![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইমাম মুসা কাযিম (আ.)-১
যখন গোধুলীধূলী লগ্নে সুউচ্চ খোরমা-শাখে মৃদু সমীরণের কোমল স্পর্শ আপাদমস্তক আন্দোলিত হয়ে কানাকানি করে তখন তোমারই নির্মল জীবনের বীরত্ত্ব গাঁথা চুপিসারে গেঁয়ে যায়। ... ... আর তোমার উপর যে অন্যায় ও অত্যাচার করা হয়েছে তার শোক গাঁথা আলতো হাওয়ায় ছড়িয়ে দেয়। ... হৃদয় ভারাক্রান্ত বাসন্তী আকাশের মেঘপুঞ্জ যখন অশ্র“বারি বিসর্জন করে নীলিমার দ্বার গুলো উম্মুক্ত করে দেয়, তখন তোমার আহত হৃদয় অনুসারীরাই যুগ-যুগান্তরে ইতিহাসের বিস্তীর্ণ কপল আঁখিজলে সিক্ত করেছে। অশ্র“র স্থুল অবগুন্?ন, তোমার প্রতিবাদ প্রতিরোধ, ও পরিণামে আত্মবিসর্জণের বীরত্ব গীতি থেকে আমাদেরকে বিরত রাখবে না। আর যদি তোমার নিমিত্ত্ব অশ্র“ বিসর্জন দিয়ে থাকি, তবে তা হবে দন্ডায়মান অবস্থায় যাতে তোমার প্রতিরোধের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করতে পারি। আর সেই সাথে বিশ্ব ও ইতিহাসের পাতায় তোমার বীরত্ত্বের স্মরণে সম্মান প্রদর্শণ করতে পারি। আমাদের হৃদয় পটের সুন্দরতম ও বীরত্ত্বপূর্ণ স্থান থেকে তোমার জন্য থাকবে নির্মল ও নিষ্কলুষ অভিনন্দন ও পবিত্রতম দরূদ Ñসর্বক্ষণ ও সর্বাবস্থায়। আবওয়া নামক গাঁয়ের পরিবেশ ঐ দিন প্রভাতেই যেন কিছুটা অন্য রকম ছিল। সূর্য্য রশি§ সমুন্নত খর্জুর বৃক্ষ কোমর পর্যন্ত সোনালী আভায় মূড়িয়ে দিয়েছিল। আর তাদের প্রলম্বিত ছায়াগুলো ঐ গাঁয়ের পু¯িপত ছাউনির উপর ছড়িয়ে পড়েছিল ... ...। রাখালদের সাথে †যতে প্রস্তুত উষ্ট্রগুলোর উষ্ট্র ধ্বনি ও মেষদলের শোরগোল ভোরের আনন্দ ও প্রভাতী বিহবলের বীজকনা হৃদয়ে বপন করেছিল। আর জীবন সংগীতে কর্ণকুহর হয়েছিল পরিপূর্ণ। ....... গাঁয়ের পাশে নির্মল জলাধার ও সুমিষ্ট †পয় জল সরবরে অদ্য প্রশান্ত বাতাসের মৃদু ¯পর্শে কিঞ্চিত তরঙ্গ সৃষ্টি হয়েছিল। গাঁয়ের রমণীকুল এ জলাধার থেকেই মশক পূর্ণ করত। কয়েকটি আবাবিল হতবিহবল হয়ে নির্মল সরোবরের উপর দিয়ে এদিকে †সদিক ছুটোছুটি করছিল; আর কিছুক্ষণ অন্তর স্বীয় রক্তিম বক্ষ জলাধারে সিক্ত করছিল †যন আমুল ফিলের ঐ কংকরের উত্তাপ তখনও উপলব্ধি করছিল। একটু দূরে একমাত্র খোরমা বৃক্ষের সবুজ ও সুউচ্চ ত্রিকোন ছায়ার আশ্রয়ে একটি সমাধি। এ সমাধির উপর ঐ দিন প্রাতে এক রমণী আনত ভঙ্গিতে সশ্রদ্ধ চুম্বন এঁকে যাচ্ছিলেন। আর অস্ফুট সূরে ক্রন্দনরত ... ...আর ওষ্টাধারে কি এক অভিব্যক্তি যেন ধ্বনিত হচ্ছিল। মৃদু সমীরণে তার সে ধ্বনি ভেসে আসছিল, যেন সে ধ্বনিতে এ কথা শুনা যাচ্ছিল ঃ হে আমিনা! তোমার প্রতি দরুদ। হে নবীর (সা.) সম্মাণিতা মাতা! মহান আললাহ তোমার প্রতি করুণা ও রহমত বর্ষণ করুন, (যে তুমি স্বীয় জম্মভূমি থেকে দূরে মৃত্যুবরণ করেছিলে)। এখন আমি তোমার পূত্রবধু; তোমার বংশধর গণের মধ্য থেকে এক শিশু আমার গর্ভে বিদ্যমান, গত নিশী থেকে যে বেদনা আমি অনুভব করছি, তাতে মনে হয় আজই হয়ত এ পবিত্র শিশু এ গাঁয়ে তোমারই সমাধির পাশে ভুমিষ্ট হবে ... ...। আহ! ওহে মহতী, যে তুমি সমাধিতে শুয়ে; আমার পতি আমাকে বলেছেন †য, আমার এ সন্তান আপনার পূত্র মহা নবীর (সা.) সপ্তম উত্তরাধিকারী হবেন।
