নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আদনান

এগুলো আমার লেখা। লেখাগুলো কপিরাইটেড।

আদনান ফায়সাল

তিনিই কাঁদান, তিনিই হাসান। তিনিই মারেন, তিনিই বাঁচান। সমস্ত প্রশংসা শুধু তাঁরই।

আদনান ফায়সাল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারসিসা’র কাহিনী : শয়তান যেভাবে মানুষকে ধোঁকা দেয়

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ ভোর ৬:৫৩





বনী ইসরাইলের সময় এক ছোট্ট গ্রামে বারসিসা নামে অত্যন্ত ধার্মিক এক ব্যক্তি ছিল। তাকে সন্ন্যাসী বলা যেতে পারে। সে আল্লাহর একত্ববাদে বিশ্বাস করত এবং বিশ্বাস করত যে ঈসা আলাহিসসালাম আল্লাহর একজন রাসুল।



সেই গ্রামে তিন ভাই ও এক বোন থাকতো । সেই ভাইদের জিহাদের জন্য ডাকা হল । কিন্তু তারা বোনকে একা রেখে যেতে চাইল না। কার কাছে রাখবে চিন্তা করতে লাগলো। গ্রামবাসি বারসিসার কথা বলল। কারণ গ্রামের সবাই বারসিসাকে উত্তম চরিত্রবান হিসাবে জানতো । তো তারা বারসিসার কেছে গেল, যখন তার কাছে তাদের বোনকে রাখতে চাইলে সে রাজি হল না এবং বলল 'আমি অভিশপ্ত শয়তানের কাছ থেকে পানাহ চাই।'



কারণ সে ভয় করছিল যে সে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে। তখন শয়তান বারসিসার মনে কুমন্ত্রণা (ওয়াসওয়াসা) দিতে আসল। চালাক শয়তান জানতো যে বারসিসার মন খুবই নরম। সে কানে কানে বারসিসাকে বলল - "তারা যদি ভাল কাউকে তাদের বোনের জন্য খুঁজে না পায় এবং খারাপ কারো কাছে মেয়েটিকে রেখে যায় তখন কি হবে ! এই পরিণতি কি তোমার ভুলের জন্য নয়?"



বারসিসা বুঝতে পারেনি যে এটা শয়তানের কুমন্ত্রণা। মানুষের প্রতি দরদের কারনে মেয়েটিকে সে সাহায্য করতে রাজি হল।



সে মেয়েটিকে গির্জার বিপরীতে একটি ঘরে থাকতে দিল। গির্জার সামনে মেয়েটির জন্য খাবার রেখে আসত, মেয়েটি নিজে এসে খাবার নিয়ে যেত। বারসিসার সাথে তার দেখা হত না।



শয়তান বারসিসার কাছে আবার আসল এবং বলল, "তুমি কেন মেয়েটির খাবার তার ঘরের সামনে রেখে আসো না? এর ফলে মেয়েটাকে ঘর থেকে কেউ এতটা পথ একা একা হেঁটে বের হতে বা ফিরে যেতে দেখবে না!"



বারসিসা রাজি হল এবং মেয়েটির ঘরের সামনে খাবার রেখে আসতে শুরু করল। শয়তান এতেও খুশি হল না, সে আবার আসলো এবং কানে কানে বলল – ‘কেন তুমি তার ঘরে ভিতরে খাবার দিয়ে আসো না? ফলে মানুষ তাকে ঘর থেকে একা একা বের হতে আর ঢুকতে দেখত না!’ এবার বারসিসা তার ঘরের মধ্যে খাবার দিয়ে আসতে শুরু করল। শয়তান আবার আসলো এবং বলল – ‘মেয়েটার সাথে তোমার কথা বলা উচিত ,এভাবে একা থাকলে তো সে পাগল হয়ে যাবে’। বারসিসা মেয়েটির কথা চিন্তা করে তার সাথে রুমের আড়ালে কথা বলতে শুরু করল ।



