নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশ , মানুষ

জীবনের সব কিছু আললাহর সন্তুষ্টির জন্য

আল মাহদী ফোর্স

কোরান ও নবী পরিবারের আঃ অনুসারী।

আল মাহদী ফোর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

হযরত আলীর আঃ আদলে ফেরেস্তা পয়দাকরন

২৩ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯


হযরত আলীর আঃ আদলে ফেরেস্তা পয়দাকরন
সুরা মুমিন,আয়াত# ৭
মুলঃমাওলানা ফরমান আলীর উর্দু তাফসীর
অনুবাদঃ মাওলানা শেখ সাবের রেজা
সম্পাদনা ও পুন্ররলিখনঃমোঃ আনোয়ারুল কবির
প্রকাশকঃঈমান ফাউন্ডেশনের পক্ষে,নুরুস সাকলায়েন জনকল্যান সংস্থা,বেগম বাজার,ঢাকা।
“যেসব ফেরেস্তা আরশ ধারন করে আছে এবং যারা তাঁর চারিদিকে আছে সকলেই তাঁদের প্রতিপালকের স্বপ্রশংসা পবিত্রতা ঘোষনা করে(১) এবং তাঁরই প্রতি বিশ্বাস রাখে, আর বিশ্বাসীদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে(এই বলে) ‘হে আমাদের প্রতিপালক !তোমার অনুগ্রহ ও জ্ঞান সকল কিছু পরিবেষ্টন করে আছে,সুতরাং তুমি তাঁদের ক্ষমা কর যারা তওবা করেছে ও তোমার পথ অবলম্বন করেছে এবং তাঁদের জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা কর।“
ব্যাখ্যা(১) আয়াতটির তাফসীরে আনাস বিন মালিক হতে বর্নিত হয়েছে,রাসুল (সাঃ) বলেছেন,’আমি মিরাজের রাতে আরশের নীচে দৃষ্টিপাত করি।সহসা আমার দৃষ্টি আলী ইবনে আবি তালিবের উপর পড়লো, যে আমার সামনে আরশের নীচে আল্লাহর তাসবীহ ও তাকাদ্দুস পাঠে মশগুল ছিল।আমি বিস্মিত হয়ে জিব্রাইলকে জিজ্ঞেস করলামঃ আলী কি আমার আগেই এখানে এসেছে? জিব্রাইল বললেনঃনা, তবে যেহেতু আল্লাহ আরশে প্রায়ই আলীর সুনাম ও প্রশংসা করেন,এজন্য আরশ বহনকারী ফেরেস্তাগন আলীর যিয়ারতের(দর্শনের) প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।আল্লাহ তাঁদের খাতিরে আলীর আদলে এক ফেরেশ্তা সৃষ্ট করেন এবং ঐ ফেরেস্তার তাসবীহ,তাকাদ্দুস ও ইবাদাতের সওয়াব আল্লাহ আপনার আহলে বাইতের অনুসারীদের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন’(তাবিবুল আয়াত দ্রষ্টব্য)।
সুরা মুমিন,আয়াত# ৮৪-৮৫(জঙ্গে জামালের যুদ্বে আসল উস্কানীদাতা তালহা যখন আহত হন ও তওবা করেন)
“ এবং যখন তাঁরা আমাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করলো(১) তখন বলল, ‘আমরা এক-অদ্বিতীয় আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং যাদের আমরা তাঁর অংশী করেছিলাম এখন আমরা তাদের অস্বীকার করছি’।বস্তুত তাঁরা যখন আমাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করল তখন তাঁদের কোন উপকারে এল না(২);এটাই আল্লাহর শাশ্বত বিধান,যা তাঁর বান্দাদের মধ্যে সতত বলবত থেকেছে; এবং অবিশ্বাসীরা সেখানেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ব্যাখ্যাঃ (১)কেননা মৃত্যুর শাস্তি প্রকাশিত হবার পর তওবার পথ খোলা থাকে না।এজন্য হযরত আয়েশার আসল উস্কানীদাতা তালহা জঙ্গে জামালের যুদ্বে আহত হলে নিজ জীবনের প্রতি হতাশ হয়ে হযরত আলীর(আঃ) নিকট বলে পাঠালেন যে, তিনি বাইয়াত ভঙ্গ করার জন্য তওবা করেছেন, তিনি যেন তাঁকে ক্ষমা করেন।তিনি জবাবে বলেন,’জীব থেকে নিরাশ হবার পর তওবা কবুল হয় না’। ফলে তিনি সে অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।আসলে তিনি মারোয়ানের তীরের আঘাতে মারা যান যে উসমানের মন্ত্রী ও মুল পরামর্শদাতা ছিল।সুতরাং ঘাতক ও নিহত উভয়েই বিবি আয়েশার সমর্থক ছিল।
