![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একজন তরুন আইনজীবী, রাজনীতীবিদ, ও সমাজ সেবক।
আমরা বাংলাদেশী বাংগালী। অনেক রক্তের বিনিময়ে আমরা এই স্বাধীন দেশমাতৃকা পেয়েছি। সমগ্র বিশ্বে আমাদের অনেক গৌরবউজ্জ্বল ইতিহাস আছে। আমরা নিজেদের অন্য জাতির চাইতে বেশি গর্বিত বোধ করতে পারি এই কারনে যে, আমাদের মাতৃভাষা দিবসকে সমগ্র বিশ্ব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করে। বিশ্বের সর্ব বৃহৎ সমুদ্র সৈকত আমাদের। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রভ বন আমাদের। ইত্যাদি আরও অনেক কিছুই আছে আমাদের গর্ব করার। আমরা গর্বিতও বটে। আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো নেতাও পেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের মাঝে অনেক গর্হিত ঘৃন্নিত ব্যাক্তিও আছেন। যেমন মীরজাফর, খন্দকার মুসতাক প্রভৃত ব্যাক্তিবর্গ।
আমার সবচেয়ে দু:খ লাগে তাদের প্রতি যারা এই দেশে বসবাস করে এখনো এই দেশটাকে ভালোবাসতে পারেন নাই। যারা এই দেশটাকে নিয়ে গর্ববোধ করতে পারেন না। যারা এই দেশটাকে এখনো পুর্ব পাকিস্তান কিংবা ভারতের প্রদেশ ভাবেন। যারা এই দেশে বসবাস করেও এখনো মনে প্রানে পাকিস্তানী কিংবা ভারতীয়। তাদের জন্য আমার কোন আবেগ নেই শুধুমাত্র ঘৃনা ছাড়া।
আমি ঘৃনা করি পাকিস্তানের সেই সব জারজ দের যারা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আস্থা রাখতে পারেন না। আমি ঘৃনা করি সেই তথাকথিত বাংগালীদের যারা বাংলাভাষায় কথা বলেন, বাংলাদেশে বসবাস করেন কিন্তু হৃদয়ে ধারণ করেন পেয়ারে পাকিস্তান কিংবা মেরা ভারত মহান।
সবচেয়ে বেশী ঘৃনা করি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের যারা বিরোধিতা করেছিলেন জামাত-শিবির রাজাকার আলবদর আলশামস। যাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় নির্যাতিত হয়েছিল আমাদের মা বোন। শহীদ হয়েছিল লাক্ষো বাংগালী।
আমি ঘৃনা করি পাকিস্তানের জারজ জামাত-শিবির কে, যারা আজো বাংলাদেশের মানুষকে শত্রু ভাবে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদকে শত্রু সম্পত্তি মনে করে আন্দোলনের নামে আগুনে পোড়ে, ভাংচুর করে, নষ্ট করে।
আমি ঘৃনা করি সেই সব নব্য রাজাকারদের যারা মনে প্রানে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চায় না। প্রতি মুহুর্তে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বিঘ্নিত করে।
এখন সময় এসেছে আমাদের জেগে উঠার এই সব জঘন্য ঘৃন্নিত ব্যাক্তিদের বাংলাদেশের সমাজ থেকে নির্মুল করার।
জাগো বাংগালী, জাগো.......
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
©somewhere in net ltd.