নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশ , মানুষ

জীবনের সব কিছু আললাহর সন্তুষ্টির জন্য

আল মাহদী ফোর্স

কোরান ও নবী পরিবারের আঃ অনুসারী।

আল মাহদী ফোর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

জুমা’র নামাজ ও জামায়াত সংক্রান্ত চল্লিশ হাদিস

০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৮


সংকলন ঃ জুলফিকার আলী যায়দী
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র †কারআনে ইরশাদ করেন অর্থাৎ, “.....আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে জ্ঞানীরাই †কবল তাঁকে ভয় করে”। (সূরা ফাতির ঃ ২৮)
পবিত্র এই আয়াতে দুইটি বিষয়কে পরস্পরের সাথে সম্বন্ধযুক্ত করা হয়েছে। যারা †খাদাভীরু তাঁরাই হলেন আলেম। এবং যাঁরা প্রকৃত আলেম তাঁরা সর্বাবস্থায় †খাদাভীরু। ইল্ম এবং †খাদাভীরুতা একে অপর †থকে কখনো বিচ্ছিন্ন হতে পারে না। যিনি সকল মানুষকে উত্তম কর্মের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেন।
এমন মানুষের †শ্রণী বা স্তরের উচ্চতা সম্পর্কে পবিত্র †কারআন সনদ প্রদান করেছে। ইরশাদ হচ্ছে অর্থাৎ, “......†তামাদের মধ্যে যারা ঈমানদার এবং যারা জ্ঞানপ্রাপ্ত, আল্লাহ তাদের মর্যাদা উচ্চ করে দিবেন।” (সূরা মুজাদালাহ ঃ ১১) যারা জ্ঞান প্রাপ্ত এমন মানুষদের স্থান ও মর্যাদার স্বীকারোক্তি করে পবিত্র †কারআনে †ঘাষণা এসেছে। জ্ঞানপ্রাপ্ত এবং অজ্ঞরা কী সমান? কখনই না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আবশ্যকীয় উল্লেখ করে এ মর্মে †ঘাষণা দিয়েছেন †য, যারা অজ্ঞ তারা পথ নির্দেশনা লাভের জন্য জ্ঞান প্রাপ্তদের স্মরণাপন্ন হবে। ইরশাদ হচ্ছে অর্থাৎ, “....†তামরা যদি না জান, তবে যারা জানে তাদেরকে জিজ্ঞেস কর।” (সূরা আম্বিয়া ঃ ৭) ফিকাহ শাস্ত্রের পরিভাষায় †কান অজ্ঞ ব্যক্তির শরিয়তের বিভিন্ন মাসআলা সম্পর্কে এতদ্বসংক্রান্ত †কান বিজ্ঞ ব্যক্তির কাছে জিজ্ঞাসা করা এবং †স অনুযায়ী আমল করার নামই তাক্বলীদ। ইসলাম ধর্ম এ ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে তবে †সটা ফুরুয়ে দ্বীনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এর মধ্যেও দ্বীনের অত্যাবশকীয় বিষয়গুলো বাদ †দয়অ হয়েছে। কিন্তু তাক্বলিদের ওয়াজিব হওয়া সন্দেহাতীত ভাবে স্পষ্ট ও প্রমাণিত। মানুষ তার সামাজিক জীবনে †কান না †কানভাবে তাক্বলীদ করতে বাধ্য। এবং আকলও একে স্বীকার করে †য. অজ্ঞ ব্যক্তিকে অবশ্যই জানার জন্য জ্ঞানী ব্যক্তির প্রতি রুজু করবে এবং ইল্ম বা জ্ঞান অর্জন করবে। ইমাম (আঃ) ইরশাদ করেন, “একজন মুমিন হিকমতের (জ্ঞানী) একটি বাক্য শ্রবণ করলে তা ঐ মুমিনের এক বছরের ইবাদতের চাইতে উত্তম।” (বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৭৭, পৃঃ ১৭২)
ইল্মের ফজিলতের কারণে হুজুর পাক (সাঃ) আলেমগণকে আম্বিয়ার (আঃ) ওয়ারিস বলে উল্লেখ করেছেন। (ইসনা আশারিয়া, পৃঃ ১৬)
হুজুর পাক (সাঃ) আলেমের প্রতি অপমান ও অবজ্ঞা প্রদর্শন করা সম্পর্কে ইরশাদ করেন, “যে †কান ব্যক্তি †কান আলেমে দ্বীনের অপমান ও তাচ্ছিল্য করল †স আমার অপমান ও তাচ্ছিল্য প্রদর্শনকারী কাফের বলে গণ্য হবে।” (ইরশাদে †দলমী, পৃঃ ২৭৫)
ইসলাম ধর্ম ওলামা ও ওলামারূপধারী ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্যও স্পষ্ট করে দিয়েছে। †যমন, হুজুর আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেন, †য ব্যক্তি †কান এলেম ব্যতিত মানুষদের উদ্দেশ্যে ফতোয়া প্রদান করে থাকেন তার উপর জমিন ও আসমানের †ফরেশতাকূল লানত বর্ষন করে। (†তাহফুল উকূল, মাওয়অয়েজ আন্ নবী)
জ্ঞানার্জনের উপর গুরুত্বারোপ করে নবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, “তুমি †তামার জীবন আলেম অথবা জ্ঞান অর্জনকারী হিসেবে অতিবাহিত কর। সাবধান! তৃতীয় †কান পথ অবলম্বন করো না; †সখানে ধ্বংস অনিবার্য।” এমন আলেম এবং জ্ঞান অর্জনকারীকে †নক কর্মে শরীক বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং একজন ব্যক্তি যখন জ্ঞানের †সই পর্যায়ে উন্নীত হয় তখন তাকে এমন পদ ও মর্যদা দান করা হয় †য তার †চহারার প্রতি দৃষ্টি †দয়াকেও ইবাদাত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। †যমনটি হুজুর পাক (সাঃ) ইরশাদ করেন, “আলেমের †চহারার প্রতি †দখা ইবাদাত”। (মাজমুয়া এ ওরাম, খঃ ১, পৃঃ ৮৪)
আলেমগণের স্থান আল্লাহ তাঁর রাসুল এবং ইমাম (আঃ)গণের নিকট কতটা উচ্ছে এ সকল †রওয়ায়েত দ্বারা সম্যক উপলব্ধি করা যায়। ইরশাদ হচ্ছে, “আলেমের নিদ্রা যাওয়া জাহেল ইবাদাতকারীর ইবাদতের চাইতে উত্তম”।