শয়তানের কুমন্ত্রণায় এক সময় তারা একই রুমে কথা বলতে লাগল।



এভাবে শয়তান তার কাজের কঠিন অংশ বাস্তবায়ন করল। এই পর্যায়ে বারসিসা এবং মেয়েটা একে অপরের প্রতি দুর্বল হল এবং এক সময় ব্যভিচারে লিপ্ত হল। মেয়েটি গর্ভবতী হল , একটি বাচ্চা জন্ম দিল। বাচ্চা জন্মের সময় শয়তান বারসিসার কাছে আবার আসল এবং বলল, "এটা তুমি কি করলে? তোমার পাপের প্রমাণ সরিয়ে ফেল, না হলে মেয়েটির ভাইরা ফিরে আসলে তোমাকে খুন করবে!"



বারসিসা বাচ্চাটিকে খুন করল এবং ঐ ঘরের মেঝেতে পুতে ফেলল।

শয়তান এবার বলল , "তুমি এক নারীর সন্তান হত্যা করেছ এবং আশা করছ যে সে এটা কাউকে বলবে না?"



তখন বারসিসা মেয়েটিকেও খুন করল এবং তাকেও ঐ ঘরের মেঝেতে পুতে রাখল। মেয়েটির ভাইরা ফিরে আসলে তাদেরকে একটা মিথ্যা কবর দেখিয়ে বলল "তোমাদের বোন অসুখে মারা গিয়েছে এবং ঐ কবরে দাফন করা হয়েছে"। তারা বারসিসার কথা বিশ্বাস করল।



সেই রাতে শয়তান তিন ভাইকে একই স্বপ্ন দেখাল যে "বারসিসা তোমাদের বোনকে হত্যা করেছে, প্রমান হিসাবে তোমাদের বোন যে ঘরে থাকত তার মেঝে খুঁড়ে দেখতে পারো"। ঘুম ভাঙ্গলে তারা একে অপরকে স্বপ্নের কথা বলল এবং বুঝতে পারল তারা তিনজন একই স্বপ্ন দেখেছে।

যাচাই করার জন্য তারা বারসিসার এলাকায় যেয়ে প্রথমে বারসিসার দেখানো কবর খুঁড়ল, দেখল কিছু নেই, এর পর যে ঘরে তাদের বোন থাকত তারা ঐ ঘরের মেঝে খুঁড়ে তাদের বোনের এবং বাচ্চার লাশ পেল। তারা বারসিসাকে ধরল এবং বলতে বাধ্য করলো আসলে কি হয়েছিল।



তারপর তারা তাকে রাজার কাছে নিয়ে গেলে রাজা তাকে শিরচ্ছেদ করতে আদেশ দিল। যখন বারসিসাকে শিরচ্ছেদ করতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখন শয়তান কাছে আবার আসল। এবার ওয়াসওয়াসা না, মানুষের রূপ নিয়ে সে আসল। এসে বলল, "শুনো বারসিসা, আমি হলাম শয়তান, তোমার এই অবস্থা তোমার নিজের চিন্তায় হয়নি, আমিই করেছি আর একমাত্র আমিই তোমাকে বাঁচাতে পারি যদি তুমি আমার কথা মেনে চল।" বারসিসা বলল, "আমাকে কি করতে হবে?"



শয়তান বলল" আমাকে সেজদা কর আমি তোমাকে রক্ষা করবো" তো বাঁচার জন্য মরিয়া হয়ে বারসিসা শয়তানকে সিজদা করল এবং কাফের হয়ে গেল। সিজদা করার সাথে সাথে শয়তান তাকে বলল – ‘আমি এখন তোমার থেকে মুক্ত। আমি আল্লাহকে ভয় করি যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক’। এই বলে শয়তান সেখান থেকে পালালো , এবং বারসিসার শিরচ্ছেদ করা হল। কেয়ামতের দিন বারসিসাকে যখন জীবিত করা হবে তখন সে শয়তানকে সিজদা করতে করতে উঠে দাঁড়াবে!