হে আমার সম্রাঞ্জী! মহান আললাহর কাছে আমার জন্য চাও যাতে এ সন্তানকে সুস্থ অবস্থায় জম্ম দান করতে পারি ... ...। ভোরের রবি তখন সমাধির উপর বেড়ে উঠে একমাত্র বৃক্ষের শাখা †থকে নীচে †নমে এসে মাটির উপর ছড়িয়ে পড়েছিল... ...। হামিদাহ (সালামাতুল−াহ আলাইহা) ধীরে ও সুস্থে উঠে দাঁড়ালেন, তার পরিধেয় সমাধির পবিত্র ধুলি-¯পর্শে †য ধুসরিত হয়েছিল, তা হাওয়ার ছড়িয়ে দিলেন, এক হাত পেটের উপর রেখে অন্তঃ সত্তা রমনীরূপ ধীর, সতর্ক ও সাবধানতার সাথে গাঁয়ে ফিরে যেতে লাগলেন। পরক্ষণে সূর্য্য যখন আকাশের সর্বো”” স্থানে এসে দাঁড়াল গায়ের পাখীরা তার †জ্যাতির ঝর্ণা ধারায় আবওয়ার নির্মল নীলাকাশে পাখাগুলো †ধŠত করছিল। আনন্দ ধ্বনি গায়ের নিভৃত †কান †থকে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছিল ...। আর আমার অনুভূতি নির্মল জলা ধারের কিনারা †থকে অবলোকন করছিল যে, রমণীগণ গাঁয়ের লতানো পথ বেয়ে দ্রুত বিহবল হৃদয়ে এদিক সেদিক ছুটোছুটি করছিল ...। তখন দু’রমণী একই ভঙ্গিতে জলাধারের দিকে বৃহদাকার মৃৎপাত্র হস্তে জল বইয়ে নিতে আসছিল ...। আমার অনুভূতি নূতন সংবাদ শ্রবণের জন্য অপেক্ষা করছিল...। ভগ্নি! বললেন ইমাম সাদিক (আ.)। অতঃপর তাঁর নবজাতক সন্তানের জন্মের সংবাদ শ্রবণান্তে বললেন ঃ “আমার পর যে পথ প্রদর্শক হবে, মহান আললাহর সে উৎকৃষ্টতম বান্দা জন্ম গ্রহণ করল।” ওহে শোননি তাঁর নাম কি রাখা হয়েছে? সম্ভবত ঃ তাঁর জন্মের পূর্বেই তাঁর নাম রাখা হয়েছিল ‘মূসা।’ এ গায়ে কি ঘটেছে আমি জানিনা। তবে অবচেতন মনের কল্পনার †চাখে দেখতে পেলাম, জলাধারের পাশে, প্রান্তরে এক রাখাল তাঁর যষ্টি দিয়ে মেষ পালকে সম্মুখপানে তাড়া করছে ...। মুহূর্তের জন্য আমার সম্মৃতিপটে তরঙ্গায়িত হল ঐ রাখাল সেই মূসা, আর ওখানে সিনা প্রান্তর। কল্পনার আকাশ থেকে অবতরণ করত দেখতে পেলাম এ মূসাতো সেই নবজাতক; তবে সে কোন ফেরাউনের প্রতি কুলে এ ধরাধামে পদার্পন করেছে......!
আব্বাসীয় যুগে ঃ
ইমাম মূসা ইবনে জা’ফর কাযিমের (আ.) চার বছর বয়সের সময় স্বেচ্ছাচারী উমাইয়া শাসনের মূলোৎ পাটন করা হয়েছিল। উমাইয়া শাসকদের আরবীয়করণ নীতি, অন্যায় অত্যাচার, লুন্ঠন প্রক্রিয়া ইরান বিরোধী শাসন ব্যবস্থা জনগণ, বিশেষ করে ইরানীরা যারা প্রকৃত ইসলামী ও ন্যায়ভিত্তিক শাসনব্যবস্থার পূর্নপ্রতিষ্টা আশা করত, বিশেষ করে যারা আলীর (আ.) স্বল্পকালীন খেলাফত আমলের শাসনব্যবস্থার পূনরাবৃত্তি আশা করত তারা উমাইয়া দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। এমতাবস্থায় তদানীন্তন রাজনীতিবিদরা মানুষের এ প্রবণতাকে বিশেষ করে ইরানীদের আলীর (আ.) আহল ও তাদের আলীরূপ শাসনব্যবস্থার প্রতি আকর্ষণকে অপব্যবহার করেছিল। তারা যার অধিকার তার কাছে ফিরিয়ে দেয়ার নামে, আবু মুসলিম খোরাসানীর সহযোগিতায় উমাইয়া দেরকে পদচ্যুত করালেন। কিন্তু তারা ৬ষ্ট ইমাম জা’ফর সাদিকের (আ.) পরিবর্তে আবুল আব্বাস সাফাহ আব্বাসীকে খেলাফতের মসনদে এবং প্রকৃত পক্ষে রাজ সিংহাসনে বসালেন। এভাবেই ১২৩ হিঃ সনে রাজতন্ত্রের এক নব ধারার পত্তন ঘটল, তবে তা খেলাফত ও নবীর (সা.) উত্তরসূরীর পোশাকে তারা ধর্মহীনতা, অত্যাচার ও কপটতার দিক থেকে উমাইয়াদের চেয়ে কোন অংশেই কম ছিল না, বরং এগুলোর দিক থেকে তারা উমাইয়াদেরকে ও হার মানিয়েছিল। পার্থক্য শুধু এটুকু যে উমাইয়াদের কু-শাসন খুব বেশী স্থায়ী হতে পারেনি। আর আব্বাসীয়রা ৬৫৬ হিজরী পর্যন্ত অর্থাৎ ৫২৪ বছর একইভাবে বাগদাদ থেকে খেলাফতের নামে রাজত্ব করেছিল। যাহোক, সপ্তম ইমাম তাঁর জীবদ্দশায় আবুল আব্বাস সাফফাহ, মানসূর দাওয়ানিকী, হাদী, মাহদী ও হারুনের †খলাফত কাল তাদের সকল অত্যাচার, মানহানি ও বল প্রয়োগের ঘটনাপঞ্জী সহ অতিবাহিত করেছিলেন।