হুজুর (সাঃ) এর এই হাদীসটির বাস্তবরূপ †দখতে চাইলে আমরা তাঁর (সাঃ) হিজরতের ঘটনা লক্ষ্য করতে পারি। †স রাতে জ্ঞানের †তারণ নিশ্চিন্তে নিদ্রায় †গলেন। বরং বলা যায় †য, তাঁর সমগ্র জীবনে এত গভীর ও মিষ্টি ঘুম †সই রাতেই ঘুমিয়ে ছিলেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি খরিদ করে জাগ্রত হন। অথচ ঘুম †থকে †জগে ও?া ব্যক্তিরা এমন পূণ্যের ভাগীদার হন না। জ্ঞানের †তারনের মাধ্যমে জ্ঞানের শহরে প্রবেশকারীগণ স্বীয় বিশেষ পদ্ধতিতে নিজেদের দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হন, শিয়া ইতিহাস এর সাক্ষী। প্রত্যেক †ক্ষত্রে আলে †মাহাম্মাদ (সাঃ) এর শিক্ষার প্রচার করা তাঁদের প্রকৃত অনুসারীদের স্বভাব ও অভ্যাস ছিল এবং †সই অনুসারীদের মধ্যে †নতৃস্থানীয় ওলামা এবং ফকীহগণই ছিলেন অগ্রগণ্য যাদের উপকার ও অনুগ্রহ বিস্মৃত হওয়া †কান কৃতজ্ঞ জাতির পক্ষে সম্ভব নয়। হুজুর পাক (সাঃ) এরশাদ করেন ঃ “যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না †স আল্লাহর প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারে না।”
নেয়ামতের শুকরিয়া অস্বীকারকারীরা শুকরিয়া আদায়ের পরিবর্তে তাদেরই জাতি ও মিল্লাতের জন্য উপকারী ওলামা ও ফকীহগণের †সবা ও †খদমতের বিরুদ্ধে নিজেদের কলমের পরীক্ষা চালাচ্ছেন। এ †থকে আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে।
হুজুরে আকরাম (সাঃ) এর ওফাতের পর তাঁর ওসিয়ত ও নির্দেশ উপেক্ষা করে শুরার মাধ্যমে †য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় সূচনা হয়েছিল যার ফলে এমন এক অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছিল যা মুসলমানদের †খলাফতকে এজিদের মত একজন ব্যক্তির ঝুলিতে নিক্ষিপ্ত করে এবং তা ছিল রাসুল (সাঃ) এর নির্দেশ অমান্য করার পরিণাম। †দখা যায় জুমা’র নামাজের খুৎবায় প্রকৃত পথপ্রদর্শণকারীদের পরিবর্তে বনি উমাইয়া ও বনি আব্বাসীয় শাসকগণ জনগণের দৃষ্টি নিজেদের দিকে আকৃষ্ট করতে শুরু করেন এবং নিজেদের স্বার্থ ও অস্তিত্ব রক্ষার্থে জাল হাদিস ও †রওয়াতের মাধ্যমে নিজেদের †শ্রষ্?ত্বের প্রচার করতে থাকেন। এমন অবস্থার †প্রক্ষিতে ইমাম যয়নুল আবেদীন (আঃ) জুমা’র †দায়াতে এই উক্তিটি অন্তর্ভূক্ত করেন। অর্থাৎ, “হে আল্লাহ! খুৎবা ও জুমা’র ইমামতের এই স্থানটি †তামার আমানতদারদের জন্য নির্দিষ্ট ছিল। তুমি উচ্চ পদমর্যাদা দান করে তাঁদেরকে মনোনিত করেছিলে। আত্মসাৎ করিবার তা ছিনিয়ে নিয়েছে......। †হ আল্লাহ তুমি †তামার †সই নির্বাচিত ও মনোনিত ব্যক্তি ও তাঁদের অনুসারীদের প্রতি সন্তুষ্ট †থক ও তাঁদের শত্র“দের যারা অনুসারী তাদের উপর †তামার লানত বর্ষণ কর।” অর্থাৎ এই বক্রতা ও †গাঁর্য়াতুমির পক্ষালম্বনকারী জুমা’র নামাজ নিজের ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারকারী এবং আলে মুহাম্মাদের (আঃ) হক আত্মসাৎকারীদের উপর †তামার লানত বর্ষিত †হাক। এ কথা মনে রাখা অত্যন্ত জরুরী †য, এ †সই জুমা’র নামাজ যা রাষ্ট্রীয়ভাবে আদায় করা হতো। বর্ণিত উক্তিসমূহ এমন জুমা’র নামাজ সম্পর্কিত †যখানে অত্যাচারীদের পৃষ্?পোষকতা ও সহায়তা বৃদ্ধির জন্য করা হত। এ বাক্যসমূহ †সই আমীরে শামের নির্দেশে আলী (আঃ) এর নাম স্পষ্ট উল্লেখ লানত বর্ষণ করা হতো যাতে জনগণের মনে আমীরে শামের জন্য নৈকট্যের অনুভূতি সৃষ্টি হয় এবং আলে †মাহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি জনগণ মনোযোগি না হতে পারে। অবশেষে হযরত ওমর বিন আব্দুল আজীজ (রাঃ) এ লজ্জাজনক প্রথার মুলোৎপাটন করেন।
এমন পরিস্থিতিতে আলে †মাহাম্মাদ (সাঃ) এর অনুসারী ও সম্মানিত ফকীহগণ এই সরকারী নামাজের †মাকাবিলায় “ওয়াজীবে তাখীরির” (এখতিয়ারগত) সাহায্য নিয়ে দুটো কাজ করলেন। প্রথমতঃ ঐ সরকারী নামাজসমূহে অংশগ্রহণ না করার আইনানুগ বৈধতা খুঁজে †বর করলেন এবং পাশাপাশি আলাদাভাবে জুমা’র নামাজ কায়েম করে সরকারী নামাজের †মাকাবিলায় নিজেদের নামাজের খুৎবায় জনগণের কাছে আলে †মাহাম্মাদ (সাঃ) এর শিক্ষা †পŠঁছানোর †চষ্টা করলেন। এভাবে আলে †মাহাম্মাদ (সাঃ) এর †মŠলিক ও তাৎপর্যপূর্ণ হুকুমত সমাজে প্রতিষ্?িত করলেন এবং তাঁদের মর্যাদা ও †শ্রষ্?ত্ব প্রচার করে সাধারণ জনগণকে তাঁদের প্রতি মনোযোগী, করে †তালেন যা ছিল একটি বিজ্ঞতাপূর্ণ পদক্ষেপ। এ পদক্ষেপ গ্রহণকারীগণ খুব সম্ভব হযরত ইমাম †রজা (আঃ) এর †দায়ার সাক্ষ্য বহণকারী ছিলেন। তিনি এরশাদ করেন, “হে আল্লাহ! তাদের উপর †তামার রহমত নাজিল কর যারা আমার হুকুমতের জীবন দানকারী। জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনার হুকুমত কীভাবে জীবিত করা †যতে পারে?
এরশাদ করলেন, “জনগণ আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করে অপরকে শিক্ষা †দবে”।
