। বাবা-মা আর শিক্ষক সচেতনতা এবং সর্বোপরি প্রতিযোগিতামুলক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে।

১১ ই মে, ২০১৩ ভোর ৫:০১

মুশাসি বলেছেন: প্রতিযোগিতামুলক শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন আনতে হবে। খুব ভালো একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন ভাই।

অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৯| ১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:০৬

মামুন রশিদ বলেছেন: খুব দরকারি একটা বিষয়ের অবতারনা করেছেন । রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটা বড় ত্রুটি হলো শিক্ষার্থীদের উপর এই অসহনীয় চাপ ।

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪৩

মুশাসি বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। রেজাল্ট ওরিয়েন্টেড প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার একটা বড় ত্রুটি হলো শিক্ষার্থীদের উপর এই অসহনীয় চাপ । এই চাপটা কমানোর জন্য নীতিনির্ধারকদের উপর যাপ দিতে হবে।

১০| ১১ ই মে, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

সাবরিনা সিরাজী তিতির বলেছেন: প্রতিবার এভাবে ঝরে যায় প্রাণ । তার জন্য দায়ি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা , আর আমরা বাবা মায়েরা । এবার জে এস সি তে নতুন করে চালু হয়েছে দুটো সাবজেক্ট । তারমধ্যে একটি চারুকারু । বেশ ভালো কথা । কিন্তু আমার শহর ফরিদপুর একমাত্র সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে নেই ড্রইং টিচার । এখন দৌড়াও আরেক জায়গায় । বাচ্চারা এত টিচার এর কাছে যাবে কখন আর নিজেরা বাসায় পড়বে কখন ! কখন একটু রেস্ট নেবে , একটু খেলবে ? এই প্রশ্নের উত্তর দেবার কেউ নাই । এদেশের ছাত্র'রা হল গিনিপিগ । অলস ,অনভিজ্ঞ মস্তিষ্ক প্রসূত কিছু মানুষের এক্সপেরিমেন্ট চালানো দরকার ,চালাচ্ছে । গিনিপিগ মরে গেলে কি আসে যায় ! মানুষেরা তো বিদেশে পড়াশুনা করে । আমাদের গিনিপিগরাই শুধু পচে মরে এদেশে । :(

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪৬

মুশাসি বলেছেন: আপু, প্রাক্টিকেল নলেজের দরকার আছে। বেশির ভাগ সিলেবাস যদি এমন করা সম্ভব হয় তাহলে এর সুফল আমরা পাবো। কিন্তু তার আগে নিশ্চিত করতে হবে আমরা এই ধরনের শিক্ষা দেওয়ার সুব্যবস্থা আমাদের আছে কিনা। আর এই এক্সপেরিমেন্ট এর নিন্দা জানাই। বাচ্চাদের গিনিপিগ বানানো তাদের ভবিষ্যত নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ছাড়া আর কিছুই নয়।

১১| ১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

সঞ্জয় নিপু বলেছেন: মিরাকোরাল !! হলে ও সত্য যে "ইলমা " নামের এই মেয়েটি আমার পাশের ফ্লাটের প্রতিবেশী !!

সত্যি খুব খারাপ লাগলো তার এই ব্যপারটি দেখে এবং শুনে । সকালেই আমাদের পাশের ফ্লাটের চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙ্গেছিল আমার ছোট বোন এবং বউ দৌরে গিয়ে তাদের বাসায় ঢুকে দেখে ফ্যনের সাথে মেয়েটি ঝুলছে !!

অথচ কিছুদিন আগেই তার সাথে ওরা কথা বলেছে এমনকি ছবি ও তুলেছে ...
তাদের আফসোস আর কান্না দেখে খুব খারাপ লাগলো ।

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৪৯

মুশাসি বলেছেন: আমার কাছে ইলমার নাম ছাড়া ঠিকানা বা কোনোরকম পরিচয় প্রকাশের অনুমতি নেই। আশা করি মেয়ের মা বাবাকে আল্লাহ তায়ালা এই শোক সহ্য করার ক্ষমতা দেবেন।

নিপু ভাই ঐ পরিবারের প্রতি একটু দৃষ্টি রাখবেন। নিজেদের দোষী ভেবে কোনো অঘটন না ঘটায় মেয়েটি মা বাবা।

১২| ১১ ই মে, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

কালো_সাদা বলেছেন: আসলে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোটাই মুখস্থ চর্চার উপর নির্ভরশীল।।আর পরীক্ষার যে চাপ সেটা কমানোর জন্য পরিবারের ভুমিকাই মুখ্য । আবার যে হারে দিনকে দিন এ+ ধারীদের সঙ্খ্যা বাড়ছে সেটাও আমাদের শিক্ষার্থীদের একটা চাপের কারন । শিক্ষাকে উপভোগ্য করে তুলতে পারলে আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের প্রকৃত মেধা আর সৃজনশীলতা দুটোরই সঠিক মূল্যায়ন হবে

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫১

মুশাসি বলেছেন: শিক্ষাকে উপভোগ্য করে তুলতে পারলে আমাদের ছাত্র ছাত্রীদের প্রকৃত মেধা আর সৃজনশীলতা দুটোরই সঠিক মূল্যায়ন হবে
খুব সুন্দর একটা বিষয় তুলে ধরেছেন ভাইয়া। যে শিক্ষা গ্রহন করতে মানসিক চাপে পড়তে হয় না তা প্রনয়ন করতে পারনে এই অনাকাংখিত ঘটনাগুলো আমরা এড়াতে পারবো।

১৩| ১১ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬

তোমোদাচি বলেছেন: এই সময় টিনেজ বাচ্চাগুলোর পাশে থাকা উচিত; কিন্তু মূলত পরিবারের চাপেই এরা থাকে বেশী !

