নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আফনানের নিকেশ জগৎ.....।

আফনান আব্দুল্লাহ্

প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প তার আঙ্গুলের ছাপের মতই ভিন্ন। দূর থেকে এক মনে হলেও যতই তার গভীরে যাবে কেউ ততই বৈচিত্রময় বিভিন্নতা পাবে। নিজের জীবনের গল্পে চরে বেড়ানো মানুষগুলো সবাই’ই যার যার জগতে বন্ধী। সহস্র বছর বাঁচতে পারলে পৃথিবীর প্রত্যেকটা মানুষের জীবনের গল্প আমি শুনতাম।নিজের দেখা জগৎ দেখা আদেখা মানুষদের জগতের সাথে গেঁথে নিতেই লিখি এবং আন্যের লিখা পড়ি। কেউ যদি মিথ্যুক বা ভন্ড না হয় তাহলে তার যে কোন ভিন্ন মতের কারন তার চার পাশের ভিন্ন জগৎ, ভিন্ন পরিবেশ, ভিন্ন শিক্ষা। তাই মানুষকে বুজতে হলে তার জগৎটাকে জানতে হবে, তার গল্পগুলো শুনতে হবে।আফনান আব্দুল্লাহ্

আফনান আব্দুল্লাহ্ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খুন-গুমের জন্যে হাসিনা সরকারকে আমরা ক্ষমা করছি না কেন!

০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:২৩

Forgive but not Forget. মাদিবার বিখ্যাত বাণী।

২৩ থেকে ২৫ হাজার মানুষকে খুন-গুম করার পরও পরাজিত বর্ণবাদী সরকারের খুনি অফিসারদের ক্ষমা করে দিয়ে ছিলো নেলসন ম্যান্ডেলার দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (ANC)। ১৯৪৮ থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত চলেছিল এই দুর্বিষহ বর্ণবাদী শাসন। ২৭ বছর জেল খেটে আসা নেলসন ম্যান্ডেলা ওদের ক্ষমা করতে পারলেও আমরা ১৭ বছরের খুন-গুমের জন্যে হাসিনা সরকারকে ক্ষমা করতে পারছি না কেন! এর উত্তর এতটুকু পড়ে যা মাথায় আসছে পুরাটা পড়লেও তাই আসবে।
.
দক্ষিণ আফ্রিকার ভয়ঙ্কর বর্ণবাদী সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামানোর পর ANC ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিটি (TRC) গঠন করেন। এর উদ্দেশ্য পরাজিতদের বিচার করা ছিলো না। এই কমিশনের কাজ ছিলো সত্য অনুসন্ধান করা। বিচার ছাড়া রিকনসিলিয়েশন হবে না। আর বিচারের জন্যে সত্য অনুসন্ধান লাগবেই। খুন এবং গুমের সাথে জড়িত বর্ণবাদী সরকারের লোকজন, পুলিশ আর আর্মির অফিসার যারা সরাসরি হত্যা যজ্ঞে জড়িত তাদেরকে সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে The Promotion of National Unity and Reconciliation Act, 1995 এর অধীনে। এই ক্ষমা ছিলো সত্য বলার আর প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার বিনিময়ে।
.
তো আমরা কেন ক্ষমা করতে পারছি না! কারণ এখানে তো কেউ ক্ষমাই চাচ্ছে না। দু’হাতে খুন-খারাপি করে লুটের মালসামাল নিয়ে পরাজীত শক্তি বৈদেশিক বিলাসে ঢুকে গেছে। চুরির টাকায় লোক ভাড়া করে রাজনৈতিক গণ্ডগোল পাকাচ্ছে, অনলাইনে বট কমেন্ট করাচ্ছে, সাংবাদিক ও লবিস্ট কিনছে। আর সর্বক্ষণ আরো খুনের হুমকি দিচ্ছে! কী বিন্দাস জমিদারী জীবন।
.
অপরাধবোধ আসে বিচার থেকে। বিচার বা সামাজিক শাস্তির প্রক্রিয়া ছাড়া “guilt response” সক্রিয় হয় না। যখন সমাজ অপরাধীর জন্য জবাবদিহিতা তৈরি করতে ব্যর্থ হয়, তখন মস্তিষ্কে “moral disengagement” ঘটে — অর্থাৎ মানুষ নিজের অপরাধকে যুক্তি দিয়ে বৈধ করতে শেখে, এবং অপরাধের পুনরাবৃত্তি বাড়ে। বিচার আচরণ না থাকলে ১৪শ না, ১৪ কোটি খুন করলেও কোনো অনুশোচনা আসবে না। বরং পাখি শিকারের মতো অহংবোধ বাড়বে। স্বাভাবিক। যখন কেউ বুঝে যায় যে তার অপরাধের বিচার হবে না, তখন সে self-righteous dominance এ ভোগে। এক বছরে অন্তত দশটা বিচারও যদি শেষ করে রায় কার্যকর করা যেত, অডিও-ভিডিও বার্তাগুলো ভিন্ন রকম আসতো।
.
না হলে কোনো বিচার, না উদ্ধার হলে কোনো চুরির মাল।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আমরা ক্ষমা করার কে ? দেশে আইন আছে , আদালত আছে । বিচার হবে ।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১১

মাথা পাগলা বলেছেন: হাসিনা কোন ক্ষমা চাইছেন না, সম্ভবত দুইটা কারনে। তিনি বিশ্বাস করেন

- দেশ রাজাকাররা চালাচ্ছে।
- গুম-হত্যা শুধু রাজাকারদেরই করা হয়েছে, তাই জায়েজ।

ইউনুস সাহেব আন্তর্জাতিক আদলতের মাধ্যমে বিচার করতে পারছেন না কারন জুলাই বিপ্লব থেকে পরের ১ বছরে বেশী খুন-খারাপি হয়েছে আর জুলাই বিপ্লব একটা ক্যু ছিলো। হাসিনার বিচার সঠিকভাবে হলে উনি নিজেও ধরা খাবেন, তাই হাসিনার কোন বিচার হবে বলে মনে হয় না।

৩| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৪

জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:



সময় লেগেছে, কিন্তু ব্লগারেরা বুঝার শুরু করেছে যে, হাসিনাকে সরায়েছে আমেরিকান ক্যু, এবং এটার উদ্যোক্তা হচ্ছে ইউনুস ও পাকিস্তান।

৪| ০১ লা নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৪৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: হাসু আপাকে সাজা দিলে পরবর্তিরা তাকে মনে রাখবে। সুতরং forgive না করেও forget না করার ব্যবস্থা করা যায়। সেটাই করা হোক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.