এখানে একটি প্রশ্নের সৃষ্টি হয় †য, এরা ইসলামী ইবাদতসমূহ অর্থাৎ, নামাজের বিরোধী †কন? কখনো তারা নামাজ ও আযাদারীর তুলনা করে বলেন, “আযাদারীর †কান কাযা †নই নামাজের কাযা হতে পারে। †সকারণে নামাজের উপর আযাদারীকে প্রাধান্য †দয়া উচিত। অথবা জুমা’র নামাজ আদায়কারী ও নামাজ পড়ানোর দায়িত্বপালনকারীদের উপর ইমাম (আঃ)গণের লানতের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর বান্দাদের এ মহান ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত †থকে বিরত ও বাধা সৃষ্টির ব্যর্থ †চষ্টা করেছেন। অথচ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “তোমরা নামাজ ও †রাজার মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর।” অনেক গবেষণা ও চিন্তার পর আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি †য, এমন ব্যক্তিবর্গ নামাজের আলোচনার সামনে লজ্জিত †বাধ করেন এবং যখন নিজের প্রতি লক্ষ্য করেন তখন নামাজ ও তার মধ্যে অনেক বাবধান খুঁজে পান। তা সত্ত্বেও তাদের খায়েশ হচ্ছে ইসলামের †নতৃত্বের নামে সমাজে তাদের অস্তিত্ব টিকে থাক। কিন্তু যখন নিজেকে †বনামাজী হিসেবে †দখেন তখন নিজেকে হীন ও অপমানিত †বাধ করেন। সম্ভবতঃ তখন তারা পবিত্র †কারআনের এই আয়াত অর্থাৎ “নামাজ তাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক একটি কাজ” এর সাথে নিজেদের মিল খুঁজে পান। আর এই হীনমন্যতার কারণে যাকের ও আলেমগণকে প্রতিপক্ষ বানাতে †চষ্টা করেন। আবার কখনো †হাসাইন (আঃ) এর জিকির এবং নামাজের মধ্যে তুলনা করার †চষ্টা করেন যাতে তারা জনগণকে তাদের দুর্বলতাগুলোর প্রতি দৃষ্টি †দয়া †থকে বিরত রাখতে পারেন। বস্তুতঃ এগুলো হচ্ছে এজিদী আচরণগুলোর মধ্যে একটি। এজিদও পবিত্র †কারআনের একটি আয়াত †থকে দলিল দিয়ে বলেছিল, “তুমি নামাজের কথা বলছ অথচ আল্লাহ †কারআনে বলেছেন, “(খারাবি আছে নামাজিদের জন্য)” এবং এর পরবর্তী বাক্যগুলো পা? করা †থকে †স পশ্চাদপসরণ করে। এখানে একটি প্রশ্নের সৃষ্টি হয় †য, এরা ইসলামী ইবাদতসমূহ অর্থাৎ, নামাজের বিরোধী †কন? কখনো তারা নামাজ ও আযাদারীর তুলনা করে বলেন, “আযাদারীর †কান কাযা †নই নামাজের কাযা হতে পারে। †সকারণে নামাজের উপর আযাদারীকে প্রাধান্য †দয়া উচিত। অথবা জুমা’র নামাজ আদায়কারী ও নামাজ পড়ানোর দায়িত্বপালনকারীদের উপর ইমাম (আঃ)গণের লানতের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর বান্দাদের এ মহান ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত †থকে বিরত ও বাধা সৃষ্টির ব্যর্থ †চষ্টা করেছেন। অথচ আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, “তোমরা নামাজ ও †রাজার মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর।” অনেক গবেষণা ও চিন্তার পর আমি এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি †য, এমন ব্যক্তিবর্গ নামাজের আলোচনার সামনে লজ্জিত †বাধ করেন এবং যখন নিজের প্রতি লক্ষ্য করেন তখন নামাজ ও তার মধ্যে অনেক বাবধান খুঁজে পান। তা সত্ত্বেও তাদের খায়েশ হচ্ছে ইসলামের †নতৃত্বের নামে সমাজে তাদের অস্তিত্ব টিকে থাক। কিন্তু যখন নিজেকে †বনামাজী হিসেবে †দখেন তখন নিজেকে হীন ও অপমানিত †বাধ করেন। সম্ভবতঃ তখন তারা পবিত্র †কারআনের এই আয়াত অর্থাৎ “নামাজ তাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক একটি কাজ” এর সাথে নিজেদের মিল খুঁজে পান। আর এই হীনমন্যতার কারণে যাকের ও আলেমগণকে প্রতিপক্ষ বানাতে †চষ্টা করেন। আবার কখনো †হাসাইন (আঃ) এর জিকির এবং নামাজের মধ্যে তুলনা করার †চষ্টা করেন যাতে তারা জনগণকে তাদের দুর্বলতাগুলোর প্রতি দৃষ্টি †দয়া †থকে বিরত রাখতে পারেন। বস্তুতঃ এগুলো হচ্ছে এজিদী আচরণগুলোর মধ্যে একটি। এজিদও পবিত্র †কারআনের একটি আয়াত †থকে দলিল দিয়ে বলেছিল, “তুমি নামাজের কথা বলছ অথচ আল্লাহ †কারআনে বলেছেন, “(খারাবি আছে নামাজিদের জন্য)” এবং এর পরবর্তী বাক্যগুলো পা? করা †থকে †স পশ্চাদপসরণ করে।
অত্র নিবন্ধে হুজুর পাক (সাঃ) ও মাসুম (আঃ)গণের জুমার নামাজ ও জামায়াত সম্পর্কে চল্লিশটি উক্তি সুহৃদ পা?কদের জন্য উপস্থাপন করা হলো। এখন দায়িত্ব হলো পা?কদের †য, তারা আল্লাহ তাঁর রাসুল (সাঃ) ও মাসুম (আঃ)গণের উক্তির উপর আমল করে স্বীয় নামাজকে রক্ষা করবেন এবং জুমার নামাজে শামিল হয়ে ইসলাম ধর্মের শান শওকত প্রতিষ্?ায় নিজেদের দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে অজ্ঞ মুনাফিকদের কথার দাঁত ভাঙ্গা জবাব †দবেন।
ইরশাদ হচ্ছে, “হে মুমিনগণ, জুমা’র দিনে যখন নামাজের আযান †দয়া হয়, তখন †তামরা আল্লাহর স্মরণের পানে ত্বরা কর এবং †বচাকেনা বন্ধ কর। এটা †তামাদের জন্যে উত্তম যদি †তামরা বুঝ”। (সুরা জুমা’ ঃ ৯)