দেখুন শয়তান কিভাবে বারসিসাকে ফাঁদে ফেলেছিল। সে এসেছিল বন্ধুর বেশে, ভালো ভালো কথা বলতে আর আপাত:দৃষ্টিতে ভালো কাজে উৎসাহ দিতে, কিন্তু আসলে সে ছিলো সবচেয়ে বড় শত্রু!



আল্লাহ বলেন ,

তাদের দৃষ্টান্ত শয়তান যে মানুষকে বলে কুফরি করো। অতঃপর যখন সে কুফরি করে , তখন শয়তান বলে: আমি তোমার থেকে মুক্ত। আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।

[সুরা হাশর ৫৯:১৬]



ঘটনা থেকে শিক্ষা:

১) শয়তান কখনোই আপনাকে সরাসরি এসে পাপ করতে বলবে না। সে সব সময়ই আপনাকে ভালো ভালো কারণ দেখিয়ে ধোঁকায় ফেলবে, এবং শয়তান আমাদের যে কারো চাইতেই বেশী ধৈর্য্যশীল। কাজেই আমরা সবসময়ই আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইবো শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।

২) কখনোই ভাববেন না যে আপনার অনেক জ্ঞান আছে, বিচার-বুদ্ধি আছে, শয়তান কিছুতেই আপনাকে ধোঁকায় ফেলতে পারবে না। বরং, প্রকৃত জ্ঞানীরা শয়তানের ফাঁদে পড়ার ভয় সবচাইতে বেশী করে। এই কারণেই আপনি দেখবেন আলেমদের তাকওয়া (আল্লাহভীতি) সবচাইতে বেশী।

৩) কাহিনীটা নিয়ে চিন্তা করুন। শয়তান যদি প্রথমেই এসে বারসিসাকে বলত – ‘আমাকে সিজদা কর’ – বারসিসা কখনোই তা করতো না। কিন্তু শয়তান তার পরিকল্পনা মাফিক ধীরে ধীরে একটার পর একটা ছোট ছোট ধাপে বারসিসাকে দিয়ে ভুল করিয়ে অবশেষে তাকে এমনভাবে ধ্বংস করে দেয় যে জীবন রক্ষার তাগিদে সে অবশেষে শিরক করে ফেলে, যে পাপ আল্লাহ কিছুতেই ক্ষমা করবেন না।

৪) শেষ কথা, আল্লাহ যা করতে আমাদের নিষেধ করেছেন, তা থেকে আমরা বিরত থাকবো। নিজে থেকে যুক্তি দেয়ার চেষ্টা করব না যে – এটা করলে কি হয়? এ আর এমন কি? আল্লাহ নিষেধ করলে কি হবে দেখতে তো মনে হয় এটা একটা ভালো কাজ! এটা তো ছোট্ট একটা পাপ! না, আল্লাহর যে কোন অবাধ্যতাই পাপের পথে নিয়ে যায়, আপাত:দৃষ্টিতে পাপটা যত ছোটই হোক না কেন, ছোট পাপই বড় পাপের দিকে টানে, বড় পাপ টানে কুফরীর দিকে।



রেফারেন্স:

১। ইমাম আন্‌ওয়ার আল আওলাকির লেকচার – The story of Barsisa

২। Story of Barsisa, the worshipper

৩। অনুবাদের একটা বৃহৎ অংশ ইসলামের নূর ফেইসবুক পেইজ থেকে নেয়া হয়েছে।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০০

