নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দেশ , মানুষ

জীবনের সব কিছু আললাহর সন্তুষ্টির জন্য

আল মাহদী ফোর্স

কোরান ও নবী পরিবারের আঃ অনুসারী।

আল মাহদী ফোর্স › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথাকথিত ৩য় খলিফা হযরত উসমানের(রাঃ)রাজত্বকাল সম্পর্কে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী(আঃ)

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫


৩য় খলিফা হযরত উসমানের(রাঃ)রাজত্বকাল সম্পর্কে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী(আঃ) বলেন যে, উসমান ক্ষমতায় আসার পর পরই উমাইয়া গোত্র সুবিধা পেয়ে গেল এবং বায়তুল মাল লুটপাট শুরু করে দিল।খরায় শুকিয়ে যাওয়া অঞ্চলের গরুর পাল সবুজ ঘাস দেখলে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে
উমাইয়া গোত্রও সেভাবে আল্লাহর সম্পদের(বায়তুল মাল) ওপর পড়লো এবং গোগ্রাসে তা নিঃশেষ করতে থাকলো।অবশেষে উসমানের প্রশ্রয় ও স্বজনপ্রীতি এমন এক পরযায়ে গেল যখন মানুষ তার ঘর অবরোধ করে তরবারী দ্বারা আঘাত করলো এবং সে যা গলাধকরন করেছিল তা বমি করায়ে ছাড়লো।
উসমানের সময়ে কু-শাসন এমনভাবে বিরাজ করেছিল যে,উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন সাহাবীগনের অকদর ও দারিদ্র দেখে কোন মুসলিম স্থির থাকতে
পারতো না।অথচ সমুদয় বায়তুল মাল উমাইয়া গোত্রের নিয়ন্ত্রনে ছিল;সরকারী পদসমুহ তাদের অনভিজ্ঞ যুবক শ্রেনীর দখলে ছিল,মুসলিমদের বিশেষ সম্পদ(রাষ্টায়ত্ব সম্পদ) তাদের মালিকানায় ছিল;চারনভুমি তাদের পশুপালের জন্য নির্ধারিত ছিল।গৃহ নির্মিত হয়েছিল শুধুমাত্র তাদের দ্বারা এবং ফলের বাগান ছিল তা শুধু তাদের জন্য।যদি কোন সরিদয় ব্যক্তি এসব বাড়াবাড়ির কথা বলতো তবে তাদের পাঁজর ভেঙ্গে দেয়া হত।এহেন আত্নসাতের জন্য কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হতো।দরিদ্র ও দুস্থদের যাকাত এবং সর্বসাধারনের বায়তুলমালের কি অবস্থা উসমান করেছিল তার নমুনা নিম্নের গুটি কয়েক উদাহরন থেকে অনুমান করা যাবেঃ
১/হাকাম ইবনে আবুল আ’সকে রাসুল(সাঃ) মদীনা থেকে বহিস্কার করেছিলেন। রাসুলের সুন্নাহ ও আগের খলিফাদ্বয়ের নীতি ভংগ করে উসমান তাকেই মদীনায় এনে বায়তুলমাল থেকে ৩ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন (বালাজুরী-১০০,পৃঃ২৭,২৮,১২৫)।
২/পবিত্র কোরানে মোনাফেক বলে ঘোষিত অলিদ ইবনে উকবাহকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দেয়া হয়েছে(রাব্বিহ-১১৮,৩য় খন্ড,পৃঃ৯৪)।
৩/উসমান তার কন্যা উম্মে আবানকে মারওয়ান ইবনে উকবাহকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দেয়া হয়েছিল(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৮-১৯৯)
৪/উসমান তার কন্যা আয়শাকে হারিছ ইবনে হাকামের কাছে বিয়ে দিয়ে তাকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৮-১৯৯)।
৫/তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে খালিদকে ৪ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৬/আফ্রিকা থেকে খুমস হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ৫ লক্ষ দিরহাম মারওয়ান ইবনে হাকামকে দিয়েছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৭/সাধারন বদান্যতার কারন দেখিয়ে রাসুলের প্রানপ্রিয় কন্যার রাষ্টায়ত্ব ‘ফদক’ মারওয়ান ইবনে হাকামকে দান করেছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৮/ মদীনার মাহযুব নামক বানিজ্যিক এলাকা জনগনের ট্রাষ্ট হিসাবে রাসুল(সাঃ) ঘোষনা করেছিলেন কিন্তু উসমান তা তার জামাতা হারিছ ইবনে হাকামকে দান করেছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৯/ মদীনার চারপাশের তৃনভুমিতে উমাইয়া গোত্র ছাড়া অন্য কারো উটকে চরতে দেয়া হতো না।(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৯)।
১০/উসমানের ইন্তেকালর পর তার ঘরে ৫০,০০০ দিনার(স্বর্ন মুদ্রা) ও ১০,০০,০০০ দিরহাম(রৌপ্য মুদ্রা) পাওয়া গিয়েছিল।তার নাখারাজ জমির কোন সীমা ছিল না।ওয়াদ-আল কুরা ও হুনায়নে তার মালিকানাধীন ভুসম্পত্তির মুল্য ছিল ১ লক্ষ দিনার।তার উট ও ঘোড়ার কোন হিসাব ছিল না।
১১/প্রধান নগরীগুলো উসমানের আত্নীয়-স্বজনদের শাসনাধীন ছিল।কুফার শাসনকর্তা ছিল অলিদ ইবনে উকাবা।একবার মদ পান অবস্থায় সে ইমামতি করতে গিয়ে ফজরের সালাত ২ রাকাতের পরিবর্তে ৪ রাকাত পড়ায় জনগন উত্তেজিত হয়ে পড়ে।এতে খলিফা তাকে সরিয়ে অন্যতম চিনিহিত মোনাফেক সাঈদ ইবনে আসকে কুফার শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন। এভাবে মিশরে আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ,সিরিয়ায় মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ও বসরায় আব্দুল্লাহ ইবনে আমিরকে শাসনকর্তা নিয়োগ করে স্বজনপ্রীতি্র মাধ্যমে প্রশাসনে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিলেন।(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৯)।