(২) ৮৪ ও ৮৫নং আয়াত ২টির ব্যাপারে এক চিত্তাকর্ষক ঘটনা আছে।জনৈক খৃষ্টান এক সধবা নারীর সাথে ব্যভিচারের অপরাধে গ্রেফতার হয়ে আব্বাসী বাদশা মুতাওয়াক্কিলের দরবারে আনীত হল।সে শাস্তির ভয়ে তড়িঘড়ি করে ইসলাম গ্রহন করলো।ফলে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দিল।তখন বাদশা মুতাওয়াক্কিল রাসুল ঘোষিত ১০তম ইমাম আলী নাকীর(আঃ) নিকট লিখিত পত্রের মাধ্যমে এ বিষয়ের ফয়সালা জানতে চাইল। ইমাম তাঁকে জবাব দিলেন,’তাকে এত প্রহার কর যেন সে মারা যায়’। দরবারী আলেমগন তা অস্বীকার করলো এবং বলল, ‘এ আদেশ কুরান ও হাদিসসম্মত নয়’।বাদশা আবারও লিখে পাঠালে ইমাম এ আয়াত ২টি উল্লেখ করে জবাব পাঠালেন।ফলে আলেমদের মুখ মলিন হয়ে গেল।
আয়াতে মাওয়াদ্দাত, রাসুলের সাঃ ও তাঁর বংশধরের প্রতি ভালবাসা ফরয
সুরা আশ-শুরা,আয়াত# ২৩-২৪)
“এটাই সে বিষয় যার সংবাদ আল্লাহ তাঁর বান্দাদের দান করেন যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে;(হে রাসুল!)তুমি বলে দাও, ‘আমি এর(বার্তা প্রচারের) জন্য তোমাদের নিকট হতে আমার পরমাত্নীয়গনের প্রতি সৌহার্দ্র ছাড়া অন্য কোন প্রতিদান চাইনা,’ এবং যে ব্যক্তি উত্তম কর্ম করবে(২), আমি তাঁর জন্য এতে কল্যান বৃ্দ্বি করে দেব; নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল,গুনগ্রাহী।বরং তাঁরা কি (তোমার সম্বন্দ্বে) বলে যে, ‘সে আল্লাহর প্রতি মিথ্যা অপবাদ সৃষ্ট করেছে’(৩)-(যদি তা-ই হত) আল্লাহ ইচ্ছা করলে তোমার হ্রদয়ে মোহর অঙ্কিত করে দিতেন।
ব্যাখ্যাঃ (১) তাফসীরে কাশশাফ,রুহুল বায়ান,তাফসীরে কাবীর,তাফসীরে দুররে মানসুর ইত্যাদিতে বর্নিত হয়েছে যে, আয়াতটি নাযিল হলে রাসুল(সাঃ) বলেন, ‘ যে ব্যক্তি আলে মুহাম্মাদের ভালবাসার উপর ইন্তেকাল করে সে শহীদের ইন্তেকাল করে,সে পুর্ন ঈমানসহ ইন্তেকাল করে,তাকে মালাকুল মাউত ও মুনকার-নাকির বেহেস্তের সুসংবাদ দান করেন,তাকে বেহেস্তে সেভাবে প্রেরন করা হবে যেমন নববধূ স্বামীর ঘরে যায়,আর যারা তাঁদের প্রতি শত্রুতায় ইন্তেকাল করে,কয়ামতে তাঁদের ললাটে লেখা থাকবে, ‘এরা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত’।স্মরন রেখ,তার কাফির,তারা বেহেস্তের সুগন্দ্বও পাবেনা’।তখন জনৈক ব্যক্তি প্রশ্ন করলো, ‘তাঁরা কারা,যাদের ভালবাসা আল্লাহ ফরয করেছেন?’ জবাবে তিনি বলেছেন,’আলী,ফাতিমা,হাসান ও হুসাইন’। তিনি আরও বলেন, ‘যারা এদের উপর জুলুম করবে এবং এদের ব্যাপারে যারা আমাকে কষ্ট দেবে তাঁদের জন্য বেহেস্ত হারাম হবে’।
(২) তাফসীরে সা’লাবীতে ইবনে আব্বাস হতে বর্নিত হয়েছে, ‘উত্তম কর্ম’ বলতে রাসুলের(সাঃ) বংশধরদের প্রতি ভালবাসাকে বুঝান হয়েছে।তাফসীরে কাশশাফে সুদ্দী হতে রেওয়ায়েতটি বর্নিত হয়েছে।(তাফসীরে কাশশাফ,৩য় খন্ড,পাতা-৬৮)।
(৩) ইবনে আব্বাস হতে বর্নিত হয়েছে,আয়াতে মুয়াদ্দাত(রাসুলের নিকটাত্নীয়দের প্রতি ভালবাসার আয়াত) নাযিল হলে কিছু সংখ্যক লোকের অন্তরের সন্দেহ সৃষ্টি হল যে, রাসুল(সাঃ) নিজে মনগড়াভাবে বাক্যটি বলেছেন।এব্যাপারে এ আয়াতটি নাযিল হয়।(তাফসীরে কাশশাফ দ্রষ্টব্য)।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:০৮

মেধাহীন মেধাবী বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.