ইমামের জীবন দর্পন, দুঃখের তাম্রমলে ঢেকে দেয়ার কিংবা বেদনার অমানিশায় আচ্ছাদিত করার জন্য কেবলমাত্র এ শয়তান প্রকৃতির মানুষগুলোর দুষ্ট ও নিষ্টুর আত্মর কলুষতাই যথেষ্ট ছিল। অথচ এদের প্রত্যেকেই (মানসূর থেকে হারুন পর্যন্ত) এ মহাত্মনের দেহ ও মনের উপর চরম নিষ্টুর ও নিকৃষ্ট অত্যাচার চালাতে কুন্ঠাবোধ করেনি। যদি কিছু না করে থাকে তবে তা অপারগতা বশত: করতে চায় নি যে, তা নয়। আবুল আব্বাস সাফফাহ ১৩৬ হিজরীতে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলে তার ভ্রাতা মানসূর দওয়াানিকী তার স্থলাভিষিক্ত হল। সে বাগদাদ নগরী গড়ল এবং আবু মুসলিমকে হত্যা করল।যে পর্যন্ত খেলাফতের মসনদে অধিষ্টিত হল আলীর (আ.) সন্তানগণকে হত্যা কারারুদ্ধ ও নির্যাতন করা এবং তাদের ধনস¤পদ লুট-তরাজ করা থেকে এক ‘মুহূর্তের জন্যও ক্ষান্ত হয়নি। সে এ বংশের সকল মহান ব্যক্তিদেরকে হত্যা করেছিল। আর তাদের শীর্ষে ছিলেন ইমাম সাদিক (আ.)। ... ... হারুন ছিল রক্তলোলুপ, প্রতারক, চরম হিংসুক, কৃপণ, লোভী ও বিশ্বাস ভংগকারী। আবু মুসলিমের ক্ষেত্রে তার বিশ্বাস ভঙ্গকরণের ঘটনা এখন সাধারনের ভাষায় বাগধারা হিসেবে এরূপে ব্যবহৃত হয় †য, এক জীবন কষ্টের বিনিময়ে তাকে ক্ষমতায় বসিয়েছে। যখন, ইমাম কাযিমের (আ.) মহান পিতাকে শহীদ করা হয়েছিল, তখন তাঁর বয়স ছিল বিশ বছর। তিনি তাঁর জীবনের ত্রিশ বছর পর্যন্ত মানসূরের ভয়-ভীতি, ত্রাস ও শ্বাসরুদ্ধকর দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছিলেন এবং তাঁর অনুসারীদের জন্য গোপনে সংবাদ প্রেরণ করতেন ও তাদের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতেন। মানসূর ১৫৮ হিজরীতে নিহত হলে রাজ সিংহাসনের দ্বায়িত্ব ভার তার পূত্র মাহদীর উপর ন্যস্ত হল। মাহদী আব্বাসীয় রাজনীতি ছিল প্রবঞ্চণা ও প্রতারণামূলক। সে তার পিতার শাসনামলের রাজবন্দীদের মধ্যে মুষ্টিমের কয়েকজন ব্যতীত প্রায় সকলকেই মুক্তি দিয়েছিল, যাদের অধিকাংশই ছিলেন ইমাম কাযিমের (আ.) অনুসারী। সে তাদের লুন্ঠিত মালামালও ফিরিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কাজ কর্মের প্রতি নজর রেখেছিল এবং অন্তরে তীব্র ক্ষোভ গোপন রেখেছিল। এমনকি যে সকল কবিরা আলীর (আ.) বংশকে দুর্ণাম করত, তাদেরকে অগণিত পূরস্কার দিত। যেমন ঃ একবার বাশার ইবনে বারদকে সত্তর হাজার দেরহাম দিয়েছিল এবং মারওয়ান ইবনে আবি হাফসকে একলক্ষ দেরহাম দিয়েছিল।
মুসলমানদের বাইতুলমালের টাকা তার আরাম, আয়াশ, মদপান ও নারীর পিছনে উদার হস্তে খরচ করত। সে তার পুত্র হারুনের বিবাহে পঞ্চাশ মিলিয়ন দেরহাম খরচ করোছিল। বার্তার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করেননি। কারণ, তিনি জানতেন, তারা প্রকৃতপক্ষে তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য সংগ্রাম করছে না এবং তাদের মাথায় অন্য পরিকল্পনা বিদ্যমান।