৩য় খলিফা হযরত উসমানের(রাঃ)রাজত্বকাল সম্পর্কে আমিরুল মুমিনিন হযরত আলী(আঃ) বলেন যে, উসমান ক্ষমতায় আসার পর পরই উমাইয়া গোত্র সুবিধা পেয়ে গেল এবং বায়তুল মাল লুটপাট শুরু করে দিল।খরায় শুকিয়ে যাওয়া অঞ্চলের গরুর পাল সবুজ ঘাস দেখলে যেভাবে ঝাপিয়ে পড়ে
উমাইয়া গোত্রও সেভাবে আল্লাহর সম্পদের(বায়তুল মাল) ওপর পড়লো এবং গোগ্রাসে তা নিঃশেষ করতে থাকলো।অবশেষে উসমানের প্রশ্রয় ও স্বজনপ্রীতি এমন এক পরযায়ে গেল যখন মানুষ তার ঘর অবরোধ করে তরবারী দ্বারা আঘাত করলো এবং সে যা গলাধকরন করেছিল তা বমি করায়ে ছাড়লো।
উসমানের সময়ে কু-শাসন এমনভাবে বিরাজ করেছিল যে,উচ্চ মরযাদা সম্পন্ন সাহাবীগনের অকদর ও দারিদ্র দেখে কোন মুসলিম স্থির থাকতে
পারতো না।অথচ সমুদয় বায়তুল মাল উমাইয়া গোত্রের নিয়ন্ত্রনে ছিল;সরকারী পদসমুহ তাদের অনভিজ্ঞ যুবক শ্রেনীর দখলে ছিল,মুসলিমদের বিশেষ সম্পদ(রাষ্টায়ত্ব সম্পদ) তাদের মালিকানায় ছিল;চারনভুমি তাদের পশুপালের জন্য নির্ধারিত ছিল।গৃহ নির্মিত হয়েছিল শুধুমাত্র তাদের দ্বারা এবং ফলের বাগান ছিল তা শুধু তাদের জন্য।যদি কোন সরিদয় ব্যক্তি এসব বাড়াবাড়ির কথা বলতো তবে তাদের পাঁজর ভেঙ্গে দেয়া হত।এহেন আত্নসাতের জন্য কেউ ক্ষোভ প্রকাশ করলে তাকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হতো।দরিদ্র ও দুস্থদের যাকাত এবং সর্বসাধারনের বায়তুলমালের কি অবস্থা উসমান করেছিল তার নমুনা নিম্নের গুটি কয়েক উদাহরন থেকে অনুমান করা যাবেঃ
১/হাকাম ইবনে আবুল আ’সকে রাসুল(সাঃ) মদীনা থেকে বহিস্কার করেছিলেন। রাসুলের সুন্নাহ ও আগের খলিফাদ্বয়ের নীতি ভংগ করে উসমান তাকেই মদীনায় এনে বায়তুলমাল থেকে ৩ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন (বালাজুরী-১০০,পৃঃ২৭,২৮,১২৫)।
২/পবিত্র কোরানে মোনাফেক বলে ঘোষিত অলিদ ইবনে উকবাহকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দেয়া হয়েছে(রাব্বিহ-১১৮,৩য় খন্ড,পৃঃ৯৪)।
৩/উসমান তার কন্যা উম্মে আবানকে মারওয়ান ইবনে উকবাহকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দেয়া হয়েছিল(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৮-১৯৯)
