নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশ , মানুষ

জীবনের সব কিছু আললাহর সন্তুষ্টির জন্য

আল মাহদী ফোর্স

কোরান ও নবী পরিবারের আঃ অনুসারী।

আল মাহদী ফোর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন অন্য ইমামদের(আঃ) জন্য শোক প্রকাশ ইমাম হুসাইনের(আঃ) শোক প্রকাশের মত নয়?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৮:৫৩

এ বিষয়টি ঐতিহাসিকভাবে আশুরার ঘটনার গুরুত্ব ও গুনগত বিস্তৃতির(গভীর প্রভাবের) কারনে ঘটেছে।একদিকে ইমাম হুসাইনের(আঃ) সময় মুসলমান ও ইসলামী ভুখন্ডের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরাজমান বিশেষ অবস্থা,ততকালীন শাসকগোষ্টির অবস্থা ও তাদের অত্যধিক জুলুম এবং সার্বিকভাবে মানবতা ও স্বাধীনতা হরন ও ইসলাম সংকটাপন্ন হওয়া ,মুসলিম উম্মাহর অবমাননা,সর্বত্র নিরাপত্তাহীনতা,কুরান ও নবী পরিবারের(আঃ) অনুসারী ১২ ইমামিয়া শিয়াদের বিরুদ্বে অত্যাচারের মাত্রাবৃদ্বি,সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধের শিক্ষাকে ভুলে যাওয়া,ধর্মে বেদায়াতের প্রবেশ ও প্রচার করা,মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য বিনষ্ট করা,ইসলামী ও মানবীয় মুল্যবোধ থেকে দূরে সরে যাওয়া ইত্যাদির কারন(যা ইসলামের লক্ষ্য,উদ্দেশ্য ও গতিকে সম্পুর্ন পরিবর্তিত করে দিয়েছিল।তা এ অবস্থাকে আগের পথে ফিরিয়ে আনা অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল),অপর দিকে কারবালার আবু আব্দিল্লাহ ইমাম হুসাইনের(আঃ) মাযলুমিয়াত( অন্যায় ও নিপীড়নের শিকার হওয়া) ও একাকিত্ব,ইমামের(আঃ) সাথে বন্ধ্বুবেশধারী মুসলমানদের আচরন,যুদ্বের ধরন(অসম যুদ্ব ও সীমাহীন অনাচার ও চরম নৃশংসতার পরিচয় দান)ইমাম ও তাঁর পরিবার এবং অনুসারীদের সাথে শারীরিকভাবে অবমাননাকর আচরন এবং সেই সাথে কারবালার ঘটনায় বিশেষ করে ইমাম হুসাইনের(আঃ) মধ্যে বিদ্যমান সামাজিক,রাজনৈতিক,সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রশিক্ষনমুলক যে অফুরন্ত শিক্ষা রয়েছে সে দিক থেকী শোক প্রকাশ স্বাতন্ত্র্য ও অভিন্নতাঁর দাবী রাখে।(ইমাম হুসাইন নাফসে মুত্মাইন্নাহ,পাতা-৫-১৮)।
হযরত রাসুল(সাঃ),ইমাম আলী(আঃ),হযরত ফাতিমা যাহরা(সা আ),ইমাম হাসান ও অন্য ইমামগন(আ;) ইমাম হুসাইনের(আঃ) শাহাদাত ও কারবালার ঘটনার অনুপম ও অতুলনীয় বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কারনে একে শোকানুষ্টানের ছাচে উজ্জীবিত রাখার উপর খুব বেশী গুরুত্ব আরোপ করেছেন।(বিহারুল আনোয়ার,৪৪তম খন্ড,পাতা-২২৩,২৪৩,২৪৪,২৪৫,২৮১,২৮২,২৮৯,২৯১,২৯৩ এবং .।)
আশুরার ঘটনার ভিন্ন দিক একে ঐতিহাসিক নজিরবিহীন ঘটনায় পরিনত করেছে।একারনেই ইমাম জাফর সাদিক(আঃ) বলেছেনঃ " হে আবা আব্দিল্লাহ( হে হুসাইন)!আপনার ( শোকের) দিনের মত কোন (দুঃখজনক) দিন নেই"(শেখ সাদুক,আমালী,পাতা-৭৭)।
এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, কোন ঘটনার প্রভাবের ব্যাপকতা ও গভীরতার উপর ঐ ঘটনার সম্মান-মর্যাদা ও স্থায়ীত্ব নির্ভর করে। এ দিক থেকে আশুরার ঘটনাটি এমন একটি ঘটনা যার গুরুত্ব,ব্যাপকতা ও গুনগত দিক থেকে অন্য কোন ঘটনার সাথে তুলনীয় নয়।তাই এর স্মরণও অনন্য ও অসাধারন হয়ে থাকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.