হাদীস নং ১ ঃ হুজুরপাক (সাঃ) ইরশাদ করেন, প্রত্যেক জুমার নামাজে †তামাদের জন্য রয়েছে এক হজ্ব ও এক ওমরাহর সওয়াব। †তামাদের জন্য হজ্ব হল প্রস্তুতি নিয়ে দ্রুত জুমার নামাজের জন্য রওয়ানা †দয়া আর ওমরাহ হল জুমার নামাজ আদায়ের পর আসরের নামাজের জন্য অপেক্ষা করা। (কানুজুল উম্মাল, খঃ ৭, পৃঃ ৭৩৭)
হাদীস নং ২ ঃ হুজুর (সাঃ) ইরশাদ করেন ঃ জনগণ যদি তিনটি জিনিসের সওয়াব সম্পর্কে জ্ঞাত থাকত, তাহলে তা অর্জনের জন্য উটের পি?ে সওয়ার হয়ে তার †খাঁজে †বরিয়ে পড়ত। (১) আযান †দয়া, (২) জামায়াতে প্রথম সারিতে দাঁড়ানো, (৩) জুমার নামাজের জন্য ত্বরা করা। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৩)
হাদীস নং ৩ ঃ নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেন, “†কয়ামতের দিন †য †কান ব্যক্তির আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ জুমার নামাজের জন্য উপস্থিত হওয়া বা †পŠঁছানোর বিন্যাস অনুযায়ী হবে। অর্থাৎ,......প্রথম, ........দ্বিতীয়, .......তৃতীয়।” (মুসতাদরক আল ওসায়েল, খঃ ৬, পৃঃ ২৯)
হাদীস নং ৪ ঃ নবী (সাঃ) একটি দীর্ঘ খুৎবা দিয়ে ইরশাদ করেন যা শিয়া ও সুন্নী উভয় স¤প্রদায় নকল করেছেন। “আল্লাহ রাব্বুল আলামীন †তামার উপর জুমার নামাজ ওয়াজিব করেছেন। †য ব্যক্তি আমার জীবদ্দশায় অথবা আমার মৃত্যুর পর এ নামাজকে হালকা ভাববে অথবা অস্বীকার করে ত্যাগ করবে তাহলে আল্লাহ তার বিষয়সূহে প্রাচুর্য দান করবেন না আর নাই তার জীবনে †কান বরকত দান করবেন। সাবধান হও! যদি †স তাওবাহ না করে তাহলে তার নামাজ, †রাজা, যাকাত, হজ্জ্ব ও অন্যান্য উত্তম আমলসমূহ গ্রহণ করা হবে না।” (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৭)
হাদীস নং ৫ ঃ নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেন, জনগণের উচিত জুমার নামাজ ত্যাগ করা †থকে বিরত থাকা। যদি তারা এমন করে তাহলে তাদের হৃদয়ে মহর লাগিয়ে †দয়া হবে এবং এরপর তারা †বপরোয়া ও অমনযোগী হিসেবে গণ্য হবে। (কানজুল উম্মাল, খঃ ৭, পৃঃ ৭২৭)
হাদীস নং ৬ ঃ হুজুর (সাঃ) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে তিন জুমা †কান রকম ওজর আপত্তি ছাড়াই পরিত্যাগ করবে, †স মুনাফিকদের মধ্যে গণ্য হবে।” (কানজুল উম্মাল, খঃ ৭, পৃঃ ৭২৯)
হাদীস নং ৭ ঃ নবী (সাঃ) ইরশাদ করেন, “কোন ব্যক্তি অপর †কান ব্যক্তিকে কর্মচারী হিসেবে রাখে তাহলে তার উচিত তার কর্মচারীকে জুমার নামাজ আদায়ে বাধা না †দয়া। এমন করলে †স †গানাহগার হবে।” (মুসতাদরাক আল ওসায়েল, খঃ ৬, পৃঃ ৭)
হাদীস নং ৮ ঃ নবীজী (সাঃ) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি জুমার উদ্দেশ্যে øান করে এবং সুগন্ধি ব্যবহার করে (চাই সুগন্ধি তার নয়, তার স্ত্রীর) উত্তম †পাষাক পরিধান করে এবং নামাজের সারি অতিক্রম করে মুসল্লিদের †পাষাক, মাথা ও স্কন্ধের উপর পা না †রখে এবং খুৎবার সময় কথাবার্তা না বলে তাহলে ঐ ব্যক্তির জুমার নামাজ দুই জুমার নামাজের মধ্যবর্তী সময়ের জন্য কাফ্ফারা হিসেবে বিবেচিত হয়। কিন্তু †স যদি খুৎবা চলাকালীন সময় আলাপচারিতায় লিপ্ত হয় †সক্ষেত্রে তার এই নামাজ †কবল †জাহরের নামাজ হিসেবে গণ্য হয়।” (বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৮৯, পৃঃ ২১২)
হাদীস নং ৯ ঃ হুজুর আকরাম (সাঃ) ইরশাদ করেন, “জুমার দিন এলে মসজিদের প্রতিটি দরজার উপর †ফরেশতাদেরকে কর্তব্যপালনের নির্দেশ †দয়া হয় এবং নামাজে অংশগ্রহণকারী মুসল্লীদের নাম ক্রমানুসারে এক.......দুই......এভাবে লিপিবদ্ধ করতে বলা হয় যতক্ষণ না ইমাম এ জুমা নিজের নির্ধারিত স্থানে উপবেশন করেন। অতঃপর †ফরেশতাগণ তাদের ফাইল গুটিয়ে খুৎবা শুনতে মনযোগী হন। (মুসতাদরাক আল ওসায়েল, খঃ ৬, পৃঃ ৩১১)
হাদীস নং ১০ ঃ রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেন, “জামাতের নামাজ ফুরাদা নামাজের তুলনায় ২৫ ধাপ †বশী উত্তম।” (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৩৭৪)
হাদীস নং ১১ ঃ হযরত আমীরুল মুমিনীন (আঃ) ইরশাদ করেন, “আমি আল্লাহর পক্ষ †থকে ছয় প্রকার ব্যক্তির জন্য জান্নাতের জামানত দিচ্ছি। এরমধ্যে একপ্রকার ব্যক্তি †স, †য জুমার নামাজের জন্য গৃহ হতে †বর হয় এবং পথে মৃত্যুবরণ করে”। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ১১)
হাদীস নং ১২ ঃ হযরত আলী (আঃ) ইরশাদ করেন “যদি তুমি তিনটি বিষয়ে †তামার রাহবারের বিরোধিতা কর তাহলে ধ্বংস হয়ে যাবে। (ক) জুমার নামাজ, (খ) ইসলামের শত্র“দের বিরুদ্ধে জিহাদ এবং (গ) হজ্বের আরকানসমূহের আদায়।”
(মুসতাদরাক আল্ ওসায়েল, খঃ ৬, পৃঃ ৭)
হাদিস নং ১৩ ঃ আমীরুল মুমিনীন হযরত আলী (আঃ) †থকে বর্ণিত †য, ইসলমী সুন্নত সমুহের মধ্যে একটি হলো, জুমার খুৎবা †দয়ার উদ্দেশ্যে ইমাম স্বীয় স্থানে দন্ডায়মান হয়ে যখন জনগণের দিকে দৃষ্টি †ফরাবে তখন †স জনগণের উদ্দেশ্যে সালাম করবে। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৬৩)
