![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হযরত আলী (আ.) বলেন : ‘যাবতীয় পাত্র তাতে রাখা বস্তু দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায় তবে ব্যতিক্রম শুধু জ্ঞানের পাত্র। কারণ, জ্ঞানের পাত্র প্রশস্ত হয়ে যায়।’
-নাহজুল বালাগা, উক্তি ২০৫
হযরত আলী (আ.) বলেন : ‘সহিষ্ণু ব্যক্তি সহিষ্ণুতার ফলে প্রথম যে জিনিসটি (পুরস্কার হিসেবে) লাভ করে তা হচ্ছে এই যে, অজ্ঞ লোকদের বিপক্ষে লোকেরা তার সমর্থক ও সাহায্যকারী হয়ে যায়।’
-নাহজুল বালাগা, উক্তি ২০৬
হযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘তুমি ধৈর্যশীল হতে না পারলেও ধৈর্যধারণকারীদের ন্যায় হওয়ার চেষ্টা কর। কারণ, যে কোন লোক অন্য কারো মতো (সদৃশ) হওয়ার চেষ্টা করে সে অচিরেই তাদের মধ্যে গণ্য হবে।’
-নাহজুল বালাগা, উক্তি ২০৭
হযরত আলী (আ.) বলেন : ‘যে ব্যক্তি নিজের হিসাব নিজে নেয় সে লাভবান হয়। সে নিজেকে ভুলে থাকে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে ভয় পায় সে নিরাপদ হতে পারে। যে উপদেশ গ্রহণ করে সে বিচক্ষণ হয়। আর যে বিচক্ষণ হয় সে বোধ লাভ করে। আর যে বোধশক্তি লাভ করে সে জ্ঞানের অধিকারী হয়।’
-নাহজুল বালাগা, উক্তি ২০৮
হযরত আলী (আ.) বলেন : ‘আবদ্ধ ঘোটকী যেরূপ দয়াপরবশে স্বীয় বাচ্চার প্রতি আকৃষ্ট হয়, তেমনিভাবে দুনিয়া রুষ্ট হয়ে যাবার পর আবার আমাদের প্রতি আকৃষ্ট হবে।’ এ উক্তিটি করার পর তিনি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করেন : ‘আমি ইচ্ছা করলাম, সে দেশে যাদেরকে হীনবল করা হয়েছিল তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে, তাদেরকে নেতৃত্ব দান করতে ও দেশের অধিকারী করতে।’-সূরা কাসাস : ২০৯
-নাহজুল বালাগা, উক্তি ২০৯
হযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘হে লোকসকল! যে ব্যক্তি বসন গুছিয়ে নিয়ে ভালোভাবে দৌড়ায়, সম্মুখে অগ্রসর হতে গিয়ে ভেবে-চিন্তে এগোয়, ভীতগ্রস্ত হওয়ার পূর্বেই ব্যবস্থা নেয়, গন্তব্যের দিক থেকে কোন পাল্টা হামলার প্রতি নজর রাখে, উৎসের পরিণামের দিকে লক্ষ্য করে এবং মৃত্যুর পর কী পরিণতি হবে সে দিকে দৃষ্টি রাখে- তার ন্যায় আল্লাহকে ভয় কর।
-নাহাজুল বালাগা, উক্তি ২১০
হযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘মানুষের জ্ঞানের একটি হিংসাত্মক কাজ হলো আত্মম্ভরিতা।’
-নাহজুল বালাগা, উক্তি ২১২
হযরত আলী (আ.) বলেছেন : ‘মতবিরোধ সুষ্ঠু ধারণা বা সিদ্ধান্ত বরবাদ করে দেয়।’
-নাহজুল বালাগা, উক্তি ২১৫
(নিউজলেটার, জানুয়ারি ১৯৯২)
২| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ৭:৫৩
জাহিদ নীল বলেছেন: লেখাটি ভাল লাগল
৩| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩২
হানিফঢাকা বলেছেন: আপনারা যেভাবে নাহজুল বালাগা পড়েন, সেভাবে কোনোদিন কোরান পরেছেন কিনা সন্দেহ আছে। আপনার এই নাহজুল বালাগা তে বলা আছে, আলী (রাঃ) বলেছেন, নবীর মৃত্যুর পর আগের তিন খলিফা তাকে তার অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন যা সে উত্তরাধিকার সুত্রে দাবিদার। এইগুলি আলী (রাঃ) এর বানী না। যেসব ভন্ড এইসব লিখেছে এইসব তাদের বানী। ভণ্ডামির একটা সীমা থাকা উচিত।
আপনি বলেছেন "বলেছেন: রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ১২ ইমামদের বানীতে ভরপুর ইসলাম।কিন্তু ১ম ৩ খলিফার বানী কই?আছেন কি কেউ উপরে উল্লেখিত বানীর মত ৩ খলিফার কোন বানী দিতে? "