৪/উসমান তার কন্যা আয়শাকে হারিছ ইবনে হাকামের কাছে বিয়ে দিয়ে তাকে বায়তুল মাল থেকে ১ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৮-১৯৯)।
৫/তিনি আব্দুল্লাহ ইবনে খালিদকে ৪ লক্ষ দিরহাম দিয়েছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৬/আফ্রিকা থেকে খুমস হিসাবে প্রাপ্ত অর্থ থেকে ৫ লক্ষ দিরহাম মারওয়ান ইবনে হাকামকে দিয়েছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৭/সাধারন বদান্যতার কারন দেখিয়ে রাসুলের প্রানপ্রিয় কন্যার রাষ্টায়ত্ব ‘ফদক’ মারওয়ান ইবনে হাকামকে দান করেছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৮/ মদীনার মাহযুব নামক বানিজ্যিক এলাকা জনগনের ট্রাষ্ট হিসাবে রাসুল(সাঃ) ঘোষনা করেছিলেন কিন্তু উসমান তা তার জামাতা হারিছ ইবনে হাকামকে দান করেছিলেন(কুতায়বাহ-৪৮,পৃঃ৮৪)।
৯/ মদীনার চারপাশের তৃনভুমিতে উমাইয়া গোত্র ছাড়া অন্য কারো উটকে চরতে দেয়া হতো না।(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৯)।
১০/উসমানের ইন্তেকালর পর তার ঘরে ৫০,০০০ দিনার(স্বর্ন মুদ্রা) ও ১০,০০,০০০ দিরহাম(রৌপ্য মুদ্রা) পাওয়া গিয়েছিল।তার নাখারাজ জমির কোন সীমা ছিল না।ওয়াদ-আল কুরা ও হুনায়নে তার মালিকানাধীন ভুসম্পত্তির মুল্য ছিল ১ লক্ষ দিনার।তার উট ও ঘোড়ার কোন হিসাব ছিল না।
১১/প্রধান নগরীগুলো উসমানের আত্নীয়-স্বজনদের শাসনাধীন ছিল।কুফার শাসনকর্তা ছিল অলিদ ইবনে উকাবা।একবার মদ পান অবস্থায় সে ইমামতি করতে গিয়ে ফজরের সালাত ২ রাকাতের পরিবর্তে ৪ রাকাত পড়ায় জনগন উত্তেজিত হয়ে পড়ে।এতে খলিফা তাকে সরিয়ে অন্যতম চিনিহিত মোনাফেক সাঈদ ইবনে আসকে কুফার শাসনকর্তা নিয়োগ করেছিলেন। এভাবে মিশরে আব্দুল্লাহ ইবনে সা’দ,সিরিয়ায় মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান ও বসরায় আব্দুল্লাহ ইবনে আমিরকে শাসনকর্তা নিয়োগ করে স্বজনপ্রীতি্র মাধ্যমে প্রশাসনে অরাজকতা সৃষ্টি করেছিলেন।(হাদীদ-১৫২,১ম খন্ড,পৃঃ১৯৯)।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.