হাদিস নং ১৪ ঃ হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) ইরশাদ করেন, “একবার জনৈক আরববাসী হুজুর (সাঃ) এর নিকটে এসে আরজ করল, †হ আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আমি কয়েকবার হজ্বের উদ্দেশ্যে গমন করার প্রস্তুতি নিয়েছি কিন্তু সফল হয়নি। এ কথা শুনে হুজুর পাক (সাঃ) বললেন, তুমি জুম্মার নামাজ নিয়মিতভাবে আদায় কর †কননা জুমার নামাজ মিসকীনদের হজ্ব।” (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৫)
হাদিস নং ১৫ ঃ হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) †থকে বর্ণিত, “†য †কান কদম বা পদক্ষেপ জুমার নামাজের জন্য দ্রুত উ?েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এমন †দহের উপর জাহান্নামের আগুন হারাম করেছেন”। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৩)
হাদিস নং ১৬ ঃ হযরত মুহাম্মদ বাকের (আঃ) ইরশাদ করেন, “জুমার নামাজ †কন্দ্রীয় মসজিদ (জামে মসজিদ) হতে ২ ফারসাখ (৬ মাইল) দুরত্বের মধ্যে বসবাসকারী সকল মানুষের উপর ওয়াজিব”। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ১২)
হাদিস নং ১৭ ঃ যারারাহ বলেন †য, আমি ইমাম বাকের (আঃ) †ক জিজ্ঞাসা করলাম জুমার নামাজ কাদের (সংখ্যা) উপর ওয়াজিব? ইমাম ইরশাদ করলেন “সাতজন মুসলমান জমায়েত হলে জুমার নামাজ ওয়াজিব হবে, কিন্তু ইমামসহ সংখ্যা যদি পাঁচেরও কম হয় †সখানে জুমার নামাজ কায়েম হবে না”। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৬৮)
হাদিস নং ১৮ ঃ হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) †থকে বর্ণিত হয়েছে †য, যদি †কান মুসাফির ব্যক্তি সফর অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও জুমার নামাজের প্রতি ভালবাসা ও অনুরাগের কারনে উপস্থিত হয়ে জুমার নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তায়ালা এমন মুসাফির ব্যক্তিকে মুকীম ব্যক্তির একশত জুমার নামাজ আদায়ের ছাওয়াব দান করবেন। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ২৬)
হাদিস নং ১৯ ঃ হাফাস বিন গিয়াস বলে †য, আমি শিয়া বুযুরগ ব্যক্তিদের মধ্য †থকে একজনকে বলতে শুনেছি †য, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন জুমার নামাজকে সকল মুমিন পুরুষ ও নারীদের জন্য ওয়াজিব করেছেন, কিন্তু নারী, মুসাফির ও †গালামদেরকে তা ত্যাগ করার অনুমতিও দিয়েছেন। তবে উপস্থিত হয়ে থাকলে নামাজ আদায় করা ওয়াজিব এবং তা পরিত্যাগ করা বৈধ নয়। এ কারণে তাদের জুমার নামাজ †যাহরের পরিবর্তে যথেষ্ট। হাফাস বলে, আমি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম এ বর্ণনাটি কার? তিনি উত্তরে বললেন এটি আমার মাওলা ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) এর। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৩৪)
হাদিস নং ২০ ঃ হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) ইরশাদ করেন, হাকিমে শর’ এর উপর অবশ্য কর্তব্য †য, †স এমন মুসলমান বন্দীদের যারা ঋণী হওয়ার কারণে বন্দী হয়েছে তাদেরকে জুমার নামাজ ও ঈদের নামাজ আদায়ের লক্ষ্যে পা?ায় এবং নামাজান্তে তাদেরকে পুনরায় কারাগারে †প্ররণ করে। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৩৬)
হাদিস নং ২১ ঃ হযরত ইমাম মুহাম্মাদ বাকের (আঃ) ইরশাদ করেন, “আল্লাহর কসম! আমি শুনেছি পয়গম্বর (সাঃ) এর সাহাবীগণ জুমার নামাজের জন্য বৃহস্পতিবার †থকে প্রস্তুতি গ্রহণ করতেন। †কননা জুমার দিন মুসলমানরা কম অবসর †পতেন †য কারণে সময় থাকতো খুবই সংকীর্ণ। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৪৬)
হাদিস নং ২২ ঃ হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) ইরশাদ করেন, “তোমাদের প্রত্যেকে জুমার জন্য নিজেদেরকে প্রস্তুত কর, †গাসল কর, সুগন্ধি ব্যবহার কর, চিরুণী দ্বারা নিজের চুলকে পরিপাটি কর, পরিস্কার †পাষাক পরে প্রস্তুত হও। মনোতুষ্টি ও ভাবগাম্ভীর্যের প্রতি †খয়াল রাখা আবশ্যক। (ফুরুয়ে কাফি, খঃ ৩, পৃঃ ২১৭)
হাদিস নং ২৩ ঃ হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) ইরশাদ করেন, “ইমামে জুমা যখন জুমার খুৎবা দিতে থাকে তখন কারো উচিত নয় বাক্যালাপ করা। কথা বলার অনুমতি তখনই পাবে যখন ইমাম খুৎবা †দয়া †শষ করবে। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ২৯)
হাদিস নং ২৪ ঃ ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) ইরশাদ করেন, জুমার নামাজে প্রদত্ত দুইটি খুৎবার কারণ জুমার নামাজ দুই রাকাআত নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, এ দুই খুৎবাও দুই রাকাআত নামাজের সমতুল্য আর জনগণ যতক্ষণ খুৎবা শ্রবণ করতে থাকবে তারা নামাজের অবস্থায় থাকবে যতক্ষণ না ইমাম নিজের স্থান †থকে †নমে আসে। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ১৫)
হাদিস নং ২৫ ঃ হযরত ইমাম জাফর সাদিক (আঃ) †থকে ইরশাদ হচ্ছে, “জুমার দিন †দায়া কবুলের মুহূর্ত হচ্ছে ইমামের খুৎবা সমাপ্তের পর ও মুসল্লীদের কাতার স?িক করার মধ্যবর্তী সময়। আর এভাবে দিবসের অন্তিম সময় †থকে সূর্যের অস্ত যাওয়া পর্যন্ত”। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৪৬)
