![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মনের জাদুকর ইচ্ছের রাজা, দুনিয়াটা দেখি তর তাজা
সেকন্ড কিংবা থার্ড ইয়ারে উঠার পরও অনেকে shear force কি এটা বইয়ের ভাষায় বলতে পারলেও আসলেই জিনিসটা কি তা বুঝে না। চেষ্টা করব সহজ বাংলা ভাষায় এবং আদনানিয় পন্থায় shear বুঝানোর..
শেয়ার, শব্দটার সাথে কম বেশি আমরা সবাই পরিচিত। অনেকেই অনেকের সাথে অনেক কিছু শেয়ার করে। আমিও অনেক কিছুই অনেকের সাথে শেয়ার করলেও খানা-পিনা কারো সাথে শেয়ার করি না।
আবার আমাদের চারপাশে অনেকেই আছে যারা শেয়ারে টাকা দিয়ে মানে শেয়ার বিজনেস করে মাইর খেয়েছে।
যাই হোক, আজ আমি যে শেয়ার নিয়ে লিখছি তা কিন্তু এই শেয়ার না। এটা আমাদের শেয়ার, মানে ইঞ্জিনিয়ারদের শেয়ার। চলুন শেয়ারের শাব্দিক বিশ্লেষণটা একনজরে দেখে নেই...
ভার্ব হিসেবে শেয়ারের অর্থ “কাটা, ছেড়া, ভাঙা”
নাউন হিসেবে শেয়ারের অর্থ “লম্বা ২টি ব্লেড ওয়ালা কাটার অস্ত্রবিশেষ, লম্বা কাঁচি”
শব্দ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে আমার মাথা পুরাই যাইতে বসেছিল। স্যাররা ক্লাসে কি পড়াইলেন, আমি কি বুঝলাম, আর শব্দ বিশ্লেষণে এ কি দেখলাম??? যাই হোক, হতাশ না হয়ে আরো ঘাটাঘাটি করলাম। ধিরে ধিরে বুঝলাম আমার সব শেয়ার-জ্ঞান এক বিন্দুতেই কেন্দ্রীভূত হচ্ছে। চলুন দেখে নেই আমাদের পাঠ্যবই শেয়ার সম্পর্কে কি বক্তব্য রাখলো...
বই এবং নেট থেকে শেয়ারের যে ডেফিনেশন পাইলাম তা হলো –
“কোন বস্তু বা বীম (বুঝার সুবিধার্থে মনে কর একটা কাঠের স্কেল) এর উপর লম্বভাবে ক্রিয়ারত দুটি পরস্পর বিপরীত মুখী বলের ক্রিয়ায় (একটা বল উপরের দিকে আরেকটা বল নিচের দিকে) উক্ত বস্তু বা বীম (কাঠের স্কেল) যদি ভাঙতে শুরু করে কিংবা উক্ত বস্তু বা বীম (কাঠের স্কেল) এর দুই অংশ দুই দিকে সরে যায় তাহলে উপরুক্ত বলদ্বয়কে শেয়ার বল বলা হয়”
কী? মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেছে? ভয় নেই, এবার দেখুন আদনানিয় পন্থা। আশা করছি পন্থাটা আপনাদের মাথা ব্যথার পেইন কিলার হিসেবে কাজ করবে...
বিস্কুট খাইতে আমরা কে না পছন্দ করি। চায়ে ভিজিয়ে এনার্জিপ্লাস বিস্কুট খাওয়ার যে কি মজা তা লিখে বুঝানো যাবে না। সেই সাধ। কিন্তু মর্মান্তিক কষ্ট লাগে যখন চায়ের কাপে বিস্কুট ভিজিয়ে মুখের কাছে আনার আগেই বিস্কুটটা ভেঙ্গে পড়ে যায়। শুধু কি পড়ে যায়? পড়ে পরনের প্যান্টটা ভরিয়ে লোকচক্ষুর সম্মুখে একটা বিব্রতকর প্রস্থিতিতে ফেলে দে। জানেন, এর জন্য দায়ী কে??? শেয়ার ! ! ! হ্যাঁ, শেয়ার। আসেন ব্যাখ্যা করি...
যেকোন বস্তু কিংবা এই চতুর্ভুজাকৃতির বিস্কুটের কণাগুলো একে ওপরের সাথে একটা শক্তির বলে লেগে থাকে। আমরা সবাই জানি, এটা আন্তঃআনবিক আকর্ষণ শক্তি। বিস্কুটটা ভাঙতে চাইলে এই আন্তঃআনবিক আকর্ষণ শক্তি ভাঙতে হবে। মানে এই শক্তির চেয়ে বেশি বল প্রয়োগ করতে হবে।
এই শক্তিটাই মূলত বিস্কুটের শেয়ার স্ট্রেংথ। যে বল প্রয়োগ করলে বিস্কুটটা ভেঙ্গে যায় বা ভেঙ্গে যেতে চায় সেটাই শেয়ার ফোর্স। এবার দেখি চায়ে ভিজালে বিস্কুট ভাঙ্গে কেন???
শুধু চা নয় বরং পানিতে ভিজালেও বিস্কুটের আন্তঃআনবিক আকর্ষণ শক্তি কমে যায়। সহজ কথায় শেয়ার স্ট্রেংথ কমে যায়। বিস্কুটের ভেজা অংশের নিজস্ব ওজন যখন তার শেয়ার স্ট্রেংথের চেয়ে বেশি হয়ে যায় তখন বিস্কুটের ঐ ভেজা অংশ পড়ে যায়। আমরা ইঞ্জিনিয়ারিং ভাষায় বলি “বিস্কুটটা শেয়ারে ফেইল করেছে”।
অনেক পণ্ডিতি হইছে, আর না। পরবর্তীতে সুযোগ পেলে বিষয়টা ভিডিও করে ভিডিও টিউটোরিয়াল হিসেবে আপলউড করার চেষ্টা করব। এতে বিষয়টা বুঝতে আরো সুবিধা হবে।
২| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ ভোর ৪:৫৭
ভারসাম্য বলেছেন: শীয়ার ( Shear ) ফোর্স এর উদাহরণ হিসেবে চায়ে ভেজা বিস্কুটের উদাহরণ যথাযথ হয় নি, বরং একটি বিস্কুটের দুই প্রান্তে দুইদিকে চাপ দিয়ে ভেঙে ফেলার উদাহরণ যথার্থ হত। কনসেপ্টটি অত্যন্ত সহজ। কেন যে আরো সহজে বুঝতে চেয়ে, কনসেপ্টেই গোলমাল করে ফেলেন!
৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৪ সকাল ১১:০১
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
ভারসাম্য ভাইয়ের সাথে সহমত।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জুলাই, ২০১৪ রাত ২:৫৭
উপপাদ্য বলেছেন: ভালো হয়েছে।
শেয়ার ফোর্স কি এটা জানলাম।