মাহদী আব্বাসীর সময় ইমামের খ্যাতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছেছিল। কল্যাণ, তাক্বওয়া, জ্ঞান ও নেতৃত্বের আকাশে তিনি পূর্ণ শশীসম কিরণ দিচ্ছিলেন। দলে দলে লোকজন গোপনে তার নিকট আসত এবং অনাদি কল্যাণের ঐ ঝর্ণাধারা থেকে স্বীয় আত্মিক পিপাসা মিটাত। মাহদীর গুপ্তচররা এ সকল ঘটনার সংবাদ তার কাছে পৌছালে স্বীয় খেলাফতের ব্যাপারে ভীত সন্ত্রস্ত হল এবং ইমামকে মদিনা থেকে বাগদাদে এনে বন্দী করার নির্দেশ দিল। ‘আবু খালিদ যাবালেয়ী’ বলেন ঃ এ আদেশ অনুসারে যে নিযুক্ত ব্যক্তিরা হযরতের জন্য মদিনায় গিয়েছিল, ফিরে আসার সময় যাবালেতে হযরতকে সহ আমার গৃহে অবস্থান নিয়োছিল। ইমাম ক্ষুদ্র সময়ের সুযোগে, নিযুক্তদের †চাখের আড়ালে আমাকে তাঁর জন্য কিছু জিনিস ক্রয় করার নির্দেশ দিলেন। আমি খুব হৃদয় ভারাক্রান্ত ছিলাম এবং সবিনয়ে নিবেদন করলামঃ আপনি †য, রক্তলোলুপের কাছে যাচ্ছেন, তাতে আপনার জ†ন্য খুব ভয় হয়। তিনি বলেলেন ঃ আমি তাকে ভয় করি না। তুমি ঐ দিন ঐ স্থানে আমার জন্য অপেক্ষা কর। তিনি (ইমাম) বাগদাদ †গলেন। আমি আশাংকার সাথে অপেক্ষার প্রহর গুণছিলাম। প্রতিশ্র“ত দিবস আসল, আমি কথিত স্থানের দিকে ধাবিত হলাম; হৃদয় আমার দূরুদূরু কাঁপছিল, সামান্য শব্দেই লাফিয়ে উ?তাম; অপেক্ষার আগুণে জ্বলছিলাম। একটু একটু করে দিগন্ত রক্তিম হতে লাগল, সূর্য নীশিথের †কালে ঢলে পড়তে লাগল। হ?াৎ †দখলাম দূর †থকে ছায়ার মত কাউকে †দখলাম ধীরে ধীরে ¯পষ্ট হয়ে আসছিল। হৃদয় আমার চাইল তাদের নিকট উ†ড় যাব; আবার ভয় পাচ্ছিলাম †য, যদি তিনি না হয়ে থাকেন; পাছে আমাদের †গাপনীয়তা প্রকাশিত হয়ে যায়। যথাস্থানেই অপেক্ষমান থাকলাম, ইমাম আমার নিকটবর্তী হলেন। তিনি একটি খচ্চরের পৃষ্টে ছিলেন। যখনই তাঁর দৃষ্টি আমার উপর নিবদ্ধ হল; বললেন ঃ আবা খালিদ, দ্বিধা করনা ... এবং বলতে লাগলেন ঃ পরবর্তীতে আমাকে আবার বাগদাদে নিবে, আর তখন আর ফিরে আসব না।
পরিতাপের বিষয় †তমনটিই ঘটে ছিল ...। যাহোক এ সফরেই যখন মাহদী আ্ববাসী ইমামকে বাগদাদ নিয়ে আসল ও কারারুদ্ধ করল, তখন আলী ইবনে আবি তালিবকে (আ.) স্বপ্নে †দখল †য তিনি ওকে উদ্দেশ্য করে এ আয়াতটি পাঠ করছিলেন ঃ (সূরা মুহম্মদ (সা.)- ২২) ক্ষমতায় অধিষ্টিত †তামরা সম্ভবত ঃ পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করবে। রাবী বলে ঃ মধ্যরাত্রিতে মাহদী আব্বাসী আমাকে †ডকে পাঠাল। খুব সন্ত্রস্ত হলাম ও তার নিকট দ্রুত উপাস্থিত হলাম; †দখলাম ... আয়াতটি পাঠ করছিল। অতঃপর বলল ঃ যাও, মূসা ইবনে জা’ফরকে কারাগার †থকে আমার নিকট নিয়ে আস। আমি গিয়ে তাঁকে নিয়ে আসলাম; মাহদী ও?ে দাঁড়াল এবং তাঁকে চুম্বন করে নিজের নিকট বসাল, অতঃপর নিজের স্বপ্নের কথা তাঁর নিকট ব্যক্ত করল। অতঃপর তৎক্ষণাত ইমামকে (আ.) মদিনায় ফিরিয়ে †দয়ার জন্য নির্দেশ দিল। রাবী বলে ঃ পাছে †কান বাঁধা আসে, এ ভয়ে ঐ রাতেই ইমামের যাত্রা কালীন জিনিসপত্র গুছিয়ে নিয়ে তার যাত্রার ব্যবস্থা করলাম প্রভাত আলোয় তিনি মদিনার পথে ছিলেন... ।
ইমাম মদিনায় আŸŸাসীয়দের শ^াসরূদ্ধকর প্রহরা সত্বে ও মানুষকে সঠিক পথ প্রদর্শন, জ্ঞান বিতরণ ও শীয়াদেরকে (আধ্যাত্মিক ভাবে) গড়ে †তালার জন্য ব্যস্ত ছিলেন ...। ইতিমধ্যে ১৬৯ হিজরীতে মাহদী নিহত হলে তার পূত্র হাদী আŸŸাসী রাজতন্ত্রের মসনদে অধিষ্?িত হল। হাদী তার পিতার ব্যতিক্রম ছিল জনসাধারণের ন্যূনমত অধিকারটুকু ও রক্ষা করত না এবং প্রকাশ্যে আলী (আ.) এর সন্তানগণের সাথে ক?োর আচরণ করত; এমন কি যা কিছু তার পিতা তাদেরকে (আলীর (আ.) সন্তানদেরকে) দিয়েছিল তা-ও ছিনিয়ে নিয়েছিল। তার ঘৃন্যতম কৃষ্ণকর্ম হল ফাখের নৃশংস ও নির্মম হত্যাকান্ড।
ফাখের মর্মন্তুদ ঘটনা ঃ