হাদিস নং ২৬ ঃ হযরত ইমাম †রজা (আঃ) ইরশাদ করেন, “জুমার নামাজের সময় খুৎবা †দয়ার কারণ হচ্ছে, †কননা জুমার দিন একটি মহাসমাবেশের মর্যাদা লাভ করেছে †স কারণে ইসলাম ধর্ম ইসলামী হুকুমতের প্রতিনিধিকে এই নির্দেশ দিয়েছে †য, এ সমাবেশের সুযোগে †স জনগণকে আল্লাহর আনুগত্য করার উপর গুরুত্বারোপ করে এবং আল্লাহর নাফরমানী †থকে ভয় প্রদর্শন করে। আর এভাবে এমন কর্মসূচী এর মাধ্যমে গ্রহণ করে এবং হুকুম জারী করে যা জনগণের ইহকালীনা ও পরকালীন কল্যাণের সাথে সম্পৃক্ত এবং বিশ্বের ঘটমান বিষয় এবং এর †নতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে অবহিত করে”। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৪০)
জামাতের নামাজ সম্পর্কিত হাদিস ঃ
হাদিস নং ২৭ ঃ হযরত ইমাম †রজা (আঃ) ইরশাদ করেন, “শরীয়ত ইসলাম ধর্মে নামাজের জামায়াতক এ জন্য নির্ধারণ করেছে †য, জনগণের ইসলাম, তাওহীদ, ইবাদত ও ইখলাস সমগ্র মানুষের কাছে প্রকাশ ও প্রসিদ্ধি লাভ করে। আল্লাহর ইবাদত ও তাওহীদ জনগণের সামনে স্পষ্ট হয়। (ওয়ায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৩৭২)
হাদিস নং ২৯ ঃ হুজুর পাক (সাঃ) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা ও তার †ফরেশতাকূল ঐ সকল নামাজ আদায়কারীর উপর দরূদ পা?ান যারা প্রথম সারিতে নামাজ আদায় করেন।” (কানজুল উম্মাল, খঃ ৭, পৃঃ ২৩৩)
হাদিস নং ৩০ ঃ হুজুর (সাঃ) ইরশাদ করেন, “মানুষের জন্য শয়তান তদরূপ এক †নকড়েল ন্যায় †যমন ছাগল ও †মষের জন্যে †য সর্বত্র এমন ছাগল ও †মষের শিকার করে †থকে যারা পাল †থকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অতএব, সাবধান হও, কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ো না। †তামার উপর জামাতে অংশগ্রহণ, সাধারণ মজলিসে উপস্থিত হওয়া ও মসজিদে যাওয়া অপরিহার্য। (কানজুল উম্মাল, খঃ ৭, পৃঃ ৪৮১)
হাদিস নং ৩১ ঃ হুজুর (সাঃ) ইরশাদ করেন, “ঐ ব্যক্তির নামাজ মূল্যহীন †য ব্যক্তি †কান ওজর ছাড়া অন্য মুসলমানদের সাথে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় না করে, †কান ব্যক্তির গীবত জায়েজ নয় †কবল †সই ব্যক্তির †য বাড়ীতে নামাজ আদায় করে আর আমার জামায়াত †থকে দূরত্ব সৃষ্টিকারীর আদালত †মŠনতাপ্রাপ্ত হয় এবং তার †থকে দূরত্ব বজায় রাখা ওয়াজিব। (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ২৬২)
হাদিস নং ৩২ ঃ হুজুর (সাঃ) ইরশাদ করেন, “যে ব্যক্তি নামাজের জামায়াতে উপস্থিত হয় না তাকে এরূপ কর্ম সম্পাদন করা †থকে নিষেধ করা উচিত নতুবা আমি মুয়াজ্জিনকে নির্দেশ †দব আযান ও ইকামত বলার জন্য এবং জামায়াতের পর আমার আহলে বাইতের মধ্যে †থকে এক ব্যক্তি অর্থাৎ আলী (আঃ)†ক নির্দেশ †দব †য, ঐ সকল ব্যক্তির গৃহে আগুন লাগিয়ে দাও যারা জামায়াতে উপস্থিত হয়নি।” (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৩৭৬)
হাদিস নং ৩৩ ঃ হুজুর (সাঃ) ইরশাদ করেন, “তোমাদের মধ্যে †থকে এমন †কান এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় †য ব্যক্তি জামায়াতে উপস্থিত হয় না তাহলে বল †য আমি তাকে চিনি না।” (আল মহজাতুল বাইজা, খঃ ১, পৃঃ ৩৪২)
হাদিস নং ৩৪ ঃ হুজুর (সাঃ) ইরশাদ করেন, “যখন তুমি আযানের ধ্বনি শ্রবণ করবে তখন কালবিলম্ব না করে মসজিদে উপস্থিত হবে, এতে যতই কষ্ট †হাক না †কন।” (কানজুল উম্মাল, খঃ ৭, পৃঃ ৫৭৮)
হাদিস নং ৩৬ ঃ হুজুর পাক (সাঃ) ইরশাদ করেন, “†য †কান জাতির ইমামে জামায়াত আল্লাহর নিকটে উক্ত জাতির প্রতিনিধি হয়ে থাকে। সুতরাং জামাতের ইমাম হিসেবে †তামরা †তামাদের মধ্যে †থকে উত্তম ব্যক্তিকে নির্বাচন কর।” (বিহারুল আনওয়ার, খঃ ৮৮, পৃঃ ১০৯)
হাদিস নং ৩৭ ঃ ইমাম জাফর সাদেক (আঃ) †থকে বর্ণিত †য, ইমাম আলী (আঃ) ইরশাদ করেন, “†য ব্যক্তি আযানের ধ্বনি শ্রবণ করা সত্ত্বেও †কান কারণ ব্যতিরেকে যদি জামায়াতে অংশগ্রহণ না করে তাহলে উক্ত ব্যক্তির †কান নামাজ †নই।” (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৫, পৃঃ ৩৭৫)
হাদিস নং ৩৮ ঃ হযরত ইমাম জাফর সাদেক (আঃ)†ক জামায়াতের নামাজে হামদ ও সূরা †তলাওয়াত সংক্রান্ত প্রশ্ন করা হলে তিনি ইরশাদ করেন, “হামদ ও সূরা পা? করো না, †কননা ইমামে জানাত হামদ ও সূরা †ক্বরাতের জিম্মাদার তাদের নামাজের জন্য নয়। †কবল †ক্বরাত তার দায়িত্বে অন্তর্ভূক্ত।”
হাদিস নং ৩৯ ঃ ইমাম সাদেক (আঃ) †থকে বর্ণিত; তিনি ইরশাদ করেন, “একবার রাসুল পাক (সাঃ) †জাহর ও আছরের নামাজ আদায় করার সময় নামাজে দুরাকাত হ্রাস করলেন। নামাজ আদায়ের পর সাহাবিরা জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আপনি নামাজের †শষ দু’রাকাত হ্রাস করেছেন। এর জবাবে হুজুর (সাঃ) ইরশাদ করলেন, †তামরা কী †কান শিশুর কান্নার আওয়াজ †শাননি?”
হাদিস নং ৪০ ঃ হযরত ইমাম মুসা কাজিম (আঃ) ইরশাদ করেন, “নিশ্চয় প্রথম কাতারে নামাজ আদায় করা আল্লাহর পথে জিহাদ করার ন্যায়।” (ওসায়েলুশ শিয়া, পৃঃ ৩৮৭) (সমাপ্ত)


