![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুত্রঃhttp://bd.shabestan.ir/detail/News/21342
মাহদাভিয়াত বিভাগ: কিছু হাদিসে মুসলমানদেরকে ইসলামী রাষ্ট্র কায়েম করার জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে বলা হয়েছে। আবার কিছু হাদিসে মুসলমানদেরকে ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পূর্বে রাষ্ট্র কায়েম করা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মুসলমানদের দায়িত্ব কি?
শাবিস্তান বার্তা সংস্থার রিপোর্ট: ওসায়েলুশ শিয়া গ্রন্থে ১৭টি হাদিস বর্নিত হয়েছে যাতে ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পূর্বে জিহাদ করতে নিষেধ করা হয়েছে।
একটি হাদিসে ইমাম সাজ্জাদ (আ.) বলেছেন: "والله لا يخرج أحد منا قبل خروج القائم إلا كان مثله كمثل فرخ طار من وكره قبل أن يستوي جناحاه فأخذه الصبيان فعبثوا به"؛
আল্লাহর শপথ ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পূর্বে আমাদের কেউই কিয়াম করবে না। যদি কেউ করে তাহলে তা হবে উড়তে শেখার পূর্বে পাখির বাচ্চার মত যে ওড়ার চেষ্টা করে বাচ্চাদের খেলনায় পরিণত হয়।
অনেকেই এ্ই হাদিসকে দলিল হিসাবে ব্যাবহার করে থাকেন এবং বলেন ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পূর্বে ন্যায়কাজের আদেশ ও অন্যায় কাজের নিষেধ এবং ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা অবৈধ।
তবে বিশিষ্ট আলেমগণ এই হাদিসসমূহ বিশ্লেষণ করে হাদিসের সঠিক উদ্দেশ্য বর্ণনা করেছেন। আয়াদতুল্লাহ মাজাহেরি বলেন:
ইসলামকে রক্ষা করার জন্য প্রতিরক্ষা যুদ্ধ বৈধ এবং ওয়াজিব এবং তার জন্য মাসূম ইমাম এবং কোন ফকিহর অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
মুসলিম রাষ্ট্র এবং মুসলমানদেরকে রক্ষা করার জন্য অবশ্যই অস্ত্র থাকতে হবে, সেনা বাহিনী থাকতে হবে এবং শত্রুর হাত থেকে মুসলমানদেরকে রক্ষা করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
ইমামগণ ইমাম মাহদীর(আ.) আবির্ভাবের পূর্বে যা করতে নিষেধ করেছেন তা হচ্ছে:
১- উমাইয়্যা এবং আব্বাসীয়দের সময়ে শিয়াদের সকল বিপ্লব ব্যর্থ হবে এবং শিয়াদের শত্রুরাই ক্ষমতায় থাকবে।
২- শিয়ারা যেন সত্য এবং প্রকৃত ইমাম ছাড়া অন্য কারও আনুগত্য না করে।
৩- প্রেক্ষাপট ওবং উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগে যেন শিয়ারা কোন বিপ্লব না করে।
৪- ইমামগণ বোঝাতে চেয়েছেন যে, ইমাম মাহদীর(আ.) পূর্বে শিয়ারা যে বিপ্লব করবে তা সম্পূর্ণ রূপে সফল হবে না। ইমাম মাহদীর(আ.) পূর্বে শিয়ারা যে কিয়াম করতে তা হয় ব্যর্থ হবে নতুবা তা আংশিক বিজয় অর্জন করবে, শতভাগ নয়।
সুপ্রিয় পাঠক,আমরা জেনেছি,রাসুল(সাঃ) বলেছেনা; যে হাদিসটি কোরানের আয়াতকে সমর্থন করে না সেটি হচ্ছে জাল হাদিস।উপরের বিষয়টি আমরা কোরানের আলোকে বিশ্লেষন করে দেখিঃ