আমি কবি নই বলেছেন: ভালো লাগলো। আল্লাহ আমাদের মাফ করুন।

২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:০৭

অন্ধকারের আর্তনাদ বলেছেন: প্লাস নি্ন

৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:১৯

দিশার বলেছেন: ভাই শয়তান এত কিসু করলো, মেয়ে পটিয়ে দিল , গর্ভবতী করল, বাচ্চা হবার পর বাচ্চা খুন করাইল , মেয়ে খুন করাইল , ততক্ষণ খোদা কি করল? তিনি বাচ্চা হয়ে যাবার পর, বা হবার আগে মেয়েটা কে বিয়ে করার বুদ্ধি/ বা ইশারাও করল না ? তাইলে তো তিন জন মাসুম প্রাণ বাচে ! বা তিন জন ঈমানদার মানুষ তৈরী হয়, এত ভালো মানুষ বারসিসা তার বাচ্চা ও নিশ্চয় ঈমানদার হিসাবে বড় হইত।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে বারসিসা যেহেতু গির্জায় গিয়ে যিশুর মূর্তির সামনে , যিশু কে খোদার পুত্র মেনে প্রার্থনা করত, ইসলামে নিয়ম অনুসারে তো বার্সিসা এমনি তে "কাফের" এখানে তার আলাদা করে কাফের হবার কি আসে ? গল্পের স্ট্রাকচার খুবই দুর্বল দেখা যায়

গল্পের মরাল কি বুঝলাম না, গল্পটাই যেখানে মরাল বা নৈতিক নয়।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৯:২৫

আদনান ফায়সাল বলেছেন: নেক্সট টাইম আপনি যখন কোনও পরীক্ষা দিতে বসবেন তখন পরীক্ষককে ডাক দিয়ে বলবেন –‘স্যার, আমি লিখতেসি, কোথায় কোথায় ভুল করতেসি দেখেন। আমি পরীক্ষায় ফেইল করলে কিন্তু আপনি দায়ী থাকবেন’। করতে পারবেন এরকম? পারবেন না। কারণ, পরীক্ষার হলে শিক্ষক উত্তর বলে দেয় না। একইভাবে পার্থিব জীবন আল্লাহ তৈরী করেছেন পরীক্ষার জন্য। আল্লাহ ধর্মগ্রন্থ এবং নবী-রাসূলদের পাঠিয়েছেন কিভাবে এই পরীক্ষায় পাশ করতে হবে তা বাৎলে দেয়ার জন্য। পরীক্ষার ৩ ঘন্টায় আপনি যা করেন তার সার্টিফিকেট যেমন বয়ে বেড়াতে হয় আজীবন, ঠিক তেমনি এই ৬০/৭০ বছরের জীবনের কর্মফল ভোগ করতে হবে অনন্তকালের পরের জীবনে। আপনার কাছে হয়ত মনে হচ্ছে, আল্লাহ বাচ্চাটাকে বাচালেন না কেন, কিন্তু আসলে আল্লাহ কিন্তু বাচ্চাটাকে বাচিয়েছেন। কারন, সে হয়ত বড় হয়ে পাপী হতো, তা না হয়ে সে নিষ্পাপ অবস্থায় মরে যেয়ে চিরস্থায়ী জান্নাতবাসী হলো – এটাই মানব জীবনের চরম সফলতা।

বারসিসা ছিল ঈসা(আ) এর উম্মত। সে ইঞ্জিল এর উপর আমল করতো। সে গীর্জায় যেয়ে মূর্তিপূজা করতো এই অনুমান আপনি কোত্থেকে পেলেন? কিছু না জানলে জিজ্ঞেস করবেন, মূর্খের মতো এশিউম করবেন না।

এটা গল্প না, সত্য কাহিনী। কাহিনীর স্ট্রাকচার দুর্বল না, আপনার ঘিলু দুর্বল।

কাহিনীর মোরাল শেষের দিকে বলা হয়েছে - এর মোরাল নৈতিক এবং শিক্ষামূলক। আপনার হৃদয়ের অন্ধতার জন্য আপনি সেগুলো দেখতে পাচ্ছেন না।

৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৭:৩৯

এক্সপেরিয়া বলেছেন: শয়তান থেকে যেন আমরা নিরাপদে থাকি । আমিন ।

৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:০১

কামের কথা কন!! বলেছেন: ভাই দিশার কে বলছি আপনি অনেক ঘ্যানি লোক মনে হচ্ছে আসলে ওনার গল্পের মেইন দিক টা হচ্ছে খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকেন এখানে বাসিসা বিয়া করল না কেন আর আল্লাহ্‌ এসে তারে বিয়ে করার কথা বল ল না কেন সেইটা মেইন বিষয় না। আর কিছু বললাম না কারন ইসলাম আল্লাহ্‌ এই সব নিয়ে তর্ক করতে চাই না কারন এই বিষয়ে বলার অনেক ব্লগার পাবলিক এইখানে আছে।
মানুষ হিসেবে স্রস্টি কর্তা আমাদের ভাল কাজ করার এবং মন্দ/খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকার তইফিক দান করুন।

৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহ আমাদের রক্ষা করুন। আমিন।

৭| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৪৮

মো:ফয়সাল আবেদিন বলেছেন: মানুষ হিসেবে স্রস্টি কর্তা আমাদের ভাল কাজ করার এবং মন্দ/খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকার তইফিক দান করুন।আমিন ।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৮:৫৮

রিফাত হোসেন বলেছেন: হুম, সবই আল্লাহ্‌ র ইচ্ছা,

৯| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ৯:২৪

জাতির চাচা বলেছেন: আল্লাহ বিতাড়িত শয়তান এবং দিশার জাতীয় ব্লগারদের কুমন্ত্রনা থেকে আমাদের রক্ষা করুক।

১০| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১০:৪৩

বাংলাদেশী দালাল বলেছেন:
আমিন

১১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

সি.এম.তানভীর-উল-ইসলাম বলেছেন: খুব ভালো লাগলো

১২| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

টিনের বাড়ী বলেছেন: জাতির চাচা বলেছেন: আল্লাহ বিতাড়িত শয়তান এবং দিশার জাতীয় ব্লগারদের কুমন্ত্রনা থেকে আমাদের রক্ষা করুক।
@লিখক , দিশার একটা নাস্তিক , ইসলামবিদ্বেসী। এরাও আর এক শয়তান ।এদের থেকেও সাবধান থাকতে হইবে ।

১৩| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

দিশার বলেছেন: ফেরেশতাদের ওস্তাদ আজাজীল (প্রাত্তন) এর সাথে আমার তুলনা! ব্লাসফেমি আইন য়ে পরে যাবেন তো।

১৪| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:০৫

দিশার বলেছেন: গির্জায় ঢুকসেন কবে লাস্ট? যিশুর মূর্তি, মেরির মূর্তি দেখেন নি কখনো? বাইবেল যে লিখা পরেন নি যিশু খোদার পুত্র, যিশু খোদা।

২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২১

আদনান ফায়সাল বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা যে আমলের ঘটনা তখনো গীর্জায় মূর্তি ঢুকেনি। এই সরল কথাটা যে বুঝে না সে এই কাহিনীর মোরাল বুঝবেনা এটাই স্বাভাবিক।

১৫| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:২৬

দিশার বলেছেন: তাই নাকি ভাই ? যিশু কত গুলা গির্জা বানায়ে গেসে? গির্জা কারা বানাইসে একটু জ্ঞান দেন , আমরা জ্ঞান পাই .

১৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৩৬

দিশার বলেছেন: সবচেয়ে পুরান গির্জার সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে সিরিয়ার কাছে . "dura europos " যেখানে যিশুর সবচেয়ে পুরাতন ছবিটি ও পাওয়া যায়। সন্ত পল বাইবেল রচনা করেছেন যিশুর মৃত্যুর কিছু বছর পর থেকে। "গির্জা" বিল্ডিং এসেছে তার ও বহু বছর পর থেকে।

তার আগে প্রাথমিক ক্রিস্টান রা নিজের বাড়িতে বা , রোমে এর এর কাটাকম্ব এর ভিতর অনেকটা গোপনে ধর্ম কর্ম চালাত।

ইতিহাস পরে দেখেন, তাইলে আর কাল্পনিক গল্পের আশ্রয় লাগবে না .

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:৫৮

আদনান ফায়সাল বলেছেন: আমার এগুলা পড়া আছে, আপনাকে কষ্ট করে বড় জোড় হয়তো আরো ৩০/৪০ বছর এগুলা পইড়া যাইতে হইবে, দমটা বন্ধ হইলেই এতদিন যা পড়িয়াছেন তাহার উপর পরীক্ষা লওয়া হইবে, গুড লাক!

১৭| ০৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১১

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: শয়তানের আক্রমন থেকে মু’মিনদের আত্মরক্ষার উপায়
হে যাহারা ইমান আনিয়াছ ! যখন তোমাদিগকে জুমুআর দিনে নামাযের জন্য আহ্বান করা হয় তখন আল্লাহ্র স্মরণের জন্য দ্রুত আস এবং ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর। ইহা তোমাদের জন্য উত্তম, যদি তোমরা জানতে।
(আল জুমুআ: ১০)



জুমুআর খুতবার সারমর্ম:


নিখিল বিশ্ব আহমদীয়া মুসলিম জামাতের বর্তমান ইমাম হযরত মির্যা মসরূর আহমদ খলীফাতুল মসীহ্ আল্ খামেস (আই.) গত ১১ই মার্চ, ২০১৬ইং রোজ শুক্রবার লন্ডনের বাইতুল ফুতুহ্ মসজিদে “শয়তানের আক্রমন থেকে মু’মিনদের আত্মরক্ষার উপায়”- সম্পর্কে জুমুআর খুতবা প্রদান করেন।

হুযূর আনোয়ার (আই.) পবিত্র কুরআনের যে আয়াতটি পাঠ করেন তার অনুবাদ হলো, হে যারা ইমান এনেছ! তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। আর যে শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার জানা উচিত, নিশ্চয় শয়তান অশ্লীলতা এবং অপছন্দনীয় কাজের আদেশ দেয়। আর তোমাদের ওপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও কৃপা না হলে তোমরা কখনই পবিত্র পতে পারতে না। বস্তুতঃ আল্লাহ যাকে চান পবিত্র করেন আর আল্লাহ্ সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞ।

এরপর হুযূর বলেন, শয়তান আদি থেকেই মানুষের শত্রু আর চিরকাল শত্রুই থাকবে। তার মাঝে চিরস্থায়ী কোন শক্তি আছে বলে সে এমনটি করছে না বরং মানব সৃষ্টির সময় আল্লাহ্ তা’লা তাকে স্বাধীনতা প্রদান করেছিলেন, কেননা তিনি জানতেন যে, তাঁর সত্যিকার বান্দারা শয়তানের আক্রমন থেকে মুক্ত থাকবে। শয়তান প্রকাশ্যে শত্রুতা করে না বরং সে বিভিন্ন ছল-চাতুরী, ধোকা ও প্রতারণা এবং জাগতিক লোভ-লালসার মাধ্যমে মানুষকে প্ররোচিত করে এবং মানুষকে অহংকারী কওে তুলে এবং মানুষকে সৎকাজ থেকে দূরে সরিয়ে দেয় এবং অপকর্মের নিকটে নিয়ে যায়।