মদিনার আলাভীগণের মধ্যে হুসাইন ইবনে আলী আ্ববাসীয়দের দুঃশাসন ও অত্যাচারে অতিষ্? হয়ে পড়েছিলেন। তিনি ইমাম মুসা কাযিমের (আ.) অনুমতিক্রমে হাদীর বিরুদ্ধে আšেদালন শুরু করলেন এবং প্রায় ছয়শত সঙ্গী নিয়ে মদিনা †থকে মক্কা অভিমূখে যাত্রা করলেন। হাদীর সৈন্যরা তাকে ফাখ নামক স্থানে অবরোধ করতঃ তার সৈন্যদেরকে শহীদ করল এবং কারবলার †বদনাবিধূর ঘটনার অনুরূপ ঘটনা তাদের ক্ষেত্রে ও ঘটল। সকল শহীদের মাথা কর্তণ করে মদিনায় নিয়ে আসল এবং আলীর (আ.) সন্তানগণ, বিশেষ করে ইমাম মূসা কাযিম (আ.) †য সভায় ছিলেন †সখানে প্রদর্শনীর জন্য রাখল। ইমাম ব্যতীত কেউ কিছু বলল না; ইমাম কাযিম (আ.) ফাখ আন্দোলনের †নতার কর্তিত মস্তক †দখে বললেন ঃ আমরা আল্লাহ †থকে এবং তারই নিকট প্রত্যাবর্তণ করব। আল্লাহর শপথ †স মুসলমান ও সৎকর্ম করে শাহাদাৎবরণ করেছে; †স †বশী †বশী †রাযা রাখত ও রাত্রি জাগরণ করত এবং সৎ কর্মে আদেশ ও অসৎ কর্মে নিষেধ করত, তার পরিবারের মধ্যে তাঁর সমকক্ষ †কউ ছিলনা। হাদী দুষ্ট রাজনৈতিক চরিত্র ছাড়াও, ব্যক্তিগত আচরণেও ছিল উচ্চাভিলাষী, মদ্দ্যপ ও আরাম প্রিয়। একদা ইয়সুফ সাইকালীকে কয়েক পংক্তি কবিতা সুন্দর ভংগিতে আবৃতি করার জন্য এক উষ্ট্রের †বাঝা পরিমাণ †দরহাম ও দিনার তাকে প্রদান করেছিল। ইবনে দাবনামী বলেন ঃ একদিন হাদীর নিকট †গলাম। তাঁর †চাখগুলো মদ পান ও জাগরণের ফলে রক্তিম বর্ণ ধারণ করেছিল। †স আমার কাছে শরাব সম^ন্ধে কবিতা শুনতে চাইল। আমি একটি কবিতা আবৃতি করলাম। †স কবিতাটি লিখে রাখল এবং আমাকে চল্লিশ হাজার †দরহাম প্রদান করল।
আরবের বিখ্যাত গায়ক ইসহাক মূসেলী বলেন ঃ যদি হাদী †বঁচে থাকত আমরা আমাদের গৃহের প্রাচীর স্বর্ণ দিয়ে গড়তাম।
যাহোক, অবশেষে হাদীও ১৭০ হিজরীতে †শষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। আর †সই সাথে ইসলামের বাদশাহ হল হারুন আর এ সময় ইমাম মূসা কাযিমের (আ.) বয়স ৪২ বছরে পৌছেছিল। হারুনের সময় আব্বাসীয় দুঃশাসনের দৌরাত্ব, শক্তি, স্বৈরাচার ও সফলতা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌছেছিল। হারুন বাইয়াতের অনুষ্টান †শষে ইয়াহিয়া বারমাকিকে (ইরানীদের মধ্যে †য বাদশাহের মন্ত্রীত্ব গ্রহণ করেছিল) নিজের মন্ত্রী নিযুক্ত করল এবং নিয়োগ, বরখাস্ত ইত্যাদি †য †কান বিষয়ে সিদ্ধান্ত †নয়ার †ক্ষত্রে তাকে পূর্ণ স^াধীনতা প্রদান করেছিল। আর তদানীন্তন সময়ের নিয়মানুসারে এ স্বাধীনতার প্রমাণ হিসেবে স্বীয় অংশটি তার অধিকারে †রখেছিল অতঃপর হারুন অন্যায়ভাবে বায়তুল মালের টাকা আত্মসাৎ করে শরাব, নারী, মনিমুক্তা ক্রয় ও আমোদ-প্রমোদের জন্য ব্যয় করতে লাগল। বাইতুল মালের সঞ্চিত স¤পদের পরিমাণ তখন পাঁচশত মিলিয়ন ও দুই লক্ষ চলি−শ হাজার †দরহাম ছিল, যখন দুই কিংবা চার বছর বয়স্ক একটি †মষ এক †দরহামে ক্রয়-বিক্রয় হত। আর হারুন †স স¤পত্তি নস্যাৎ করার জন্য উদার হস্ত হল। †যমন ঃ আশযা, নামক এক কবিকে তার প্রশংসাগীতির বিনিময়ে এক মিলিয়ন †দরহাম পুরস্কার প্রদান করেছিল। আবুল আতাহিয়া নামক এক কবি এবং ইব্রাহীম মূসেলী নামক একজন সংগীতজ্ঞ কয়েক পংক্তি কবিতা ও সংগীত পরিবেশণের জন্য প্রত্যেকেই এক লক্ষ †দরহাম ও একশতটি †পাশাক লাভ করেছিল। হারুণের প্রাসাদে অনেক সুকন্?