যারা এক আল্লাহ কে মানে, তাদের জন্য কোরআনই যথেষ্ট। আমরা সব খলিফাকেই সমান স্মমান দেই। আমরা আলী (রাঃ) কে স্মমান করি একজন সাহাবা, নবীর জামাতা হিসাবে, কিন্তু তাকে আমরা কখনওই নবী তুল্য কিংবা আল্লাহ তুল্য মনে করিনা, যেটা শিয়ারা করে। শিয়া মতবাদ আনুযায়ী আলী (রাঃ) আল্লাহতুল্য, অনেকক্ষেত্রে তাদের ইমামদেরকে নবীর উপরে স্থান দেন, যেটা আমরা করিনা। এইজন্য অন্য মুসলিমরা শিয়াদেরকে কাফের বলে।
আপনি ১২ ইমামের কথা বলেছেন। আপনার ১২তম ইমাম ১৩০০ বছর ধরে গুহার মধ্য লুকিয়ে আছে। তার সাথে আছে সম্পূর্ণ কোরআন- ৪০ পারা বিশিষ্ট, আলী (রাঃ) আর ফাতিমা (রাঃ) এর পুস্তক, দুনিয়ার সব জ্ঞান- অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ, তাউরাত, ইঞ্জিল, যাবুর।
আপনি আপনার ১২তম ঈমামের জন্ম কাহিনী থেকে তার অন্তর্ধানের কাহিনী এই ব্লগে লিখেন। সবাই জানুক। একটা প্রশ্ন করি, আপনাদের ইমামদের জন্ম নাকি মায়েদের থাই থেকে হয়, পেট থেকে নয়? কথাটা কি সত্য নাকি? রেফারেন্স চাইলে দিতে পারব, সমস্যা নাই। আমি আপনার মতামত জানতে চাচ্ছি।
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৩
আল মাহদী ফোর্স বলেছেন: যারা এক আল্লাহ কে মানে, তাদের জন্য কোরআনই যথেষ্ট<<রাসুল(সাঃ) আল্লাহ মানতেন।কিন্তু উনার(সাঃ) কথাগুলো আল-কুরানেরই ব্যাখ্যা হিসাবে জানি।এব্যাপারে হাদিস পড়ুনঃ
এক. মুসলিম স্বীয় সহীহ গ্রন্থে যায়েদ ইবনে আরকাম হতে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহর রাসূল (স.) একদিন মদিনা ও মক্কার মধ্যবর্তী স্থলে “খুম” নামক একটি জলাশয়ের কাছে খোতবা দান করেন। উক্ত খোতবায় তিনি আল্লাহর প্রশংসার পর লোকদেরকে নসিহত করে বলেন:
ألا أيّها الناس، فانّما أنا بشرٌ يوشک أن يأتی رسول ربّی فأجيب، و أنا تارکت فيکم ثقلين: أولهما کتاب الله فيه الهدی و النور، فخذوا بکتاب الله و استمسکوا به -فحث علی کتاب الله و رغّب فيه ثم قال: – و أهل بيتی، أذکرکم الله في أهل بيتی، أذکرکم الله فی اهل بيتی، أذکرکم الله فی اهل بيتی
হে লোকসকল! আমি একজন মানুষ। খুব শিগগিরি আমার প্রভুর নিযুক্ত ব্যক্তি (তথা মৃত্যুর ফেরেশতা) আমার কাছে আসবে এবং আমিও তাঁর আহ্বানে সাড়া দেব। আমি তোমাদের মাঝে দু’টি অতি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি; যার একটি হল আল্লাহর কিতাব; যাতে রয়েছে নূর এবং হেদায়েত। আল্লাহর কিতাবকে শক্তভাবে আঁকড়ে ধর। রাসূল (স.) আল্লাহর কিতাবের উপর আমল করার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে অত:পর বলেন: আর অপরটি হলো আমার আহলে বাইত। আমার আহলে বাইতের বিষয়ে তোমাদেরকে মহান আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি (অর্থাৎ মহান আল্লাহকে ভয় করে তাদেরকে অনুসরণ কর) এই বাক্যটিকে তিনি তিনবার উচ্চারণ করেন। সূত্র: সহীহ মুসলিম, ৪র্থ খণ্ড, পৃ.১৮০৩।
দারেমি এই টক্সট বা মাতন তথা হাদিসের মূলপাঠটি নিজ ‘সুনান’-শীর্ষক বইয়ে বর্ণনা করেছেন। সূত্র:সুনানে দারেমী, ২য় খণ্ড, পৃ. ৪৩১-৪৩২।
দুই. তিরমিযি এই হাদিসটিতে ((وعترتی أهل بيتی)) শব্দগুলো বর্ণনা করেছেন। মূল হাদিসটি হলো:
إنی تارکت فيکم الثقلين ما ان تمسکتم به لن تضلّوا بعدی؛ أحدهما أعظم من الآخر: کتاب الله حبل ممدود من السماء إلی الأرض و عترتی اهل بيتی، لن يفترقا حتی يردا عليَّ الحوض، فانظروا کيف تخلفونی فيها.
“নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মাঝে দু’টি ভারী (মূল্যবান) জিনিস (আমানত হিসেবে) রেখে যাচ্ছি। যদি তা শক্তভাবে আঁকড়ে ধর তবে কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। সেগুলো একটি অপরটির উপর প্রধান্য রাখে। ( সেগুলো হচ্ছে) আল্লাহর কিতাব যা আসমান হতে জমিন পর্যন্ত প্রসারিত (রহমতের) ঝুলন্ত রশির ন্যায় এবং অপরটি হলো আমার বংশধর; আমার আহলে বাইত। এরা হাউযে কাওসারে আমার সঙ্গে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত কখনও একে অপর হতে আলাদা হবে না। অতএব, তোমরা লক্ষ্য রেখ যে, আমার (ছেড়ে যাওয়া) আমানতের সঙ্গে কিরূপ আচরণ করো।” (সূত্র: সুনানে তিরমিযি, ৫ম খণ্ড, পৃ. ৬৬৩।)
৪| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১:২৬
আল মাহদী ফোর্স বলেছেন: আপনি আপনার ১২তম ঈমামের জন্ম কাহিনী থেকে তার অন্তর্ধানের কাহিনী এই ব্লগে লিখেন<<
http://www.somewhereinblog.net/blog/ador2001/30058907
৫| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৫
সাহিদ০৬ বলেছেন: হযরত আলী (আ.) হবে না উনি সাহাবি ছিলেন (রা) হবে
৬| ০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৩৩
হানিফঢাকা বলেছেন: এই মুসলমান জাতি জীবনে কোনদিন অর্থ সহকারে কোরআন না পড়লেও হাজার হাজার হাদিস মুখস্ত করে রেখেছে নিজের মতবাদের ঢাল হিসাবে। এই হাদিস দিয়েই এত দল মত সৃষ্টি হয়েছে। মোল্লাদের মধ্যে মারামারি এই হাদিস নিয়েই।
আপনি বলেছেন, “উনার(সাঃ) কথাগুলো আল-কুরানেরই ব্যাখ্যা হিসাবে জানি”- আপনার জানাটা সঠিক কিনা সেটা একমাত্র আল্লাহই সবচেয়ে ভালভাবে, নিরপেক্ষ ভাবে বলতে পারবেন। সুতরাং আপনার জানা ঠিক আছে কিনা সেটা কোরআন পড়ে জেনে নিন।
আপনি সবার মত আপনার মতবাদ কে প্রতিষ্ঠা করতে হাদিসের রেফারেন্স টেনেছেন। আপনার রেফারেন্স ধরেই বলি, একই হাদিস বইয়ে ( আপনার রেফারেন্স মুসলিম হাদিস বই) একই বিষয়ে অন্য কথাও বলা আছে। মুসলিম, চ্যাপটার হজ্ব, হাদিস- ১২১৮।
এইটা বিশাল হাদিস, তাই কপি পেস্ট করলাম না, দয়া করে পড়ে নিয়েন। আরও একটু বোঝার জন্য বলি, নবী বলেছেনঃ
আমি তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছি...............
১। কোরআন এবং সুন্নাহ (মুয়াত্তা ৪৬/৩)
২। কোরআন এবং আহলে বায়াত ( মুসলিম (৪৪/৪) ২৪০৮, হাম্বল ৪/৩৬৬)
৩. শুধুমাত্র কোরআন ( মুসলিম ১৫/১৯, হাদিস ১২১৮, ইবনে মাজা ২৫/৮৪, আবু দাউদ ১১/৫৬)
কোনটা সঠিক? যেকোনো একটা সঠিক হলে, বাকি গুলি জাল। আর একটা হাদিস জাল মানে, ঐ হাদিস বই সহি না। কি বলেন?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা আগস্ট, ২০১৫ ভোর ৬:১৯
আল মাহদী ফোর্স বলেছেন: রাসুল(সাঃ) ঘোষিত ১২ ইমামদের বানীতে ভরপুর ইসলাম।কিন্তু ১ম ৩ খলিফার বানী কই?আছেন কি কেউ উপরে উল্লেখিত বানীর মত ৩ খলিফার কোন বানী দিতে?