নামাজ

ইসলাম ধর্মে অন্তর্ভূক্ত সকল ইবাদতসমূহের মধ্যে নামাজ হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও †শ্রষ্? ইবাদত। ইসলামের অপরাপর মাযহাবসমূহের অনুসারীদের মত শিয়ারাও নামাজকে দ্বীনের রুকন বা স্তম্ভ জ্ঞান করেন। এটি এমনই এক আবশ্যিক কর্ম যা পুরুষ, নারী, ধনী, দরিদ্র, বৃদ্ধ, যুবক এমনকি সুস্থ ও অসুস্থ সকলের উপরেই ওয়াজিব। যদি †কান ব্যক্তি দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে সক্ষম না হয় তাহলে নামাজ বসে আদায় করবে। আর যদি বসেও আদায় করতে না পারে তাহলে শায়িত অবস্থায় আদায় করবে। এতেও যদি †স অক্ষম হয় তাহলে নামাজ ইশারায় পড়বে। নামাজ †যহেতু শরীয়তের আহকামসমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বাধ্যতামূলক আহকাম, সুতরাং যদি †কান ব্যক্তি এর আবশ্যকীয়তা অস্বীকার করে নামাজ আদায় না করে। তাহলে ঐ ব্যক্তি কাফের এবং ইসলামের গন্ডি †থকে খারিজ পরিগণিত হবে। কিন্তু যদি †স আলস্য তথা উদাসীনতার কারণে নামাজ ত্যাগ করে †সক্ষেত্রে উক্ত ব্যক্তি †গানাহগার হবে।

পবিত্র †কারআন ও হাদিসের আলোকে নামাজের গুরুত্ব ঃ
ইরশাদ হচ্ছে, “...............নামাজ কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত হয়ো না।” (সূরা আর রুম ঃ ৩১) এবং সূরা মুদাসসিরে ইরশাদ হচ্ছে, “তার থাকবে জান্নাতে এবং পরস্পরে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। অপরাধীদের সম্পর্কে বলবে ঃ †তামাদেরকে কিসে জাহান্নামে নীত করেছে? তারা বলবে ঃ আমরা নামাজ পড়তাম না..............।” (সূরা মুদাসসির ঃ ৪০-৪৩)
হাদিসে নামাজ সম্পর্কে এতবেশী তাকীদ করা হয়েছে †য, এ হাদিসটি পড়লেই তা †বাঝা যায়। †কয়ামতের দিন সর্বপ্রথম †য আমল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে তাহলো নামাজ। যদি নামাজ কবুল হয় তাহলে অন্য আমলসমূহও কবুল হবে। আর যদি নামাজ কবুল না হয় তাহলে অন্য আমলও কবুল হবে না।” (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৩, মুসতাদরক আল ওসায়েল ইত্যাদি)
নামাজে আলস্য প্রদর্শনকারীদের সম্পর্কে নবী করিম (সাঃ) ইরশাদ করেন, “কেয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির প্রতি আমার শাফায়েত †পŠঁছাবেনা †য ব্যক্তি ওয়াজিব নামাজের স?িক সময় হওয়ার পরও বিলম্ব করে।” (ওসায়েলুশ শিয়া, খঃ ৩)

খুমরাহ (সিজদিগাহ) কি?
যে সকল হাদিসে হুজুর পাক (সাঃ) নামাজ আদায়ের সময় সিজদিগাহর উপর সিজদা করার বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে তা মূলতঃ এ ধরনের। অর্থাৎ, হুজুর (সাঃ) খুমরাহ’র উপর সিজদা করতেন। মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান হায়দ্রাবাদী ‘লুগাতুল হাদিস’ নামক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন যা কয়েকটি খন্ডের সমষ্টি। †সখানে তিনি উল্লেখ করেন, ‘খুমরাহ হচ্ছে চাটাই অথবা †খজুর পাতার তৈরী †ছাট টুকরা যার উপর সিজদার সময় প্রত্যেক মানুষ মাথা স্পর্শ করে। এরপর তিনি উল্লেখ করেন †য, ইবনুল আছীর শারহে জামিয়াল উসুল গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন †য, “খুমরাহ হচ্ছে সিজদিগাহ” যার উপর আমাদের সময়ে শিয়ারা সিজদাহ করতেন। (লুগাতুল হাদিস, খঃ ১, পৃঃ ১১৩, ১৩৩, ১৩৬)
তিনি অন্যত্র †লখেন, “যদিও আমাদের মাযহাবে কাপড়ের উপর সিজদাহ জায়েয তবে উত্তম হলো মাটি অথবা চাটাইয়ের উপর সিজদা করা।” (লুগাতুল হাদিস, খঃ ১, পৃঃ ১১৩, ১৩৩, ১৩৬)

মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান খানের স্বীকারোক্তি ঃ
সিজদিগাহের উপর সিজদা করা সম্পর্কিত বাহাসের উপসংহারে মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান †লখেন †য, “আমি বলছি এ হাদিসের মাধ্যমে সিজদিগাহ ব্যবহার করা সুন্নাত এবং যারা এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছেন এবং রাফেজিদের তরীকা বলে উল্লেখ করেছেন তাদের বর্ণনা সহীহ না। আমি †তা কখনো কখনো সুন্নাত অনুস্মরণের লক্ষ্যে পাখার উপর যা চাটাই দ্বারা নির্মিত সিজদা করি এবং অজ্ঞ ও জাহিল ব্যক্তিবর্গের ?াট্টা বিদ্রুপের †কান পরোয়া করিনা। আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে রসুল (সাঃ) এর সুন্নতের উপর আমল করা। এতে †কউ আমাকে রাফেজী বলুক আর খারেজী বলুক এতে আমার কিছু যায় আসে না।” (লুগাতুল হাদিস, খঃ ১, পৃঃ ৩, ১২)
আহলে হাদিসের জনৈক আলেম অন্যত্র লিখেন, যে মসজিদে কাপড়ের চাদর বিছানো থাকত আমি নামাজ আদায়ের সময় প্রায়শঃই আমার চাটাই বিছিয়ে নামাজ আদায় করতাম। এতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কতিপয় ব্যক্তিবর্গ অযথা ?াট্টা বিদ্রুপ করতেন। তারা এটা বুঝতে চান না †য, আমি এমন নামাজ †কন পড়ব না যা সবার নিকট জায়েজ। এর মাধ্যেই অধিক ইহতিয়াত (সাবধানতা) নিহিত। কাপড়রে উপরে নামাজ আদায়ের বিষয়টিও হুজুর পাক (সাঃ) †থকে বর্ণিত হয়েছে। তবে ফারায়িজের (অত্যাবশ্যকীয়) কাপড়ের উপরে নয়। যদিও সাহাবায়ে †করাম (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হয়েছে †য, “হুজুর পাক (সাঃ) এর অভ্যাস ছিল হয় মাটির উপরে অথবা চাটাইয়ের উপরে নামাজ আদায় করা।” (লুগাতুল হাদিস, খঃ ১, পৃঃ ১১৩)
আমার †দায়া আল্লাহ আমাদেরকে স?িক সুন্নাতের উপর চলার †তŠফিক দান করেন।

নামাজের সালাতায়েন
(দুই ওয়াক্তের নামায এক সঙ্গে আদায়)