ী, সুশীলা ও রূপসী নারীর সমাহার ঘটেছিল এবং তদানীন্তন সময়ের বিভিন্ন বাদ্য যন্ত্র †সখানে বিদ্যমান ছিল। রজস্বসম্ভার গড়া ছিল হারুনের অন্যতম শখের বিষয়। একদা একটি আংটি ক্রয় করার জন্য †স এক লক্ষ দিনার পরিশোধ করেছিল। তার রন্ধন শালার প্রতিদিনের খরচ ছিল দশ হাযার †দরহাম। কখনো কখনো তার জন্য ত্রিশ রকমের খাবার তৈরী করা হত। হারুন একবার উটের মাংস সম্বলিত খাবার †চয়েছিল। যখন তার জন্য †স খাবার আনা হল, জা’ফর বারমাকী বলেছিল ঃ খলিফা কি জানেন তার জন্য এই †য খাবার আনা হল তার মূল্য কতটা ? জবাবে বলা হল ঃ তিন †দরহাম ... ...। বলল ঃ না, আল−াহর শপথ, এ পর্যন্ত চার হাযার †দরহাম খরচ হয়েছে। কারণ, অনেকদিন ধরে প্রত্যহ একটি করে উট জবাই করা হচ্ছিল, যাতে খলিফা যদি উটের মাংস চায় তাৎক্ষণিক ভাবে উপস্থিত করা যায়! হারুন একজন জুয়াড়ী এবং মদ্যপও ছিল বটে। কখনো কখনো †স সভায় সকলের উপস্থিতিতেই মদ পান করত। অপরদিকে †স সাধারণকে †ধাঁকা †দয়ার জন্য ইসলামী সভায়ও †যত। †যমন ঃ হজ্জপালন করত। আবার কখনোবা তাকে উপদেশ †দয়ার জন্য †কান †কান বক্তাকে অনুরোধ করত ও কাঁদত ... !
ইমামের ভূমিকা ঃ
হারুন আব্বাসীয় দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আলীর (আ.) বংশের দৃঢ় অবস্থানের কারণে খুব †ক্রাধানি^ত ও অসন্তষ্ট ছিল; ফলে টযে কোন ভাবেই †হাক তাদেরকে শাস্তি ও কষ্ট দেয়ার চেষ্টা করত, †চষ্টা করত সমাজে তাদের মর্যাদাহানির। আর এ জন্যে †স আত্মবিকৃত কবি ও দরবারী কীর্তনকারীদেরকে অগণিত অর্থ প্রদান করত, আলী (আ.) এর পরিবার বর্গের দুর্ণাম করার জন্য; উদাহরণস^রূপ মানসূর নামারীর কথা উলে−খ করা যায়।
তার কবিতায় আলীর (আ.) পরিবারবর্গকে নিন্দা করেছে বলে হারুন তাকে বাইতুল মালের †কাষাগারে নিয়ে যাওয়ার আদেশ দিয়েছিল; যাতে তার ইচ্ছা মত অর্থ নিতে পারে। বাগদাদের সকল আলাভীগণকে মদিনায় নির্বাসন †দয়া হয়েছিল এবং তাদের অগণিত সংখ্যককে হত্যা ও বিষ প্রয়োগ করেছিল। এমন কি হযরত ইমাম †হাসাইনের (আ.) কবর যিয়ারতের জন্য মানুষের আসা যাওয়াটা ও সে সহ্য করতে পারত না। সে ইমাম †হাসাইনের (আ.) কবর এবং এর সংলগ্ন গৃহসমূহ বিনষ্ট করার ও ঐ পবিত্র কবরের পার্শ্বে যে কুল গাছ ছিল তা কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। পূর্বে মহানবী (সা.) একে একে তিনবার বলেছিলেন তার উপর মহান আললাহর অভিস¤পাত, যে কুল গাছ কাঁটবে। নিঃসšেদহে, হযরত ইমাম মূসা কাযিম (আ.) হারুন ও তার পূর্বসূরীদের এ ধরনের অত্যাচারী ও অনৈসলামিক আচার সর্বস্ব হুকুমতের সমর্থন করতে পারেন না। আর এ কারণেই তিনি যদি ফাখের আšেদালনকে সমর্থন করে থাকেন এবং নিজের অনুসারীগণের সাথে সার্বক্ষণিক গোপন স¤পর্ক †রখে থাকেন, তবে তা সমসাময়িক স্বৈরাচারী শাসকগোষ্?ীর বিরুদ্ধে প্রত্যেকের ভূমিকা নির্ধারণ করার জন্যেই। ইমাম মূসা কযিম (আ.) একবার, সাফওয়ান ইবনে †মহরনকে বলেছিলেন ঃ তুমি সবদিক †থকেই উত্তম; শুধুমাত্র এ দিকটি ব্যতীত †য, তুমি †তামার উটগুলো হারুনকে ভাড়া দিয়ে থাক। সাফওয়ান বলল ঃ হজ্জের জন্য ভাড়া দিয়ে থাকি এবং আমি স্বয়ং উটের সাথে যাই না। তিনি বললেন ঃ আর এজন্যেই তুমি অন্তরে কামনা করনা †য, হারুন কমপক্ষে মক্কা †থকে ফিরে আসা পর্যন্ত জীবিত থাকুক, যাতে †তামার উটগুলো না হারায়? এবং ভাড়ার মূল্য †তামাকে পরিশোধ করতে পারে? জবাবে বলল ঃ জী, হ্যাঁ। ইমাম বললেন ঃ যদি †কউ অত্যাচারীদের †বঁচে থাকা কামনা করে তবে †স অত্যাচারীদের অন্তর্ভূক্ত বলে পরিগণিত হয়। যদি কাউকে হারুনের শাসনব্যবস্থায় নিযুক্ত থাকার অনুমতি দিয়েও থাকেন তবে তা রাজনৈতিক †কŠশল হিসেবে এটাকে