সুরা মুহাম্মাদ, আয়াত # ৩৮
“তোমরাই তো তারা যাদের আল্লাহর পথে ব্যয় করতে আহবান করা হয়,তখন তোমাদের মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক কার্পন্য করে;আল্লাহ অমুখাপেক্ষী এবং তোমরা (তাঁরই প্রতি) মুখাপেক্ষী;তোমরা যদি বিমুখ থাক তবে তিনি তোমাদের পরিবর্তে অন্য সম্প্রদায়কে প্রতিষ্টিত করবেন এবং তারা তোমাদের মত হবে না”।(১)
সঠিক তাফসীরঃ(১)
ইবনে মারদুইয়া হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ আনসারী থেকে বর্ননা করেছেন, একদিন রাসুল(সাঃ) এই আয়াত পাঠ করলে তাকে প্রশ্ন করা হলঃ’তারা কারা?’ তখন তিনি উত্তরে বললেন, ‘তারা হল পারস্যবাসী।যদি দ্বীন সুরাইয়া তারকাতেও পৌছায় তবুও পারস্যের একদল তা হস্তগত করবে’।আবু হুরাইরার সুত্রেও অনুরুপ সুত্রেও অনুরুপ হাদিস বর্নিত হয়েছে।তাতে বলা হয়েছে,আল্লাহর রাসুল(সাঃ) সালমান ফারসীর কাঁধে হাত দিয়ে তা বলেছেন।(তাফসীরে দুররে মানসুর,৬ষ্ট খন্ড,পাতা-৬৭)।পাঠক,তাফসীরে ইবনে কাসীরেও উপরে উল্লেখিত হাদিসের ব্যাপারে ইমাম ইবনে হাতিম ও ইমাম ইবনে জরীর থেকে উল্লেখ করা হয়েছে,তবে খালিদ যনজী নামক একজনের ব্যাপারে কোন কোন ইমাম সমালোচনা করেছেন।
উপরোক্ত আয়াত ও হাদিসের সমর্থনে নিম্নের হাদিসটিও লক্ষ্যনীয়ঃ
‘সফিনাতুল বিহার’ নামক গ্রন্থের ২য় খন্ডে্র ৬৯২ পাতায় ‘ওয়ালী’ ধাতুর অধ্যায়ে বলা হয়েছেঃ “একদিন হযরত আলী(আঃ) মিম্বরে নামাজের খুতবা দিচ্ছিলেন। আরবদের প্রসিদ্ব নেতা আশয়াস ইবনে কাইস কিন্দি তাকে উদ্দেশ্য করে বললোঃ ’হে মুমিনদের নেতা!এই রক্তিম বর্নের লোকেরা(ইরানীরা) আপনার সম্মুখে আমাদের উপর প্রতিষ্টা হচ্ছে,অথচ আপনি কিছু করছেন না।একথা বলে রাগত স্বরে বললোঃআজ আমি দেখাব আরবরা কি করতে পারে।হযরত আলী(আঃ) একথা শুনে রাগত স্বরে বললেনঃ “এই স্ফীত উদররা( মোটা পেটুক আরবরা) দিনের বেলা যখন নরম বিছানায় ঘুমায় তখন ইরানী ও মাওয়ালীরা(অনারব মুক্ত দাস) আল্লাহর জন্য প্রখর রৌদ্রের নীচে কাজ করে।অথচ এই আরাম প্রিয় আরবরা চায় আমি এই পরিশ্রমি লোকদের বিতারিত করে জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হই।সেই আল্লাহর শপথ, যিনি বীজ অঙ্কুরীত ও মানুষ সৃষ্টি করেছেন,আমি রাসুল(সাঃ) হতে বলতে শুনেছিঃ১ম যুগে তোমরা ইসলামের জন্য ইরানীদের উপর অস্ত্র চালাবে এবং পরবর্তী যুগে ইরানীরা তোমাদের উপর ইসলামের স্বার্থে তরবারী চালাবে”।(ইরান ও ইসলামের পারস্পরিক সম্পর্ক,আয়াতুল্লাহ মুর্তাজা মোতাহারী,অনুবাদঃ হুজ্জাতুল ইসলাম এ,কে,এম,আনোয়ারুল কবির আরিফ,ষ্টুডেন্ট অফ পি,এইচ,ডি,ইরান)
২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:২৭
আল মাহদী ফোর্স বলেছেন: ১/মোটা দাগে শিয়া বাদে অন্য সব তথাকথিত মুসলমানকে মুসলমান বলা কি যুক্তিসংগত?
