নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বারবনিতা বৃত্তান্ত-২

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৬

রাস্তার এবং ঘ‌রে থাকা ভদ্রবে‌শের প‌তিতা‌দের নি‌য়ে শুনা, দেখা বা নিজের কিছু প্রচন্ড ব‌্যক্তিগত অভিজ্ঞতা যথা সম্ভব হুবুহু উগরে দিব এই সি‌রি‌জে। সব বাস্তব চরীত্রের ছদ্ম নাম দি‌য়ে‌ছি। বর্ণনায় এডাল্ট ‌কনটেন্ট থাক‌তে পা‌রে।
২.
নিশি কর্মী

.
২০০৮। তখন বাসা ছি‌লো সাম‌রিক জাদুঘরের পা‌শে। রাতে খাওয়ার পর নিয়মিতই হাঁটতে বের হই এক কাজিন সহ। এমনই এক রা‌তে জাদুঘরের সামনে ফুটপাথের থামে বসে আড্ডা দিচ্ছিলাম। একটু বেশি রাত হয়ে গিয়েছিলো, প্রায় বারোটা পার।
.
হঠাৎ এক মহিলা এসে বললো – ”আপনারা একটু দূরে সরে গিয়ে বসেন। আমরা কাজ করমু।"
.
ভাবলাম সিটি কর্পোরেশান রাতের বেলা যে রাস্তা পরিচর্যা করে সেই কাজ। কিন্তু তার গায়ে হলুদ এপ্রন নেই। তাকিয়ে দেখি তার পেছনে একটু দূরেই আরো দুজন মহিলা আর তিন চারটা রিক্সাওয়ালা শ্রেনীর লুঙ্গীপরা লোক ইতস্ততভাবে দাঁড়িয়ে আছে। কেমন যেন সন্দেহ হলো। ধমকের সুরে জিজ্ঞেস করলাম -কি কাজ?” প্রথমে একটু অবাক হলো, চ‌কি‌তে সাম‌লে নি‌য়ে মুচকি একটা হাসি দিয়ে মহিলা বললো –”ও! আপনারা বুঝেননা কি কাম! দূরে গিয়া বন যান।” আমার কাজিন বললো-’যাও তো, বিরক্ত করবানা, আমরা সরবোনা।” মহিলা ক্ষেপে গেলো, বললো-”ঠিক আছে, আপনারা তাইলে বইয়া থান। আমরা কাম করি। বইয়া বইয়া দেহেন।” বলেই ফুটপাতে পাড়ে জাদুঘরের দেয়াল ঘেঁসা একটা বড় গাছের আড়ালে সর‌লো। গিয়ে সে মনে হলো কাপড় খোলার চেষ্টা করতে ছিলো।
.
অকল্পনীয়, অবিশ্বাস্য ঘটনাটায় আমরা দুজনই স্তম্ভিত হয়ে হঠাৎ যেন নড়াচাড়ারও শক্তি হারিয়ে ফেললাম। পাথরের মত নির্বাক বসে রইলাম। এর মাঝে বুঝলাম ছেলে গুলার দল ঐ জায়গায় কিছু করতে রাজি না। টাকা নিয়েও তাদের বনিবনা হচ্ছিলোনা।
.
সৌভাগ্যবসত, আমাদের মাফ করে দিয়ে তারা চলে গেলো। আমরা উঠেই হন হন করে বাসার দিকে ছুট দিলাম। তখন দেখি, ঐ দলটা বিজয় স্মরণী মোড়ে ফুলের দোকানের প্লাষ্টিকের বড় ছাপড়ার পেছনে ঢুকতেছে।
.
এর পর থেকে আমাদের রাতের বেলা শখের ঘোরাফেরাটা বন্ধ হয়ে গেলো। কখনো ঘুরতে বেরুলেও পাড়ার বাইরে আর অত রাতে যাইনি।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ৩:০২

রাজীব নুর বলেছেন: আহারে---- এইসব নিশি কন্যার জন্য মায়া হয়।
সরকারের উচিত এদের জন্য কর্মের ব্যবস্থা করা।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ ভোর ৫:৪৪

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ক্ষুধার অন্ন দরকার সবার আগে।
তারপর অন্য সব ।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৩

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: ক্ষুধা জীবনটা‌কে কোথা থে‌কে যে কোথায় নি‌য়ে যায়!

৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দা ডার্কেন ট্রুথ অব নাইট!

এ এক অভিমূন্যের চক্রবুহ্য! কোনদিনই বুঝি ভাংবার নয়!
বিশাল সিন্ডিকেট! শাহবাগের জিনিয়ার ঘটনায় যে মূখ সামনে এসেছে তাতেই বোঝেন!
এরক মূখোশের আড়ালে কত মূখ আছে ইয়াত্তা নাই.।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

আফনান আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: রাস্তায় এ‌দের দাঁড় ক‌রিয়ে কত জন নি‌জের পেট ভর‌তে‌ছে খোদা মালুম।

৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এরাও শ্রমিক । দেহ বিক্রি করে টাকা পায় পেট চলে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.