শয়তান আল্লাহকে বলেছিল, তুমি যে বৈশিষ্ট্য দিয়ে মানুষকে সৃষ্টি করেছ তাতে তারা উভয় দিকে যেতে পারে। তাই এদেরকে আমি আমার দিকে ধাবিত করবো আর মন্দের প্রতিই তাদের বেশি আকর্ষণ থাকবে। যদি তুমি আমাকে অনুমতি দাও তাহলে সকল দিক থেকে আমি তাদের ওপর আক্রমন করবো। এমনকি সিরাতে মুস্তাকীমে বসেও আমি তাদের প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করবো। তোমার নিষ্ঠাবান বান্দারা আমার এই কুমন্ত্রণা ও প্রতারণা থেকে রক্ষা পেলেও অধিকাংশ মানুষই আমার পদাঙ্ক অনুসরণ করবে। আমার ধোকায় পড়ে নিজেদের সর্বস্ব হারাবে।

আল্লাহ তা’লা তাকে অনুমতি দেওয়ার পর বলেন, যারা তোমার পদাঙ্ক অনুসরণ করবে আমি তাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবো। তবে এর পাশপাশি আল্লাহ্ তা’লা স্বীয় নবীগণকে প্রেরণের ধারা সূচনা করেন আর তাঁদের মাধ্যমে মানুষকে সরল-সুদৃঢ় পথে পরিচালিত করার এবং তাদের সংশোধনের ব্যবস্থা নেন। এবং তাদেরকে নিজেদের ইহ ও পরকালকে সুন্দর করার মাধ্যমও বাতলে দেন।

আল্লাহ একথাও স্পষ্টভাবে নিজ বান্দাদের জানিয়ে দিয়েছেন যে, শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। সে সহানুভূতি দেখানোর নামে তোমাদের প্রতারিত করবে। তোমাদেরকে অশ্লীলতা, নোংরামি ও ক্ষয়-ক্ষতির দিকে আহ্বান করবে আর বিচার দিবসের দিন সে বলবে, আমি লোভ-লালসা দেখিয়ে তোমাদের প্রতারিত করেছি। ধোকা ও প্রতারণার মাধ্যমে আমি তোমাদের ক্ষতি করেছি, খোদার নির্দেশ পরিপন্থী মন্দ কাজে আমি তোমাদের প্রলুব্ধ করেছি আর এটিই আমার উদ্দেশ্য ছিল, কিন্তু তোমরা তো বিবেক-বুদ্ধি রাখো তাহলে তোমরা কেন বুদ্ধি খাটালে না। তোমরা কেন আমার খপ্পরে পড়লে, খোদার কল্যাণময় আওয়াজের ওপর আমার মন্দ আওয়াজকে প্রাধান্য দিলে? যাও এখন জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করো। এভাবেই শয়তান মানুষের সাথে শত্রুতা করে আর করবে। পবিত্র কুরআনের অগণিত স্থানে আল্লাহ তা’লা আমাদেরকে শয়তানের কুমন্ত্রণা, ধোকা ও প্রতারণা থেকে মুক্ত থাকার জন্য সাবধান করেছেন।

হুযূর বলেন, এখানে অনেকেই প্রশ্ন করেন, আল্লাহ শয়তানকে কেন বানালেন? প্রথমদিনই তাকে ধ্বংস করলেন না কেন? তাহলে এসব সমস্যাই দেখা দিত না।

হুযূর এ সম্পর্কে হযরত মসীহ মওউদ (আ.)-এর বিভিন্ন উদ্ধৃতি পেশ করেন এবং শয়তানের সংজ্ঞা, এদের কাজ এবং মানুষ কীভাবে এদের ধোকায় পড়ে প্রতারিত হয় তা ব্যাখ্যা করেন।

হুযূর বলেন, শয়তান আকষ্মিকভাবে মানুষের ওপর আক্রমন করে না। ধীরে ধীরে তাকে ছোট-খাটো পাপে প্ররোচিত করে এরপর সে আস্তে আস্তে বড় পাপ করতে আরম্ভ করে এবং অহংকারী হয়ে উঠে। তাই মানুষের সর্বদা আত্মবিশ্লেষণ করতে থাকা উচিত এবং সর্বদা আত্মশুদ্ধির জন্য চেষ্টা করা উচিত।