শিয়া মাযহাবের অনুসারীরা †যাহর আসর এবং মাগরিব এশার নামাজ এক সাথে আদায় করে থাকেন। এ আমলটিও তারা নিজ ইচ্ছানুযায়ী করেন না বরং সুন্নতে রাসুল (সাঃ) এর আলোকেই সম্পাদন করে থাকেন।
সালাত কায়েম করিবে দিবসের দুই প্রান্ত ভাগে ও রজনীর প্রথমাংশে। সৎকর্ম অবশ্যই অসৎকর্ম মিটাইয়া †দয়। যারা উপদেশ গ্রহণ করে, ইহা তাহাদের জন্য এক উপদেশ। (সূরা হুদ ঃ ১১৪)
দিবসের প্রথম প্রান্তভাগে ফজরের সালাত, দ্বিতীয় প্রান্তভাগে জ্বহর ও আসরের সালাম এবং রাত্রির প্রথমাংশে মাগরিব ও ইশার সালাত। †মাট এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরয। (ইবনে কাছীর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ †কারআন ঃ পৃঃ ৩৫৫, সূরা হুদের ১১৪তম আয়াতের ১০৮ নং †নাটে ঃ †দখুন)
(১) ইবনে আব্বাস (রাঃ) †থকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাঃ) মাগরিব ও ইশার নামায সাত রাকআত এবং †যাহর ও আসরের নামাজ আট রাকআত একসাথে আদায় করেছেন। (সহীহ আল বুখারী, খঃ ১, হাদিস নং ঃ ৫২৯, এছাড়া সহীহ আল বুখারী, খঃ ১, পৃঃ ৪২৯ এর ২২ নং †নাটে ঃ †দখুন)
(২) আল কানাবী (রঃ) হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ভয়ভীতি ও সফরকালীন সময় ছাড়াও †যাহর ও আসর এবং মাগরিব ও ইশার নামাজ একত্রে আদায় করেছেন। (সুনানে আবু দাউদ (রহঃ), হাদিস নং ঃ ১২১০, পৃঃ ১৭৮)
(৩) উসমান ইবনে আবু শায়বা (রঃ) ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মদীনায় অবস্থানকালে ভয়ভীতি ও বৃষ্টিজনিত কারণ ছাড়াই †যাহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশার নামায একত্রে আদায় করেছেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ)†ক এর কারণ জিজ্ঞাসা করাহলে তিনি বলেন, তাঁর উম্মত যাতে অসুবিধার সম্মুখীন না হয় †সজন্য তিনি এরূপ করেছিলেন। (মুসলিম, তিরমিজী, নাসাঈ, আবু দাউদের খঃ ২, হাদিস নং ঃ ১২১১, পৃঃ ১৭৯)
(৪) সুলায়মান ইবনে হারব ও আমর ইবনে আওন (রঃ) ইবনে আব্বাস (রঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মদীনাতে অবস্থানকালে †যাহরের (†শষ সময়) চার রাকাআত এবং আসরের (প্রথম সময়ে) চার রাকাত †মাট আট রাকাত এবং মাগরিব ও ইশার নামায ঐরূপে একত্রে সাত রাকাত আদায় করেন। (বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ) অন্য এক বর্ণনায় উল্লেখ আছে †য, ঐ সময় বৃষ্টি না থাকা সত্ত্বেও তিনি এরূপে দুই নামাজ একত্রে আদায় করেন। (আবু দাউদের, খঃ ২, হাদিস নং ঃ ১২১৪, পৃঃ ১৮০)
(৫) ইয়াহয়া ইবনে ইয়াহ্য়া (রহঃ).......ইবনে আব্বাস (রাঃ) †থকে বর্ণিত। তিনি বলেন, †কান ভয়ভীতি ও সফর ছাড়াই রাসুলুল্লাহ (সাঃ) †যাহর ও আসরের সালাত এবং মাগরিব ও ইশার সালাত একত্রে আদায় করেন। (মুসলিম শরীফ, খঃ ৩, হাদিস নং ঃ ১৪৯৮, পৃঃ ২৪)
(৬) আহমদ ইবনে ইউনুস ও আওন ইবনে সাল্লাম (রাঃ) ইবনে আব্বাস (রাঃ) †থকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সফর অথবা ভয়ভীতি ছাড়াই মদীনায় †যাহর ও আসরের সালাত একত্রে আদায় করেছেন। আবু যুবায়র বলেন, আমি সাঈদকে জিজ্ঞাসা করলাম †কন এরূপ করলেন? তিনি বললেন, তুমি †যমন আমাকে জিজ্ঞাসা করেছ, আমিও †তমনি ইবনে আব্বাসকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তখন তিনি বললেন, নবী (সাঃ) এর উদ্দেশ্য ছিল, তাঁর উম্মতের †কউ †যন কষ্টে না পড়ে। (মুসলিম শরীফ, খঃ ৩, হাদিস নং ঃ ১৪৯৯, পৃঃ ২৫)
(৭) আবু বকর ইবনে আবু শায়বা ও আবু কুরায়র ও আবু সাঈদ আশাজজ (রঃ)...ইবনে আব্বাস (রঃ) †থকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) †কান প্রকার ভয়ভীতি, বৃষ্টি বা বাদলা ছাড়া মদীনায় †যাহর ও আসর এবং মাগরিব ও ইশা একত্রে আদায় করেছেন। ওয়াকী বর্ণিত হাদিসে আছে †য, রাবী বলেন, আমি ইবনে আব্বাস (রাঃ)†ক জিজ্ঞাসা করলাম, †কন তিনি এরূপ করলেন? তিনি বললেন, †যন তাঁর উম্মতের †কান কষ্ট না হয়। আবু মুয়াবীয়া (রাঃ) বর্ণিত হাদিসে আছে, ইবনে আব্বাস (রাঃ)কে বলা হলো, এরূপ করার উদ্দেশ্য কি? তিনি বললেন, তাঁর উদ্দেশ্য, তাঁর উম্মতের যাতে †কান কষ্ট না হয়। (মুসলিম শরীফ, খঃ ৩, হাদিস নং ঃ ১৫০৩, পৃঃ ২৭)
(৮) ইবনে আব্বাস (রাঃ) †থকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ভয় অথবা বৃষ্টিজনিত কারণ ছাড়াই মদীনাতে †যাহর ও আসরের নামাজ একত্রে এবং মাগরিব ও এশার নামাজ একত্রে পড়েছেন। সাঈদ ইবনে যুবাইর বলেন, ইবনে আব্বাস (রাঃ)†ক জিজ্ঞাসা করা হল, এরূপ করার †পছনে তাঁর (মহানবীর) কি উদ্দেশ্য ছিল? তিনি বললেন, উম্মতের অসুবিধা লাঘব করাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল। (আল জামে আত তিরমিযী, খঃ ১, হাদিস নং ঃ ১৭৯, পৃঃ ১৬৫, এছাড়া উক্ত হাদিসের ৯৩ নং †নাটে †দখুন)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.