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫২

মুশাসি বলেছেন: ঠিক বলেছেন তোমাদাচি। টিনএজাররা ভীষন অভিমানী। প্রায়ই এরা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।

১৪| ১১ ই মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অত্যন্ত জরুরী একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন

১২ ই মে, ২০১৩ রাত ২:৫৩

মুশাসি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কান্ডারী অথর্ব ভাই।

১৫| ১২ ই মে, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

এরিস বলেছেন: নিকোটিন বলেছেন: আমাদের শিক্ষকরা প্রতিটা দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কিভাবে এ+ পেতে হয় শেখাতে পারেন। কিন্তু এ+ না পেলে যে জীবনটা শেষ হয়ে যায়না এটা শেখানোর জন্য কি তারা দুই বছরে একটা ঘন্টাও বের করতে পারেন না?
সহমত। রেজাল্টের পর টিভিতে ফিঙ্গার ক্রস দেখানো বন্ধ করে দিলে ৩০% ডিপ্রেশন কমানো সম্ভব। বিলিভ ইট এইচ এস সি তে গোল্ডেন না পেয়ে, টিভিতে একজনে সাক্ষাৎকার দেখে আমারও একই অনুভূতি হয়েছিল। জত্তসব। এ + মানেই বিশ্বজয় না।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

মুশাসি বলেছেন: ভালো একটা পয়েন্ট বলেছেন এরিস। আমাদের মিডিয়া যত নষ্টের গোড়া।

এ + মানেই বিশ্বজয় না।

১৬| ১৩ ই মে, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

jotejoy বলেছেন: every parents should have friendly with his kids.They have to mind it that A+ is not everything

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৬

মুশাসি বলেছেন: you are absolutely right

১৭| ১৩ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৫:২৮

রাশফি বলেছেন: মরচে পড়া ব্রিটিশ আমলের শিক্ষা ব্যবস্থাকে সেই কবে থেকে গড়িয়ে নিয়ে চলেছি আমরা। এই যুগে এর কার্যকরিতা কতটুকু তা ভাবার সময় নেই আমাদের। যাদের অনুকরন করছি সেই ব্রিটিশরা কি এখনো সেই প্রাচীন পদ্ধতিতেই চলছে?

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

মুশাসি বলেছেন: নাহ, বৃটিশরা এগিয়ে গেছে শত হাত দূরে। আমরা পিছিয়ে পড়ছি প্রতিনিয়ত। যার ফলে এই বোনেদের, ভাইদের প্রান যাচ্ছে

১৮| ১৩ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০২

বাংলার হাসান বলেছেন: আমাদের শিক্ষকরা প্রতিটা দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কিভাবে এ+ পেতে হয় শেখাতে পারেন। কিন্তু এ+ না পেলে যে জীবনটা শেষ হয়ে যায়না এটা শেখানোর জন্য কি তারা দুই বছরে একটা ঘন্টাও বের করতে পারেন না? খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

২৫ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৯

মুশাসি বলেছেন: অমি ভাই, আশা করি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের বোধোদয় হবে

১৯| ১৬ ই মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

অদৃশ্য বলেছেন:





এরকম ঘটনা শুধু এদেশেই না, পৃথিবীর বহু দেশেই হচ্ছে... তবে উপমহাদেশেই এই সমস্যা বেশি...

পরিবার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দু'টোকেই এক্ষেত্রে সমানভাবে এগিয়ে আসতে হবে...

আপনার শেষ কথাগুলো একদম ঠিক... বিষয়টা নিয়ে আসলেই ভাবা দরকার...

শুভকামনা...

২০| ১৮ ই মে, ২০১৩ রাত ১২:০০

মেহেদী হাসান মানিক বলেছেন: আমাদের শিক্ষকরা প্রতিটা দিন সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত কিভাবে এ+ পেতে হয় শেখাতে পারেন। কিন্তু এ+ না পেলে যে জীবনটা শেষ হয়ে যায়না এটা শেখানোর জন্য কি তারা দুই বছরে একটা ঘন্টাও বের করতে পারেন না?

ছেলেমেয়েদের যান্ত্রিক করে দিচ্ছে চাপে ফেলে। শুধু বইয়ের বিধ্যা মুখস্থ করে ভাল ফলাফল কর এটাই চাওয়া । :( :( :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.