কল্যাণকর মনে করেছেন বলে। আবার এ কারণেও কাউকে নিযুক্ত করেছেন †য, তিনি জানতেন হারুনের দুঃশাসনে, ভয়, সন্ত্রাস ও শ্বাসরূদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজমান, আর হুকুমতে তাদের উপস্থিতি শীয়া জনসমষ্টির জন্য লাভজনক এবং তাদের মাধ্যমে আলাভীদের বিরুদ্ধে হুকুমতের প্রবঞ্চনা স¤পর্কে অবহিত হতে পারতেন। †যমন ঃ আলী ইবনে ইয়াক্বতীন যখন হারুনের দরবারে স্বীয় পদ †থকে ইস্তফা দিতে †চয়েছিলেন, তখন ইমাম কাযিম (আ.) তাকে অনুমতি †দননি। যাহোক, †কান অবস্থাতেই ইমাম এ স্বৈরাচারীদেরকে সমর্থণ করেননি; এমনকি যখন ঐ অত্যাচারীদের হাতের থাবায় বন্দী ছিলেন, তখনও।
একবার ইমামের বন্দীদশায়, হারুন ইয়াহিয়া ইবনে খালিদকে এজন্য কারাগারে †প্ররণ করল †য, মূসা ইবনে জাফর (আ.) যদি ক্ষমা প্রার্থণা করেন তবে তাঁকে মুক্তি দিবে। ইমাম এ কর্ম †থকে বিরত থাকলেন। ইমাম (আ.) এমনকি তাঁর বন্দী অবস্থার নিকৃষ্টতম সময়েও, তাঁর ধীশক্তি, বিরত্ব, সংগ্রামী ও আপোষহীন মনোভাব পরিত্যাগ করেননি। একদা কারাগার †থকে হারুনের নিকট লিখিত নিম্নলিখিত পত্রাংশটুকুর দিকে গভীর মনোযোগ দিলে অনুধাবন করা যায় †য, তা কতটা জ^ালাময়ী, দৃঢ়মনোবলের পরিচয়বহ এবং লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের প্রতি কতটা নিশ্চিত অভিব্যক্তির প্রকাশ বহন করে। যথা ঃ ... এমন †কান দিন নেই যে দিন আমি কষ্টে কাটাইনি অথচ এমন কোন দিন নেই যে, তুমি সুখ স্বচ্ছন্দ্যে কাটাওনি। কিন্তু, ঐ দিন পর্যন্ত আরাম আয়াশে লিপ্ত থাক †য দিন আমরা উভয়েই এমন এক জগতে পর্দাপন করব যার কোন শেষ নেই এবং ঐ দিন অত্যাচারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে ... ...।”
যাহোক, হারুন এরূপেই ইমামের অস্তিত্বকে সহ্য করতে পরেনি। এটা আমাদের †বাকামী হবে যদি মনে করি †য, হারুন †কবলমাত্র মানুষের অন্তরে ইমামের আধ্যাত্মিক প্রথিত যশার কারণে হিংসাপরায়ণ হয়ে ইমামকে কারাগারে বন্দী করেছিল। হারুন ইমামের (আ.) অনুসারীদের সাথে তাঁর সার্বক্ষণিক †যাগাযোগের কথা তার বিশেষ নিরাপত্তাবাহিনীর মাধ্যমে স¤পূর্ণরূপে জানতে †পরেছিল এবং †স আরো জানতে †পরেছিল †য, ইমাম যখনই উপযুক্ত সুযোগ পাবেন স্বয়ং বিপ−ব করবেন কিংবা তাঁর সঙ্গীদেরকে অন্দোলন করতে নির্দেশ দিবেন, ফলে তার হুকুমতের অনিবার্য পতন ঘটবে। সে †দখল, এ নির্ভীক আত্মার মাঝে কিঞ্চিৎ পরিমাণেও আপোসের চিহ“ খুঁেজ পাওয়া যায় না, যদিও সাময়িক সময়ের জন্য বাহ্যিকভাবে নিশ্চুপ থাকেন, তবে তার অর্থ নিরবতা নয়, বরং তা হল স?িক সুযোগের অপেক্ষায় তাঁর †কŠশলগত নিরবতা। এ জন্য †স আগেভাগেই ব্যবস্থা নিল। হারুন স¤পূর্ণ নির্লজ্জ ভাবে ও জনগণকে প্রবঞ্চণা করার জন্য মহানবীর (সা.) কবরের পাশে দাঁড়াল এবং †খলাফত হরণ, অত্যাচার ও জনগণের স¤পদ লুট তরাজকরণ, আর †খলাফতকে রাজতন্ত্রে রূপান্তরের জন্য †কান প্রকার লজ্জা করার পরিবর্তে মহানবীকে (সা.) উদ্দেশ্য করে বলে ঃ “†হ রাসূলাল−াহ! আপনার সন্তান মূসা ইবনে জা’ফরের (আ.) ব্যাপারে †য সিদ্ধান্ত আমি গ্রহণ করেছি, তার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করছি, আমি আন্তরিক ভাবে তাঁকে বন্দী করতে চাই না; কিন্তু আমি এ ভয়ে ভীত †য, আপনার উম্মতের মধ্যে যুদ্ধ ও বিরোধ সৃষ্টি হবে; আর এজন্যে এ কর্ম করেছি!!” সে তৎক্ষণাৎ ইমাম (আ.) †ক বন্দী ও বসরায় নিয়ে কারারুদ্ধ করার আদেশ দিল। তখন ইমাম (আ.) †সখানে নবীর (সা.) কবরের পাশে নামাযে মশগুল ছিলেন।