অনেক সময় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং বিপদে পড়ে আর বলে, আল্লাহই আমাদের এই বিপদে ফেলেছেন, আসলে আল্লাহ কাউকে বিপদে ফেলেন না। মানুষের কর্মই তাকে বিপদে ফেলে। মানুষ অনেক সময় অনেক গোপন পাপ করে, আল্লাহ্ যেহেতু অনেক বেশি ক্ষমাশীল ও মার্জনাকারী তাই তিনি একান্ত অনুগ্রহবশে বান্দাকে বার বার ক্ষমা করেন। কিন্তু মানুষের অভ্যন্তরীন পাপের কারণেই সে বিপদে পড়ে। হুযূর বলেন, অনেক সময় বাহ্যিক রোগের চেয়ে আভ্যন্তরীণ রোগ বেশি ক্ষতিকর প্রমাণিত হয়। রোগের স্বরূপ জানলে এর চিকিৎসা করা সহজ হয় কিন্তু অনেক রোগ আছে যা শেষ সময় গিয়ে প্রকাশ পায় আর সেসময় প্রাণ বাঁচানোও দায় হয়ে পড়ে। যেমন যক্ষা বা ক্যান্সার রোগ। অনেক সুস্থ-সবল মানুষও হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শেষে জানা যায় যে, সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত আর এই রোগই তার জন্য প্রাণহারী প্রমাণিত হয়।
হুযূর বলেন, মানুষের ফিরিশতার স্বভাব ও গুণ আয়ত্ত্ব করা উচিত শয়তানের নয়, তবেই মানুষের ইহ ও পরকাল সুনিশ্চিত হতে পারে। মানুষকে পুণ্যের প্রতি আকৃষ্ট করে ফিরিশ্তা আর মন্দকর্মের প্রতি প্ররোচিত করে শয়তান। তাই মু’মিনকে সর্বদা আত্মজিজ্ঞাসা করতে থাকা উচিত আর দুর্বলতার কোন লক্ষণ দেখতে পেলে সঙ্গে সঙ্গে তা দূরীভূত করার জন্য চেষ্টা করা উচিত।

কেননা আল্লাহ্ পবিত্র কুরআনে বলেন, যে আত্মশুদ্ধি করে সেই সফল। তাই সফলতার জন্য, খোদার নৈকট্য লাভের জন্য, শয়তানকে মারার জন্য এবং পবিত্র জীবনের অধিকারী হওয়ার জন্য আত্মশুদ্ধি আবশ্যক।
আল্লাহ করুন, আমরা যেন বিশুদ্ধচিত্তে আল্লাহর দাসত্ব বরণ করি, সকল প্রকার অশ্লীল, নোংরা ও অপছন্দনীয় কাজ থেকে মুক্ত থাকি, সব ধরনের মন্দ থেকে যেন মুক্ত থাকি, সকল প্রকার অহংকার থেকে যেন মুক্ত হই। আত্মশুদ্ধির জন্য সদা সর্বদা যেন চেষ্টা করতে থাকি যাতে আল্লাহ্র কৃপারাজির উত্তরাধিকারী হতে পারি। আমাদের দৃষ্টি যেন সর্বদা খোদার প্রতি নিবদ্ধ থাকে আর তিনিই যেন সর্বদা আমাদের প্রভু-প্রতিপালক থাকেন। তাঁর রাজত্বই যেন আমাদের হৃদয় মন্দিরে আসন গেড়ে বসে। তিনিই আমাদের উপাস্য হোন আর আমরা সর্বদা তাঁকেই ডাকতে থাকি আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ থেকে মুক্ত হতে পারি। আল্লাহ তা’লা আমাদের সবাইকে এর তৌফিক দিন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.