![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মূল পোস্ট পড়ুন ওয়ার্ডপ্রেসে
ইসলাম ধর্মে হিজাবের নিয়ম ছেলে-মেয়ে দুইয়ের জন্যই প্রযোজ্য। আর এর মধ্যে কাপড় ছাড়াও আছে দৃষ্টি, আব্রু ও চিন্তা বিষয়ক বিধিনিষেধ। তবে, আজকের বিশ্বায়নের যুগে, হিজাব বলতে প্রায় সময়ই আমরা মাথার কাপড়টুকুকে বুঝি।
ছবি: bcr8tive.com
মেয়েদের জন্য মাথার কাপড় কোন নতুন বিষয় না। ইহুদিদের মিতচাপাত, খৃষ্টানদের এপোস্টলনিক, আমিশদের বনেট, শিখ সম্প্রদায়ের চুন্নি, যোরোয়াস্ট্রিয়ানদের চাদর, হিন্দুদের ঘুংঘাট / ঘোমটা বহু আগে থেকেই প্রচলিত ছিল। এমনকি, যিশুর মা মরিয়মের সমস্ত চিত্রে তাঁকে ঘোমটা অবস্থায় দেখা যায় - যার অবশ্যই কোন ঐতিহাসিক পটভূমি আছে। তবে, বর্তমান সময়ের বিতর্ক শুধু ইসলামিক হিজাবকে নিয়েই।
আধুনিক বিশ্বে, সমাজ থেকে ধর্মপালনের সমস্ত চিহ্ন দূর করার প্রচেষ্টায়, হিজাব ব্যপারটা প্রায়ই ঝামেলার চোখে দেখা হয়। আর তাই হিজাব নিয়ে যুদ্ধ আজ সংঘটিত হচ্ছে মুসলিম বিশ্ব থেকে অনেক দুরে - পশ্চিমের ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের কেন্দ্রবিন্দুতে।
সম্পূর্ন পোস্ট পড়ুন ওয়ার্ডপ্রেসে
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫৩
আদনান আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ। কে যে দায়ী - আমি এখনও নিশ্চিত নাহ। তবে বাকি কথাটা উল্টেপাল্টে দেখা যায়: আসলেও অন্যের কি?
কিন্তু কিছুতো বটেই। নইলে ফ্রান্সের স্কুলে, জার্মানীর ক্লিনিকে হিজাব নিষিদ্ধ করা কেন? কোথায় ধর্মপালনের-স্বাধীনতা শেষ আর রাষ্ট্র-ধর্ম-পৃথকীকরন শুরু - সেটা কে নির্ধারন করবে? রাষ্ট্র? আমরা? ধর্ম?
এই বিতর্কের জন্য কিন্তু আমরা দায়ী নাহ্। যেসব দেশ মুসলিম অভিবাসী নিয়ে, ইসলাম-বিরোধী জনমত নিয়ে রাজনীতি করছে - তারা দায়ী।
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:৫২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পবিত্র কোরান ও হাদিসে মুসলিমদের পোষাক নির্দিষ্ট করে দেয়া কোন কথা নেই। বিধর্মি কোরাইশদের প্রচলিত পোষাকই চালু ছিল। ইসলামের অভুদ্যয়ের পর বা মক্কা বিজয়ের পরও মেয়েদের কাপড় পরিধানের স্টাইল পরিবর্তন করতে হুকুম দেয়া হয় নাই, ইসলাম গ্রহন করে নি এমন ইহুদি, খ্রীষ্টান বা কুরাইশ মহিলাদেরও কোন ড্রেসকোড বেধে দেয়া হয় নাই।
পায়জামা, পাঞ্জাবী, ওড়না, এগুলো মুলত ভারতীয় (সাউত এশিয়ান) পোষাক।
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৩:০৬
আদনান আমিন বলেছেন: তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।
বেশিরভাগ মুসলিমের ধারনা মেয়েদের হিজাবে চুল ও কব্জি ঢাকার বিধান আছে। এ কাজ - পশতুনরা বোরকা, আরবরা নিকাব আর ইরানীরা করছে চাদর দিয়ে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তাঁরা কি তা করতে পারে?