ইমাম বাসরার শাসক ঈসা ইবনে জা’ফরের কারাগারে এক’বছর বন্দী ছিলেন। ইমামের (আ.) উত্তম চরিত্র ঈসা ইবনে জা’ফরের উপর এমন প্রভাব †ফলেছিল †য ঐ জল্লাদ হারুণের নিকট লিখেছিল ঃ তাঁকে আমার নিকট †থকে ফিরিয়ে না-ও নতূবা আমি তাঁকে মুক্ত করে দিব। হারুনের আদেশানুসারে, ঐ মহান ব্যাক্তিকে বাগদাদে ফাযল ইবনে রাবির নিকট কারারুদ্ধ করা হল। অতঃপর কিছুদিন ফাযল ইবনে ইয়াহিয়ার নিকট হস্তান্তর করা হয়। †সখানে, কিছুদিন কারারুদ্ধ থাকার পর সানদি ইবনে শাহাকের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছিল। একের পর এক এ স্থান †থকে অন্যস্থানে স্থানান্তরের কারণ ছিল এটাই †য, হারুন প্রতিবারই কারা প্রহরীর নিকট †চয়েছিল মহান ইমামকে (আ.) পৃথিবী †থকে বিদায় করতে। কিন্তু তাদের †কউই এ কর্মটি স¤পাদনে ইতিবাচক সাড়া †দয়নি। অতঃপর এ †শষোক্ত জল−াদ অর্থাৎ সানদি ইবনে শাহাক ইমামকে (আ.) বিষ প্রয়োগ করেছিল। তাঁর শাহাদাতের পূর্বে, একদল প্রখ্যাত ব্যক্তিবর্গকে উপস্থিত করেছিল, যাতে তারা সাক্ষী †দয় †য ইমাম মূসা কাযিম (আ.) চক্রান্তের স্বীকার হননি, বরং কারাগারে স্বাভাবিক মৃত্যুর মাধ্যমে পৃথিবী †থকে বিদায় নিয়েছেন। আর এ প্রবঞ্চনার মাধ্যমে †স আŸŸসীয় †খলাফতকে ঐ মহান ইমামের (আ.) হত্যার দায়িত্ব ভার †থকে মুক্ত করতে †চয়েছিল। আর †সই সাথে †চয়েছিল ইমামের অনুসারীগণের সম্ভাব্য আন্দোলনকে প্রতিরোধ করতে। কিন্তু ইমামের (আ.) প্রত্যুৎপন্নমতিতা ও ধীশক্তি তাদেরকে ব্যর্থ করেছিল। কারণ, যখন ঐ স্বাক্ষীরা ইমামের (আ.) দিকে তাকিয়েছিল, তিনি বিষের প্রচন্ডতা ও বিপন্ন অবস্থা সত্বে ও তাদেরকে বললেন ঃ আমাকে ৯টি বিষযুক্ত †খারমা দিয়ে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে, আগামীকাল আমার শরীর সবুজ হয়ে যাবে এবং তার পরদিন আমি ইহধাম †থকে বিদায় গ্রহণ করবো। আর এ ভাবেই ঐ মহানুভব সংবাদ প্রদান করেছিলেন। দু’দিন পর (অর্থাৎ ১৮৩ হিজরীর ২৫†শ রজব) ধরায় †শাকের ছায়া †নমে আসল। আর †সই সাথে †শাকাহত হল বিশ্বাসীগণ, বিশেষ করে শীয়াগণ যারা তাদের প্রিয় ইমামকে হারিয়েছিল। এখন †সই মহান শহীদ স¤পর্কে বলব ঃ যখন †গাধূলী লগ্নে সুউ”” †খারমা-শাখে মৃদু সমীরণের †কামল স্পর্শ আপাদ মস্তক আšেদালিত হয়ে কানাকানি করে তখন †তামারই নির্মল জীবনের বিরত্ব গাঁথা চুপিসারে গেঁয়ে যায়। ... ... আর †তামার উপর †য অন্যায় ও অত্যাচার করা হয়েছে তার †শাক গাঁথা আলতো হাওয়ায় ছড়িয়ে †দয়। ... হৃদয় ভারাক্রান্ত বাসন্তী আকাশের †মঘপুঞ্জ যখন অশ্র“ বিসর্জন করে নীলীমার দ্বার গুলো উম্মুক্ত করে †দয়, তখন †তামার আহত হৃদয় অনুসারীরাই যুগ-যুগান্তরে ইতিহাসের বিস্তীর্ণ কপল অশ্র“ সিক্ত করেছে। অশ্র“র স্থুল অবগুন্?ন †তামার প্রতিবাদ প্রতিরোধ, ও পরিণামে আত্মবিসর্জণের বিরত্ব গীতি †থকে আমাদেরকে বিরত রাখবে না। আর যদি †তামার নিমিত্ত অশ্র“ বিসর্জন দিয়ে থাকি, তবে তা হবে দন্ডায়মান অবস্থায় যাতে †তামার প্রতিরোধের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করতে পারি। আর †সই সাথে বিশ^ ও ইতিহাসের পাতায় †তামার বিরত্বের স্মরণে সম্মান প্রদর্শণ করতে পারি। আমাদের হৃদয় পটের সুন্দরতম ও বিরত্বপূর্ণ স্থান †থকে †তামার জন্য থাকবে নির্মল ও নিষ্কলুষ অভিনন্দন ও পবিত্রতম দরুদ Ñসর্বক্ষণ ও সর্বাবস্থায়।
©somewhere in net ltd.