২/শাবিস্থান লিঙ্কের অংশটুকু যেখানে হাদিসটির বিপরীতে যৌক্তিকতা প্রমান করতে হয়েছে।
৩/মুল বইটির লেখক হজরত আয়াতুল্লাহ মুর্তাজা মোতাহারী,অনুবাদক হুজ্জাতুল ইসলাম আনোরুল কবির,যিনি ২২ বছর ইরানে ধ্ররমতত্বের উপর পড়ালেখা করেছেন তিনি এখন"ষ্টুডেন্ট অফ পি,এইচ,ডি" ।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:২২
গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: ১। আমি 'শিয়া বাদে' সংক্রান্ত কোনো কিছুই উল্লেখ করিনি বা বোঝানোর চেষ্টা করিনি। শিয়ারাই যদি সত্য ইসলামের ঝান্ডাধারী হয়েও থাকে তবে অন্য সব মুসলমান 'তথাকথিত মুসলমান' হয়ে যাবে? বর্ণিত 'ওসায়েলুশ শিয়া' বইটির শিয়া মুসলিমদের কাছে আদৃত হলেও 'তথাকথিত মুসলমান'দের কাছে তার গ্রহনযোগ্যতা কতটুকু? প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে বাংলাদেশে বা বাংলাভাষী শিয়া কোনো ভৌগলিক অঞ্চলেই মেইনস্ট্রিম মুসলমান নয়। তাই ব্লগ হোক বা যেকোনো পাবলিক ডোমেইন মিডিয়াতে মত প্রকাশের ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
২। আমার প্রশ্ন ছিলো 'হাদিসটির বিপরীতে যৌক্তিকতা প্রমান'র অংশটুকু এর রচয়িতা কে?
৩। বোঝা যাচ্ছে জনাব আনোরুল কবির সাহেবের সাথে এই পোস্টের বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে। তাই আবারো জানতে চাইছি তিনি কিভাবে 'হুজ্জাতুল ইসলাম' টাইটেলটি পেয়েছেন? ২২ বছর ধর্মতত্ত্বের পড়ালেখা তো অসাধারন ব্যাপার বটে! উনার আর কষ্ট স্বীকার করে পি এইচ ডি না করলেও চলে!!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৪
গার্ডেড ট্যাবলেট বলেছেন: কিছু প্রশ্ন:
১। মোটা দাগে শিয়াদের সাধারন মুসলমান হিসেবে গুলিয়ে ফেলাটা কি ইচ্ছাকৃত?
২। উল্লিখিত সূত্রে (শাবেস্তান.আইআর লিন্কে) পোস্টটির আংশিক প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে শেষাংশ (যেখানে ব্যাখ্যা উপস্থাপিত হয়েছে) কে লিখেছেন?
৩। পোস্টটির শেষভাগে একটি রেফারেন্সের অনুবাদক হিসেবে জনাব এ,কে,এম,আনোয়ারুল কবির আরিফকে উদৃত করা হয়েছে। "ষ্টুডেন্ট অফ পি,এইচ,ডি" হয়ে জনাব এ,কে,এম,আনোয়ারুল কবির আরিফ সাহেব "হুজ্জাতুল ইসলাম" টাইটেল পেলেন কিভাবে?