আসলে লেখাটি হিজাবের (মাথার আবড়নের) 'রাজনীতি' নিয়ে লেখা। কেউ যদি মনে করে যে আমার ধর্মপালনের জন্য এমন কাপড় মাথায় দিতে হবে, তবে তাঁর সেটা দেয়ার স্বাধীনতা আছে কি না - সে প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি মাত্র।
আসলে কি রাষ্ট্র এ জায়গায় নীতিনির্ধারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে? নাকি সবার নিজ নিজ ধর্ম (তাকে আমরা নিজেরা যেভাবে বুঝি) পালনের স্বাধীনতা আছে?
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ সকাল ৯:৩৩
মেহ্দী হাসান বলেছেন: ভাল হয় আপনি একটু কষ্ট করে সরাসরি কোরানের আয়াতটা দিলে - সুরা আহজাবের ৫৯ নম্বর আয়াতটা দেখুন - O Prophet! Tell your wives and your daughters and the women of the believers to draw their cloaks (veils) all over their bodies (i.e.screen themselves completely except the eyes or one eye to see the way). That will be better, that they should be known (as free respectable women) so as not to be annoyed. And Allah is Ever Oft-Forgiving, Most Merciful.
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
আদনান আমিন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অনুবাদটি এখানে দেয়ার জন্যে।
আমার লেখাটি আসলে হিজাবের বৈশ্বিক রাজনীতির বিশ্লেষণ। এটি মুসলিম / অমুসলিম সবার জন্যই লেখা। আর তাই এতে পবিত্র কোরানের আয়াত রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করিনি ইচ্ছাকৃতভাবেই।
তথ্য ও যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ধর্মীয় অনুশাসন / আদেশ -এর উপর ভরসা করলে তা শুধুমাত্র ধর্মপ্রান মুসলিমদেরকেই টানবে। রাজনৈতিক ও অধিকার অ্যাঙ্গেল থেকেও যে হিজাবের উপর কমেন্টারি লেখা যায়, এটা অনেকটা তারই নিদর্শন।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
@ মেহেদি হাসান -
আপনি সুরা আহাজাবের বিভ্রান্তিকর ট্রান্সলেশন করলেন!
এখানে দেখুন
আল্লাহ কোরানে বলেছেন
সূরা আহযাব ২৫:৫৯ আয়াত
﴿يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا﴾
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন,
তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু।
নবুওয়াত যুগের নিকটবর্তী কালের প্রধান মুফাসসিরগণ এর এ অর্থই বর্ণনা করেন।
(আরবী ভাষায় জিলবাব বলা হয় বড় চাদরকে। আর ইদন শব্দের আসল মানে হচ্ছে নিকটবর্তী করা ও ঢেকে নেয়া বা "জড়িয়ে নেয়া")
কাঠমোল্লা দের দমন করতে এই আয়াত টি যথেষ্ঠ ...!
এখানে তাদের পরিধানের (তৎকালিন চাদর জাতীয় পোষাক) কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নিতে বলা হয়েছে,
এখানে পরিষ্কার ভাবে সব বলা হয়েছে, আলাদা কোন চাদর, হেজাব, বোরখা চাপিয়ে কষ্ট দিতে বলেনি।
চেহারা দেখা যায় ও চেনা যায় এমন ভাবে মাথায় কাপড় দিতে সুনির্দিষ্ট ভাবেই বলা হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ২:১২
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: হিজাব নিয়ে যুদ্ধ আজ সংঘটিত হচ্ছে মুসলিম বিশ্ব থেকে অনেক দুরে - পশ্চিমের ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের কেন্দ্রবিন্দুতে।
এজন্য আসলে মুসলমানরাই দায়ি ।
নিজেদের মধ্য মতাদর্শের কারনে এসব জটিলতা বাড়ে । আমার ধর্ম
আমি পালন করব তাতে অন্যর কি ?